������������������������
লকডাউন লঙ্ঘন: নেত্রকোনায় ১১৪টি মামলা, জরিমানা আদায়
নেত্রকোণায় লকডাউন লঙ্ঘনের দায়ে ১১৪টি মামলা ও ৮১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই মামলাগুলো দায়ের ও জরিমানা আদায় করা হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলেও প্রথম দিন নেত্রকোণায় সকাল থেকে ঢিলেঢালা ভাব চলছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলা শহরে জন-সাধারণের ভিড় ছিল লক্ষনীয়। প্রতিদিনের মতোই হাট-বাজারগুলোতে ছিলো না কোন সামাজিক দূরত্ব। বাজার করতে আসা লোকজনের মধ্যে ছিল না কোন সচেতনতা। খুব অল্প সংখ্যক মানুষের মুখে ছিল মাস্ক। জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে লকডাউন উপেক্ষা করেই স্বল্পসংখ্যক অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, ব্যাক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনেই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু
বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। লকডাউন সফল করতে প্রশাসন ও আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি, বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া, সেনাবাহিনীর মেজর লেলিন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম খানসহ প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় লকডাউন পালনে কিছুটা উন্নতি হতে থাকে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজি মোঃ আবদুর রহমানের নির্দেশে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত লকডাউন লঙ্ঘনের দায়ে ১১৪টি মামলা দায়ের করে ৮১ হাজার ৮ শ ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ৯০ কোটি টাকা দেবে সুইজারল্যান্ড
এদিকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও রেড ক্রিসেন্ট থেকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এবং এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে মানুষকে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
ভোগাই নদীর পাহাড়ী ঢলে যুবক নিখোঁজ
শেরপুরে ভারত থেকে নেমে আসা ভোগাই নদীতে পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসা গাছের গুড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন এক যুবক। জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাকুমা গ্রামে রবিবার সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যুবক বুরহান উদ্দিন (২১) ওই গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) তার সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে বোরহানের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় রামচন্দ্রকুড়া মন্ডালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, রবিবার ভোরে পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে পাহাড়ি ঢল নামে। ঢলের সাথে ভেসে আসে পাহাড়ি গাছের গুড়ি ও লাকড়ি। সকাল থেকে ভোগাই নদীর তীর সংলগ্ন কালাকুমা ও পানিহাতাসহ বিভিন্ন স্থানে ঢলের সাথে ভেসে আসা গাছ এবং লাকড়ি ধরছিলেন স্থানীয়রা। বোরহানও সকালে ঢলের পানিতে ভেসে আসা একটি গাছ ধরতে নদীতে নামে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে বোরহান মারা গেছে।
আরও পড়ুন: সন্ধান মেলেনি পদ্মায় নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলীর
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
শেরপুরে নিজ বাসায় বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শহরের পূর্বশেরী মহল্লায় শুক্রবার রাত ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লুৎফর রহমান মানিক (৪৮) সদর উপজেলার জঙ্গলদী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ফ্রিল্যান্সার মানিক প্রায় ৮ বছর আগে শেরপুর শহরের পূর্বশেরী মহল্লার জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসার ইলেকট্রিক মেইন সুইচ বন্ধ করে রান্নাঘরে বিদ্যুতের কাজ করতে যান। কিন্তু অজান্তেই পরিবারের কোনও এক সদস্য মেইন সুইচের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলে মানিক বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লকডাউন: শেরপুরের সাথে ৭ জেলার বাস চলচল বন্ধ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি জেলায় লকডাউনের কারণে ওইসব জেলার সাথে শেরপুরে বাস চলাচলা এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার মধ্যরাতে শহরে এ সংক্রান্ত মাইকিং করা হয়।
এদিকে, লকডাউনের কারণে হঠাৎ করে শেরপুর থেকে সোমবার রাতের নাইট কোচ বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
সোমবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরোপ করা হয়েছে। এই সাত জেলায় সব কিছু বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র মালবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোন কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লক রেইড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, অত্যাধিক কোভিড আক্রান্ত কয়েকটি জেলা হতে শেরপুরে চলাচলকারী বাস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। রাতেই শহরে মাইকিং করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কিছু নির্দেশনাসহ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় তৃতীয় দফায় লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ল
শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থত্যাগ বা ত্যাগ স্বীকার একান্তভাবে কাম্য। হার্ড ইমিউনিটির মূল্য অনেক প্রাণের বিনিময়ে দেয়া লাগতে পারে। কাজেই রিজনাল লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়ানো, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, এটাই এই মুহূর্তে বেস্ট সলুউশন।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন থেকে শেরপুর পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। গত মে মাসে জেলায় করোনার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন। অথচ জুন মাসের শুরু থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তিন সপ্তাহেই জেলায় ৩৭৩ জনের দেহে করোনা ভাইরানের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন পার করছে সাতক্ষীরা
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ জানান, শেরপুর এখন` ইয়োলো জোন’ থেকে করোনা সংক্রমণের `অরেঞ্জ জোনে’ রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটা ‘রেড জোনে’ পরিণত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো শেরপুরে ১৬৭ গৃহহীন পরিবার
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে শেরপুরে এবার জমিসহ ঘর পাচ্ছেন ১৬৭ ভুহিহীন-গৃহহীন পরিবার।
আগামী রবিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ২ শতক জমিসহ ঘর, কবুলিয়ত, দলিল, নামজারি ও গৃহসনদ হস্তান্তর করা হবে। এ উপলক্ষ্যে পুরো ঝিনাইগাতীজুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ‘ক’ শ্রেণির (জমি নাই, ঘর নাই) ৫২ হাজার ৯৪৫টি ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে শেরপুর জেলায় ঘর পাচ্ছেন ১৬৭ ভূমিহীন-গৃহহীন। এর মধ্যে সদরে ৩০টি, নালিতাবাড়ীতে ৫০, নকলায় ৪২, শ্রীবরদীতে ২০ ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২৫ ঘর রয়েছে।
হাফবিল্ডিং টিনশেড নির্মিত এসব ঘর প্রতিটি নির্মাণে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জেলায় মোট ব্যয় হয়েছে। প্রতিটি ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, টয়লেট ও পানি সরবরহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম পর্যায়ে জেলায় ৫ কোটি ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৯১টি পরিবারের মাঝেও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে খুলনায় ঘর পাচ্ছেন আরও ১৩৫১ গৃহহীন
গৃহহীনদের একজন নিশা রানী হাজং বলেন, ‘বাপুরে, মেলা কষ্ট করে ঝুঁপড়ি টুপুড়ি বাইন্ধা পাহাড়ের ঢালুতে থাকতাম। হাতির ডড়ে (ভয়ে) ঘুমাইতে পারতাম না। মেলা জায়গায় ঘুরছি। কেউ থাহার জাগা (জায়গা) দেয় নাই। প্রধানমন্ত্রী ঘরও দিতাছে, জাগাও দিলো।’
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর বিরল দৃষ্টান্ত
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের একজন মানুষকেও গৃহহীন রাখবেন না। এজন্য তিনি ভূমিহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
তিনি জানান, সরকারের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং কোনও মানুষ যেন বাসগৃহ ছাড়া না থাকেন। প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবা, গৃহকর্মীসহ প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন বাছাই করে তাদেরকেই জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে।
শেরপুরে পৌঁছেছে চীনের সিনোফার্ম ভ্যাক্সিনের ১২ হাজার ডোজ
কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য শেরপুরে চীনের তৈরি ‘সিনোফার্ম ভ্যাকসিন’ এসে পৌঁছেছে।
শুক্রবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জেলা ভ্যাক্সিন কমিটির সদস্যরা ‘সিনোফার্ম ভ্যাকসিন’-এর ১২ হাজার ডোজ টিকার চালান গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ করলে ‘বঙ্গভ্যাক্সের’ ট্রায়ালের অনুমতি: বিএমআরসি
একটি বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে শেরপুরে আসা এই ১২ হাজার টিকা ২০টি ভায়েলের প্রতিটিতে ৬০০ করে ডোজ রয়েছে। এসব টিকায় ৬ হাজার জনকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম, আনওয়ারুর রউফ জানান, আগামীকাল ১৯ জুন শনিবার থেকেই চীনের তৈরি ‘সাইনোফার্ম ভ্যাকসিন’ প্রদান করা হবে। কেবলমাত্র শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কোভিড-১৯ টিকা দান কেন্দ্র থেকে এ টিকা দেয়া হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে।
ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. আবুল বাশার মিয়া, জেলা ড্রাগ তত্তাবধায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাজু আকন্দ, এমওসিএস ডা. আকরাম হোসেন, জেলা ইপিআই সুপারভাইজার, কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান ও সহকারি স্টোরকিপার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে শিগগরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড এস্ট্রজেনিকার কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন শেরপুর জেলায় পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৩ হাজার ৬৬০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৩১ জন। ভ্যাক্সিন সংকটের কারণে গত ৫ মে থেকে জেলায় করোনা টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিনোফার্ম-ফাইজারের টিকা কার্যক্রম ১৯ জুন থেকে শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরকীয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করায় যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন!
শেরপুরে সদর উপজেলায় পরকীয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করায় এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে।
উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চক আন্ধারিয়া এলাকায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম (২৮) উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কলাপাড়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে ও পেশায় ট্রলিচালক।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সদরের চক আন্ধারিয়া এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পাশের গ্রামের সাইফুল ইসলামের দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া চলে আসছিল। পরকীয়ার সূত্রে সাইফুল ওই গৃহবধূর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি সাইফুল পরকীয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করায় ওই গৃহবধূ বিক্ষুদ্ধ হন। সোমবার রাতে ওই গৃহবধু সাইফুলকে খবর দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান এবং শারিরীক মেলামেশার ছলে তার (সাইফুলের) পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
আরও পড়ুন: অন্যত্র বিয়ে করায় প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কর্তন
এসময় সাইফুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তবে আহত সাইফুলের পরিবারের দাবি, পূর্ব শক্রতার জের ধরে সাইফুলকে স্থানীয় বাজার থেকে ডেকে পাশের মাঠে নিয়ে কয়েকজন যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ জানান, ঘটনা শোনার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেরপুরে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর
‘নিজের নামে জমি, নিজের ঘর। এ আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না। আমরা আর ভিক্ষা করতে চাই না। কর্ম করে বাঁচতে চাই। ঘরতো হলো, মাথাগুজার ঠাঁই হলো। এখন আমরা যাতে আয়-উপার্জন করতে পারি, নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারি, সেই সুযোগ চাই।’ জমি সহ ঘর পেয়ে খুশিতে কথাগুলো বললেন তানিয়া হিজড়া।
শেরপুরে ৭ জুন সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজার আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর ওপর ওপর নির্মিত তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৪০ জনের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব প্রধান অতিথি হিসেবে এসব ঘর হস্তান্তর করেন। এসব হিজড়াদের জন্য ঘরের আসবাবপত্র, রান্নাবান্নার থালা-বাসন, খাদ্যসমাগ্রী সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করা হয়।
এছাড়া আবাসন প্রকল্পে সবজি আবাদের জন্য সবজি বীজ, পুকুরে মৎস্য অবমুক্ত করণ করা হয় এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়।
ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদাবাজি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন এখন শেরপুরে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মানুষের। কম্পিউটার, শেলাই, পার্লারের কাজসহ নানা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করতে চান তারা।
মূল জনশক্তিতে এগিয়ে আসার জন্য তাদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ‘স্বপ্নের ঠিাকানা’ আবাসন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পে ৪০ জনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন ঘরের চাবি। সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজাধীন আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছে এই স্বপ্নের ঠিকানা।
শেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, দুই একর জায়গায় ৬৯ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারি হিজড়াদের আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য থাকছে প্রায় ৪০ শতক জমির ওপর একটি পুকুর, শাক-সবজি, ফসল আবাদের জন্য রাখা হয়েছে খোলা জায়গা, আত্মকর্ম প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হয়েছে একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ। গুচ্ছগ্রামের সাথেই রয়েছে ৮ একরের বড় একটি সরকারি খাস বিল। সেই বিলটিও খনন করে মৎস্য চাষের জন্য হিজড়াদের দেয়ার প্রক্রিয়া চলেছে। গুচ্ছগ্রামে নির্মিত প্রতিটি ঘরের সাথেই রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা।
শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একইসাথে তারা হিজড়াদের বিষয়গুলো জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্য জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে যুবলীগের ঈদ উপহার
এসময় তিনি বলেন, গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বাসস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এখন আমাদের কর্মসংস্থানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভিক্ষাবৃত্তি চাই না, চাঁদাবাজি করে জীবন চালাতে চাই না। আমরা মানুষের মতো বাঁচতে চাই। কর্ম করে খেতে চাই।
দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫নং ঝিনাইগাতি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বরখাস্তের বিষয়টি জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম: আ’লীগ নেতা আটক
তিনি জানান, এ সংক্রান্ত ১ জুন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জাল হোসেন চাঁনের দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয়। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে কেন চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না-সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে শোকজ করা হবে। তার জবাব সন্তোষজনক না হলে তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫নং ঝিনাইগাতী সদরইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব অর্থ বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁনকে তাঁর স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। ঊর্ধ্বতন একটি মহলের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মতবিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
এক ট্রাক মাধ্যমিকের বইসহ শেরপুরে আটক ২
শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে কালোবাজারে পাচারকালে মাধ্যমিক পর্যায়ের এক ট্রাক সরকারি পাঠ্যবইসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ঝিনাইগাতী বাজার থেকে ট্রাকসহ তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন- ঝিনাইগাতী বাজারের ব্যবসায়ী অমিত্র মোদক (৪৫) ও মো. সেলিম মিয়া (৩৮)।
আরও পড়ুন: গাঁজা উদ্ধার: সিরাজগঞ্জে নারীসহ আটক ৩
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফায়েজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইগাতী বাজার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের এক ট্রাক সরকারি পাঠ্যবইসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দকৃত বইয়ের পরিমাণ ৩ হাজার ৭০০ কেজি এবং বইয়ের সিজার লিস্ট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে জালনোটসহ আটক ৪
ওসি জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর তেজগাঁওয়ে র্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১