���������������-������������������
জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
রওশন এরশাদের বদলে জিএম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়ে স্পিকার সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবে না জাতীয় পার্টি। রবিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, গতকাল সংসদের বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় পার্টির নেতারা। সেখানে তারা জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতি জানতে চান।
আলোচনায় তারা ধারণা পেয়েছেন যে এ বিষয়ে সহসা ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্ত আসছেনা। এর প্রেক্ষিতে তারা আর সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা ইউএনবিকে বলেন, পার্টির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত হয়েছে পার্টির চেয়ারম্যান হবেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা। এটি লিখিতভাবে স্পিকারকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে স্পিকারের রুলিং এবং ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন না। কারণ জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার সিদ্ধান্তটি জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্ত ।
রওশন এরশাদের বদলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত করতে গত ৩ সেপ্টেম্বর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল।
তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি স্পিকার।
রাঙ্গাকে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ থেকে অব্যাহতি
সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আদেশটি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য রাঙ্গাকে প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয় পার্টি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টাসহ সংগঠনের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয় দলটি।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তাদের অপসারণ করা হয়।
২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে রাঙ্গাকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
এরশাদের মৃত্যুর পর ২০২০ সালের ২৬ জুলাই বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের রাঙ্গাকে সরিয়ে কো-চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
বাবলুর মৃত্যুর পর গত বছরের ১০ অক্টোবর দলের কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএম দিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, এর আগে নির্বাচন নিয়ে আমরা যে কথা বলেছি তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অন্ততপক্ষে ইভিএমের ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই স্বীকার করেছেন যে, ইভিএম দিয়ে নির্বাচন সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না, আয়ত্বে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরীর পল্লীনিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে যে সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার সবগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করবো। এর অর্থ হলো যে, নির্বাচনে যে সব অনিয়ম হয় তা প্রত্যক্ষভাবে দেখার জন্য এবং দেশবাসীকে দেখানোর জন্য আমরা নির্বাচনগুলোতে যাচ্ছি।
ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষে বিপক্ষে কথা বলতে গেলে আমরা এসব বিষয় প্রমাণ স্বরূপ তুলে ধরতে পারবো বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, আমরা কারো সঙ্গে জোট করবো কি করবো না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কাদের বলেন, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির একটা অতীত ঐতিহ্য আছে। অতীতে আমরা যে সুশাসন দিয়েছি, পরবর্তীতে কোনো সরকার তুলনামূলকভাবে সে রকম সুশাসন দিতে পারেনি। আমরা জনগণের কাছে এসব বিষয় নিয়ে যাচ্ছি। দলকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করছি।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার: জিএম কাদের
গণতন্ত্র বাদ দিয়ে সরকার উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
বুধবার বনানীর দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টিতে কয়েকজনের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের আরও বলেন, তাদের দলের রাজনীতির মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু লোক উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রের অপব্যাখ্যা করতে চায়। কারণ তারা বলে যে গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসলে, উন্নয়নমূলক গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এ ধরনের গণতন্ত্রের নামে জাতিকে প্রতারিত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত হলেই জনগণের সব অধিকার নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানে পার্টির চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন প্রখ্যাত চিকিৎসক মঞ্জুর-এ-খোদা।
জিএম কাদের চিকিৎসককে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
সারাদেশে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারকে কটাক্ষ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আশংকা করেছেন যে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষ চার থেকে ১০ ঘণ্টা অসহনীয় লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হচ্ছে। ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি রয়েছে, কিন্তু অর্থের অভাবে সরকার জ্বালানি কিনতে পারছে না।’
সরকারি কোষাগারে টাকা না থাকায় বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কমলেও সরকার গ্যাস সংগ্রহ করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার আগে লোডশেডিং, ডলারের তীব্র দাম বৃদ্ধি, জ্বালানি কেনার জন্য অর্থের অভাব এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছিল। ঠিক একই চিত্র এখন বাংলাদেশেও।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) নির্বাহী সচিব মির্জা শাহাদাত হোসেন এবং বিএইচআরসির সাধারণ সম্পাদক (আন্তর্জাতিক বিশেষ প্রতিনিধি) গোলাম কিবরিয়া মোল্লা জিএম কাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কারখানা চালু রাখা সম্ভব না হওয়ায় সব পণ্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জিএম কাদের।
এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেলে অনেকেই চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, শ্রীলঙ্কার মতো মেগা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আগেই বলেছিল সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তারা এখন বলছে নভেম্বরে স্বাভাবিক হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না। তাই দেশের মানুষ সরকারের কথায় আস্থা রাখতে পারছে না’।
জিএম কাদের বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘সরকার সব ঘরে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন প্রতিটি ঘরে বেকারত্ব তৈরি করেছে। সরকারও প্রতি কেজি চাল ১০ টাকায় দেয়ার ঘোষণা দিলেও এখন প্রতি কেজি চাল ৭০ টাকা। জনগণ এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়।’
তিনি বলেন, বুধবার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে হামলা ও মিথ্যা মামলার কারণে তার দলের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেন না।
জাপা প্রধান আরও বলেন, ‘সরকারের সমর্থকরা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, কিন্তু তারা জাতীয় পার্টির লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করছে এবং তাদের সেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত করছে… আসলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং মানুষ আর নির্বাচনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, তারা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই, বিএনপির সঙ্গেও নেই।
কাদের বলেন, ‘জাপা যেকোনো দলের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু কারও দাসত্ব করবে না।’
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলি, আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, আমরা অন্য কারো সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা আসলে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করছি। কারো সাথে নাকে খদ দিয়ে রাজনীতি করবো না। কারো দালালী করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়।
এসময় কাদের আরও বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম-এ নির্বাচনের বিরোধীতা করছি। আমরা মনে করি, ইভিএম-এ কারচুপির সুযোগ আছে। ইভিএম-এ কারচুপি করে ফলাফল ঘোষণা হলে, চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কেউ কেউ মনে করছেন, একটি দল নির্বাচনে কারচুপি করে বিজয়ী হয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে তাদের মন্ত্রী-এমপি করবেন। এটা যারা মনে করেন তারা জাতীয় পার্টির জন্য জীবাণু। তাদের জাতীয় পার্টি থেকে চলে যেতে হবে অথবা সংশোধন হতে হবে। আমরা শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়তে, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবো না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি, দুঃশাসন আর দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির স্বর্নালী যুগের কথা মনে রেখেছেন। তারা আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করছি।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং বিচার বিভাগের বেশির ভাগই এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রনে। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না।
এসময় ফখরুল ইমাম এমপি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন মুক্তি এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, ময়মনসিংহের সকল উপজেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)বলেছেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসমা আশরাফের ওপর হামলার নিন্দা ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
শুক্রবার জিএম কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই আসমা আশরাফের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে সরকার সমর্থকরা।
সরকারপন্থী এসব লোকের কর্মকাণ্ড নির্বাচনের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় উপনেতা কাদের।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুও জাতীয় পার্টির নেত্রী আসমার ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জিএম কাদেরের সাক্ষাৎ
নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নাজুক। এমতাবস্থায় নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই?’
সোমবার রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের এসব কথা বলেন।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে নাজুক উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমেছে, আমদানি ব্যয় বাড়ছে।
মেগা প্রকল্পের কারণে দেশ কতদিন ঋণের বোঝা বহন করবে তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।
কোনো জোট গঠনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
নির্বাচনে অংশগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং দলের উচ্চ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিএনপির সঙ্গে কোনো গোপন জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, আমরা কোনো চুক্তিতে জড়িত নই, সবকিছু স্বচ্ছভাবে হয়।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই এক উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এখন মানুষ পরিবর্তন চায় এবং তাদের নিরাপত্তা চায়।
তিনি আরও বলেন, মানুষ খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট দেখতে চায় না এবং আমরা জনগণকে একটি সুস্থ রাজনীতি উপস্থাপন করতে চাই।
আসন্ন নির্বাচনে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন জাপা চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের বারবার বাধা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ।
শনিবার আততায়ীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিরোজপুরের জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে না পারলে আগামী দিনে দেশে মারাত্মক রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি তার দল। তাদের দল গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের জন্য সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিল।
কাদের আরও বলেন, ‘আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই, তাহলে রাজনীতি কীভাবে স্বাভাবিক হবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি কোথায় বিরাজ করবে? যদি এভাবে স্বাভাবিক রাজনীতির পথ রুদ্ধ করা হয়, তাহলে আমি আশঙ্কা করছি দেশ ভবিষ্যতে বড় ধরনের সহিংসতার দিকে যাবে এবং এটা আসন্ন নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ‘।
সংসদের উপনেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে একটি বার্তা দিচ্ছে যে তারা আগামী নির্বাচনে তাদের পেশীশক্তি ব্যবহার করতে প্রস্তুত। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি এসব করতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে এখানে স্বাভাবিক রাজনীতি চলবে না। স্বাভাবিক রাজনীতি হিংসাত্মক রাজনীতিতে রূপ নিবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত হতে পারে, আমাদের জন্য একটি বিশাল বিপদ ডেকে আনবে’।
জিএম কাদের বলেন, তিনি গুরুতর আহত শফিকুলকে দেখতে গিয়ে তার অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুসখালী ইউনিয়নে স্থানীয় জাপার সাধারণ সম্পাদক শফিকুলকে (শফিকুল) স্থানীয় আদালতে যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা কুপিয়ে তার একটি পা কেটে ফেলেছে।
জিএম কাদের দুঃখের সঙ্গে বলেন, ‘শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেঁচে গেলেও তাকে সারাজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়েই থাকতে হবে’।
তিনি শফিকুলের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দৃশ্যত কোন্দল থাকলেও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রই তাদের দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। দলে কোনো বিভেদ নেই। কোনো ষড়যন্ত্র এর ঐক্য ভাঙতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ স্বেচ্ছায় দলের বিরুদ্ধে কিছু করছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না। কিন্তু ম্যাডাম (রওশন) তার ছেলে ও আরও কয়েকজনের হাতে জিম্মি।
তিনি বলেন, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বেগম রওশন এরশাদের চিঠি তারা আমলে নিচ্ছেন না।
এক বিবৃতিতে, রওশন বুধবার পার্টির চেয়ারম্যানের গঠনতন্ত্রের ধারা ২০/১/ক দ্বারা প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ‘স্থগিত’ করে এবং মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ দল থেকে অব্যাহতি, বহিষ্কার ও কমিটি থেকে বাদ দেয়া সব নেতাকর্মীদের পার্টিতে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।
তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বরখাস্ত ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। কিন্তু দলীয় সনদ অনুযায়ী এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রওশন এরশাদের নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র ও ২০ ধারা নিয়ে রাঙ্গার বক্তব্য পরস্পরবিরোধী।
তিনি আরও বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ দলীয় সনদের একই ধারা ব্যবহার করে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে রাঙ্গাকে সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। ‘তিনি সংবিধানের ওই ধারার সুবিধাভোগী ছিলেন। তখন মশিউর রহমান রাঙ্গা এই ধারার বিরোধিতা করেননি।’
এছাড়াও চুন্নু বলেন, রাঙ্গা ২০১৮ সালের কাউন্সিলের আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন। ‘সংবিধানটি কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল এবং সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন ও কাউন্সিলের পরে প্রায় দুই বছর এই সংবিধান অনুযায়ী মশিউর রহমান রাঙ্গা মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কখনো এই সংবিধানের কোনো ধারার বিরোধিতা বা আপত্তি করেননি।’
আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি নিয়ে অসন্তোষের কোনো সুযোগ নেই: চুন্নু