������������������-���������
পাবনায় আ’লীগের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত শেখ (৩৫) উপজেলার ঘুঘুদহ পূর্বপাড়া গ্রামের মানিক শেখের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শরবেশ শেখের নাতী।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা নিয়ে সংঘর্ষে কুমিল্লায় নিহত ২
স্থানীয়রা জানায়, গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় শরবেশ শেখ ও মোসলেম মাস্টার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার ৯ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শরবেশ শেখ সভাপতি নির্বাচিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হন মোসলেম মাস্টার ও তার সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ছাত্রলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
বৃহস্পতিবার সকালে নবনির্বাচিত সভাপতি শরবেশ শেখ গ্রুপের লোকজন ঘুঘুদহ পূর্বপাড়া মাঠে কাজ করতে গেলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় মোসলেম মাস্টার গ্রুপের লোকজনের। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শেখ ফালাবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত পাঁচ জনকে হাসাপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষ: বাদলকে কারাগারে প্রেরণ
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ফালাবিদ্ধ হয়ে একজন মারা যান। ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সাথে মোসলেম মাস্টারসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরকে আটকের অভিযান চলছে।
হেফাজতকে উসকে দিচ্ছে বিএনপি: হানিফ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বুধবার বলেছেন, মার্চ মাসের শুরু থেকেই মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বক্তব্যের মাধ্যমে হেফাজতকে উসকে দিচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান দেখে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘গতকালও মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের পতন হয়ে যাবে। তারা যে সরকারের পতন হয়ে যাবে আশা প্রকাশ করছেন, কোন আশায়-কিসের উপর ভিত্তি করে? বিএনপির নিজেদের এমন কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই, যার উপর ভিত্তি করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে, তাহলে তারা কেন ভাবছে সরকারের পতন হবে? নিজেদের সক্ষমতা নেই, তারা এখন ধর্ম ব্যবসায়ী হেফাজত ও জামাতিদের মাথায় ভর করছে। তারা ভর করছে বলেই এ ধরনের কথা বলছে।’
হানিফ আরও বলেন, গান পাউডার হেফাজতিদের কাছে থাকার কথা না, সাধারণ মানুষের কাছে থাকার কথা না। এই গান পাউডার ১৯৭১ সালে রাজাকার-আলবদর ও জামাতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার করতে দেখেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতায় গান পাউডারের ব্যবহার দেখে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত-বিএনপি। পরিকল্পিতভাবে বিএনপি, হেফাজত ও জামায়াত মিলিতভাবে এই নাশকতা করেছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা এখন দৃশ্যমান হয়েছে। দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, বিশেষ করে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে তাতে ৬৫টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ‘বাংলাদেশ এক সময় মিসকিন রাষ্ট্র ছিল, ব্যর্থ রাষ্ট্র ছিল, সেই রাষ্ট্র আজ সকলের কাছে অনুকরণীয়। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আপনারা দেখেছেন প্রতিটি দেশের সরকার প্রধান কি বার্তা দিয়েছে, কি প্রশংসা করেছে। এসব স্বাধীনতাবিরোধী পরাশক্তি ও তাদের প্রেতাত্মাদের পছন্দ হয়নি। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা সমাজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে,’ বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও হাটহাজারীতে যে তাণ্ডব হয়েছে তাতে হেফাজতে ইসলাম নামে ধর্ম ব্যবসায়ী দল তারাই শুধু ছিল না, এর পেছনে বিএনপি ও জামায়াত সম্পৃক্ত ছিল তা প্রমাণিত। ছাত্রদলের ক্যাডাররা বোমা ফাটিয়েছে। এর মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্টতা কেন?, প্রশ্ন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হানিফকে নিয়ে কটূক্তি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কলেজশিক্ষকের জামিন নামঞ্জুর
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানাব। বিএনপি, জামায়াত বা হেফাজত যেই করুক, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করে জানাতে হবে স্বাধীন রাষ্ট্রে এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করা যাবে না।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, স্থানীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।
করোনার টিকা নিলেন ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
টিকা নেয়ার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সাতটি ছবি পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনা শনাক্ত, আরও ৫২ মৃত্যু
সকাল সাড়ে ১০টায় ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিকা নেন।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার ২ মাস পর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন করোনায় আক্রান্ত
গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা দেয়া হয়। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ থেকে কাদের মির্জার পদত্যাগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: কাদের মির্জাকে ‘চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, দুশ্চরিত্রবান’ বললেন ফেনীর আ’লীগ নেতারা
এ সময় তিনি বলেন, ‘অতীতে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছি তা রক্ষা করে আমি বিদায় নিতে চাই। প্রশ্নবিদ্ধ আমি আর হতে চাই না। কিন্তু আমি দল থেকে বিদায় নিচ্ছি। এতদিন আওয়ামী লীগের মির্জা ছিলাম। আওয়ামী লীগের মির্জা আজ থেকে আমি নেই। কোনো শক্তি আমাকে আর আওয়ামী লীগের মির্জা বানাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: ফেনীতে আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
তবে নিজের ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিকে তিনি দূর থেকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য থেকে ২৭ বছরের বেশি সময় ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
করোনা আক্রান্ত আব্দুল মতিন খসরু আইসিইউতে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার রাত ১২টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।
মো. মহিন জানান, আব্দুল মতিন খসরুর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো আছে। অক্সিজেনের লেভেলও ঠিক আছে। তবে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কিছুটা কমে গেছে।
উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
রাজনীতির মাঠে ব্যর্থ হয়ে হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে একই কায়দায় মাদরাসা ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে বিএনপি ও জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নের বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের কঠোরভাবে করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা সার্কিট হাউজে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পরে মাহবুব উল আলম হানিফ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’র উদ্বোধন করেন।
এ সময় বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম নয়, ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ আপনারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা হাসিলে অপধর্মের কাজ করছেন। গরীব, অসহায় এতিম শিশুদের ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা লোটার অপচেষ্টা বন্ধ করুন। না হলে সরকার কঠোরভাবে আপনাদের দমন করবে।’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পাবনা-১ আসনের সাংসদ অ্যাভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ সদর আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৪ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাব জর্জ, কুষ্টিয়া-১ আসনের এমপি আ ক ম সরোয়ার জাহান, পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
নৌ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত: ইরফান সেলিমকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বেঞ্চ চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ এ মামলায় ইরফান সেলিমকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দ আহমেদ রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট ইরফান সেলিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সাথে তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল পেছাল
হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
ইরফান সেলিমের ২ মামলায় জামিন
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সাথে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালগালও করেন তারা।
এরপর ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে দেন ছয় মাসের সাজা।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় আ’লীগ কর্মী নিহত
মাগুরার শালিখা উপজেলার চতুরবাড়িয়া বাজারে শনিবার রাতে সরকার দলের প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
নিহত অহিদার মোল্লা (৫২) তালখড়ি ইউনিয়নের কুশখালী গ্রামের তাইজুদ্দিন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে অহিদার মোল্লা আরও কয়েকজনের সাথে চতুরবাড়িয়া বাজার থেকে গ্রামের বাড়ি কুশখালিতে ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ তালখড়ি ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি মেম্বার আব্দুল মান্নানের সমর্থকরা তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগ কর্মী অহিদার মোল্লাসহ আরও অন্তত ১০ জন গুরুতর জখম হন।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: সিরাজগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী নিহত
জমি নিয়ে বিরোধ: পাবনা, খুলনা ও ভোলায় নিহত ৪
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে অহিদার মোল্লার মৃত্যু হয়।
হামালায় আহতরা হলেন- নিহত অহিদারের ভাই গোলাম সরোয়ার (৬৫), গোলাম সরোয়ারের ছেলে সোহাগ (২০), আলী বক্সের ছেলে ওলিয়ার রহমান (৪০), আবুল বিশ্বাসের ছেলে আহাদ আলী (২২), আলতাফ মন্ডলের ছেলে হাসান মন্ডল (২৫) ও ইনসার মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (২০)। তারা সবাই যশোর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলসহ গর্তে পড়ে বগুড়ায় আ’লীগ নেতা নিহত
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় শালিখা থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। পুলিশের তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে গুলিতে আ’লীগ নেতা নিহত
দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা মেনে নেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অবস্থানের সময় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা করলে কোনভাবে মেনে নেয়া হবে না।’
শনিবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রতিহত করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
রেজাউল করিম বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন একটি চমৎকার সময়েও দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর জন্য পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের কেউ কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে এ বাংলাদেশ রাম-রহিমের বাংলাদেশ, এ বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, এ বাংলাদেশে ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে আমাদের একটি পরিচয় আছে। সে পরিচয়, আমরা বাঙালি, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। এ বাংলাদেশে নতুন করে যদি কেউ ধর্মীয় উসকানি সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। কোনভাবেই এ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম অপর ধর্মে আঘাত করায় বিশ্বাস করে না, অপর ধর্মাবলম্বীদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করায় বিশ্বাস করে না। এই শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম ব্যবহার করে যারা ’৭১ সালে লুণ্ঠন করেছে, ধর্ষণ করেছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করেছে তাদের চেহারা আমরা চিনি। তাদের প্রেতাত্মারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিচার শেখ হাসিনা করেছেন। প্রয়োজনবোধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোর বিচারের মুখোমুখি করা হবে। শান্তির বাংলাদেশকে কোনভাবে ধ্বংস করতে দেয়া হবে না।’
স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের উন্নয়নচিত্রে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ অবস্থার কারণেই উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘ চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার গৌরবময় স্থানে পৌঁছেছে। আমরা সকলে এ গৌরবের অংশীদার। আমরা ২০৪১ সালের পূর্বেই সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছে যাব। যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। যে স্বপ্ন দেখে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছিলেন। এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃপ্ত প্রত্যয়, বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা, সততা এবং পরিশ্রমের কারণে।’
আরও পড়ুন: সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেছেন, যেভাবে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা বিশ্বের বিস্ময়। পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এ সময় বাংলাদেশে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অনেকেই বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। সারাবিশ্ব বলছে ঈর্ষা করার মতো উন্নয়ন বাংলাদেশ করতে পারছে’ বলেন রেজাউল করিম।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্ত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বশির গাজী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ কিবরিয়া, নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না: তোফায়েল
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি।’
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচারা দিয়েছে: তোফায়েল
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু টুঙ্গিপাড়ায় ঘুমিয়ে আছেন। আর কোন দিন আসবেন না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে। যতদিন বাংলার মাটি ও মানুষ থাকবে। ততদিন বাঙালি জাতির হৃদয়ের মনের মনিকোঠায় জাতির পিতা চিরদিন বিরাজ করবে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই লক্ষ্য বুকে ধারণ করে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এই পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয় নাই। একদিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্তা বাঙালিদেরকেই হতে হবে।
আরও পড়ুন: এখন গ্রামে গেলে শহর মনে হয়: তোফায়েল
আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, ‘জাতির পিতা ছিলেন বিচক্ষণ নেতা। জেল জুলুম অত্যাচার মৃত্যুকে তিনি পরোয়া করতেন না। বার বার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুকে অলিঙ্গন করেছেন। কিন্তু মাথা নত করেননি।’
তোফায়েল বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পরে তার নাম নেয়া যেত না। ৭ মার্চের ভাষণ আমরা মাইকে প্রচার করতে পারতাম না। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বাঁধা দিতেন। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক আলোচনা করা হয়। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বে একজন মহান নেতা।’
তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সেদিন আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুলের রাজনীতি করে চলেছে: তোফায়েল
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, পৌর মেয়র মো. মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজিত হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব ও মো. ইউনুস প্রমুখ বক্তব্য দেন।