%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
ময়মনসিংহে বিয়ের বাজার শেষে ট্রেনে কাটা পড়ে চাচা-ভাতিজির মৃত্যু
ময়মনসিংহ নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনে নতুন বাজার রেলপথ ক্রসিংয়ের আগে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে একজন নগরীর উজান বাড়েরা গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০) ও অন্যজন তার ভাতিজি শেফালী আক্তার (৪০)।
নিহত আব্দুর রহমান সিটি করপোরেশনের উজান বাড়েরা এলাকার নুর হোসেনের ছেলে। আর শেফালী একই বাড়ির রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার (মিশুক) চালক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুর রহমান ও তার ভাতিজি শেফালী আক্তার শহর থেকে তাদের এক আত্মীয় (ভাগিনার) বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।
রাত সোয়া ১০টার দিকে দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন ছাড়ার পর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনের লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশা পঁচাপুকুরপাড় সড়কে উঠে পড়ে। এ সময় ওই অটোরিকশার যাত্রীরা ট্রেনে কাটা পড়ে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
রিকশার দুই যাত্রী আব্দুর রহমান ও শেফালী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় বরের মুকুট, কাপড়, মিষ্টি, পান-সুপারিসহ বিয়ে বাড়ির অন্যান্য সামগ্রী।
খবর পেয়ে পুলিশ ও জিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুর রহমানের ছোট ভাই হাবিব বলেন, ‘তাদের ভাগিনা খোকার বিয়ে ঠিক হয় শহরতলীর আজমতপুর এলাকায়। আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদ ও বিয়ে। এই বিয়ের বাজার করতেই তারা শহরে যায়। বাজার করে ফেরার পথেই তারা ট্রেনে কাটা পড়ে।’
জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাটি ময়মনসিংহে হলেও এটা জামালপুর থানার অধীনে। আমরা লাশ দুটি উদ্ধার করেছি। পরে জামালপুর জিআরপির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ময়মনসিংহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
ময়মনসিংহের নান্দাইলে পূর্ব শত্রুতার জেরে রানা আহমেদ (৩৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের বনাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রানা ওই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বনাটি গ্রামের আবুল হাসেমের সঙ্গে প্রতিবেশী বকুল গংদের বেশ কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। রবিবার মধ্যরাতে রানা বাড়ির পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিল। এ সময় প্রতিপক্ষরা পেছন দিক থেকে দা-বল্লম দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। রানার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। পরে রানাকে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, ২০১৯ সাল থেকে হাসেম ও বকুল গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে সেই বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরেও হত্যার বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় নিহত ১, মা-মেয়ে আটক
শেরপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদা বেগমের লাঠির আঘাতে মোরাদ হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের পূর্ব টালকি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোরাদ হোসেন পূর্ব টালকি গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকার কল্যাণপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে নিহত ১
এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশী বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানা যায়, বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে গ্রামের মোরাদ হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের বিরোধ চলছিল। এর জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাজেদা লাঠি দিয়ে মোরাদের মাথার পেছন দিকে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশী বেগমকে আটক করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ছুরিকাঘাতে একজন খুন
ময়মনসিংহে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুনের অভিযোগ
ময়মনসিংহে তুচ্ছ ঘটনার জেরে সামির নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে তারই এক বন্ধু খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরাফাত নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের সানকিপাড়া রেল ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সামির নগরীর ইটাখলা রোড এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। এবং আরাফাত নগরীর কাচিরঝুলি হামিদ উদ্দিন রোড এলাকার আরমানের ছেলে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ১০টার দিকে সামিরসহ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব সানকিপাড়া নতুন পল্লী রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সামিরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত সামিরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় ছুরিকাঘাতে বাঁধা দেওয়ায় অপর এক যুবক আহত হয়েছে।
তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওসি তদন্ত আরও জানান, পুলিশ এ ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। তবে, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটি জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ২, আহত ২০
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর বাজারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বলেন, ঢাকা থেকে শেরপুরগামী একটি বাস সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কোদালধর বাজারের কাছে পৌঁছালে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী আরেকটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত বাস ২টি সড়কের পাশে জমিতে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের ২ যাত্রী নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে। লাশ উদ্ধারের পর ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১৩
মেহেরপুরে পাখিভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১
ময়মনসিংহে ঈদগাহ মাঠে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ঈদগাহ মাঠে শাহজাহান মিয়া (১৯) নামে এক পোশাকশ্রমিককে গত্যা করা হয়েছে।
ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শাহজাহান উপজেলাটির রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আবদুর রশিদ মাস্টার ও নূরুল ইসলামের বংশের লোকজনের মধ্যে বিরোধ বহু দিনের পুরোনো ছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলামের বংশের লোকজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফয়সালের পোস্টার টানায় এলাকায়। কিন্তু এলাকায় থাকলে ফয়সালের নির্বাচন করা যাবে না বলে হুমকি দেয় রশিদ মাস্টারের লোকজন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে বুধবার উচাখিলা বাজারের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন উজানচর উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও খুৎবা শেষে দোয়ার আগ মুগূর্তে নূরুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রশিদ মাস্টারের ছেলে নাতি পিহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, দুই বংশের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিল। বুধবারও উচাখিলা বাজারে মারামারি হয়। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে রশিদ মাস্টারের লোকজন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ তৈরি হয়। ঈদের জামাত শেষে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্তত ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ড ঘিরে বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
শেরপুরে এক সেনা সদস্যকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে উত্তরার পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে জামালপুর র্যাব-১৪ ও ঢাকার উত্তরার র্যাবের সিপিসি -২ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার(৬ এপ্রিল) দুপুরে তাকে শ্রীবরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায় ২০০৯ সালে সেনা সদস্য বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যার দায়ে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর আদালত বাবুল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। নিহত সেনা সদস্য চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার মাটিকাটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সস্ত্রীক বসবাস করতেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত বাবুলের মাধ্যমে শ্রীবরদীতে কবিরাজের কাছে স্ত্রীর চিকিৎসা নিতে গিয়ে ওষুধের টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে হত্যার শিকার হন বটন কান্তি। এমনকি ঘরের মেঝেতে লাশ পুতে গুম করতে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়। ঘটনার ৪ দিন পর লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া নিজের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন মোস্তফা কামাল নামে জাতীয় পরিচয়পত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে তিনি তার পুরোনো পেশা সবজির ব্যবসা করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল দম্পতির
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন স্ত্রী ও স্বামী।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলা থেকে সিমান্তবর্তী সড়কের লক্ষীকুড়া বাজারে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় দম্পতি নিহত
নিহত স্ত্রী ও স্বামী হলেন, উপজেলার রৌমারি এলাকার আলীর ছেলে সাইদুর রহমান ও স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। সাইদুর রহমান জেলার ঈশ্বরগঞ্জে একটি এনজিওতে চাকরি করতেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে সাইদুর মোটরসাইকেলে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি রৌমারিতে যাওয়ার পথে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই সাইদুর মারা যান। সোনিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বোন-ভাই নিহত, মা-বাবা আহত
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে সহোদর ভাই ও বোন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মা-বাবাসহ ৩ জন।
রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা দক্ষিণ বাজার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার চর শিমুলচরা গ্রামে মোকাদ্দেস রহমান তোরাব ও মনিরা বেগম দম্পতির মেয়ে মাশুরা নোকাদ্দেছ তানাছ (১৬) ও ছেলে আনাছ আহনাফ (৩)। পরিবারের সবাই মাইক্রোবাসে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কিশোর নিহত
আহত মা-বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকালে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা দক্ষিণ বাজার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা থেকে শেরপুরগামী মিথুন সুপারের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসযাত্রী বোন মাশুরা নোকাদ্দেছ তানাছ এবং ভাই আনাছ আহনাফ ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আহত মা-বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহতদের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার চর শিমুলচরা গ্রামে। তারা শ্রীবরদী থেকে স্বপরিবারে ঢাকা যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
রাজধানীর বকশীবাজারে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বাসের ধাক্কায় এসবির কর্মচারী নিহত
ময়মনসিংহে হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রথম মসজিদ
ময়মনসিংহ নগরীর ৩৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর কালিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পান ৪০জন হিজরা। এদের প্রত্যেকেই মুসলমান। তারা এলাকার মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে নানা বাঁধার সম্মুখীন হন। এই পরিস্থিতিতে আলাদা একটি মসজিদ নির্মাণের কথা ভাবেন তারা।
এমন ভাবনা থেকে ময়মনসিংহে প্রথম হিজড়া জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে মসজিদ। এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলেও বর্তমানে মসজিদে হিজড়াদের সঙ্গে নিয়মিত নামাজ পড়ছেন এলাকার মুসল্লিরাও।
নামাজ পড়া, মৃত্যুর পর জানাজাসহ নানা জটিলতা ও বাঁধার সম্মুখীন থেকেই সেতু বন্ধন হিজরা কল্যাণ সংঘের সদস্যরা মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু প্রয়োজন জায়গা ও অর্থের। তার কোনোটাই নেই তাদের। পরামর্শ করে দেখা করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে। বিভাগীয় কমিশনারের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছেই ৩৩ শতক জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়, সঙ্গে কিছু অনুদানও। রমজান মাসকে টার্গেট করে মসজিদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে হিজড়াকে গলাকেটে হত্যার পর মাটিচাপা, আটক ১
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বড়ইকান্দী গ্রামে স্থাপিত এই মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও দক্ষিণ চর কালিবাড়ি আশ্রয়ণ জামে মসজিদ’।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, নবনির্মিত এক কক্ষবিশিষ্ট মেঝে পাকা মসজিদটির দেয়াল ও চাল টিনের। সামনে ছোট্ট বারান্দা। পাশেই বসানো হয়েছে সাবমারসিবল পাম্প। পাশে ওজুখানা ও বাথরুম। উঁচুতে টানানো হয়েছে ৩টি মাইক। দুপুর ১টা বাজতেই মসজিদের মাইকে ভাসছে জোহরের আযান। হিজরাদের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে প্রবেশ করছে স্থানীয় কয়েকজন বয়স্ক ও তরুণ মুসল্লি। তারা সবাই এক সঙ্গে জামায়াতের সঙ্গে জোহরের নামাজ আদায় করলেন। নামাজ শেষে কথা হয় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে। কথা হয় সেতু বন্ধন হিজড়া কল্যাণ সংঘের কয়েক সদস্যের সঙ্গে।
আখি হিজরা নামে একজন বলেন, ‘সারা জীবন শুনে আসছি, হিজরা কেউ মারা গেলে তাদের নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। না হয় নদীর তীরে কোথাও কবর দেওয়া হয়। কোনো গোরস্থান ছিল না। এখন আমাদের মসজিদের পাশাপাশি কবরস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে।’
সেতু বন্ধন হিজড়া কল্যাণ সংঘের সভাপতি জয়িতা তনু হিজড়া বলেন, ‘বড়ইকান্দী গ্রামে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে আমরা ৪০ জন হিজড়া বসবাস করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে এলাকার মসজিদে আমাদের কয়েকজন নামাজ পড়তে গেলে অনেকেই হাসাহাসি ও কটূক্তি করে। পরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেই। কিন্তু প্রয়োজন জায়গা ও অর্থের। তার কোনোটাই নেই আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য আমরা বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সঙ্গে দেখা করি। তার পরামর্শে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ৩৩ শতক জমি বরাদ্দ পাই। সেই সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার আমাদের মসজিদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করে দেন। এটা দিয়েই আমরা এ মসজিদের প্রাথমিক কাজ করেছি।’
আরও পড়ুন: জীবনধারণে লড়ছেন জয়িতা পুরস্কার জয়ী খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া
জয়িতা তনু বলেন, ‘এ মসজিদের জন্য কিছু মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় এবং নিজেদের টাকায় হাফেজ মাওলানা কারিমুল ইসলাম নামের একজন ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি গত ২০ দিন ধরে এ মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজের ইমামতি করছেন। এতে হিজড়াসহ এলাকাবাসীও নামাজ পড়ছেন।’
তিনি আরও বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে নির্মিত এই মসজিদটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের প্রথম। পাশাপাশি একটি মাদরাসা, ৩ তলা মসজিদ কমপ্লেক্সসহ কবরস্থান ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এসব প্রতিষ্ঠান বাস্তবে রূপ নেবে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘আমরা এলাকার মানুষ এই হিজরাদের কাজ-কর্মে সবদিক দিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। তারা আমাকে এই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। আমরা মিলে-মিশে এই মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, জুম্মার নামাজ আদায় করি। তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এখন থেকে কেউ আর হিজড়াদের এ মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে কটূক্তি করতে পারবে না।’
ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ‘স্থানীয় হিজড়া জনগোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য আমার কাছে এসে মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য জমি চাইলে তাদের ৩৩ শতক জমি সরকার থেকে বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এরপর সম্প্রতি তারা মসজিদের ঘর নির্মাণের জন্য আমার কাছে সহযোগিতা চান। পরে আমি তাদের জন্য একজন বিত্তবান মানুষের কাছ থেকে কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা এখন মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ পড়ছেন। এটা ভালো উদ্যোগ।’
আরও পড়ুন: ‘হিজড়া’ বলে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় শিশু শুভকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩