������������������
আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
সরকার নিজেই একটি ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে এবং সেই সিন্ডিকেটই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সংসদের সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘হায়, আওয়ামী লীগ... তারা ঔদ্ধত্যের সঙ্গে কথা বলে... তাদের কোনো লজ্জা নেই। তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও আড়ালে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে।’
এক মানববন্ধনে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যে টাকা আয় করে, তার একটা অংশ সরকার পায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সেই টাকা দিয়ে আপনারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) মালয়েশিয়া, কানাডা, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ব্যবসা করবেন, অথচ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ এক কেজি তো দূরের কথা, একটা ডিম, এক কেজি মাংস কিনেওও খেতে পারবেন না। তবুও তারা (সরকার) ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে 'স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন'।
জাতীয় সংসদে সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, যারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও মানুষকে শান্তিতে ঘুমানোর সুযোগ দিতে পারছে না এবং যারা মেগা প্রকল্পের নামে ও উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, 'আপনাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) মুখ বন্ধ রাখা উচিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এটা জনগণের সরকার নয় এবং জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
আওয়ামী লীগের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় বিএনপিকে ছোট করে কোনো মন্তব্য না করতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ফারুক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা সৎ হিসেবে শক্তিশালী এবং অতীতে আমরা সততার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছি।’
ফারুক বলেন, যদিও আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কঠিন সময় পার করছে, তবুও সরকারের পতন নিশ্চিত করতে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন:৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করে দলটি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং অধিকাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন বলেই বাংলাদেশের জনগণ (বর্তমান) সরকারকে নির্বাচিত করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।’
রুশ হাইকমিশনারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, 'আমরা বলতে চাই, তার (রাষ্ট্রদূতের) অযাচিত, অগ্রহণযোগ্য ও আওয়ামীপন্থী বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়ে নিজ দেশেই পরাধীন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের আশা-আকাঙ্ক্ষা অভিন্ন। ‘সেই অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’
দলটি বলেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ আশা করে যে, রাশিয়া, ভারত, চীন বা অন্য কোনো দেশ জনগণের প্রবল ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনকে অযাচিতভাবে সমর্থন করবে না।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন গড়ে তোলার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত। এজন্য বিএনপি রাশিয়াকে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার দৃঢ় সংকল্প ও মহান ত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।’
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির অভিযোগ 'বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা'।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সরকার নয়, ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার বলে বিরোধী দল যে বক্তব্য দিয়েছে তা কারো বিশ্বাস করা উচিত নয়।
বিবৃতিতে বিএনপি বলেছে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
দলটির দাবি, জাতিকে ধোঁকা দিতে এবং শেখ হাসিনার অসাংবিধানিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তার অনুগত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে সহায়তার জন্য গত ৭ জানুয়ারি প্রহসনের ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিএনপি উল্লেখ করে, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ, সাতটি খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন বিদেশি পর্যবেক্ষক বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় একটি নতুন ও অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন বাংলাদেশের জনগণের গণদাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গণতন্ত্রপন্থী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের বঞ্চিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।’
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, ভোটারদের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। নির্বাচনের আগেও আপনারা অনেক হুমকি দিয়েছেন, এখনও আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
এক মানববন্ধনে ফারুক বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত সমমনা বিরোধী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দল রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) বিএনপিকে দমন করতে পারবেন না, আমাদের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড ও মামলায় জড়িয়েও দমাতে পারবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোট বিহীন গঠিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) বিএনপির এজেন্ট বলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন ফারুক।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমার আশঙ্কা, আপনারা কিছুদিন পর সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককেও (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য) বিএনপির এজেন্ট হিসেবে অভিহিত করবেন।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও এই দলটি গণতন্ত্রের চর্চা করে না, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে সাময়িক সময়ের জন্য দমন করতে পারে। ‘পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, স্বৈরাচারী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করতে পারেনি।’
যেসব সমালোচক বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে পুলিশ ছাড়াই বিরোধী দলের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের ৪১ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতার কারাগারগুলোতে এখন এক লাখের বেশি মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের যোগ্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে নির্যাতন চালাচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের নেতারা কারাগারে কীভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও বৈদ্যুতিক শকের শিকার হয়েছেন তার বর্ণনা দেন নুর।
তিনি বলেন, 'তারা (কারা কর্তৃপক্ষ) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নখ উপড়ে দিয়েছে এবং হাড়গোড় ভেঙে দিয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এটা ভাবতেও খুব কষ্ট হয়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের আদালত জামিন না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন নুর।
তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
জনগণের প্রতি অবিচার না করতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান নুর।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
আবাসিক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিন্দা জানায় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারের ভাড়া রাতারাতি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে- মিটার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সমন্বয় করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এটিকে অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন দলটির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
রিজভী বলেন, এমন এক সময়ে এই ভাড়া বাড়ানো হলো, যখন আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বাড়িগুলোতে দিনরাত অধিকাংশ সময় গ্যাস সরবরাহ থাকে না, কিন্তু 'অবৈধ সরকার' গ্যাস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নানা কৌশল অবলম্বন করে টাকা আদায় করছে।
তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করে মিটারের ভাড়া(হঠাৎ করে ভাড়া বাড়ানো) দ্বিগুণ করা এবং সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেওয়া সরকারের গণবিরোধী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করেছে।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জানায়, মিটার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় সমন্বয়ের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিটারের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
রিজভী বলেন, জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় সরকার জনগণের অর্থ লুটপাট করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) জানে যে তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে না এবং তাদের অন্য নির্বাচন বা কোনও নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতে হবে না। কারণ তারা বন্দুক এবং রাষ্ট্রের সমস্ত মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে বশীভূত করে। তাই তারা জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের খেয়ালখুশি অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
তিনি অভিযোগ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি সরকারের নির্বাচনী 'সার্কাস' নীরবে প্রত্যক্ষ করায় আবাসিক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া বাড়িয়ে সরকার জনগণকে শাস্তি দিয়েছে।
ডলার সংকট এরই মধ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে নগদ প্রণোদনা না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব।
তিনি বলেন, ক্রেতাদের কাছ থেকে তৈরি পোশাকের অর্ডার ইতোমধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে। চামড়া, পাটজাত পণ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে নগদ প্রণোদনাও অনেক কমানো হয়েছে। তাই এসব পণ্যের রপ্তানি মারাত্মকভাবে কমে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার তথাকথিত উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট অব্যাহত রাখতে রপ্তানি খাত থেকে অর্থ কাটছাঁট করছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'অব্যাহতভাবে বিচার বিভাগীয় হয়রানি ও সম্ভাব্য কারাগারে আটকানো' নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ২৪২ জন বিশ্ব নেতার খোলা চিঠিকে খাটো করে দেখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরেরওসমালোচনা করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, 'গতকাল (বুধবার) ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি সারা বিশ্বে আছে, কিন্তু শুধু বাংলাদেশকেই কলঙ্কিত করা হয়। আমরা বলতে পারি সারা বিশ্বে কমবেশি দুর্নীতি থাকতে পারে, কিন্তু আওয়ামী কায়দায় দুর্নীতির কলঙ্ক পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি না তা আমরা জানি না।’
রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
রাজপথের কর্মসূচির অনুমোদন না থাকায় মঙ্গলবার দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন রাজধানীর সাতটি পয়েন্টে বিএনপিকে মিছিল বের করতে দেয়নি পুলিশ।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করার কথা ছিল বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর।
অবৈধ ডামি সংসদ বাতিলের দাবিতে রাজধানীর পীরজঙ্গী মাজার, যাত্রাবাড়ীর কদমতলী বাস স্টেশন, নিউমার্কেট ও দয়াগঞ্জ মোড়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করার কথা ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির। আর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং মলের সামনে থেকে, উত্তরা সেকশন-১২ কবরস্থান ও মিরপুর-৬-এর একটি মসজিদের কাছে থেকে কালো পতাকা মিছিল করার কথা ছিল।
বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা নিয়ে সাতটি স্পটে জড়ো হতে শুরু করলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই কর্মসূচির অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এদিকে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে যোগ দিতে দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেকশনের কবরস্থানের কাছে গেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
ড. মঈন সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয় এবং তাকে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
পরে বিএনপি নেতাকে ছেড়ে দিয়ে গাড়িতে চড়ে গুলশানের বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মঈন খানকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। আমরা তাকে থামিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আমরাও তাকে কালো পতাকা মিছিলে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কোনো অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছিল দলটি।’
তিনি বলেন, বিএনপি কর্মসূচি পালনের জন্য ডিএমপির কাছে অনুমতি চেয়েছিল কিন্তু নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলটিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ‘এ কারণে আমরা তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেইনি।’
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ৮ থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মতিঝিলের পীরজঙ্গি মাজারে গেলেও মিছিল বের করতে পারেননি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর ৭টি স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আমরা ডিএমপির পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ সব জায়গায় আমাদের বাধা দিয়েছে। আমরা পুলিশের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এবং কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশের উপস্থিতির মধ্যে কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীরা মিছিলস্থলের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছেন। ‘কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সংঘাতে জড়ানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’
একপর্যায়ে দলের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যাওয়ায় গয়েশ্বর নিজের গাড়িতে করে এলাকা ত্যাগ করেন।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি পালনের অনুমতি পায়নি।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদে শুধু নির্লজ্জরাই বসতে পারে: গয়েশ্বর
দ্বাদশ সংসদে শুধু নির্লজ্জরাই বসতে পারে: গয়েশ্বর
৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে কেবল নির্লজ্জরাই যোগ দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দার মধ্যে আজ বিকাল ৩টায় ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের যাত্রা শুরু হবে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশে সম্মিলিত পেশাজীবীদের একটি মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পেশাজীবী ও নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ সকাল থেকেই সংসদ অধিবেশনের প্রতিবাদে অনেকে লাল ও কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, 'সংসদের উদ্বোধনীতে জনগণ কি আনন্দ উদযাপন করছে? তারা নিন্দা জানাচ্ছে এবং তাদের ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
তিনি বলেন, ‘এমতাবস্থায় যাদের কোনো লজ্জা ও আত্মসম্মানবোধ নেই, তারাই এ ধরনের সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নতুন নির্বাচন দিতে তাদের দল শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আমরা আমাদের সংগ্রাম থেকে পিছু হটিনি। কিন্তু বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমাদের আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন আজ (মঙ্গলবার, দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন) হরতাল পালন করা হোক। (কৌশলগত কারণে) বিএনপি এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।’
আরও পড়ুন: সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, সেসময় তাদের ১৭৩ দিনের হরতালের রেকর্ড আমরা ভাঙতে পারিনি। আমরা এখনও পথচারীকে নগ্ন করার নজির স্থাপন করতে পারিনি এবং আমরা এখনও লগি-বৈঠা (লাঠি-দাঁড়) দিয়ে মানুষ হত্যা করতে পারি না।’
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সুদৃঢ় করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন গয়েশ্বর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ‘পুলিশ ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আপনারা (সরকার) জনগণকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
‘অবৈধ ডামি’ সংসদ বাতিলের দাবিতে সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভাতেও কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৬-২৭ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপির সব ইউনিট একযোগে কর্মসূচি পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি সর্বস্তরের মানুষকে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর পীরজঙ্গী মাজার, যাত্রাবাড়ীর কদমতলী বাস স্টেশন, নিউমার্কেট ও দয়াগঞ্জ মোড়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করবে।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং মলের সামনে, উত্তরা ১২ নম্বর সেকশনের কবরস্থানের সামনে এবং মিরপুর-৬ নম্বর মসজিদের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল শুরু করবে দলটি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
এসব শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, পিপলস পার্টি ও এবি পার্টি পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে বিএনপির দ্বিতীয় রাজপথ কর্মসূচি।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করার আগে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি সব মহানগর, জেলা, উপজেলায় কালো পতাকা মিছিল বের করবে আমাদের দলের সব শাখা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
বর্তমান সরকার ও সংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করতে ঢাকার দুই মহানগরীর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকাল ৩টার দিকে কালো পতাকা মিছিল বের করে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড় হয়ে আরামবাগ মোড়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে ও একই দাবিতে বিএনপির সব জেলা শাখায় কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম রাজপথের কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোহাম্মদ রইসউদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দলটির স্থায়ী কমিটি এই দাবি করে।
গত সাত বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ রক্তক্ষয়ী খেলা খেলছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির স্থায়ী কমিটি।
শুক্রবার(২৬ জানুয়ারি) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বিএনপির স্থায়ী কমিটি বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার তীব্র নিন্দা জানায়।
গত সোমবার বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বিজিবির সিপাহী মোহাম্মদ রইসউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
ঘটনার পর বিএসএফ এক বিবৃতিতে দাবি করে, নিহত বিজিবি সদস্য সাদা পোশাকে চোরাকারবারিদের সঙ্গে ছিল।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটি বিএসএফের ব্যাখ্যাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বলেছে, কোনো বিজিবি সদস্য লুঙ্গি ও টি-শার্ট পরে চোরাকারবারি দলের সঙ্গে যেতে পারে না। ‘ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুমও বিএসএফের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।’
দলটি আরও বলেছে, বিএসএফের বিবৃতিটি বানোয়াট এবং ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের 'আধিপত্যবাদী' মনোভাবে উৎসাহিত হয়ে বাহিনী কেবল তাদের হত্যাকাণ্ডকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ‘বিএসএফের অপরাধ এবং তাদের নম্রতার মধ্যে সব সময়ই বিশাল ব্যবধান থাকে। তাদের (বিএসএফ) মনোভাব থেকে এমন ধারণা পাওয়া যায় যে, তারা এখনও আদিম ও মধ্যযুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।’
এতে আরও বলা হয়, রইসউদ্দিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএসএফের মনগড়া বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ‘ভারতের উচ্চাভিলাষী নীতির কারণে সীমান্তে রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না।’
বিএনপি বলেছে, একজন বিজিবি সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের জনগণকে তাদের আজ্ঞাবহ রাখতে আধিপত্যবাদী বার্তা দিয়েছে।
দলটি বলেছে, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস ও রক্তাক্ত। ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।’
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে: নজরুল ইসলাম
এতে বলা হয়, এতদিন বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হলেও এখন সীমান্তে বিজিবি সদস্যরাও নিরাপদ নয়। ‘একটি স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতে নিহত হওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এর সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।’
বিএনপি আরও বলেছে, এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতার লোভে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশকে একটি অনুগত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দখলদার আওয়ামী সরকার এখন দেশবিরোধী ঘৃণ্য চক্রান্তের ঘুঁটি। এমনকি এখন বিজিবি সদস্য বিনা কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন।
বিজিবি সদস্য হত্যা ও সীমান্ত হত্যার বিষয়েও সরকারের 'নীরবতা'র সমালোচনা করেছে দলটি।
তিনি বলেন, বিএসএফের 'পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড' এখন সবার জানা। দিল্লির নৃশংসতা এবং ঢাকার নীরবতার কারণে সীমান্তে অনিয়ন্ত্রিত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। সীমান্তের কাছে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার ঘটনার বিষয়ে নীরবতা দিল্লির সঙ্গে শেখ হাসিনার চিরস্থায়ী 'রাজনৈতিক সমঝোতার' ফসল।
আরও পড়ুন: জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা বর্তমান সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জনগণের ভোটে সংসদ ও সরকার গঠিত হয়নি। সুতরাং এটা জনগণের সংসদ নয়, জনগণের সরকার নয়।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটারদের অংশগ্রহণ ছাড়া একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং তারা সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে। ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারা পর্যন্ত আমরা জনগণের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, সরকার বন্দুক, রাইফেল ও গুলি দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে জনগণকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগণের কাছে পরাজিত হবে।
ড. মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি, কারণ নির্বাচনের নামে রাজধানী থেকে মনোনীত করা হয়। ‘শুধু বিএনপি বা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী লোকজনই নয়, আওয়ামী লীগের সমর্থক ভোটাররাও নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।
মঈন বলেন, ‘সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে এবং ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ করেছে। আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে, আপনারা যখন ৪০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা (মেগা প্রকল্পে) খরচ করতে পারেন, তখন শীতার্ত মানুষকে কেন ১০০ টাকার কম্বল দিতে পারেন না? কেন আমাদের (বিএনপি) এখানে দাঁড়িয়ে কম্বল বিতরণ করতে হবে?’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণের কল্যাণে রাজনীতি না করে দেশের সম্পদ লুটপাট করে সেকেন্ড হোম তৈরির জন্য বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করছে।