%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
ময়মনসিংহে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
ময়মনসিংহ সদর আসনে নির্বাচনের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে রফিকুল ইসলাম (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মর্জিনা খাতুন নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় জেরার সদর উপজেলার চরভবানীপুর কোনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
নিহত রফিকুল ওই এলাকার নূর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার কয়েকজন মিলে কোনাপাড়া গ্রামের হোতারবাড়ি মোড় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের ট্রাক প্রতীকের পক্ষের একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। ক্যাম্পটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে রফিকের ছোট ভাই ফারুক হোসেন ও অপর ভাই ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন রাজু ও আরিফুল ইসলাম সাজু।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রফিকুল ওই ক্যাম্পে গেলে তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলে ফারুক। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হলে রফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯ টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার রাতেই চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বলেন, আমার চাচাদের সঙ্গে বাবার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আগেও বাবাকে চাচা ফারুক মারধর করেছে। মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনী ক্যাম্পে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতা ছিল। একই প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পের দখল নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, মামলার চার নম্বর আসামি রাজু ও সাজুর মা মর্জিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
লাশ উদ্ধারের সময় মায়ের কোলে ছিল কলিজার টুকরা ছেলে
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুনের ঘটনায় নিহত মা ও সন্তানের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন। নাদিরার স্বামী কারওয়ান বাজারের একজন হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ট্রেনে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা যায় মা ও তার তিন বছরের শিশু সন্তানসহ আরও দুইজন। নিহত অপর দুইজন পুরুষ। তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় নাদিরা আক্তারের ভাই এবং তার আরও এক ছেলে ট্রেনে ছিল। তারা ট্রেন থেকে নামতে পারলেও নাদিরা নামতে পারেননি।
নিহত নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব ইউএনবিকে জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বরুনা গ্রামে। গত ৩ ডিসেম্বর তারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গত রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ঢাকায় রওনা দেন। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তার সঙ্গে ছিলেন বোন নাদিরা, তার দুই ছেলে ইয়াসিন (৩) ও ফাহিম (৮)।
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
হাবিবুর আরও জানান, তেজগাঁও স্টেশন এসে ট্রেনটি থামলে কয়েকজন যাত্রী সেখানে নেমে যান। সেসময় তাদের পেছনের সিটে থাকা দুইজনও নেমে যান। পরে ট্রেন চলতে শুরু করা মাত্রই পেছনের সিট থেকে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌঁড়ে তিনি ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়েন ছোট ছেলে ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদের আর কোনোভাবেই সেখান থেকে বের করতে পারেননি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটের দিকে ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা একটি বগি থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, নিহতদের দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াসিন।
আরও পড়ুন: হরতালে ঢাকায় ২ বাসে আগুন
ময়মনসিংহের ১১ আসনে আ. লীগের ২ প্রার্থীসহ ১৯ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার
ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ১৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
রবিবার কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ময়মনসিংহ-৫ ও ময়মনসিংহ-৮ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
এছাড়া জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জাকের পার্টির সাতজন, জাসদের ছয়জন, তরিকত ফেডারেশনের একজন ও তিজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফলে নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী আইনজীবী এস.এম শিব্বির আহমেদ লিটন, জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী।
ময়নসসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু ও জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. শামছুল আলম খান।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির মো. জুয়েল রানা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে জাকের পার্টির মো. শফিকুল আলম।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান। ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. সাদিক হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে ১০৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই বাছাইয়ে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে আরও পাঁচজনের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে।
বৈধ প্রার্থী নান্দাইলের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিলে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
ফলে ৮৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে ১৯ জন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় ২ জন নিহত
ময়মনসিংহে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে নিহত ২, আহত ৪
ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ৩
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসচাপায় অটোরিকশাচালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে মহাসড়কের ত্রিশাল কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের পাশে মাছের আড়তের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ইমতিয়াজ আলী ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (২৮) ও একই এলাকার নাইম মিয়ার স্ত্রী পপি আক্তার (২২) ও নাছির উদ্দিনের ছেলে সিএনজিচালক হাবিবুর রহমান (৩৫)।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে বাসচাপায় রিকশাচালক নিহত
ত্রিশাল থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি বাস ত্রিশাল কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের পাশে মাছের আড়তের সামনে ত্রিশালগামী একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে চালকসহ তিনজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে পাঠান।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর রহমান, মোফাজ্জাল হোসেন ও পপি আক্তার মারা যান।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ও ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। বাস চালককে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বাসচাপায় দুই শিশু নিহত
বগুড়ায় বাসচাপায় আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তিতপল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত কবীর বলেন, দুর্ঘটনার সময় জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থেকে জামালপুরগামী একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এটি একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই পিকআপের ২ যাত্রী নিহত হন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহতরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার ছোনটিয়া পটল গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে শামসুল হক (৪০) এবং অপর জন টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার সর্তরপুর গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জামালপুরের ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে।
আহতদের মধ্যে ৩ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- জামাল মিয়া (৫০), সুজা মিয়া (৪৫) ও আবুল কালাম (৪০)। আহতদের মধ্যে পিকআপ চালকও রয়েছেন।
ওসি মহব্বত কবীর আরও বলেন, পুলিশ বাসটি আটক করতে পারলেও বাসের চালক পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
গাইবান্ধায় মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের এনাটমি মিউজিয়ামে প্রথমবারের মতো গয়াল ও আফ্রিকান কমন ইল্যান্ডের কঙ্কাল প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে এনাটমি মিউজিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি, গৃহপালিত ও বন্য প্রাণির ১৪টি কঙ্কাল প্রস্তুত করেছেন। তিনি দেশে প্রথমবারের মতো গয়াল, আফ্রিকান কমন ইল্যান্ডের কঙ্কাল ও দ্বিতীয় হিসেবে জিরাফের কঙ্কাল তৈরি করেছেন।
মিউজিয়ামটিতে হাতি, জিরাফ, শুশুক, হরিণ, অ্যারাবিয়ান হর্স, বানর, খরগোশ, বিড়াল, কুকুর, টার্কি, হাঁস ও মুরগির কঙ্কাল প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া জলঢোঁড়া সাপ ও লেঙ্গুরের কঙ্কাল বানানোর কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাকৃবির মরণ সাগর: সূর্য সন্তানদের অমলিন স্মৃতি
ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় ২ জন নিহত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ট্রাক চাপায় ২ পথচারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উপজেলার দত্তপাড়া নামকস্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নওপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার মাস্টার (৬২) ও দত্তপাড়া গ্রামের দুলাল গৌড়ের স্ত্রী ধনতি গৌড় (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহ হতে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার সময় একটি বালুভর্তি ডাম্প ট্রাক ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ পথচারীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয় আরেক পথচারী।
আহত পথচারীকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রাক চালককে আটক ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়য়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
ময়মনসিংহে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে নিহত ২, আহত ৪
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে যাত্রিবাহী প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ২ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের চরহোসেনপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরহোসেনপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের মেয়ে পথচারী জান্নাতুন আদন (১১) এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ইলুচিয়া এলাকার বানু পালের ছেলে বাবুল পাল (৬৫)।
দুর্ঘটনায় আহত ৪ জন হলেন- নিহত বাবুল পালের স্ত্রী সীমা পাল (৪৫), ছেলে তন্ময় পাল (২৫), গৌরীপুর উপজেলার পাটবাজার মোড় এলাকার ইন্দ্রজিৎ দাসের স্ত্রী সুপ্তিপাল (৩৫), ছেলে শ্রেষ্টজিৎ পাল (৭)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি প্রাইভেটকার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরহোসেনপুর এলাকায় আসার পর জান্নাতুল আদন নামের পথচারী শিশু হঠাৎ গাড়ি সামনে এসে যায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই পথচারী শিশু ও প্রাইভেটকারের এক যাত্রী মারা যান। আহত হয় প্রাইভেটকারে থাকা আরও ৪ যাত্রী। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) পাঠান।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এরপর ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় কিশোরগঞ্জ থেকে 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাওয়ার পর ৪টা ২০মিনিটে কটিয়াদীর গচিহাটা রেলস্টেশন পয়েন্টে ট্রেনটি ঢোকার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে, এই ঘটনায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনটি গচিহাটা স্টেশনে থেমে থাকার সময় ঢাকা অভিমুখী 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের সঙ্গে ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রসিংয়ের জন্য পয়েন্ট লাইন পরিবর্তনের সময় 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস' ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
ফলে 'বিজয় এক্সপ্রেস' ট্রেনের লাইনেই কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রয়ে যায়। এতে, গচিহাটা স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। এতে ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেনের জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন আসার পর উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ইঞ্জিন ও বগিগুলো লাইনে উঠানোর পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত, চলাচল আংশিক ব্যাহত
কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী পিকআপভ্যানে আগুন
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পিকআপভ্যানের চালক মান্নান মিয়া শরীয়তপুরের বাসিন্দা।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ষষ্ঠবারের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন বিএনপি ও সহযোগী দলের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয়নগরে বাসে আগুন
বিক্ষোভ চলাকালে দুর্বৃত্তরা ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্যবাহী পিকআপভ্যানের চালককে নামিয়ে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আগুন নেভালেও, পিকআপভ্যানের অনেকাংশ পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি ট্রাক ফেরত যায়।
সাময়িক যান চলাচল বন্ধ থাকলেও, পরে পুলিশের সহযোগিতায় স্বাভাবিক হয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ভোরে রাস্তা অবরোধ করে পিকআপভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সেখানে গিয়ে আগুন নেভান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তপূর্বক অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন
সিলেটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন