বিএনপি
দেশে ‘বাকশাল-২’ কায়েম হয়েছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশে 'বাকশাল-২' কায়েম করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়া ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম পলের বাসায় সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. আব্দুল মঈন এ কথা বলেন।
আব্দুল মঈন বলেন, ‘আপনারা জানেন, অতীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করে সংসদে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। এখন বিরোধীদের কোনো জায়গা নেই। এখন এটাই আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।’
তিনি বলেন, ‘তারা বলে বিএনপির জন্ম নাকি ক্যান্টনমেন্টে… আমি জানি না তারা কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছে, তবে আমি বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। জিয়াউর রহমান সৈনিক ছিলেন, কিন্তু তিনি বাকশাল শাসন থেকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামী দল বলে দাবি করলেও গণতন্ত্র চুরি করে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
তিনি আরও বলেন, ‘এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
ড. মঈন প্রশ্ন করেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল, তাহলে তারা কেন দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল চেতনা গণতন্ত্র। ৫৩ বছর আগে আমরা বলেছিলাম, পাকিস্তান কাঠামোতে গণতন্ত্র সম্ভব নয় এবং তার জন্যই বাংলাদেশ গঠিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সহাবস্থানে, কিন্তু আওয়ামী লীগ তা বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আওয়ামী লীগ মুসলমানদের ইফতারের আয়োজনে উপর হামলা চালিয়েছে।
রিজভী বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও তাদের সংস্কৃতিকে দুর্বল করে এবং আলেম-ওলামাদের (ইসলামি পণ্ডিত) সম্প্রদায়কে দমন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
তিনি দাবি করেন, তারা তাদের প্রভুকে খুশি করার জন্য এটি করে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইফতার ছাড়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইফতার আয়োজকরা আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
মুসলমানরা যখন কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চায়, তখন কাদের ও তার দলের নেতারা কেন লজ্জিত হন বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা।
কখনো আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ তাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ হারাতে যাচ্ছে, কারণ তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি আওয়ামী লীগ সরকার গরিব মানুষের কণ্ঠস্বরকে ন্যূনতম পাত্তা দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের রমজানে ক্ষুধার্ত মানুষের ‘এসওএস বার্তা’ শুনতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের একজন সাবেক মন্ত্রীর লন্ডনে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ৩৫০ টিরও বেশি সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তারা দুবাই, কুয়ালালামপুর, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় অর্থ পাচার করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না, পাশাপাশি তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
কয়েকটি গণমাধ্যম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও ফ্যাক্ট চেক ছাড়া শুধু শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবস্থাপত্র মেনে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জনগণ এখন বিশ্বাস করে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকাটি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির এক সভায় এ অভিযোগে করেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রতিদিন গল্প-কবিতার মতো লেখা হচ্ছে।
হাফিজ বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার বা ১ লাখ, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কীভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর স্বাধীনতার সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতা আনতে দেশের মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছে। আওয়ামী লীগ এ নিয়ে কথা বলে না। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের (আওয়ামী লীগের) কোনো অবদান নেই বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রতিটি প্রান্তের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে প্রভাবিত করেছিল। জিয়ার ঘোষণার পর বিশ্ব সম্প্রদায় জানতে পারে। কিন্তু শাসক মহল জিয়ার ঘোষণা নিয়ে রসিকতা করে বলেছিল যে ‘গার্ড বেল বাজাল’।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, মেজর জিয়া ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং সেক্টর কমান্ডার যিনি যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর অন্যান্য সেক্টর কমান্ডাররা ভারতে ছিলেন।
কিন্তু তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করার জন্য আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে চিত্রিত করেছে।
মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, লাখ লাখ ছাত্র, যুবক ও সৈনিকদের অবদানকে উপেক্ষা করে সব কৃতিত্ব দাবি করে স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল যাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোনো অবদান ছিল না, তারা স্বাধীনতা ও সব অর্জনকে ছিনতাই করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ
সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৩৩ দিন পর কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন তিনি।
মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষার রিপোর্ট মূল্যায়ন করার পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শারীরিক নানা জটিলতায় চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
গত ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পাকস্থলী ও বুকে পানি জমা এবং লিভারে রক্তপাত সমস্যা পরীক্ষা করতে দেশে আসেন তিনজন মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
বিএনপি প্রধানের পরিবারও বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে, কিন্তু আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত করার শর্তে খালেদার মুক্তি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাতেই বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
২০২০ সালে কারাগার থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন খালেদা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। পরবর্তীতে এ মুক্তির সময় একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণমানুষের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) দেশে ২২০টি ধনিক পরিবার সৃষ্টি করেছে, যেখানে পাকিস্তান শাসনামলে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা ছিল ২২টি।
আজ বুধবার (১৩) প্রায় ১০ মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুরের শাজাহানপুরের বাসায় দেখা করতে গিয়ে ড. মঈন এসব কথা বলেন।
জার্মানিভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের এমন একটি দেশ যেখানে ধনী-গরিবের সম্পদের ব্যবধান বেশি এবং দেশে অল্প সময়ের মধ্যে কোটিপতি হওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
ড. মঈন খান বলেন, বিএনপি ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে চায় যেখানে মানুষ তার অধিকার ভোগ করবে এবং ধর্ম ও বর্ণের প্রতি কোনো বৈষম্য ছাড়াই সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবে।
মঈন খান বলেন, বিএনপি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পেশিশক্তির ব্যবহারে নয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে।
আরও পড়ুন: আজ এতিম ও আলেমদের সঙ্গে ইফতার করবে বিএনপি
বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
আজ এতিম ও আলেমদের সঙ্গে ইফতার করবে বিএনপি
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন (মঙ্গলবার) এতিম শিক্ষার্থী ও আলেম-ওলামাদের সঙ্গে ইফতার করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত লেডিস ক্লাবে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপহাস: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, রমজানে বরই দিয়ে রোজা ভাঙতে মন্ত্রীর যে পরামর্শ, সেটি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকারের মতোই এখন তারা জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করছে।
সোমবার সকালে শাজাহানপুরের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মির্জা আব্বাস প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ইফতারের সময় আমদানি করা দামি ফল দিয়ে রোজা ভাঙবেন কিন্তু মানুষকে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, এরা কেমন দায়িত্বশীল সরকার?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে দেশের মানুষ চাপ ও ভয় ছাড়া ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষ ভয়ানক সময় পার করছে অথচ আওয়ামী লীগ নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা ভাবছে না
বিএনপি নেতা বলেন, তার দল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নয়, বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি যাতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা শুরুতেই চক্রান্ত করেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে ব্যাপক হামলা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের’ পর, ‘ডামি সরকার’ তাদের সময় মুক্তভাবে উপভোগ করছে না কারণ তারা সবসময় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকে।
নিজের কারাবাসের কথা স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, এবারের জেল জীবন ছিল ভয়ানক কারণ আমরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কারাগারে বন্দি।
বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমনের জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইনকে (সিএসএ) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার(১০ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া সাইবার ফোর্সের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ: খসরু
তিনি বলেন, 'রাজনীতিবিদ হিসেবে আমরা বছরে এক-দুইবার জেলে যেতে অভ্যস্ত। জেল জীবনে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে কারাবন্দি হয়েছেন, এমন অনেক তরুণের সঙ্গে দেখা হয়েছে।’
রিজভী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একজন ছাত্রীর ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের রোষানল থেকে নারীরাও নিরাপদ নয়।
রিজভী বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় তারা অন্যদের চেয়ে বেশি প্রতিভাবান।’
আরও পড়ুন: নারী দিবসে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ বানচালের অভিযোগ
নারী দিবসে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ বানচালের অভিযোগ
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ পুলিশ বানচাল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ দলীয় নেতাদের।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে পুলিশের বাধার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পুলিশ নারীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেয়নি এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের নারী সমাজের অবস্থান কেমন এটি তার প্রমাণ। আমরা আজকের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ফারজানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি না থাকায় আমরা তাদের বাধা দিয়েছি। আলোচনা সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং তারা তা করেছে।’
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ: খসরু
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
খসরু বলেন, ‘১৯৯১ সালে স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলন করে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম জিয়া। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এবং স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার প্রথম মেয়াদে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের প্রতিটি সেক্টরে নারী নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস: আমেনার দায় নিবে কে
তিনি বলেন, হাঁস, মুরগি, ছাগল ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে উৎসাহিত করে নারীদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন চাই তাহলে তাদের নিজেদের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের দিতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আজকাল দেখা যাচ্ছে যে নারীরা নিত্যদিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
তিনি বলেন, যারা নারী অধিকারের জন্য কাজ করছেন তারাই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার অংশ এজন্য হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না।
আমির খসরু বলেন, প্রায় সব সেক্টর আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে, যারা ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। এজন্য কেউ বিচার পাচ্ছে না।
দেশে নারীসহ মানুষের কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
খসরু বলেন, ভোটাধিকারের মতো মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে নারীসহ জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি