������������������������
একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
একতরফাভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে অবিলম্বে আরপিওর সাম্প্রতিক সংশোধনী প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার আরেকটি কারচুপি ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই নির্বাচন কমিশনের ভোট স্থগিত করার ক্ষমতা রোধ করা সম্পূর্ণ একটি অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।’
তিনি বলেন, আরপিও সংশোধন কোনোভাবেই দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ‘আমরা অবিলম্বে সংশোধনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।’
অন্যথায়, তারা সরকারকে আরপিও সংশোধনী বাতিল এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিপন্থী সমস্ত পদক্ষেপ এবং আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
গত মঙ্গলবার সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) (সংশোধনী) বিল, ২০২৩' পাস হয়। মূল সংশোধনীর মাধ্যমে ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন যে কোনো সংখ্যায় ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বা ভোট স্থগিত বা বাতিল করতেক পারবে; তবে পুরো নির্বাচনী এলাকা বা পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না।
আরপিও সংশোধনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) যে দায়িত্ব দিয়েছে তার পরিপন্থী বলে দাবি করেন সাইফুল হক।
আরও পড়ুন: ১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার নির্বাচন কমিশনের হাত-পা বেঁধেছে। সরকারের এই পদক্ষেপ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দলের স্বেচ্ছাচারিতা, আধিপত্য ও কর্তৃত্বকে আরও বাড়াবে।’
হক বলেন, আমরা মনে করি আরপিও সংশোধনী বিল পাশ করে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সরকার ভোট চুরির জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি মনে করেন, গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন নিয়ে কমিশনের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো আসনের নির্বাচন বাতিলের ইসির অধিকার সরকার কেড়ে নিয়েছে।
রব বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) বুঝতে পেরেছে যে তারা যদি কোথাও হারে তবে নির্বাচন কমিশন তা মেনে নেবে। তাই, তারা এই সংশোধনী এনেছে। যাতে কমিশন ভবিষ্যতে এটি করতে না পারে এবং তারা ভোট কারচুপি, জালিয়াতি ও ডাকাতির নির্বাচন করতে পারে।’
তিনি বলেন, একজন পাগলও বিশ্বাস করে না যে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আরপিও সংশোধনের পর ইসি এখন কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোট বাতিল করতে পারবে, তবে পুরো ভোট বাতিল করতে পারবে না।
তিনি বলেন, দিনের বেলায় ভোট চুরি করে তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে সরকার এটি একটি সুন্দর ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
রাজশাহী ও সিলেটের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ গ্রহণ
রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
পরে দুই সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ৭৬ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররাও একই স্থানে শপথ নেন।
এর মধ্যে রাজশাহীর ৪০ জন ও সিলেটের ৩৬ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিচ্ছেন নবনির্বাচিত বরিশাল, খুলনা ও গাজীপুর সিটির মেয়ররা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন।
গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুর্শিদ আলমকে ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোটে পরাজিত করেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০টি।
একই দিনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুকে ৫০ হাজার ৩২১ ভোট পরাজিত করেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪টি।
আরও পড়ুন: বরিশালে শপথ গ্রহণের ৫ দিন আগে কাউন্সিলরের মৃত্যু
এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
নুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি রেজা কিবরিয়ার
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণের ‘বেআইনি’ পদক্ষেপের জন্য নুরুল হক নুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ড. রেজা কিবরিয়া।
রবিবার গুলশানের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. রেজা বলেন, তার নেতৃত্বেই গণঅধিকার পরিষদ পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, ‘তিনি (নূর) আমাকে অপসারণ করতে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে আইনত ভোট না নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
ড. রেজা বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক বা সভাপতিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট (৮১ ভোট) প্রয়োজন। ‘এটা ঘটেনি।’
এছাড়া নুর ও তার সহযোগীরা কমিটির কয়েকজন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
রেজা সতর্ক করে বলেন, ‘যারা স্বাক্ষর করেননি সেখানে আপনারা তাদেরও স্বাক্ষর দেখতে পাবেন। এটি একটি গুরুতর বিষয়। সেজন্য আমরা নুরুল হক, রাশেদ খান ও শাকিল উজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল এবং অনিয়মের মাধ্যমে ভোট নেওয়ার জন্য মামলা করব।’
আরও পড়ুন: রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ
তিনি বলেন, তাকে অপসারণের জন্য ভোটের সময় মাত্র ৩৬ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্বাক্ষর করেছিলেন।
রেজা বলেন, ‘আহ্বায়ককে অপসারণ করতে কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১টি ভোটের প্রয়োজন থাকলেও বাকিরা স্বাক্ষর করেননি। তাই তারা আমাকে অপসারণ করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, তিনি দলের আহ্বায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
রেজা আরও বলেন ‘একজন ব্যক্তির জন্য তাদের দল এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমি মনে করি আমরা সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে পারব, কারণ আমাদের দলকে বাঁচানোর জন্য অনেক ভাল লোক রয়েছে।’
এর আগে শনিবার নুরের নেতৃত্বাধীন দল গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে তার পদ থেকে সরিয়ে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে নিয়োগ দেয়।
দলের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রেজাকে অপসারণের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেজা কিবরিয়া অবশ্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
২০২১ সালের ২৬শে অক্টোবর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের মূলমন্ত্র নিয়ে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক এবং ডাকসু’র সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: নুর ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে ৩ বার সাক্ষাৎ করেছেন: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
৭ কর্মদিবসে সাবেক ভিপি নুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজিরের নির্দেশ
রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ
রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে যানবাহনের সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও দলের আহ্বায়ক রেজা তার ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে যুগ্ম আহ্বায়ক-১ রাশেদ খানকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভায় সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
আরও পড়ুন:গণফোরাম ছাড়লেন রেজা কিবরিয়া
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় সভায় আহ্বায়ককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাই দলের উচ্চ পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক (নূর) নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নুর ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে ৩ বার সাক্ষাৎ করেছেন: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
হিন্দুদের ব্যাপারে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের সাম্প্রতিক দাবির নিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাম্প্রতিক দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন যে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা ধীরে ধীরে ‘নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা আরও জানিয়েছেন, বাইডেনের কাছে দেওয়া চিঠিতে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থান সম্পর্কে দেওয়া তথ্য ‘ত্রুটিযুক্ত অনুমান’, বিএনপি নেতাদের এধরনের তথ্য সমর্থন করার প্রবণতা, জাতীয় নির্বাচনের আগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৪ এবং তার আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর বারংবার হামলার কথা উল্লেখ করে তারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকেও দায়ী করেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠির বিরুদ্ধে তার আগের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে এটিকে ‘সত্যের অপলাপ’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন: ‘১৯৭৭ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের ছত্রছায়ায় দেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির নীতিগুলো ধ্বংস হয়ে যায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়া এবং জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন ধারাবাহিক সরকারগুলো সবাই পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক শাসনের প্রবর্তন করে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আলিঙ্গন করে একই পথ ধরে হেঁটেছে।’
দাশগুপ্ত বলেন, মানুষের অবশ্যই ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় হামলার ঘটনা বিবেচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ঘটেছে।
বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা, শিক্ষাবিদ এবং যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারকারীরা সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের অনুমান ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তারা আরও বলেছে যে এটি ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি।’
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসার পর থেকে হিন্দু জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে... শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান জনসংখ্যাকেও নিপীড়ন করেছে; উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেওয়া ও লুটপাট করা, যাজকদের কারাগারে বন্দী করা এবং ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমে পরিবার ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
আর্চবিশপ ইমেরিটাস প্যাট্রিক ডি'রোজারিও এর আগে বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ‘নির্যাতিত’ হিসেবে চিত্রিত করার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
এই ধরনের বক্তব্যকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করে ঢাকার প্রাক্তন আর্চবিশপ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে সরকার ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় ২০০ বিশিষ্ট বাংলাদেশি আমেরিকানদের একটি দল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।’
বাংলাদেশি আমেরিকানদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চিঠিতে ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন জোট হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও সাংবিধানিক পদে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এই আইনি নোটিশ পাঠান।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের কারণে তিনি রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবৈধ, যার ফলে আমার মক্কেলের অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে (এর জন্য আপনি দায়ী)। তাছাড়া, তার খ্যাতি এবং ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
এতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে, আপনি, নোটিশ প্রাপক, উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক বিবৃতি প্রত্যাহার করবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক--প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করবেন।’
‘এছাড়াও, আপনি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার' পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং আমার মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে৫০০ কোটি টাকা দেবেন।’
এতে বলা হয়, ‘অন্যথায়, নোটিশের মেয়াদ শেষে আমার মক্কেল দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যথাযথ আদালতে নোটিশ প্রাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে গণ অধিকার পরিষদ
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ গঠনের প্রায় ২০ মাস পর দলটিতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বে নুরুল হক নুর দলের আহ্বায়ক পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দিয়েছে।
কিবরিয়ার জায়গায় রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করে দলের সদস্য সচিব সাবেক ডাকসু সহ-সভাপতি নুরের অনুসারীরা।
এর জবাবে নুর ও রাশেদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন কিবরিয়া।
দলের দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নুর ও তার সমর্থকরা সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদকে দলের আহ্বায়ক পদে মনোনীত করেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রেসক্রিপশনে কিছু 'নিরপরাধ' জামায়াত নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে সরকার: নূর
বৈঠকে রেজা কিবরিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক বিষয়ের পাশাপাশি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়।’
সম্প্রতি রেজা ও নুর দুজনেই নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একে অপরের বিরুদ্ধে আর্থিক ও সাংগঠনিক বিষয়ে 'স্বচ্ছতার অভাব ও মিথ্যাচারের' অভিযোগ এনে পোস্ট দেওয়ার পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বিভেদ দেখা দেয়।
কম্বোডিয়ায় অবস্থানরত রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দলের অর্থায়ন এবং মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নুরের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাদের দলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, নুর ও রাশেদের আয়ের উৎস দৃশ্যমান নয় এবং তিনি মনে করেন তারা চাঁদাবাজির ওপর ভিত্তি করে জীবনযাপন করছেন।
তিনি বলেন, ‘নুর অহংকার করে নিজেকে দলের প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রধান ঘোষণা করেন এবং দলের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য কাতারসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেন। তবে তিনি কত টাকা সংগ্রহ করেছেন তা প্রকাশ করেননি।’
রেজা বলেন, গত রবিবার গুলশানে দলের এক জরুরি বৈঠকে তিনি আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের কারণ সম্পর্কে নুরের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। পরে একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি দেখা দিলে তিনি সভা মুলতবি করতে বাধ্য হন।
সভা শেষে তিনি বলেন, নুর ও তার সমর্থকরা দল ভাঙার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সিলেটে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল
রেজা বলেন, সিনিয়রসহ দলের ৭৫ শতাংশ নেতাকর্মী তার সঙ্গে আছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নুর ও রাশেদকে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা খুব শিগগিরই আবার বৈঠকে বসব এবং আমাদের দলের নতুন সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করব।’
তবে নুর বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি অভিযোগ করেন, রেজা তার নিজের অপকর্ম, দলবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তার যোগাযোগ আড়াল করতেই এসব অভিযোগ এনেছেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার স্লোগান নিয়ে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে সদস্য সচিব করে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ গঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৭ কর্মদিবসে সাবেক ভিপি নুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজিরের নির্দেশ
১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবি জানাতে আগামী ১৯-২১ জুলাই রাজধানী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে সাত সমমনা দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
রোডমার্চের আগে বিরোধী জোট তাদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন জোগাতে জেলা শহর ও মহানগরে সমাবেশ এবং রাজধানীতে রোডমার্চ করবে।
জোটের অন্যতম সংগঠন রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম সোমবার সচিবালয়ের দিকে বিক্ষোভ করার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারসহ আমাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১৯ থেকে ২১ জুলাই আমরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করব।
এর আগে, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা ৪-৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী রোডমার্চ করেন, সেই সময় বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন তারা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
যেকোনো মূল্যে সরকার পতনের অঙ্গীকার চরমোনাই পীরের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর সাহেব) শুক্রবার বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে দেশকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রেজাউল করীম বলেন, দেশ আজকে হুমকির মুখে। আজকে দেশ কিন্তু পরদেশের তাবেদারীতে চলে গেছে। ওখান থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আমাদের বাংলাদেশে সেভাবে বাস্তবায়ন হয়। মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন দিয়েছি। আমরাই দেশকে রক্ষা ও জালেমদের উৎখাত করতে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করবো।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দলের নায়েবে আমীর ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার ও ইসির পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার বিকালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: শায়েখে চরমোনাইয়ের ব্যাংক হিসাব তলব ষড়যন্ত্রমূলক: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ
এসময় সিইসির পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে দলকে মজবুতের লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু বরিশাল সিটি নির্বাচনে বর্তমান সরকার, ইসি ও প্রশাসন যা করেছে তা বিশ্বে কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি এই সিইসির নিন্দা করি।’
তিনি আরও বলেন, তাদের কথা এবং কার্যক্রমে লক্ষ্য করেছি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্যই ফয়জুলের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমার পানির স্রোতে ভেসে আসিনি। এই জালেম সরকারকে বাংলার মানুষ উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। তাই আসুন আমরা সবাই একত্রে জালেম, ভোটচোর, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে সভাস্থলে জড়ো হন। এসময় তারা সিইসি’র কুশপুত্তলিকা ও কফিন নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সভাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের ‘স্বার্থবিরোধী’ চুক্তি জনগণ মেনে নিতে পারে না: পীর চরমোনাই
ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে চক্রান্ত বললেন চরমোনাই পীর
সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম এর ওপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন কাংলাদেশ।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা শহরের নছর উদ্দিন মার্কেটের মাঠে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে দলটি।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর ওপর হামলা মেনে নেবার মতো নয়। অবিলম্বে দ্রুত দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে নিবার্চন না হওয়া ও তাদের প্রার্থীকে মৃত বলার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি)পদত্যাগও করতে হবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ
এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি মাওলানা নুরে আলম সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক আইমানিক, যুব আন্দোলনের সভাপতি আশিকুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের