������������������������
শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির লাথির আঘাতে আহত এক গারো কৃষকের মৃত্যু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত বিজয় সাংমা (৫২) নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের স্টীপেন মারাকের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এসময় নিহত কৃষক বিজয় সাংমার বাড়িতে হাজির হয়ে নালিতাবাড়ীর ইউএনও খ্রস্টফার হিমেল রিছিল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। এসময় গারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার কৃষকেরা ফসল রক্ষা করতে রাত জেগে ধানখেত পাহারা দিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গভীর রাতে বন্যহাতির দলটি পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক বিজয় সাংমার আবাদকৃত বোরো ধানখেতে হানা দেয়।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
এসময় বিজয় সাংমা ফসল রক্ষা করতে হাতির দলটিকে তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে বন্যহাতির দলটি উন্মত্ত হয়ে বিজয় সাংমার ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। এসময় হাতির দলের একটি হাতি বিজয় সাংমার বুকে ও পেটে পা দিয়ে লাথি মারে এবং তলপেটে চাপা দেয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক সংলগ্ন কালাপানি এলাকার সীমান্ত সড়কের পাশে নিজ আবাদি বোরো ধানখেত পাহারা দেওয়ার সময় বিজয় সাংমা বন্যহাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হন।
ওসি আরও বলেন, স্বজনেরা হাতির দলটিকে তাড়িয়ে দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বিজয় সাংমাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা বিজয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক বিজয় সাংমার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
শেরপুর জেলা কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
হাজতি মো. আল আমিন (২৫) নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. শরাফত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
তিনি মারধর ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় প্রায় দুই মাস ২০ দিন ধরে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার আবদুস সেলিম হাজতি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল ও জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হাজতি আল আমিন জেলা কারাগারে আটক ছিল। তার হাজতি নং ৪৫৪/২৩।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে কারাগারের ভেতরে আল আমিন হাটাহাটি করার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষীরা তাকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে হাজতি আল আমিন হাসপাতালের বিছানায় মারা যায়।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেলের উপস্থিতিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাজতি আল আমিনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের সদস্যদের নিকট তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ওই যুবকের সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক টিউবওয়েল মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের মধুরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খলিল মিয়া (২৭) জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের মো.গেন্দু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিউবওয়েলমিস্ত্রী খলিল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের মধুরদিয়া গ্রামের নজরুলের বাড়িতে সাবমারসিবল পাম্পে কাজ করছিলেন। তিনি বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ না করেই কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
চাঁদপুরে বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কিশোরের মৃত্যু
সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
শেরপুর শ্রীবরদী সীশান্তে বন্যহাতির কবল থেকে খেতের ধান রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে এক কৃষক নিহত ও এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে উপজেলার জুলগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আব্দুল করিম (৩৫) ওই এলাকার রবিজল মিয়ার ছেলে।
আহত খবির উদ্দিনকে শ্রীবরদী উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে নিহত আব্দুল করিমের লাশ তার বাড়িতে রাখা হয়েছে এবং থানায় নিয়মিত অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ বন্দুকযুদ্ধে নিহত
পুলিশ, বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুরের সীমান্তবর্তী জনপদের ফসলি জমিতে খাবারের সন্ধানে পাহাড় থেকে বেশ কিছুদিন ধরে বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে।
শুক্রবার ভোরেও তেমনি একটি বন্যহাতির দল শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি বনবীটের আওতাধীন জুলগাঁও এলাকায় ধানখেতে হানা দেয়। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা খেতের ধান রক্ষায় হাতি তাড়াতে গেলে দলের একটি বন্যহাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই কৃষক আব্দুল করিম নিহত হয়। সেইসঙ্গে খবির নামে আরও এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছে। পরে হাতির দল পাহাড়ের দিকে চলে গেলে স্থানীয়রা নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় খবির মিয়াকে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
ময়মনসিংহে ধারের ১০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া এলাকায় পাওনা একশ’ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে জীবন দিতে হলো আরেক বন্ধুকে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে আকুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম নাহিদ (২৫)। সে ওই এলাকার দুস মোহাম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নগরীর আকুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার হৃদয় ও নিহত নাহিদ একে অপরের বন্ধু। তারা এক সঙ্গে চলাফেরা করতেন। সম্প্রতি হৃদয়ের কাছ থেকে একশ’ টাকা ধার নেয় নাহিদ।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল প্রতিযোগিতায় কলেজছাত্র নিহত
তিনি আরও জানান যে সময় মতো ধারের টাকা পরিশোধ নিয়ে ঘটনার দিন দুই জনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হৃদয় কাচের টুকরা দিয়ে নাহিদের পেটে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় সে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যাওয়াই কাল হলো মাদরাসা ছাত্রের
জামালপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
জামালপুরের মেলান্দহে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার সকালে উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ সড়কের বেতমারী নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার বিয়ারা পলাশতলা গ্রামের করিম উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম (৪৫), একই উপজেলার ফতেপুর গ্রামের হানিফ উদ্দিনের পুত্র ও পিকআপের চালক কাজল (৩২) এবং কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার নারকেলবাড়ি গ্রামের চঞ্চল বর্মন (২৭)। নিহতরা গ্রামীণ টাওয়ারের শ্রমিক বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে ৯০ বছরের বৃদ্ধা নিহত, আহত ২
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে জামালপুর থেকে আসা একটি ট্রাক দুর্ঘটনাস্থলে একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশগুলো মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, নিহত তিনজনই পিকআপে করে দেওয়ানগঞ্জ থেকে জামালপুরে আসছিলেন।
লাশগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে যায় এবং পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
নেত্রকোণায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‘পাচারকারী’ নিহত
নেত্রকোণার দুর্গাপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক সন্দেহভাজন চোরাকারবারী নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন। এসময় এক বিজিবি সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বারমারি লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিনুল ইসলাম (২৮) দুর্গাপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
আহতরা হচ্ছেন-বিজিবির হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিন ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের জায়দুল (৪০)।
নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নিহত
তিনি জানান, ‘শুক্রবার রাতে সীমান্তের লক্ষ্মীপুর এলাকায় মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বারমারি বিওপি থেকে হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় ভারতের অভ্যন্তরে সুপারি পাচারকারীদের দেখতে পেয়ে টহলদলের সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করে। তখন পাচারকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালালে হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিন আহত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন বিজিবি সদস্যরা পাল্টা দুইটি গুলি চালালে পাচারকারি আমিনুল নিহত হন এবং জায়দুল আহত হন।’
দুর্গাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ব্যাপারে থানায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোণার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় থানায় চোরাচালান নিয়ে একটি এবং বিজিবি সদস্য আহতসহ হতাহতদের নিয়ে আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহরে চলমান বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮
নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ১৫ বছর আগে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তার মো. রতন (৩৮) নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুস সাহেদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৪ জেলায় হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার দুপরে র্যাব-১৪ এর মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া এই আসামিকে শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, সোহাগপুর গ্রামে ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তোয়াজ্জেম নামের এক কৃষক। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত তোয়াজ্জেমের ছেলে আরিফ হাসান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের গৌরীপুরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বুধবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের চরপাড়া মাদরাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেলতলী দক্ষিণপাড়া এলাকার রশিদের ছেলে সিএনজিচালক হুমায়ুন কবির (২০), বেলতলী মধ্যপাড়া গ্রামের আ. সাত্তারের ছেলে রুবেল মিয়া (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামগঞ্জ মধ্যবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার খবর পেয়ে সিএনজিচালক হুমায়ুন, রুবেল এবং আহত সাইদুল, কালাচাঁন, শামছু এই পাঁচজন সিএনজি যোগে শ্যামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১১
পথে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের সিধলা ইউনিয়নের চরপাড়া মাদরাসা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই হুমায়ুন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ময়মনসিংহে শিশু ও তরুণীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মাদরাসা পড়ুয়া এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা এবং নগরীর রেস্ট হাউজে এক তরুণীর গলা কেটে হত্যা মামলায় এক কিশোরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার ডিবি পুলিশের একটি দল সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া ও কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ মুন্সিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের ইস্রারাফিল আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২০) ও নাম প্রকাশ না করা এক কিশোর। গলা কেটে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার রাকিবুল ইসলাম (২৩)।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুঞা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে অস্ত্র বিক্রি করতে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার ২
পুলিশ সুপার জানায়, গত ১৮ মার্চ ধোবাউড়ার কলসিন্দুর গ্রামের মাদরাসা পড়ুয়া এক শিশুকে (১১) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নেতাই নদীর তীরে একটি কলা বাগানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে একটি চক্র। ধর্ষণ শেষে গলায় উড়না পেঁচিয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা ধোবাউড়া থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে একইদিনে নগরীর একটি রেস্ট হাউজ থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলামকে (২৩) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গেপ্তার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানায়, অভিযুক্ত রাকিবুল তাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য মিরপুর থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাত তরুণীকে ভাড়া করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসে। পরে ময়মনসিংহের ছোট বাজার এলাকায় নিরালা রেস্ট হাউজ নামে একটি আবাসিক হোটেলে উঠে। হোটেলে উঠার পর ওই তরুণীকে পাঁচ হাজার টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা দিতে চাইলে তাদের মধ্যে বিরোধ বাধে।
এক পর্যায়ে রাকিবুল হোটেলে নিচে নেমে এসে একশ’ টাকায় একটি ছুরি ক্রয় করে। হোটেলে ফিরে তরুণীকে জবাই করে হত্যা করে রুমে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাকিবুলকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩