���������������
জকিগঞ্জে হেফাজত নেতা জয়নুল ইসলাম গ্রেপ্তার
সিলেটের জকিগঞ্জে হেফাজত নেতা জয়নুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলের দিকে জকিগঞ্জ শহরের একটি লাইব্রেরি থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশের একটি দল। পরে নাশকতার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মাওলানা জয়নুল ইসলাম জকিগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিশের (মামুনুল হক) সাধারণ সম্পাদক ও হেফাজতে ইসলামের নেতা।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল কাসেম জানান, গত ২০ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় করা পুলিশের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে ওই মামলায় আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে হেফাজত নেতা সাবেক এমপি শাহীনুর গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, গত ১৯ এপ্রিল রাতে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রাম জামে মসজিদ থেকে হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মসিউজ্জামান চৌধুরী শাহীনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেন কিছু সংখ্যক মুসল্লি।
পরদিন ২০ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও হেফাজতে ইসলামের প্রায় ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
সুনামগঞ্জে ৯০০ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে করোনাকালীন কর্মহীন ৯০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাঙ্গনে উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল কর্মহীন এসব পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন।
খায়রুল হুদা চপল বলেন, ‘আমরা আজ ঈদকে সামনে রেখে ৯০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করলাম। এর আগেও কর্মহীন পরিবারের সদস্যদের ত্রাণ বিতরণ করেছি। এছাড়া করোনার প্রথম ধাপেও বিভিন্ন সেক্টরের কর্মহীন পরিবারের সদস্যদের নগদ টাকা, চাল, ডাল সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ঈদ উপহারে শিশুদের মুখে হাসি
এ সময় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরিয়ার,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, পিআইও মানিক মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, বিপ্লব তালুকদার, ছাত্রলীগ নেতা অরিন্দম মৈত্র অমিয় ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটে হেফাজত নেতা সাবেক এমপি শাহীনুর গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি ও হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
সিলেট নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়ার আব্বাসিয়া মসজিদ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই মসজিদে িইতিকাফে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ৬
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মঈনুল জাকির জানান, ঢাকা থেকে সিআইডির বিশেষ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এর বাইরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর তার আসনে উপ-নির্বাচনে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জোটের প্রার্থী হিসেবে এমপি হন শাহীনুর পাশা। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ সালে তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সাথে হেরে যান।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে হতদরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘খাদ্য সামগ্রী’ বিতরণ
করোনাকালীন সময়ে ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের ৫ শতাধিক অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সুনামগঞ্জ শহরের স্টেডিয়ামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান
এ সময় উপহার সামগ্রী হিসেবে ৫ কেজি চাল, এক লিটার তৈল, ৩ কেজি আলু, দুধ, সেমাই, পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট ও পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শমসাদ বেগম।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিসদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ নুরুল হুদা মুকুট বলেন, জাতির পিতার উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি যদি ভাত খান তাহলে বাংলার সকল জনগণ ভাত খাবে। এই মহামারি করোনাকালীন সময়ে এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের অসহায় ও হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, কেবল শেখ হাসিনার সরকারই দেশের দরিদ্র মানুষ জনের কল্যাণে কাজ করতে পারে বলেই এই সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর, আওয়ামী লীগ নেতা যথীন্দ্র মোহন তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগ নেতা শামসুল আবেদীন রাজন,পরিষদের কর্মকর্তা মো. আজাদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন রাঘবপুর থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শাবানা বেগম (১৩) ওই এলাকার সৈয়দ আলীর মেয়ে।
বুধবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে পুলিশ গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় শাবানার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
পুলিশ জানায়, শাবানার বাবা একজন শ্রমজীবি জেলে। পরিবারে তার অসুস্থ বড় বোন ও অসুস্থ মা রয়েছে। মা ও বোন অসুস্থ থাকায় সংসারের সকল কাজ শাবানাকে করতে হয়। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরী শাবানার মা পার্শ্ববর্তী বাড়ি হতে খাবারের পানি আনার জন্য শাবানাকে পাঠালে সে আর ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বুধবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ের একটি গাছে গলায় ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শাবানার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এরপর পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তবে লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না বলে জানিয়েছেন মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা।
তিনি বলেন, কিশোরীর পরিবার অত্যন্ত গরীব। পানি আনতে গিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় পিবিআই তদন্তকারী দল সিলেট কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসের কাছে মামলার অভিযোগপত্রটি হস্তান্তর করে। অভিযোগপত্রে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ ও আকবরকে পালাতে সহযোগিতাকারী কোম্পানীগঞ্জের আব্দুল্লা আল নোমান নামের এক যুবকসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নোমানের বিরুদ্ধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক বদল করার অভিযোগ রয়েছে।
নিহত রায়হান আহমদ (৩৩) নগরীর জালালাবাদ থানাধীন নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান জানান, কোর্ট পুলিশ মামলাটি ভার্চুয়াল আদালতে উপস্থাপন করবেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। এদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী জানান, পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আপাতত কোনো অসংঙ্গতি চোখে পড়েনি। তবে অভিযোগপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তোলার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপর অভিযোগপত্র নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে বর্বর নির্যাতন চালানো হয় রায়হান আহমদের ওপর। এসআই আকবরের নেতৃত্বে তার হাতের নখ তুলে নেয়া হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রায়হানের শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমন বর্বর নির্যাতনে মারা যান রায়হান। মৃত্যুর পর ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালায় বন্দর ফাঁড়ির পুলিশ। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও আদালতে আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে টাকার জন্য ফাঁড়িতে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে হেফাজতে মৃত্যু নিরোধ আইনে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর পুলিশ, লাইনে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় পালিয়ে যান বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। তিনি ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে।
নানা সমালোচনা ও তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশ। ভারতে পালানোর সময় সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে আটক করে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
তবে আরেকটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তের ভেতরে স্থানীয় খাসিয়ারা আকবরকে আটক করে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে এসে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আকবরকে কানাইঘাট সীমান্তের ওপারে ভারতের একটি খাসিয়া পল্লীতে আটকের একটি ভিডিও ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে।
আকবরকে গ্রেপ্তারের পরদিন ১০ নভেম্বর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এরআগে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্য পুলিশ সদস্যদেরও রিমান্ডে নেয়া হয়। তবে রিমান্ড শেষে তারা কেউই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
সিলেটে সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ডিবির হাওর এলাকার কেন্দ্রিবিল সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মকবুল আলী (২৮) জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: বিএসএফ’র গুলিতে আহত ভারতীয় কিশোরকে হস্তান্তর
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে কেন্দ্রিবিল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মটরশুটি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে একটি চোরাকারবারী দল। দুপুরে ফেরার পথে স্থানীয় খাসিয়া বাসিন্দারা গুলি ছুঁড়ে। এতে কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী গ্রামের মকবুল আলী নিহত হন। এ সময় তার সাথে থাকা অন্যরা মকবুল আলীর লাশ ভারতের ভেতর থেকে সীমান্তের জিরো লাইনে রেখে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে ১৪ দিন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘খাসিয়াদের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসার সময় সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ৪
তবে বিজিবি সিলেট ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আহমদ ইউসুফ জামিল জানান, বিজিবির সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা কাঠ সংগ্রহ করতে ভারত সীমান্তের ভেতরে গিয়েছিলেন। পরে ভারতের বাসিন্দারা তাদের ধাওয়া করে গুলি ছুঁড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মকবুল হোসেন। তার সঙ্গীরা গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে গেছেন।
সিলেট-তামাবিল সড়কে আবারও ট্রাক চাপায় নিহত ৩
ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশা সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ২০ ঘণ্টা অতিবাহিত হতে না হতে সিলেট-তামাবিল সড়কে আবারও দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিয়েছে আরও ৩ জনের প্রাণ। আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি মোটরসাইকেলের ওয়ার্কশপে ঢুকে পড়লে প্রাণহাণির এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রডবোঝাই ট্রাক চাপায় ৩ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার নয়াগ্রাম পশ্চিম এলাকার সিফাতুর রহমানের ছেলে আশিক আহমদ (৩৫), একই গ্রামের মৌলভী সহরউল্লার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন সুলতান (২৮) ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার মছনুর রহমানের ছেলে সুহেল আহমদ (৩০)।
পুলিশ জানায়, একটি ইট বোঝাই ট্রাক জাফলং যাওয়ার পথে দরবস্ত বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেল গ্যারেজে ঢুকে যায়। এতে গ্যারেজের মেকানিকসহ সেখানে বসা অপর দুইজনসহ মোট তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন আহত হন। এদের মধ্যে আহত রুবেল ও সুমন নামে দুজনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার সকালে রুবেলকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং সুমন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
জৈন্তাপুর থানার এসআই পার্থ রঞ্জন চক্রবর্তী তিনজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাক চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার পাখিবিল এলাকায় ট্রাক চাপায় সিএনজি অটোরিকশার চালক ও একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৫ জন নিহত হন।
সিলেটে করোনায় একদিনে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬২
সিলেটে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ও রবিবার সিলেটে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত ১৫ কোটি ২৮ লাখ ছাড়িয়েছে
এনিয়ে সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৬ জনের। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, সুনামগঞ্জে ২৭ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন এবং মৌলভীবাজারে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
বুলেটিনে জানানো হয়, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৬২ জনের শরীরে। এর মধ্যে ওসমানী হাসপাতালে ৮ জন, সিলেট জেলায় ৪৭ জন, সুনামগঞ্জে ৪ জন ও হবিগঞ্জে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৭৮২ জনের।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা মন্ত্রীর
এ সময়ে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন করোনা রোগী। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১২৩ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৪০৫ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২২২ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২০৩ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, হবিগঞ্জে ১০ জন ও মৌলভীবাজারে ৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৫
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাতে ট্রাকের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
রবিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুরের পাখিবিল গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক হোসেন আহমদ (৩৫), একই উপজেলার রূপচেঙ গ্রামের মৃত জামাল আহমদের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (৩৫), তার চার মাসের শিশু সন্তান শাহাদত হোসেন, মেয়ে সাবিয়া বেগম (৭) ও মৃত জামাল আহমদের বোন হাবিবুন্নেছা (৩৩)।
আহতরা হলেন- রূপচেঙ গ্রামের মৃত আরজান আলীর ছেলে ও নিহত সাদিয়া বেগমের ভাসুর মো. জাকারিয়া (৫০) ও জাকারিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০)।
আরও পড়ুন: মার্চে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৩: আরএসএফ
নিহতদের আত্মীয় বরাতে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দস্তগীর আহমেদ জানান, আহত জাকারিয়ার আত্মীয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তারা উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ভাইটগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।