���������������������-���������������������
ছাগল ‘উপহার’ পাচ্ছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান
এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াকে ‘উপহার’ হিসেবে বিশেষ জাতের বাংলাদেশি ছাগল ‘ব্ল্যাক ব্যঙ্গল’ উপহার দেবে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সুলতানের জন্য মেনুতে মাটন (খাসির মাংস) দিয়ে তৈরি কাচ্চি বিরিয়ানি রেখেছে, যা তিনি ‘অনেক পছন্দ করেন’।
মোমেন হেসে সুলতানকে দেয়া ছাগলের সঙ্গে একজন শেফ দিয়ে দেয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনার কথাও জানান।
একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে সুলতানের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর শেষ হলেও তিনি আগামীকাল সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে এই সফরকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে মনে করছে বাংলাদেশ।পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুলতানকে বিদায় জানানোর কথা রয়েছে।
জ্বালানি সহযোগিতায় সম্মত বাংলাদেশ ও ব্রুনাই
ঢাকা, ১৬ অক্টোবর (ইউএনবি)-
বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালাম জ্বালানি খাতে; বিশেষ করে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করতে সম্মত হয়েছে।
রবিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর প্রকাশ করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য সম্মত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জ্বালানির একটি স্থিতিশীল ও মূল আঞ্চলিক রপ্তানিকারক হিসেবে ব্রুনাই দারুসসালামের অবস্থানের ভিত্তিতে দুই নেতা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে; বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করতে সম্মত হন।’
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর, দুই দেশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ চারটি সমঝোতা স্মারকেও (এমওইউ) সই করেছে।
চুক্তিটি হলো- বিমান সেবা চুক্তি। আর অন্য তিনটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক হলো- ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’, ‘তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক' এবং ‘নাবিকদের প্রশিক্ষণ, সনদ, ওয়াচকিপিং এর মান সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে ইস্যুকৃত সনদপত্রের স্বীকৃতির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’।
আলোচনায়, দুই পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য কাজ করার জন্য তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বর্তমানে যা সম্ভাবনার চেয়ে অনেক নিচে অবস্থান করছে।
দুই দেশ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্রুনাই দারুসসালামের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার জন্য একটি পথ অনুসন্ধানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাকে স্বাগত জানায়।
উভয় নেতা হালাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়েও সম্মত হন।
বাংলাদেশ ব্রুনাই দারুসসালামকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগের সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রুনাই দারুসসালাম প্রস্তাবটি নোট করেছে এবং উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে।
ব্রুনাই দারুসসালাম বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যমূলক কর্মকাণ্ড যেমন খাদ্য, কৃষি এবং অ্যাকুয়াকালচারে (পানির মধ্যে গাছপালা উত্পাদন বা জীবজন্তুর বংশবৃদ্ধির প্রচেষ্টা) বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সই হলো যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জামানত হিসেবে এক হাজার ৬শ’ ডলার দিতে হয়। মালয়েশিয়ার জন্য এ পরিমাণ ৫’শ ডলার। এই বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত ব্রুনেইয়ের অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সরকারের বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার কারণে বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে আদর্শ গন্তব্য। এদেশে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি চীন-ভারতের ২৭০ কোটি মানুষের বাজারও ধরা যাবে। কেননা দুটি দেশেই বেশিরভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম ব্রুনেইকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মানবসম্পদ নেয়ার আহ্বান জানন।
এছাড়াও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর জন্য আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তুাব দিয়ে ব্রুনেইকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতো সেরি সেটিয়া ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন লিউ আবদুল্লাহ তার দেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ব্রুনেইয়ের বন্দর ব্যবহার করলে চীনের সঙ্গে দূরত্ব অনেক কমবে। এতে খরচ ও সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশী কর্মীদের প্রশংসা করে ব্রুনেইয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি আহমাদদিন বিন হাজী আবদুল রহমান বলেন, ব্রুনেইয়ের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এসব কর্মীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়াও বৈঠকে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফিকি’র সভাপতি নাসের এজাজ। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো.আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর ও মো.হাবীব উল্ল্যাহ ডন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্রুনেইয়ের হালাল খাদ্যপণ্য বিপণনে দেশটির ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের জেডইএস ট্রেডিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ঘানিম ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে সিইও নূর রহমান ও জেডইএস ট্রেডিংয়ের পক্ষে এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সই হলো যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশ ও ব্রুনাই রবিবার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে বিমান পরিষেবা চুক্তিসহ চার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি ও স্মারক সই হয়।
চুক্তিটি হলো- বিমান সেবা চুক্তি। আর অন্য তিনটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক হলো- ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’, ‘তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক' এবং ‘নাবিকদের প্রশিক্ষণ, সনদ, ওয়াচকিপিং এর মান সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে ইস্যুকৃত সনদপত্রের স্বীকৃতির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়েছে। রবিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শুরু হয়ে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এ আলোচনা চলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এবং অপরদিকে ব্রুনাইয়ের পক্ষে সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ নেতৃত্ব দেন।
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আলোচনার পর তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুলতান পৌঁছালে টাইগার গেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর চুক্তিসহ তিনটি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন ব্রুনাই সুলতান
অন্য দুটি সহযোগিতার নথি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ও দুই দেশের নাবিকদের সনদপত্রের স্বীকৃতি সংক্রান্ত।
প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি এখন তেল সমৃদ্ধ দেশ ব্রুনাইয়ে কাজ করছে।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ব্রুনাইয়ের সুলতান ঢাকায় আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২১ বন্দুকের স্যালুটের মধ্যে সুলতানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্রুনাই দারুসসালামের হাই কমিশনার হারিস বিন উসমান বলেন, ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাইয়ের দারুসসালামে ঐতিহাসিক সফর করেন। যা এক নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেসময় গ্যাস সরবরাহ, মৎস্য, কৃষি, পশুসম্পদ, যুব, শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলার মতো খাতসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রবিবার জ্বালানি সমৃদ্ধ ব্রুনাইকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় তার সদ্ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকায় ব্রুনাইয়ের অর্থ ও অর্থনীতি মন্ত্রী ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন আবদুল্লাহর সঙ্গে এক ব্যবসায়িক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা। আমার অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার।’
বাণিজ্যমন্ত্রী ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর উল্লেখ করেন যেগুলো বাংলাদেশের জন্য প্রধান রপ্তানি গন্তব্য।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন ব্রুনাই সুলতান
বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ ও বন্দর সুবিধা ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
ব্রুনাইয়ের অর্থমন্ত্রী ড. আমিন বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি আঞ্চলিক হাব তৈরির সুযোগগুলো অন্বেষণ করুন। আমরা এই মুহূর্তে আমাদের সমুদ্রবন্দর সম্প্রসারণ করছি
বৈঠকে ‘ব্রুনাই হালাল ফুডস ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
প্রতিমন্ত্রী আলম ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশিদের বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের অর্থনীতিতে ব্রুনাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করে বাংলাদেশ ব্রুনাইকে পেশাদার ও দক্ষ মানবসম্পদসহ প্রয়োজনীয় কর্মী সরবরাহের জন্য তার প্রস্তুতির কথা জানায়।
সুলতান ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের ‘পরিশ্রমী ও আন্তরিক’ বলে প্রশংসা করেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াকে জানান যে বাংলাদেশ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) জন্য প্রস্তুত এবং বাংলাদেশে ব্রুনাইয়ের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরের অপেক্ষায় মোমেন
মানবাধিকার ইস্যু’র রাজনৈতিক ব্যবহার হিতে বিপরীত হতে পারে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মানবাধিকার ইস্যুকে ‘সস্তা রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসেবে উপস্থাপন দেশের জন্য বৃহত্তর মঙ্গল বয়ে আনবে না। এই ধরনের প্রবণতা ভবিষ্যতে দেশকে সঠিকভাবে লক্ষ্য অর্জনে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী কিছু রাজনৈতিক দল, বিদেশি এনজিওকে কিছু স্থানীয়দের আপাত সমর্থনে দোষারোপ করেন। যারা মানবাধিকারের সমস্যাগুলোকে ভুলভাবে উপস্থাপনের জন্য এটিকে একটি সস্তা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে নিচ্ছে।
মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনায় বক্তব্যে আলম বলেন, ‘সরকারের ভালো উদ্দেশ্য আছে। অস্বীকার নেই, একেবারেই নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি কি না।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বনানীতে ঢাকা গ্যালারিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড-বাংলাদেশ।
এডিটরস গিল্ডের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, অধ্যাপক আমেনা মহসিন ও অধ্যাপক সাদেকা হালিম প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপরাধ বিরোধী এলিট ফোর্স র্যাব একটি সফল প্রতিষ্ঠান, যা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে এবং এই বাহিনীকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে কোনও পদক্ষেপ সরকার নিতে পারে না।
দেশে যখন দেখা যাচ্ছে সন্তান বাবা-মাকে হত্যা করতে প্রস্তুত, তখন বাংলাদেশ কীভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সফলভাবে এই পর্যায়ে এসেছে তার বর্ণনাও দেন আলম। সেসব অর্জনকে খাটো করার কোনও সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণ থাকার জন্য মানবাধিকার রক্ষকদের নিজেদের লোকদের পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্ব নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন যে সরকার সেই দিকে নিযুক্ত রয়েছে।
আলম বলেন, মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য অধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকার, এনজিও, সাংবাদিক-সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
একটি দায়িত্বশীল মানবাধিকার সংস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলব বাংলাদেশ সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট ৫০ বছর বয়সী দেশগুলোর মধ্যে একটি।’
আরও পড়ুন: খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে সুলতান ঢাকায় আসেন।
বিমান থেকে নামার পর সুলতানকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর তাকে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে সুলতানের রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে’।
১৪-১৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার সফরের সময় নির্ধারিত ছিল, কিন্তু পরে এটি ১৫-১৭ অক্টোবর পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
প্রচুর তেল ও গ্যাসের মজুদের কারণে ব্রুনাই বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবনযাত্রার মানসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ হলেন বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম রাজত্বকারী রাজাদের একজন। তার বাবা স্যার হাজী ওমর আলী সাইফুদ্দিনের পদত্যাগের পর ১৯৬৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি রাজা হন।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতান আসছেন ১৫ অক্টোবর: মোমেন
বিমানবন্দর থেকে ব্রুনাই সুলতানের সরাসরি সাভারের জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানাবেন।
সুলতান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন, দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করবেন; এবং সেখানে একটি চারা রোপণ করবেন।
সুলতান হাসানাল বলকিয়া রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
খসড়া কর্মসূচি অনুযায়ী সেখানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা তাকে স্বাগত জানাবেন।
ব্রুনাই সুলতান সফরকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর চুক্তিসহ তিনটি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করতে পারে।
বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ এবং দুই দেশের কর্মীদের সার্টিফিকেটের স্বীকৃতির বিষয়ে আরও দুটি সহযোগিতার নথি স্বাক্ষরিত হবে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হবে।’
ব্রুনাইয়ের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে আলোচনা করছে এবং সম্ভাব্য সব বিকল্পের খোঁজ করছে।
২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাই দারুসসালামে একটি ঐতিহাসিক সফর করেন, যা একটি নতুন মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ এসময় দুইদেশ গ্যাস সরবরাহ, মৎস্য, কৃষি, প্রাণিসম্পদ, শিল্প ও সংস্কৃতি, যুব ও খেলাধুলার মতো খাতসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরের অপেক্ষায় মোমেন
বর্তমানে ব্রুনাইয়ে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক থাকতে পারে।
দেশটি বাংলাদেশিসহ ব্রুনাইয়ে কাজ করার জন্য আসা বিদেশি কর্মীদের স্বাগত জানায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন রবিবার সন্ধ্যায় সফর শেষে বিমানবন্দরে ব্রুনাই সুলতানকে বিদায় জানাবেন।
ব্রুনাই দারুসসালামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিওয়ান ইউসুফ শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন।
তাদের আলোচনার সময়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্তরকে আরও জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তারা আগামী দিনে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ প্রভৃতির জন্য সংযোগ বাড়ানোর জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করতে একমত হয়েছে।
তারা মহামারি ও ইউরোপে সংঘাত, বিশেষত খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তাহীনতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরের অপেক্ষায় মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সুলতানের রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
শনিবার বিকালে ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
ব্রুনাই দারুসসালামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিওয়ান ইউসুফ শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আলোচনার সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাত্রা আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন।
তারা আগামী দিনে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ প্রভৃতির জন্য সংযোগ বাড়ানোর জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করতে একমত হয়েছে।
তারা মহামারি ও ইউরোপে সংঘাত, বিশেষত খাদ্য ও জ্বালানির নিরাপত্তাহীনতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
এরিওয়ান ইউসুফ ১৫-১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে ব্রুনাইয়ের সুলতানের প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ঢাকায় আসেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফে বিনতে শামস এবং ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমোনা, ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব পেঙ্গিরান নরহাশিমা মো. হাসান এবং ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্বে অনুপ্রেরণার গল্প: ভারতীয় রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এর উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প।
শুক্রবার বাংলাদেশি যুব প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। এবং বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নের যাত্রা ভাগাভাগি করে চলেছে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের জন্য এই চেতনা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, যা দু'দেশ এবং জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বকে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা যেভাবে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে কঠোর পরিশ্রম করে, তাদেরও উচিত ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সোনালী যুগের সূচনা করতে একই আবেগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা।
দ্রৌপদী মুর্মু আরও বলেন, প্রত্যেক ভারতীয়ের হৃদয়ে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের দেশগুলোর গভীর সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। আমরা শিল্প, সঙ্গীত এবং সাহিত্যসহ নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু শেয়ার করি’ ।
তিনি বলেন, ভারত সর্বদা বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তারা এর পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘আমাদের গভীর সহযোগিতায় উভয় দেশ সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব দেয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দিল্লি এবং লন্ডনে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন দ্রৌপদী।
এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি বলেন ‘ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি যুবকদের নিয়ে গঠিত এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যা আমাদের মতই, যেখানে একটি বিশাল যুব জনসংখ্যা রয়েছে।’