������������������
হুমকি দিয়ে গণআন্দোলন বন্ধ করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা ফখরুলের
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘বিএনপি আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো হবে’- বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন,‘দেশ যখন চরম অব্যবস্থাপনা, চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এমন হুমকি দিচ্ছেন। তিনি যদি মনে করেন এটা গণতন্ত্রের আন্দোলনকে ব্যাহত বা দমন করবে, তাহলে তিনি ঠিক ভাবছেন না।’
তিনি বলেন, জনগণের এই আন্দোলনকে কেউ দমাতে পারবে না। মানুষ তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের হুমকি এই আন্দোলনের কিছুই করতে পারবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য প্রমাণ করেছে যে তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং তারা গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অবস্থায় এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
সরকার সীমা লঙ্ঘন করছে
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই তাদের সীমা লঙ্ঘন করছে। ‘তারা আজকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং তারা তাদের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আমাদের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, যা কিনা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।’
ফখরুল বলেন, ‘আপনারা কি কোনও সভ্য দেশে দেখেছেন যে সরকার ধর্মঘট করে?’ বরিশালে আমাদের সমাবেশের পাঁচ দিন আগে থেকেই পরিবহন চলাচল বন্ধ করেছে।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পটুয়াখালী থেকে বরিশাল পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ‘আপনি এটিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ভুয়া নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'জনগণ এখন জেগে উঠেছে, জনগণ এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড হতে দেবে না। তারা যেকোনও মূল্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।’
ফখরুল বলেন, জনগণ আসলে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে তাদের সরকার ও সংসদ গঠন করবে। এর জন্য আমরা প্রথম শর্ত দিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে তার সরকারের সঙ্গে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণকে ভয় পায়। জনগণ জেগে উঠলে গণআন্দোলন হবে। আমি বিশ্বাস করি, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগ) সরে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
রেমিটেন্স পাচারের অভিযোগ
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা সম্পূর্ণ তাদের (আ.লীগ) দুর্নীতির ফল।
‘আজও পত্রিকায় বেরিয়েছে, গত ১০ বছরে যারা কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন তাদের এক-তৃতীয়াংশই বাংলাদেশি। রেমিটেন্সের পতনের মতো আপনি এর প্রমাণ পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, রেমিটেন্স কমছে কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা আবার বেড়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘তাহলে রেমিটেন্স কোথায় যাচ্ছে? এর আগে একদিন আমি বলেছিলাম,এসব রেমিটেন্স দেশ থেকে আরেক দেশে পাচার হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই পাচার করছে। এ কারণে দেশে সংকট তৈরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ হবে ঢাকায়
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ বিভাগীয় সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিয়েছি প্রতিটি বিভাগে সমাবেশ করব। এরপর তারা কী করবে, কী করবে না তার দায় সরকারের ওপর।’
ফখরুল বলেন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে কোনও মূল্যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি তার চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা,ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের দ্বারা তাদের দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
কোনও রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে বিএনপি। সরকার এ দাবিকে অসাংবিধানিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে চারটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর শনিবার বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৫ম সমাবেশ হবে বরিশালে।
আরও পড়ুন: পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলকে দমন ও দেশে রাজনৈতিককরণের ক্ষেত্র তৈরি করতে সরকার ‘মিথ্যা’ মামলাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাদের বাংলাদেশ ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার প্রয়াস হিসেবে এই মামলা করেছে।’
তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে পরোয়ানা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে গৃহবন্দি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার সহধর্মীনি যিনি রাজনীতির সঙ্গে একেবারে জড়িত নন, তিনি একজন পেশাজীবী মেধাবী চিকিৎসক। শুধু এই পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা নিয়ে আসা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুবাইদা একজন অরাজনৈতিক পেশাজীবী হলেও, জিয়া পরিবারকে সরকার ভয় পাওয়ায় তার (জুবাইদা) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ড, আইন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ দলের সঙ্গে থাকায় বিএনপিকে দুর্বল করার সব প্রচেষ্টাই বৃথা যাবে। এত নির্যাতনের পরও বিএনপি ফিনিক্সের মতো জেগে উঠেছে। জনগণের দল হওয়ায় বিএনপির উত্থান ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।
জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য কোন খাদ্য মজুদ নেই
ফখরুল বলেন, সোমবার তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী বছরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘আমাদের বৈঠকে মনে হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে যে সরকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, গত চার মাসে খাদ্যশস্য আমদানি প্রায় ৩৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় বিএনপির নীতিনির্ধারকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের নজিরবিহীন দুর্নীতি, উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে। একইসঙ্গে দুর্নীতি, বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং ডলারের ঘাটতির কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।’
রিজার্ভ থেকে অনৈতিকভাবে ডলার প্রত্যাহার এবং হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বছর ৭/৮ বিলিয়ন ডলার পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
সারাদেশে সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি ও সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া এবং বিদ্যুৎ ও ডিজেলের অভাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
বাকেরগঞ্জে বিএনপির জনসংযোগে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ, আহত ১০
বরিশালের বাকেরগঞ্জের কলসকাঠি ইউনিয়নে মঙ্গলবার বিএনপির জনসংযোগ,লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান,৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবুল হোসেন খানের নেতৃত্বে কলসকাঠি বাজারে লিফলেট বিতরণ,পথসভা ও জনসংযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
এসময়, বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আলাউদ্দীন মিলনের নেতৃত্বে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে বাকেরগঞ্জের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ জোমাদ্দার ও কলসকাঠি ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আল আমিনসহ ১০ জন আহত হয়।
সাবেক সাংসদ আবুল হোসেন খান বলেন,আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে,হামলায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।
লাঠিচার্জের ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দীন মিলন জানান, কলসকাঠিতে বিএনপির আবুল হোসেন খান গ্রুপ ও হারুন শিকদার গ্রুপ একই স্থানে সভা করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা থাকায় পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ও তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তাদের দলের বিভাগীয় সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ যোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, গণতন্ত্র না থাকলে কারও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
সোমবার এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশে গণতন্ত্রের অভাবে জাতি ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। ‘আমাদের অবশ্যই এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ছিলাম এবং কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিচ্ছে। কারণ তারা সবাই চায় দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষিত হোক।’
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মির্জা ফখরুল বললেন ‘জীবন সুন্দর’
দুর্গাপূজা উদযাপন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র, জনগণের সমঅধিকার, ন্যায়বিচার ও ন্যায়পরায়ণতার চেতনায় একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার প্রথমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। ‘তাকে এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ আবারও মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো জেগে উঠবে এবং শয়তান শাসককে পরাজিত করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার পথ প্রশস্ত করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নেতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, ডা. সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্য ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে তা জনগণ ভালো করেই জানে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দলের অনেক নেতা নিজের উপার্জনে কিংবা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করছেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, কাদের শনিবার সব ধরনের নৈতিকতার ঊর্ধ্বে গিয়ে তাকে নিয়ে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তিনি (কাদের) আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমরা দুবাই থেকে টাকা পাই এবং আমি টাকা নিয়ে মিথ্যা বলছি। আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই, আমাদের বেশি চাপ দেবেন না। কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে।’
আরও পড়ুন: পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সবাই জানে আওয়ামী লীগ নেতারা কী করে এবং কীভাবে অর্থ উপার্জন করে। ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে আপনারা কী করছেন,তা এদেশের মানুষ জানে। রাতারাতি ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী বনে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে কারা কানাডা,সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করছে এবং কারা নানাভাবে বিদেশে টাকা পাচার করছে তার সব তথ্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরাও জানি আমেরিকায় কে কত ব্যাংকের মালিক, আর কে কত ঘর বানিয়েছে...এটা এদেশের করদাতার টাকা। আপনারা সেই টাকা লুটপাট করছেন।’
ফখরুল বলেন, একটি বড় দলের মহাসচিব তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অশালীনভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা খুবই দুঃখজনক। ‘আপনি যদি ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করেন তবে আপনি এটি মোকাবিলা করতে পারবেন না। আপনি কীভাবে জনগণের টাকা লুট করেছেন তার তথ্য একদিন প্রকাশিত হবে।’
এর আগে শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, মির্জা ফখরুল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে বিদেশ থেকে তহবিল পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন,ফখরুল দুবাই থেকে টাকা নিচ্ছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
কাদেরের অভিযোগকে নস্যাৎ করে ফখরুল বলেন, আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমরা কারও টাকা নিয়ে রাজনীতি করি না। আমাদের দলের লোক এবং আমাদের প্রত্যেক সদস্য আমাদের সমাবেশ করার জন্য তাদের নিজস্ব অর্থ দিচ্ছেন। এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য।’
রংপুরে বিএনপির সমাবেশের চেয়ে তাদের শনিবারের সমাবেশ অনেক বড় বলে মন্তব্য করে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন,‘ক্ষমতাসীন দল যানবাহনে ও জনগণের টাকা ব্যবহার করে তাদের কর্মসূচিতে লোক এনেছে, কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে রাখা ২২ হাজার চেয়ার পূরণ করতে পারেনি। তাহলে আপনারাই নির্ধারণ করুন কত লোক সেখানে জড়ো হয়েছিল।’
ক্ষমতাসীন দল এত শক্তিশালী হলে বিএনপির সমাবেশে বাধা দিতে কেন ক্ষমতাসীন দল পরিবহন বন্ধ করে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাতে দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দেয়, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন উপলক্ষে রবিবার নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সকালে সারাদেশে দলের সকল কার্যালয়ে তাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বেলা ১১টায় বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
একই দিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি।
এছাড়া দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ও সকল ইউনিট সারাদেশে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সংবাদপত্রে সম্পূরক প্রকাশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সামরিক ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে। যা জিয়ার ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছিল।
বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে উদযাপন করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর ফ্রন্ট সংগঠনগুলো একে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে আবারও বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারী শাসনকে পরাজিত করতে হবে।’
বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার দলের এমপিরা বর্তমান সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। কেননা তাদের মূল লক্ষ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরাসরি বলতে চাই, শেখ হাসিনার অধীনে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমাদের একমাত্র দাবি এই সরকারের পদত্যাগ।’
শনিবার রংপুরে সরকারবিরোধী এক বিশাল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর জলাবদ্ধতা সরকারের অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্পের ফল: ফখরুল
এসময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, সরকারকে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ‘আমাদের সংসদ সদস্য হারুন, রুমিন ও জাহিদ দলের নির্দেশে (সংসদ থেকে) পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। সরকারকে অবশ্যই একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে যা একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং এর অধীনে একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের দ্বারা ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্র, অর্থনীতি ও রাজনীতি মেরামতের জন্য বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
বিভাগীয় পর্যায়ে দলের পরিকল্পিত সমাবেশের অংশ হিসেবে রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ মাঠে এ কর্মসূচির আয়োজন করে রংপুর মহানগর বিএনপি।
পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে পাঁচ দলের নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের কারণে প্রতিবন্ধকতার মুখে তিন দিন অক্লান্ত কষ্ট সহ্য করে এবং কঠোর পরিশ্রম করে সমাবেশ সফল করায় শনিবার ফখরুল রংপুরবাসীকে অভিনন্দন জানান।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিএনপিকে ভয় না পেলে সরকার কেন বিএনপির জনসভায় বাধা দেয়ার চেষ্টা করে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করে হামলা চালায়?
আরও পড়ুন: পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘একটি দল এবং একজন ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) গত ১৫ বছর ধরে গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে এবং আমাদের দমন-পীড়ন করেছে… তারা অর্থনীতিকে চিবিয়ে খেয়ে ধ্বংস করেছে। তারা এখন পুরো বাংলাদেশকে খেয়ে ফেলতে চাইছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগই তাদের একমাত্র দাবি, কারণ এটি দেশের সব অর্জনকে ধ্বংস করেছে। ‘আপনারা যেদিকেই তাকাবেন, তাদের চুরি দেখতে পাবেন। তারা রাস্তা ও সেতু নির্মাণের কাজ থেকে, এমনকি আমাদের দরিদ্র মানুষের জন্য ঘর তৈরির কাজ থেকেও চুরি করছে। তারা সবকিছু খেয়ে ফেলছে, কিছুই ছাড়ছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হোক; সংবিধান অনুযায়ী তা করা সম্ভব নয় বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শুক্রবার বিকাল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকে এবং তাদের অনেকেই সেখানে রাত কাটান।
শনিবারের সমাবেশটি বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির চতুর্থ সমাবেশ। এর আগে প্রথমটি চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে এবং তৃতীয়টি খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশকে সফল করতে লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ট্রেন, মোটরবাইক, অটোরিকশা, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্নভাবে রংপুরে আসেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা এ অঞ্চলে ধর্মঘট পালন করছে।
তবে রংপুরের ক্ষমতাসীন দল পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।
মহাসড়কে থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ এবং প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট পালন করেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি।
আরও পড়ুন: সরকার বৈদেশিক রিজার্ভ গিলে ফেলেছে: ফখরুল
পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে রংপুরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলটির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
শনিবার রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ মাঠে রংপুর মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএনপির সমাবেশ শুরু
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনও রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে।যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী সেটির সুযোগ নেই বলে তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন।
শুক্রবার বিকেল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকে এবং তাদের অনেকেই সেখানে রাত কাটায়।
আজকের সমাবেশটি বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির চতুর্থ সমাবেশ, প্রথমটি চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে এবং তৃতীয়টি হয়েছে খুলনায়।
আগামী বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরবর্তী নির্বাচনের জন্য সমর্থন জোগাতে অন্যান্য বিভাগীয় সদর শহরেও অনুরূপ সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে দলটি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে রংপুর শহর কার্যত মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
সকাল থেকেই বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন এবং কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী সেখানে রাত কাটান।
শুক্রবার সকাল থেকে রংপুর ও সারাদেশের মধ্যে ট্রেন ছাড়া যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ থাকলেও বিভাগের আট জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা অতিক্রম করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, শনিবার তাদের ক্ষমতাসীন দলের প্রতিপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্ভাব্য বাধা ও হয়রানি এড়াতে তারা সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন।
সমাবেশকে সফল করতে লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ট্রেন, মোটরবাইক, অটোরিকশা, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্নভাবে রংপুরে আসেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা এ অঞ্চলে ধর্মঘট পালন করছে।
তবে রংপুরের ক্ষমতাসীন দল পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।
মহাসড়কে থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ এবং প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট পালন করেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেন, তাদের দলের সমাবেশে লোকজন যাতে না আসে সেজন্যই এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
গত সপ্তাহে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেও একই ধরনের ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তবে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাধা অতিক্রম করে সেই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী
রংপুরে বিএনপির চতুর্থ বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ব্যবহার করে ধর্মঘট কার্যকর করার অভিযোগের মধ্যে শনিবার হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী রংপুর শহরে সরকারবিরোধী সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলেও বিরোধী দল রংপুরে চতুর্থ বিভাগীয় সমাবেশ করতে প্রস্তুত। তবে ক্ষমতাসীন দল রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।
শনিবার দুপুর ২টায় রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করে শুক্রবার বিকাল থেকে এ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন।
সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার সকাল থেকে রংপুর ও সারাদেশের মধ্যে বাস যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও আশেপাশের ৮টি জেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মাইক্রো বাস, অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনে করে নগর সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় আসতে দেখা গেছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, শনিবার তাদের ক্ষমতাসীন দলের প্রতিপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্ভাব্য বাধা ও হয়রানি এড়াতে তারা রংপুর শহর ও এর আশপাশের এলাকায় আগাম অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকা থেকে মাত্র কয়েকটি বাস রংপুরে আসলেও সকাল থেকে কোনও বাস রংপুর বাস টার্মিনাল থেকে কোনও গন্তব্যে ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ধর্মঘটের কারণে রংপুরগামী আন্তঃজেলা বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে অন্য জেলার বাসগুলো রংপুরে প্রবেশ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিএনপির চতুর্থ বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার
মহাসড়কে থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ এবং প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট পালন করেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি।
তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, তাদের দলীয় সমাবেশে লোকজন যাতে আসতে না পারে সেজন্যই এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট ও ক্ষমতাসীন দলের তৈরি করা অন্য সব বাধা উপেক্ষা করে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার লাখ লাখ মানুষ শনিবার তাদের কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
গত সপ্তাহে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেও একই ধরনের হরতাল কার্যকর করা হয়েছিল, তবে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাধা অতিক্রম করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিএনপি তার চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের দ্বারা পাঁচ দলের নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনও রাজনৈতিক সরকারের অধীনে হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা বর্তমান সংবিধানে সে সুযোগ নেই বলে প্রত্যাখান করে আসছে।
শনিবারের সমাবেশটি হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির চতুর্থ সমাবেশ। এরআগে প্রথমটি চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে এবং তৃতীয়টি খুলনায় করেছে দলটি।
২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের সালের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরবর্তী নির্বাচনের জন্য সমর্থন জোগাতে অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও অনুরূপ সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
মামলা পুনরুজ্জীবিত: সরকারবিরোধী আন্দোলনকে লাইনচ্যুত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা
পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থ পায়রা সমুদ্রবন্দরে কীভাবে ব্যয় হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন।
এক আলোচনা সভায় তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জোর দিয়ে বলেছেন যে রিজার্ভ থেকে অর্থ পায়রা সমুদ্রবন্দরে ব্যয় করা হয়েছিল। আমরা জানতে চাই কিভাবে টাকা খরচ হয়েছে, কার দ্বারা খরচ হয়েছে এবং রিজার্ভের টাকা কোথায় গেছে।’
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আগামী নির্বাচন তদারকিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি পায়রা বন্দরে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজধানীর জলাবদ্ধতা সরকারের অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্পের ফল: ফখরুল
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল। রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য ও সার কিনতে। রিজার্ভের টাকা জনগণের কল্যাণে ও আমদানিতে ব্যয় হয়েছে। কেউ এই অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি।’
রিজার্ভের টাকা পায়রা সমুদ্রবন্দরে যায় এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, মজুদের টাকা বন্দর নির্মাণের জন্য নয়।
তিনি বলেন, রিজার্ভের অর্থ আমদানিকৃত পণ্যের বিল পরিশোধ এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করার কথা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার ৪২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে বড়াই করত। তাহলে রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়?’
তিনি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে (রিজার্ভ থেকে টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি) বলেন, ‘আপনারা রিজার্ভ চিবিয়ে খাননি, কিন্তু গিলেছেন। আপনারা বাংলাদেশের পুরো অর্থনীতি গিলে ফেলেছেন।’
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের একমাত্র কাজ জনগণের টাকা লুটপাট করা। ‘তারা প্রতিটি সেক্টরে সবকিছু খেয়ে ফেলছে। তারা (সরকার) বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে না পারলে অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন: দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে আ.লীগ: ফখরুল
বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর বন্দরে জাহাজ আসার প্রয়োজনীয় নাব্যতা না থাকায় অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না। ‘তারা এখন আরও অর্থ লুট করার জন্য মূলধন ড্রেজিংয়ের একটি প্রকল্প নিয়েছে। তারা এভাবে দেশের সম্পদ নষ্ট করছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আন্দোলন করার জন্য তাদের দলের কোনো বিকল্প নেই।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার আহ্বান জানান ফখরুল।
অন্যথায় গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের জনগণ সরকারের পতন নিশ্চিত করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা।