������������������-���������
করোনা আক্রান্ত এমপি বাদশাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে রাজশাহী হতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়া সিরাজগঞ্জ ১ আসনের এমপি জয় ফের করোনায় আক্রান্ত
আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে সর্বদা জরুরি সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও বেসামরিক জনগণের সেবার আওতায় এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জরুরি বিমান পরিবহন এবং মেডিকেল ইভাকোয়েশন সেবা পেশাদারিত্বের সাথে অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বিমান বাহিনী জরুরি মেডিকেল ইভাকোয়েশন মিশনের পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: স্বপরিবারে করোনায় আক্রান্ত এমপি নিজাম হাজারী
রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে রাজশাহী হতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আবদুল মতিন খসরুর দাফন সম্পন্ন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী কুমিল্লা-৫ আসনের (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ আছর তার গ্রামের বাড়ি মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে কুমিল্লায় ৩টি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ যোহর তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, সাধারণ সম্পাদক বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, মতিন খসরুর ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আবদুল মুমিন ফেরদৌস, ছেলে আবদুল মুমিন ওয়াছিফ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুছ ছালাম বেগসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন
৪র্থ জানাজার নামাজ বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আবদুল মতিন খসরু বুধবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
মতিন খসরুর বর্ণাঢ্য জীবন
আবদুল মতিন খসরু ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ সালে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী মো. আবদুল মালেক ও মাতা জাহানারা বেগম। তিনি চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কর্মরত আছেন, ছেলে আর্কিটেক্ট পেশায় নিয়োজিত।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি খসরু, সম্পাদক কাজল নির্বাচিত
আবদুল মতিন খসরু মাধবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও স্নাতক করেন। কুমিল্লা ল‘ কলেজ থেকে এল এল বি সম্পন্ন করেন। ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজকোর্টে যোগ দান করেন। ১৯৮২ সালের ১৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কুমিল্লা-৫ আসন (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) থেকে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। পরে ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুমিল্লা-৫ আসন (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মোট পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলে। শুধু রাজনীতিতে নয়, আইন এবং সামাজিক অঙ্গনেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন।
বুধবার বিকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২।
মতিন খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) সভাপতি বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন।
বুধবার বিকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২।
মতিন খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) সভাপতি বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খসরুকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
এর আগে করোনায় পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর ১৬ মার্চ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বীর মুক্তিরযোদ্ধা আবদুল মতিন খসরু স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি খসরু, সম্পাদক কাজল নির্বাচিত
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন কুমিল্লা-৫ (ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং) আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি এ বছর ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি’র (এসসিবিএ) নির্বাচিত হন।
‘একটি অপূরণীয় ক্ষতি’: প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে অনেকেই শোক জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ মন্ত্রিপরিষদের অওনেক সদস্যরা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ও জনমানুষের নেতা হিসেবে মতিন খসরু চিরদিন মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উত্তরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একজন জননেতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিককে হারালাম যিনি জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলায় আইনজ্ঞ হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত আব্দুল মতিন খসরু আইসিইউতে
এক শোক বার্তায় ড. মোমেন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু আমার ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পাঁচবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্যের অবদান এদেশের জনগণ চিরকাল অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। তার মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে হারাল।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আবদুল মতিন খসরু আইন অঙ্গনের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র।’
‘তিনি যেমন একজন আদর্শ আইনজীবী ছিলেন তেমনি আইনজীবীদের জন্য একজন অনুকরণীয় ও প্রেরণাদায়ী আদর্শ নেতায় পরিণত হয়েছেন। তার মৃত্যু শুধু আইন অঙ্গনেই নয়, পুরো দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার কর্ম ও নেতৃত্বগুণেই তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে চির সমুজ্জ্বল হয়ে বেঁচে থাকবেন,’ শোকবার্তায় বলেন তাপস।
মামুনুলকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট: আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর
কুষ্টিয়ায় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে।
সোমবার সদর উপজেলার জিয়ারখি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক লাইভ: কুষ্টিয়ার সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মাঝে আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। প্রতিপক্ষ আহসান সরদারের কয়েকজন ওই পোস্টে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে কমেন্ট করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে নরেন্দ্র মোদির সন্তান বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে দু পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে সহিংসতা: মামুনুলসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্থানীয়রা আরও জানান, আহতদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত আরও ৪ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, আহসান সরদারের লোকজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
অপর দিকে আহসান সরদারের দাবি তাদের লোকদের হেফাজত আখ্যা দিয়ে আজিজুল হকের লোকজন ও তার লোকদের বাড়ি ঘরে হামলা করে। এতে তার পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
করোনা রোগী বহনে ফরিদপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে করোনা রোগী বহনে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্বোধন করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ রবীন, এমরান হোসেন রিমন, গোলাম মোস্তফা খোকন, এটিএম জামিল তুহিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড চুরমার, শনাক্ত কমেছে
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ জানান, করোনা রোগী সহজ ও নিরাপদ বহনে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘণ্টা জেলার ৯টি উপজেলায় বিনামূল্যে সার্ভিস দেবে।
তিনি আরও জানান, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স নিতে হলে শওকত আলী জাহিদ (০১৭১২০৮০৭৬৬), ফয়সাল আহমেদ রবীন (০১৭৩৩৯৫৫৫৫০), গোলাম মোস্তফা খোকন (০১৭১২৬৬৮২৩৪), এটিএম জামিল তুহিন (০১৭১৬৭৮৭৯৭৯), মৃধা তারেকুল ইসলাম তারেক (০১৭১৮৩৭৮৯৫০), রফিকুল আজম খান রুবেল (০১৭৩০৯৭২৩০২) এবং সাগর রায়ের (০১৭২২৩৩২১১৮) নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ১৬৯ জন। আক্রান্তের দিক থেকে সর্বাধিক রোগীর সংখ্যা ফরিদপুর সদর উপজেলায়। সদরে আক্রান্ত রয়েছেন ৫ হাজার ৫৫১ জন।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর হচ্ছে করোনা: পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৯ হাজার ১৬৯ জন রোগীর বিপরীতে সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৫২৭ জন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ১৩১ জনের। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬৪২ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ১৩১ জনের। আক্রান্তের হার শতকরা ২১.০৬ এবং মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হেফাজতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ ছাত্রলীগের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬, ২৭, ২৮ মার্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হেফাজত মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি থানা ও বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি জানান, হেফাজত নেতারা এখন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। গত ৫ এপ্রিল হেফাজত নেতারা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনায় হেফাজতের কেউ জড়িত নন। তাদের এই ধরণের বক্তব্যকে নিছক মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি বলেই ছাত্রলীগ মনে করেন।
এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে জামিয়া ইউনুছিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় হামলা ও মানুষ হত্যার অভিযোগকে মিথ্যা ও তথ্যসন্ত্রাস বলে উল্লেখ করেন। সেই সাথে পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাসবাদে উস্কানিদাতাদের তালিকা তৈরি করুন: কাদের
সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে উস্কানিদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বুধবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
তিনি বলেন, 'আক্রমণ করলে তাদের কীভাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানে।
কাদের বলেন, একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হেফাজত ইসলাম বিদ্যমান স্বস্তি ও শান্তি বিনষ্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা সহনশীলতার সকল মাত্রা অতিক্রম করেছে।
জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিশ্চিত করে ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা দেশব্যাপী সহিংসতা চালিয়েছে বা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছে বলেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিপরীতে আওয়ামী লীগ এখনও দায়িত্বশীল আচরণ করছে।
আওয়ামী লীগ নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। তারা ধর্ম পালন করে কিন্তু কোনো ধর্মান্ধতার সমর্থন করে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে।'
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অবমাননা জাতি আর সহ্য করবে না।'
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভাস্কর্যগুলোতে যারা হামলা করেছেন তাদের এই নৈরাজ্যের জবাব দেবে আওয়ামী লীগ কর্মীরা,’ বলেন কাদের।
আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে বলে ওবায়দুল কাদের সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
দুই-একদিনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু করার তথ্যটি সত্য নয় জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।
চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘হেফাজত ইসলামের’ হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহত মো. মুহিবুল্লাহ (৫৪) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
শিলক তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শনিবার হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধের প্রতিবাদে ওই রাতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি- জামায়াত ও হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এ মিছিল থেকে হামলা চালালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতা আহত হয়। তাদের মধ্যে মুহিবুল্লাহ রাতে মারা যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ: ২৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২১
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কি বলেন, হামলার ঘটনায় পুলিশ ও কোদালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল জব্বার বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। মামলা দুটিতে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও হেফাজত সমর্থক ৬৪ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলাতেই উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুছ মনিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
টিকা নেয়া সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি জয় ফের করোনায় আক্রান্ত
টিকা নেয়ার পরও দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের (কাজিপুর ও সদরের একাংশ) এমপি তানভীর শাকিল জয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত
কক্সবাজারে তিন সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত
এ তথ্য নিশ্চিত করে এমপি তানভীর শাকিলের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মিন্টু জানান, কাজিপুরের তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন স্থানের দু’দিন প্রোগ্রাম শেষে এমপি তানভীর শাকিল জয় শনিবার রাতে ঢাকায় ফিরে পরদিন রবিবার সকালে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য নমুনা দেন। ওইদিন সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
মিন্টু জানান, তানভীর শাকিল জয় ইতোপূর্বে মা-বাবাসহ একবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মায়ের সাথে তিনি সেবার সুস্থ হলে বাবা মোহাম্মদ নাসিম মারা যান। প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
আ’লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হক মারা গেছেন
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক রবিবার মারা গেছেন।
বেলা ১২টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য।
সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।