������������������-���������
বঙ্গবন্ধুকে যারা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল ইতিহাস তাদের ভুলে গেছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৪৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ইতিহাস থেকে তাকে মুছে দিতে চেয়েছিল ইতিহাস তাদের ভুলে গেছে।
শনিবার কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে আইডিইবি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা দর্শন বাস্তবায়ন’ বিষয়ক একটি সেমিনারে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় এই মন্তব্য করেন। সেমিনারের পর অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
‘যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারা একই ট্র্যাজেডির সাক্ষী ছিল’ এই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, হত্যা হত্যাকাণ্ড আনে এবং হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না। তিনি বলেন, ইতিহাস কখনো কোন স্বৈরশাসকের কাছে মাথা নত করে না।
করোনাভাইরাসের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই ধরনের সংকটে সকল রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি থাকা উচিত, যা জনগণকে বাঁচানো এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাতি এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশিক্ষিত জনশক্তির যে চাহিদা তৈরি হবে বাংলাদেশ যেনো তার সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারে-এ ব্যাপারে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে মিথ্যা রটানো বন্ধ করুন: বিএনপিকে কাদের
সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কাদের বলেন, বিএনপি এর আগে টিকা নিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিল। করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। বিএনপির অভ্যেস হয়ে গেছে সবকিছুতে ষড়যন্ত্র দেখা।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী একেএম হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান এবং অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সমালোচনাকারী বিএনপি নেতারা এখন টিকা নিয়েই স্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
সমালোচনাকারী বিএনপি নেতারা এখন টিকা নিয়েই স্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনার টিকার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন বিএনপি নেতারা। এখন তারাই সেই টিকা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে প্রমাণ করলেন যে তারা মিথ্যা সমালোচনা করেন এবং গাধা জল ঘোলা করেই খায়।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা এমনও বলেছিলেন, টিকা নিলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে, তারাই পরে গোপনে এবং কেউ কেউ প্রকাশ্যেই টিকা নিয়েছেন। ডা. জাফরুল্লাহ সাহেবও অনেক সমালোচনা করে শেষে বললেন, টিকা নিয়ে খুব আরাম পাচ্ছেন। মির্জা ফখরুল সাহেব নিয়েছেন, ক'দিন আগে দেখলাম, রিজভী সাহেবও চুপি চুপি টিকা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে তথ্যমন্ত্রী: ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের আলোচনা
মন্ত্রী বলেন, মহামারির মধ্যে জনগণের পাশে না থেকে সরকারের অযথা সমালোচনায় ব্যস্ত বিএনপি নেতাদের স্বরূপ হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করতে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। জিয়া বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করলে তারাও ফুটবলের দলবদলের মতো তার বিএনপিতে যোগ দেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলানোর পর 'রাজনীতির কাকেরা' গিয়ে এ বিএনপি গঠন করেছে।
খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেরামত দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য হাবিব হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে উপস্থিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তারা।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া শুরু: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতরা এখনও সক্রিয়: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সাথে জড়িত শত্রুরা এখনও সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্লট যারা রচনা করেছিল, তারা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এদেশ থেকে এখনও বিনাশ হয়ে যায়নি। কখনো ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে কখনো তারা স্বাধীন ফোরাম করে এদেশে থাকে। পঁচাত্তরের শত্রু যারা, তারা একাত্তরের শত্রু, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী এবং তারাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারাই শেখ কামালকে হত্যা করেছে। আমরা সে মানুষগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন বিধায় এতো প্রতিকূলতার ভেতরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে এ জাতীয় হত্যাকাণ্ডের বা ঘটনার বিচার কোনদিন হবে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের 'গো অ্যাহেড' বলে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের শুধু ষড়যন্ত্রকারীই নন, হুকুমদাতা। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে নতুন করে একটি সম্পূরক তদন্ত করে সে রিপোর্ট রেকর্ডে রাখা উচিত। এ বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার যে তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের নাম প্রকাশ করবে।’
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য সম্পদ ছিলেন। তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা না হলে এ দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় তিনি বিশাল অবদান রাখতে পারতেন। শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘১৯৭৫ সালের খুনিদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও স্বজনরা। কারণ তারাই হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। খুনিরা ভেবেছিল তাদের মেরে ফেলতে পারলে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে মেরে ফেলা যাবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীর কোথাও নেই।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি। এছাড়া আরও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সহসভাপতি অরুণা বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক তারিন জাহান, শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এবং তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকা দুটির মুজিববর্ষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সচিব মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ডিএফপি’র মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন।
‘জিয়া নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত’ -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, ফখরুল সাহেবরা প্রতিবছর আগস্ট মাস এলেই এ কথাগুলো বলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় সাক্ষী ও আসামিরা যে জবানবন্দি দিয়েছে সেগুলো রেকর্ডেড। তারা জবানবন্দিতে স্পষ্টভাবে বলেছে কখন, কোথায় জিয়াউর রহমানের সাথে বৈঠক হয়েছে, জিয়াউর রহমান কি বলেছে, কিভাবে সম্মতি দিয়েছে। তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, আমি মির্জা ফখরুলকে এ ধরণের জঘন্য মিথ্যাচার পরিহার করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের ‘প্রসিডিং’টা পড়ার জন্য অনুরোধ জানাবো, প্রয়োজনে বিচারের বৃত্তান্ত জনসম্মুখে নিয়ে আসবো। তাহলে মানুষ জানতে পারবে আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে কি স্বীকার করেছে।
‘জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যুক্ত ছিল এটা কর্নেল ফারুক এবং রশিদ দু’জনই ১৯৭৬ সালে আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের একটি টেলিভিশনে চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্বীকার করেছে’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জিয়া যদি মোশতাকের আস্থাভাজনই না হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানকে কেন সেনাপ্রধান করা হলো? বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচাইতে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রজ্জ্বালিত স্বাধীনতার দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল তা নয়, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় কারো বাড়িতে কোনো মুক্তিযোদ্ধা আশ্রয় বা খাবার পেয়েছে জানতে পারলেই পাকিস্তানি সেনা কিম্বা রাজাকার, আলবদররা সেই বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। আর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধ করে আর তার স্ত্রী এবং পুত্ররা পাকিস্তানিদের কাছে মেহমানের মতো থাকে, এ থেকেই তো গোমরটা বোঝা যায়, আসলে জিয়াউর রহমান কি ছিল! মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জিয়াউর রহমানের কাছে পাকিস্তানি কর্নেল বেগের যে চিঠিতে লেখা ‘তুমি চিন্তা করো না, তোমার স্ত্রী-পুত্ররা ভালো আছে এবং তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট’- এগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই মিথ্যার ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি। মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এখন তাদের দলও ছোট হয়ে আসছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী এসময় নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকার মুজিববর্ষ সংখ্যা প্রকাশের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার জন্য এ প্রকাশনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ববহ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি, জাতি সত্তা সৃষ্টি হওয়ার পর প্রথম বাংলাদেশ নামের এ রাষ্ট্রের রচনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালিদের জন্য পৃথীবিতে এটিই একমাত্র জাতি রাষ্ট্র। তাই বঙ্গবন্ধুকে এবং তার আদর্শকে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন: তথ্যমন্ত্রী
আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
ব্যবসায়ী, রাজনীতিবীদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত ও সমালোচিত সাবেক আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে তার গুলশানের বাসায় চার ঘণ্টা অভিযান পরিচালনার পর তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে তার নাম বাদ দেয়ার ঠিক চারদিন পর এই আটকের ঘটনা ঘটলো।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মইনুদ্দীন আর নেই
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্ত্বে পরিচালাতি এই অভিযান রাত ৮টায় শুরু হয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের মাধ্যমে রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে শেষ হয়।
র্যাবের এই ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘অভিযানের সময় তার (হেলেনা) বাসা থেকে বিদেশী মদ, কয়েকটি অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম এবং বেশ কয়েকটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আমরা আটক করেছি এবং তাকে র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ থেকে কাদের মির্জার পদত্যাগ
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) একজন পরিচালক এবং আইপি টিভি জয়যাত্রার চেয়ারপার্সন হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আ’লীগের উপ-কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয় বলা জানা গেছে।
নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির সংবাদ সম্মেলন
চলমান উত্তেজনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি। রবিবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিল স্বেচ্ছাসেবক লীগ
সম্মেলনে নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন অভিযোগ করেন, নাটোরের রাজনীতি একটি পরিবারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ায় গতি হারিয়ে ফেলেছে। এ কারণে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটি দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও নতুন কমিটি করতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক ক্ষমতা বলে নাটোরের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে গত ২০ জুলাই ২১ সদস্য বিশিষ্ট নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে। চার জন সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় সকল নেতারা নতুন কমিটিকে স্বাগত জানালেও বিলুপ্ত কমিটি নানা অপপ্রচার শুরু করে।
আরও পড়ুন: বিনামূলে ‘অক্সিজেন সেবা’ চালু করল স্বেচ্ছাসেবক লীগ
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বর্দী এলাকায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনার গ্রুপ ও গত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন। এদের মধ্যে গতরাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চেয়ারম্যান গ্রুপের কৃষক শহীদ ফকির (৪৭)।
শহীদ ফকিরের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই রাত থেকে দফা দফায় কাটা খাল ও ফকির পাড়ার অর্ধশত বসবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা ও লুটপাট চালায় নিহত পক্ষের সমর্থকরা।
পড়ুন: ফরিদপুরে করোনা ও উপসর্গে আরও ১০ মৃত্যু
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতিপক্ষের মামলার ভয়ে পুরো এলাকা পুরুষ শূন্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নিহত শহীদ ফকিরের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনো কোনো বাড়িতে পুরুষ সদস্যদের দেখা মেলেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরমেশ্বর্দীএলাকার বাসিন্দা লতিফা বেগম(৩৫) বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে পার্শ্ববর্তী খারদিয়া গ্রামের লোকেরা তাদের বাড়ির গোলা থেকে ধান ও পাট লুট করে নিয়ে যায়। দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমরা নিজেরাই ঘরের তালা খুলে দিতে বাধ্য হই।
পড়ুন: ফরিদপুর মেডিকেলে করোনায় আরও ১৯ প্রাণহানি
ফরিদপুরে আশ্রয়ণের সুবিধা ভোগীদের অন্যরকম ঈদ
তিনি জানান, তাদের আকন গোষ্ঠীর পুরুষ সদস্যরা শুক্রবারের দিনের কাইজায় (মারামারিতে) অংশ না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের নিজ গ্রামের লোকেরাও তাদের এখন হত্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে।
ওই গ্রামের আরেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রুবেল আকনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (২৫) বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাদের বাড়ির গরু, পাট, পেঁয়াজ এমনকি ফ্রিজটাও লুটে নিয়ে গেছে। বাধা দিতে গেলে গলায় রামদা ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছে।’
পাশের বাড়ির প্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বাড়ির তিনটি গোয়ালের ১০টি গরুই নিয়ে গেছে ওরা, বাড়ির মজুত যা ছিল সবই বস্তায় ভরে মাথায় করে লুট করে নিয়ে গেছে। এখন আমাদের ঘরে খাবার কিছুই নেই।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরল আলম বলেন, ‘এলাকায় নতুন করে অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা তৎপর রয়েছি, মারামারির ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ না দিলেও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
ঘটনাস্থল পরিদশনে আসা পুলিশের মধুখালী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
টিকা নিয়ে মিথ্যা রটানো বন্ধ করুন: বিএনপিকে কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির প্রতি করোনা টিকা নিয়ে মিথ্যা রটানো বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি করোনা ভাইরাসরোধে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক ও নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য সরকার কিছু করছে না-বিএনপির এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঈদুল আজহার আগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিচ্ছে। আমরা সবার প্রতি দরিদ্রদের সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, টিকা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তিনি জনগণকে দেয়া তাঁর প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
জনগণকে আশ্বস্ত করে কাদের বলেন, করোনা টিকা ইতিমধ্যে দেশে আসতে শুরু করেছে। প্রয়োজনীয় টিকা সময়মতো আসবে, তিনি বিএনপিকে এটির প্রাপ্তিতা নিয়ে গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করার আহবান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সরকার ঈদের আগে নতুন প্যাকেজ সহায়তা ঘোষণা করেছে। দলের সদস্যদের এই প্যাকেজের অর্থের যেনো অপব্যবহার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। এই সহায়তা অবশ্যই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে হবে। ত্রাণ বিতরণে কোন অনিয়ম সরকার সহ্য করবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার বয়স ১৮ বছর করার চিন্তা করছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কাদের জনগণকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহবান জানান। তিনি বলেন, মানুষ যদি মাস্ক পরিধান করতো, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতো এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে চলতো তবে লকডাউন দেয়ার প্রয়োজন পড়তো না।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু
ফরিদপুরে কর্মহীনদের মাঝে আ’লীগের খাদ্য বিতরণ
মহামারি করোনার দুর্যোগে কর্মহীন ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়ার এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি করোনা প্রাদুর্ভাব কমে না আসা পযন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।
কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবার দুপুরের ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়রসহ কয়েকটি জায়গায় অসহায় মানুষের মাঝে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
তিনি বলেন, অসহায় মানুষের পাশে অতীতে আওয়ামী লীগ যেভাবে কাজ করেছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৭ হাজার ছাড়াল
এই কর্মসূচির বিভিন্ন পর্বে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, শহর আওয়ামী লীগের শামসুলবারী শানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মঞ্জুর আলী, মহিলা আওয়ামী লীগের আইভি মাসুদ, বাবুল চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের ইউসুফ চৌধুরী, ইকবাল হাসান রুবেল, আলমগীর হোসেন বাবু, কাবুল খান, সজিব আহমেদ লিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
চট্টগ্রামে একদিনেই শনাক্ত হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ১০
সিরাজগঞ্জে ২০০ গাঁজার গাছ জব্দ, আ‘লীগ নেতা আটক
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার সলপ রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পাশে ওয়ালটন ফ্রিজের গোডাউনের পেছনে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২০০ গাঁজার গাছ জব্দের দাবি করেছে র্যাব।
আটক মো. আতিক জামান ওরফে ডেভিড সরকার (৪১) উপজেলার ভদ্রকোল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে ও পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন বহনকারী ছেলেকে আটক: সাতক্ষীরায় সেই এএসআই প্রত্যাহার
র্যা ব-১২’র ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. জন রানার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার সলপ রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পাশে ওয়ালটন ফ্রিজের গোডাউনের পেছনে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় ২ থেকে ২.৫ ফুট লম্বা ২০০টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলেকে আটকে রাখলো পুলিশ, অক্সিজেনের অভাবে মারা গেলেন বাবা