������������������������
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নতুন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ২৮ জুলাই বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ জুলাই জেলা শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করবে দলটি। এ ছাড়া আগামী ১ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ করবে বলে জানানো হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, দলের আমীর শফিকুর রহমানসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দাবিতে সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: জামায়াত সম্পর্কে মার্কিন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের নিন্দা মানবাধিকার কর্মীদের
তিনি বলেন, একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা জরুরি।
তিনি নির্বাচনী প্রার্থীদের আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে সরকারের নির্বাচনের প্রস্তুতির সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ।
এ ছাড়া তিনি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এমনভাবে প্রশাসনকে সাজানোর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রামে মিটিং ও মিছিল করার জন্য দলের “স্বাধীনতার অভাব” ছিল বলে অভিযোগ করেন জামায়াতের এ নেতা।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হচ্ছে।
দেশে বিগত নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে সরকার প্রমাণ করেছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডক্টর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আবদুর রহমান মুসা, সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের একযোগে পদত্যাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনৈতিকতা ও আইন লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ২১ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন নেতারা।
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ ইউনিটের সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের সাংগঠনিক গঠনতন্ত্রের ৮ অনুচ্ছেদের ১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তাই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের নেতাকর্মীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের অভিযোগ আমলে নেন নি।’
তাদের পদে বহাল থাকা নেতাদের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে গণ অধিকার পরিষদ
তিনি আরও বলেন, ‘তারা সাংগঠনিক নীতিমালা লঙ্ঘন করায় তাদের পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে গেছে। কিন্তু ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং জিএস আরিফুল ইসলাম আদিব এখনও তাদের পদে বহাল রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এটা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নেতাকর্মীরা একযোগে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করছি।’
এর আগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা করা হলেও কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের মাতৃ সংগঠন 'গণ অধিকার পরিষদ'-এর প্রতি অন্ধ অভিযোগে কমিটি সম্মিলিতভাবে পদত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: নুর-সমর্থকরা তালাবদ্ধ অফিসে প্রবেশের চেষ্টা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর, সম্পাদক রাশেদ
নুর-সমর্থকরা তালাবদ্ধ অফিসে প্রবেশের চেষ্টা
নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সমর্থকদের নিয়ে নিজের অফিসের গেট ভেঙে ফেলেছেন। অভিযোগ উঠেছে যে ভাড়া বকেয়া থাকায় ভবনের মালিক তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তবে ভবনের মালিক বলেছেন যে তিনি বারবার তাদের প্রায় ১৭মাস ধরে বকেয়া মাসিক ভাড়া দিতে বলেছেন।
এদিকে যখন নুরের সমর্থকরা গেট ভাঙার চেষ্টা করছিল তখন নিজের নিজের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
‘মাসিক ভাড়া পরিশোধ না করার’ প্রতিক্রিয়ায় জামান টাওয়ারের মালিক গতকাল ভোরে পার্টি অফিসে তালা দেন।
আরও পড়ুন: নুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি রেজা কিবরিয়ার
সকালে নুর ও তার সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।’
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নুর একটি দলকে অফিসের গেটের দিকে নিয়ে যায় এবং তালাবদ্ধ কলাপসিবল গেট ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে নূরকে তার নিজের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে পরে হাসপাতালে যেতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: নুর ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে ৩ বার সাক্ষাৎ করেছেন: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
ভবন মালিক মিয়া মসিউজ্জামান একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা বারবার ভাড়া দেওয়ার অনুরোধ করা সত্ত্বেও, নুর এবং তার সমর্থকরা কয়েক মাস ধরে তা দিতে অস্বীকার করেছিল।’‘তারা বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করেনি। আমি সংযোগ কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নূর আমাকে ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিয়েছিল।’
ভবন মালিক আরও বলেন, ‘তিনি আমাকে হুমকিতে আমি উদ্বিগ্ন হয়েছিলাম যে নূর ও তার অনুসারীরা জোর করে জায়গা দখল করে মালিকানা দাবি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর, সম্পাদক রাশেদ
শুক্রবার সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীকে শুক্রবার সিলেট নগরীতে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইলিয়াস শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, সহিংসতার আশঙ্কায় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, পুলিশ জামায়াতের আবেদন গ্রহণ করেছে এবং তা যাচাই-বাছাই করে তাদের সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২২ জুলাই সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
গত ১৬ জুলাই শুক্রবার (২১ জুলাই) নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল জামায়াতের সিলেট মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২১ জুলাই সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের
বিএনপি নেতাদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিভিন্ন দেশে বিএনপি নেতাদের পাচার করা অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতার টাকা (বিদেশি ব্যাংকে) জমে আছে। আমরা ধীরে ধীরে এগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের ‘দুর্নীতির’ সমালোচনা করে তিনি বলেন, সড়ক খাতে দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক বিএনপির শাসনামলে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সাতরাস্তা মোড়ে আ.লীগের শান্তি মিছিলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার আগেই বিদেশিরা এবং একজন এফবিআই এজেন্ট তারেকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় সাক্ষ্য দেন।
তিনি বলেন, তাদের (তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো) বিদেশে পাচারের পরিমাণ থেকে সরকার ৪০ কোটি টাকা ফেরত দিতে পেরেছে। ‘কিন্তু সমস্যা হলো তারা টাকা যে দেশে জমা করেছে সেখান থেকে টাকা ফেরত আনা একটি কঠিন বিষয়। দেশগুলো টাকা ছাড়তে চায় না।’
তার সরকারের সাফল্যের প্রতি আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।
তিনি বলেন,‘আমরা অন্তত দাবি করতে পারি গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ অনেক বদলে গেছে। আপনি অবশ্যই এটি উপলব্ধি করতে পারেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সফলভাবে দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে এখন ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক এক শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
তিনি বলেন, সরকার ফসল, মাছ, মাংস ও শাকসবজিসহ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি ৬ লাখ ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে আধা-পাকা ঘর করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ১৪ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ধান ও অন্যান্য ফসলের কোনো অভাব নেই।
সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বেকারত্বের হার মাত্র ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বেকারত্বের হার আরও কমিয়ে আনতে তরুণদের বিভিন্ন উদ্দীপনা প্যাকেজ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা শুধু বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, এর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যও ব্যাপক কাজ করেছি এবং বাস্তবায়ন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
আরও পড়ুন: দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
দলীয় বিদ্রোহী তারেককে ‘মারধরের’ অভিযোগ নূর সমর্থকদের বিরুদ্ধে
গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সমর্থকরা দলটির বিদ্রোহী নেতা তারেক রহমানকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় সাইফুল ও নুরসহ তিনজনকে আসামি করে পল্টন থানায় একটি মামলা হয়েছে।
নূরের চাচাতো ভাই ও ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সাইফুল তারেকের মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর তারেক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আগের দিন, রেজা কিবরিয়া ও নূরের নেতৃত্বে উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলনের সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
কয়েকদিন আগে তারেক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় নুরের অন্য একজন সমর্থকের একটি অডিও রেকর্ডিং মোবাইলে শোনান। যেখানে তাকে সরাসরি তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশিদের দান করা অর্থ আত্মসাৎ করা এবং ‘দল পরিচালনায় নূরের স্বৈরাচারী স্বভাব’ নিয়ে তারেক ও নূরের মধ্যে সাম্প্রতিক বিবাদ বেড়েছে নূরের।
গতকাল রাতে দলীয় কার্যালয়ে মিটিংয়ে অংশ নিয়ে মোটরসাইকেল স্টার্ট দেওয়ার সময় সাইফুল ও নূরের দেহরক্ষী তাকে ধাক্কা দেন।
তারেক বলেন,‘তারা প্রথমে জিজ্ঞেস করে যে আমি কেন নূরের পক্ষ থেকে পাঠানো অনুদান লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি, তারপর তারা আমাকে নির্বিচারে চড় ও লাথি মেরেছে।’
আরও পড়ুন: রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ
তারেক আরও বলেন, ‘আমি যখন বাইকটি স্টার্ট করছিলাম, তখন সাইফুলের নেতৃত্বে একটি দল আমার ওপর হামলা করে এবং তারা আমাকে সতর্ক করে যে আমি যদি নূরের বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকি তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে।’
রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের নেতা তারেক। তিনি নূরের সমালোচকও। তিনি পরবর্তীতে দলীয় তহবিল আত্মসাৎ, ইসরায়েলি নাগরিক মেন্ডি এন সাফাদির সঙ্গে তার বৈঠকের নিয়ে লুকোচুরির বিষয় দিয়ে দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা এবং স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে পার্টি পরিচালনার অভিযোগ তুলেছেন।
আরও পড়ুন: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর, সম্পাদক রাশেদ
ইসি’র নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২টি রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) রবিবার নতুন দুটি রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদসহ দশটি দল নিবন্ধনের দৌড় থেকে বাদ পড়েছিল। নিবন্ধন চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে মাত্র দুজনই পরবর্তী রাউন্ডের বাছাইয়ে অংশ নিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিশন সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
তিনি বলেন, ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন নিয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কিনা তা জানতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিবন্ধনের আবেদন করা দুই পক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় বাদ পড়া রাজনৈতিক দলগুলো হলো- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট (বিএইচপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২২ জুলাই সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে সমাবেশ থেকে দূরে থাকা জামায়াতে ইসলামী আগামী ২২ জুলাই চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
১০ দফা দাবিতে ডাকা এ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদন করেছে দলটি।
সমাবেশের অনুমতির জন্য শনিবার (১৫ জুলাই) সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান দলটির ১৩ আইনজীবী। তবে সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তাদের দেখা হয়নি।
জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুলাইর সমাবেশের অনুমতি নিতে শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি দল নগরের দামপাড়াস্থ সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে যান। এ সময় কার্যালয়ের মূল ফটকে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের ফটকের কাছে বিশ্রামাগারে বসতে দেন। পরে কমিশনার কার্যালয় থেকে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের দু’জনকে কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২১ জুলাই সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের
এরপর চট্টগ্রাম জেলা বারের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন ও অ্যাডভোকেট শামসুল আলম সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে যান। তবে সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তাদের দেখা হয়নি, আবেদন পত্রটি জমা দিয়ে এসেছেন।
লালদীঘি মাঠে জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা সিএমপি কমিশনারের কাছে যখন যাই তখন তিনি কনফারেন্স রুমে একটি মিটিংয়ে ছিলেন। এ সময় আমাদের চিঠিটি অফিসিয়ালি গ্রহণ করা হয়েছে। চিঠির একটি রিসিভিং কপি আমাদের দেওয়া হয়।’
সিএমপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে শামসুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম ওলামাদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২২ জুলাই লালদীঘি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগাযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ সমাবেশ সৃশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে চায় জামায়াত। সমাবেশের অনুমতির জন্য জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলাম। আমাদের চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে। সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি পরে জানানো হবে বলে সিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, আগামী ২২ জুলাই জামায়াত চট্টগ্রামে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে সিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন জমা দিয়েছে শুনেছি। আমরা মিটিংয়ে থাকায় বিস্তারিত জানাতে পারছি না।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
সিলেটে ২১ জুলাই সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের
সিলেট নগরীর রেজিস্টারি মাঠে ২১ জুলাই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার দুপুরে সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন যে সিলেট মহানগর জামায়াতের ১০ দফা দাবি নিয়ে আজ (১৫ জুলাই) সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করার কথা থাকলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তা করা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, জেলা উত্তরের আমীর হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান, মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগাযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর, সম্পাদক রাশেদ
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাশেদ খান।
সোমবার (১০ জুলাই) রাতে ভোট গণনা শেষে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ডের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরিফুল ইসলাম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে নুরুল হক নুর গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব এবং রাশেদ খান ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ছিলেন।
পুরানা পল্টনে প্রতীম-জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২টা থেকে টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এ সময়, ভোটে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন ২০২৩-২৫: পরবর্তী সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মাহবুবুল আলমের নাম ঘোষণা করলেন সাবেক সভাপতিরা
সভাপতি পদে নুরুল হক নুর ছাড়াও ছিলেন বায়েজীদ হোসেন শাহেদ ও নাজম-উস-সাকিব।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেনে মো. রাশেদ খান, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, জিলু খান ও হাসান আল মামুন।
নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ২১৬ জন। এর মধ্যে উচ্চতর পরিষদের ভোটারের সংখ্যা ১২৬। অন্যরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
উচ্চতর পরিষদে আটটি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৮ জন প্রার্থী।
উচ্চতর পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, ‘আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী ও জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক