���������������
বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের পরিণত মেলবন্ধনের মায়ায় কিংবদন্তিতে রূপ নেয় ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো। আক্ষরিক অর্থে না হলেও সুদূর অতীতকে অনুভব করার এক চমৎকার উপায় এই ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসমূহ। বাংলাদেশ তেমনি প্রাচীন বিস্ময়ে পরিপূর্ণ গর্বিত এক দেশ। নিছক পরিব্রাজক, ইতিহাস-ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক, নির্বিশেষে সবাইকে আকর্ষণ করে এই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আশ্রয়স্থলটি। তাই বাংলাদেশের ১৫টি বিশ্ব সেরা ঐতিহ্যবাহী স্থান নিয়ে করা আজকের আয়োজনটি যে কোনো ভ্রমণপিপাসুর ভ্রমণের রসদ যোগাবে।
ঐতিহাসিক গুণসম্পন্ন বাংলাদেশের ১৫টি বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্থান
সোমপুর মহাবিহার
নওগাঁর পাহাড়পুরের এই বৌদ্ধ বিহারটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অষ্টম শতাব্দীতে পাল সাম্রাজ্যের শাসনামলে এবং ১৯৮৫ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে থাই এয়ারওয়েজের ডাবল ফ্লাইট শুরু ১৬ জুলাই
চলতি মাসের ১৬ জুলাই থেকে ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন ডাবল ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে থাই এয়ারওয়েজ। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে দিনে ও রাতে বিরতিহীনভাবে ১৪টি ফ্লাইট চলানোর পরিকল্পনা জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানান থাই এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ।
আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে আগে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট ছিল। এখন থেকে ডাবল ফ্লাইট সুবিধা পেতে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, প্রতিদিন ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে এবং ঢাকা থেকে ব্যাংককে রওনা হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
তিনি আরও বলেন, দিনে ডাবল ফ্লাইটগুলো চলবে এয়ারক্রাফট বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার অথবা বোয়িং ৭৭২ দিয়ে। যাতে থাকবে ৩০টি বিজনেস ও ২৬২টি ইকোনোমি ক্লাসের সিট।
তিনি জানান, ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। একই রাতে আবারও ঢাকা থেকে ব্যাংককের ফ্লাইটে যাওয়া যাবে। যা ব্যাংককে পৌঁছাবে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে। রাতের ফ্লাইটগুলো মডার্ন এয়ারবাস এ৩২০-২০০ তে পরিচালনা করা হবে। যাতে থাকবে ১৬৮টি ইকোনমি ক্লাসের সিট।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে ডাবল ফ্লাইট চালু উপলক্ষে ‘হ্যাপি জুলাই' নামে বিশেষ ছাড় রয়েছে। এতে দুজন এক সাথে ভ্রমণ করলে ৩০ কেজি লাগেজ ফ্রিতে বহনের সুবিধা পাবেন। এশিয়া, উত্তর এশিয়া, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া রুটে ভ্রমণকারীরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন। থাই এয়ারওয়েজে হালাল খাবারের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া যেকোনো যাত্রী আগে থেকে কী খাবার খেতে চান তাও তিনি নির্বাচন করে রাখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, থাই এয়ারওয়েজ বর্তমানে ঢাকা থেকে ব্যাংকক ছাড়াও সেখান থেকে দেশটির বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অফিসে থাই এয়ারওয়েজের সেলস ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এয়ার গ্যালাক্সির আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রণয়ন করা হয়নি।
গত বছর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছিলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন হবে।
২০২২ সালের ৫ অক্টোবর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘এই বছরের ডিসেম্বরে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হবে এবং এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন খাত একটি নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, পর্যটন মাস্টারপ্ল্যানটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাপরিকল্পনার খসড়া প্রস্তুত রয়েছে। স্টেকহোল্ডাররা তাদের অনুমোদন দিলেই তা চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ মনিটরের (একটি ভ্রমণ বাণিজ্য প্রকাশনা) সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম অবিলম্বে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পর্যটন উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়। শিগগিরই একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন শিল্প: প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ভিসা জটিলতার মতো সমস্যাগুলো মাস্টারপ্ল্যানে সমাধান করা দরকার।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো সময়োপযোগী পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্প আমলাতান্ত্রিক এবং বিশৃঙ্খলভাবে কাজ করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো পর্যটন পেশাদার নেই।’
তিনি পর্যটকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) মহাসচিব তৌফিক রহমান আরও ভালো আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের জন্য বলেছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, মহাপরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিচ্ছি। আমরা তাদের পরামর্শগুলো সামঞ্জস্য করার পরে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
‘পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে তা জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে ‘ বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পর্যটন খাতের তত্ত্বাবধানের জন্য প্রতিটি জেলায় পাঁচজন অতিরিক্ত জেলা কমিশনারের মধ্যে একজনকে নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করছি।’
তিনি আরও বলেন যে সরকার পর্যটকদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য কাজ করছে।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবালের সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ৩০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান চুক্তি সই করেছে। মাস্টারপ্ল্যানের কার্যক্রম ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল এবং ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এটি সময়মতো সম্পন্ন হয়নি এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। ভ্যাট এবং এআইটি সহ মোট চুক্তির মূল্য প্রায় ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন নাজমুন নাহার। ভ্রমণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী নাজমুন নাহার বিশ্ব মানচিত্রে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সকল বাধা-বিঘ্নকে অতিক্রম করে নারীর অগ্রযাত্রায় আজও যারা অবদান রাখছেন, তাদেরই একজন আমাদের গর্বিত নারী নাজমুন নাহার।
বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে যিনি পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ একাকী সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন। ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নাজমুন নাহার ১৬০ তম দেশ হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পূণ্যভূমি সৌদি আরবের মাটিতে পা রাখেন।
এরই মধ্যে তিনি দেশটির বিভিন্ন শহর যেমন- রিয়াদ, জেদ্দা ও মক্কা সফর করেন এবং ওমরাহ পালন করেন। তারপর নিজ দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। তিনি বিশ্ব শান্তির বার্তা ও পরিবেশ সচেতনতায় তরুণ ও শিশুদেরকে উৎসাহিত করেন।
দেশে ফিরেই ২৪ শে ফেব্রুয়ারি রোটার্যাক্ট দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলনে নাজমুন নাহার দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধির সামনে তার বিশ্ব ভ্রমণের সাহসিকতার গল্প তুলে ধরেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাকে বহন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী তরুণদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এই সম্মেলনে সকল প্রতিনিধিদের সামনে রোটেশিয়ার পক্ষ থেকে নাজমুন নাহারকে বিশেষ সম্মাননা ‘রোটেশিয়া লেজেন্ডস অ্যাওয়ার্ড’- দেয়া হয়।
বন- জঙ্গল, পর্বতমালা, মহাসমুদ্র, মরুভূমির লাখ লাখ মাইল একাকী পাড়ি দিয়ে আসা তার বিশ্বভ্রমণের এই অভিযাত্রাকে অভিনন্দিত করেন এশিয়া থেকে আসা সকল প্রতিনিধিরা।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন আয়োজিত 'মিট দ্য সেলিব্রেটি’- সেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে আসা তরুণ ডিবেটারদেরকে উৎসাহিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
মার্কিন ডলারের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এবং বিনিময় হারের ওঠানামায় বাংলাদেশি যাত্রীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মার্কিন ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আপনার কি দেশের বাইরে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত? এই ডলার সংকট মোকাবিলা করার কি কোনো উপায় আছে? মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশ ভ্রমণের কিছু বিকল্প উপায় দেখে নেয়া যাক।
কেন আপনার মার্কিন ডলার কেনার বিকল্প মাথায় রাখা উচিত
বিদেশ ভ্রমণ একদিকে যেমন উত্তেজনাপূর্ণ ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে; তেমনি এটি ব্যয়বহুলও। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সবচেয়ে বড় খরচ হল বাংলাদেশি টাকাকে আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করার খরচ। তবে ভ্রমণকারীরা সাধারণত যে কোনো দেশে যাওয়ার সময় মার্কিন ডলার সঙ্গে রাখে।
মার্কিন ডলারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেইজ কারেন্সির তোয়াক্কা না করে বিনিময় হারকে উচ্চ করে তুলেছে। তাই ভ্রমণকারীদের বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও সাশ্রয়ী হবে।
আরো পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণের উপায়
• ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক কার্ডের (ডলার-সমর্থিত ভিসা/মাস্টারকার্ড) মাধ্যমে ডলার নেয়ার পরামর্শ দেয়। ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণে তারা এই পরামর্শ দিয়েছে। খোলাবাজারে নগদ ডলারের দামের সঙ্গে বর্তমানে ব্যাংকের ব্যবধান ১০ টাকার বেশি।
আপনার ক্রেডিট কার্ডে ডলার অনুমোদন (এনডোর্স) করা সাশ্রয়ী। বর্তমান পরিস্থিতিতে এতে আপনার প্রতি মার্কিন ডলারে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ টাকা সাশ্রয় করতে পারে। তবে বর্তমানে নগদ ও কার্ড অনুমোদনের বিনিময় হার একই ১০৬ টাকা (১২ জানুয়ারি পর্যন্ত)।
২০২২ সালের আগস্ট মাসের একটি খবর অনুযায়ী, খোলা বাজারে তখন ১ ডলার কিনতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ হতো, অন্যদিকে ব্যাংক বা কার্ডের মাধ্যমে ডলার কিনতে ৯৫ টাকা লাগতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সে সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিচ্ছি যে তারা তাদের ব্যাংক থেকে নগদ টাকার পরিবর্তে ট্রাভেল কার্ড দিতে অনুরোধ করুন। যাতে তাদের কম টাকা খরচ হয়।’
আরো পড়ুন: ঘুরে আসুন মালদ্বীপ: অপরূপ এক দ্বীপদেশ ভ্রমণ গাইড
• আপনার ভ্রমণ গন্তব্যের স্থানীয় মুদ্রা কিনুন
আপনি যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানকার স্থানীয় মুদ্রা কেনা আপনার বিনিময় খরচ কমাতে পারে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় হারও বেড়েছে।
তাই আপনি পরীক্ষা করতে পারেন যে আপনার গন্তব্য দেশের মুদ্রা কেনার খরচ কমছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ভারতে ভ্রমণ করেন, বাংলাদেশ থেকে রুপি কিনলে আপনি মার্কিন ডলারে রূপান্তরিত করার চেয়ে বেশি মুদ্রা পেতে পারেন।
• ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করুন
অনেক দেশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেট গ্রহণ করে। যেমন- অ্যাপল পে ও গুগল ওয়ালেট। আপনি যদি এই ধরনের লেনদেন চলে এমন কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার মুদ্রাকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়বে না। একটি তৃতীয় পক্ষের পরিষেবা ব্যবহার করে আপনি মুদ্রা লোড করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
• বিদেশি এটিএম এর সুবিধা নিন
আপনি যখন অন্য কোনো দেশে থাকেন, তখন এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলা, ব্যাংক বা কারেন্সি এক্সচেঞ্জের দোকানে কারেন্সি কনভার্ট করার চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে। আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে ডলার-সমর্থিত কার্ড থাকে, তাহলে আপনি স্থানীয় এটিএম ব্যবহার করে যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানে টাকা তুলতে পারবেন।
তবে, আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সেখানে আপনার কার্ড কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং বিদেশি এটিএম ব্যবহার করার জন্য ফি আছে কিনা তা জেনে নিন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
নদীমাতৃক বাংলাদেশে দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার ব্যাপারে যে কোনো বয়সের ভ্রমণপিপাসুদের মনেই প্রথম যে নামটি আসে তা হল সেন্টমার্টিন দ্বীপ। হাজারো পর্যটকের বিস্ময়ের ফেনিল সাগরের বুকে জেগে ওঠা এই একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির অবস্থান দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সর্ব দক্ষিণে।
কক্সবাজারের টেকনাফ জেটি থেকে জাহাজে করে প্রায় দুই ঘন্টার অন্তহীন জলপথ পাড়ি দেবার সময় দৃষ্টি সীমানায় জাদুর মতো ভেসে উঠবে তিন বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ছোট্ট দ্বীপটি। দেশের ভেতরে ও বাইরের পর্যটকদের জন্য অতি আকর্ষণীয় এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবারে ভ্রমণ ফিচার।
সেন্টমার্টিন নামটির পেছনের গল্প
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা কামাল পাশার মতে, আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের সময় দ্বীপটি আরবের ব্যবসায়ীদের নজরে আসে। সওদাগররা সে সময় দ্বীপটির নাম দিয়েছিলেন জাজিরা; মানে উপদ্বীপ। পরে স্থানীয়রা একে ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ বলতে শুরু করে, যার অর্থ ‘নারকেলের দ্বীপ’।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০০ সালে ভূমি জরিপের সময় দ্বীপটি ব্রিটিশ-ভারতের এখতিয়ারভুক্ত হয়। কামাল পাশার সহকর্মী অধ্যাপক বখতিয়ার উদ্দিন দাবি করেন যে, চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মার্টিনের নামে নামকরণ করা হয়েছিল দ্বীপটির। কিন্তু বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মার্টিন নামের লোকটি ছিলেন মূলত একজন খ্রিস্টান সাধু। আর এই সাধুর নামটাই পরবর্তীতে যুক্ত হয়ে যায় দ্বীপের নামের সঙ্গে।
নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
শুধুমাত্র কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটানোই নয়, ফেনিল সাগরের মাঝে কোনো দ্বীপ ভ্রমণ করা শরীর ও মন দুটোর জন্যই স্বাস্থ্যকর। দ্বীপের সৈকতে এসে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের শব্দ যে কোনো মনের অস্থিরতাকে শান্ত করতে সক্ষম। তাছাড়া দ্বীপের সুস্থ কোলাহল অতি বার্ধক্যে পীড়িত মানুষের ভেতর থেকেও বের করে আনতে পারে শিশুসুলভ চঞ্চলতা। দ্বীপদেশ না হলেও নদীমাতৃক বাংলাদেশের আঙ্গিনার চরগুলো এই অভিজ্ঞতার ষোল আনাই পূরণ করতে পারে। আজকের আয়োজনে থাকছে সেরকম একটি অকৃত্রিম জায়গা- নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের নানা দিক।
নিঝুম দ্বীপ: সাগরের মাঝে এক টুকরো স্বর্গ
বাংলাদেশের দক্ষিণের বিভাগ চট্টগ্রামের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত হাতিয়া উপজেলার ছোট একটি দ্বীপ এই নিঝুম দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরের বুকে মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা এই চরটি হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। চর ওসমান, বাউল্লারচর, কামলার চর, ও মৌলভির চর- এই চার চর নিয়ে পুরো নিঝুম দ্বীপ।
প্রায় ১৪ হাজার ৫০ একরের এই দ্বীপটি সাগরের মাঝখানে জেগে ওঠে ১৯৪০ সালে। তারও প্রায় এক দশক পড় গড়ে ওঠে জনবসতি। দ্বীপটিকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল। ২০১৩ সালে হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র একটি ইউনিয়নের মর্যাদা পায় নিঝুম দ্বীপ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
নিঝুম দ্বীপের নামকরণ
জনবসতি গড়ে ওঠার একদম শুরুর দিকে এই দ্বীপের নাম ছিল চর ওসমান ও বাউল্লার চর। লোকমুখে শোনা যায়, এখানে বসতি গড়া প্রথম মানুষটির নাম ওসমান। তিনি ছিলেন একজন বাথানিয়া; আর তখন তার নামানুসারেই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছিল। শুধু সৈকতই নয়, দ্বীপের মাটিও বালুতে চিকচিক করতো। দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে দেখা যেতো বালুর ঢিবি বা টিলার মতো জায়গা। আর এই কারণেই বাইল্যার ডেইল বা বাউল্লার চর শব্দগুলো এই দ্বীপের নামের সঙ্গে জুড়ে যায়। এমনকি এখনও নিঝুম দ্বীপের অবস্থান জানার জন্য স্থানীয়দেরকে বাইল্যার ডেইল বা বাউল্লার চরের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে হয়।
প্রথম বসতি গড়ের ওঠার সময় চরে প্রচুর চিংড়ি পাওয়া যেতো। চিংড়ির স্থানীয় নাম ইছা; তাই স্থানীয়দের কেউ কেউ একে ইছামতির চরও বলতো। ১৯৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপটি একদম জনমানব শূন্য হয়ে যায়। ঝড় শেষে হাতিয়ার তৎকালীন সংসদ সদস্য আমিরুল ইসলাম কালাম দ্বীপটিতে পরিদর্শনে গিয়ে নাম বদলে দ্বীপের নাম নিঝুম রাখেন।
নিঝুম দ্বীপের দর্শনীয় স্থানসমূহ
নিঝুম দ্বীপের বিশেষত্ব হচ্ছে চিত্রা হরিণ ও শীতকালের অতিথি পাখি। একসঙ্গে এতো চিত্রা হরিণ দেশের আর কোথাও দেখা যায় না। আর সন্ধ্যা নামলেই শিয়ালের ডাক শিরদাঁড়া দিয়ে রোমাঞ্চের ঢেউ তোলে।
পাখি, হরিণ দেখতে হলে খুব ভোরে উঠতে হবে। আগে থেকেই কোনো স্থানীয় গাইডকে বলে রাখা যেতে পারে। তাহলে সঠিক জায়গায় যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। স্থানীয় ছোট ছোট ছেলেরাই গাইডের কাজ করে। ওরাই সাধারণত পর্যটকদের ম্যানগ্রোভ বনের হরিণ দেখিয়ে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য এখানকার সেরা জায়গা নামা বাজার সৈকত। নামা বাজার থেকে পায়ে হেটে ১০ মিনিটের মধ্যেই সৈকতে পৌঁছা যায়। বারবিকিউয়ের জন্যও এ জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়।
নিঝুম দ্বীপ ছাড়া পাখিদের মেলা বসে পাশের দ্বীপ কবিরাজের চর ও দমার চরে। পড়ন্ত বিকেলে কবিরাজের চরের কাছে চৌধুরীর খাল দিয়ে নৌকা করে কিছু দূর গেলেই চোখে পড়বে চিত্রা হরিণ। ট্রলার রিজার্ভ করা হলে মাঝিই হরিণ দেখিয়ে নিয়ে আসতে পারবে। ১০ থেকে ১৫ জনের জন্য ট্রলার ভাড়া পড়তে পারে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।
তাজা ইলিশ খাওয়ার জন্য কমলার দ্বীপ সেরা জায়গা। জাতীয় উদ্যান এলাকা থেকে সাগর ঘোরার জন্য ৪০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ফাইবার বোট ভাড়া দেয়া হয়।
শীতের অতিথি পাখি দেখার জন্য এখানকার আরো একটি দর্শনীয় জায়গা হচ্ছে ভার্জিন আইল্যান্ড। দমার চরের দক্ষিণে নতুন সৈকতটিই ভার্জিন আইল্যান্ড। দমার চর ঘুরে আসতে হলে ট্রলার ভাড়া পড়বে প্রায় তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা। নিঝুম দ্বীপ থেকে একটু দূরের পথে দেখা মিলবে ভোলার ঢালচর আর চর কুকরি-মুকরি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণ গাইড: ঘুরে আসুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্দর নগরী
নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময়
নিঝুম দ্বীপের সৌন্দর্য্যে আপাদমস্তক অবগাহন করার জন্য শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে শীত ও বসন্তকাল। হেমন্তের শেষলগ্নে তথা অক্টোবর থেকে এপ্রিলের ঠিক মাঝামাঝি সময়টাই উপযুক্ত সময়। এ সময় রাস্তাঘাট শুকনো থাকায় আশেপাশের যে কোনো জায়গায় যাওয়া যাবে। এছাড়া হরিণ দেখার জন্য বনের পথে হাটতে সুবিধা হবে।
বর্ষাকালে গেলে হাটু সমান কাদায় পুরো দ্বীপ হেটে ঘুরতে হবে। যানবাহন নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হবে। তবে ভোসন রসিকদের জন্য সুখবর হল যে এ সময়টাতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় সেখানে। এছাড়া বছরের বাকিটা সময় মেঘনা নদী ও সাগর অনেক উত্তাল থাকে।
ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উপায়
সাগরের মাঝখানে হওয়ায় নিঝুম দ্বীপের উদ্দেশে যাত্রার শুরুটা সড়ক পথে হলেও শেষব্দি জলপথ ব্যবহার করতেই হবে। বাসে চড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল অথবা ধানমন্ডির জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। বাসের ধরণের উপর ভিত্তি করে এসব বাসে ভাড়া পড়তে পারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি মনোরম জায়গা
কুমিল্লার ১০ দর্শনীয় স্থান
কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ সমৃদ্ধ শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত ঐতিহাসিক এই জেলাটি সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আশ্রয়স্থল। অনেক অনেক আগে এই জেলা সমতট জনপদের অংশ ছিল। কালক্রমে এটি ত্রিপুরা রাজ্যভুক্ত হয়। কুমিল্লা নামটি এসেছে কমলাঙ্ক শব্দ থেকে, যার অর্থ পদ্মের পুকুর। কুমিল্লার পর্যটন আকর্ষণগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হয় বাংলাদেশ। এখানে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈন্যদের কবরস্থানটি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আজকের নিবন্ধটি এই গুরুত্বপূর্ণ জেলা কুমিল্লার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে।
কুমিল্লা জেলার ১০টি প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থান
শালবন বৌদ্ধ বিহার
এক সময়কার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের প্রধান উপাসনালয় শালবন বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান কুমিল্লার কোটবাড়িতে। এখানকার বনে প্রচুর পরিমাণে শাল গাছ থাকায় স্বভাবতই বিহারটির শালবন বিহার নাম হয়েছে। বিহারে মোট ১৫৫টি কক্ষ আছে, যেখানে ধর্মচর্চা করতেন বুদ্ধের অনুসারিরা।
এই বিহার থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি, সিলমোহর, আটটি তাম্রলিপি এবং অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা পাওয়া গেছে। কুমিল্লা সদর থেকে ২০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় কোটবাড়ি বিশ্বরোড হয়ে সরাসরি শালবন বিহার যাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
ময়নামতি জাদুঘর
কুমিল্লার ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা এই ময়নামতি জাদুঘর, যার অবস্থান কুমিল্লা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে সালমানপুরে। জাদুঘরের ৪২ টি ভিন্ন ভিন্ন সংরক্ষণাগার ঘুরে দেখার সময় চোখে পড়বে ব্রোঞ্জ ও পাথরের ছোট-বড় মূর্তি, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের বিশাল ঘন্টা, পোড়ামাটির ফলক, মাটির খেলনা, কাঠের পুরানো জিনিসপত্র, মৃৎশিল্প সামগ্রী এবং প্রাচীন হাতে লেখা পান্ডুলিপি।
কুমিল্লার চারপত্র, রূপবান ও কোটিলা মুড়া, শ্রীভবদের মহাবিহার, ইটাখোলা, রানীর বাংলা ও ভোজ রাজবাড়ি বিহার এবং আনন্দ বিহার খননকালে খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। আঙ্গিনার বিশ্রামাগার আর ফুল বাগান জাদুঘরের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ১৯৬৫ সালে কোটবাড়ির শালবন বিহারের পাশেই স্থাপন করা হয় এই জাদুঘর। পাশাপাশি হওয়ায় এক সাথে দুটো স্থানই ঘুরে আসতে পারেন পর্যটকরা।
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সৈনিকদের একটি আন্তর্জাতিক সমাধিক্ষেত্র এই ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি। ২৪ জন জাপানি যুদ্ধবন্দি ও একজন বেসামরিক ব্যক্তি সহ মোট ৭৩৭ জন সৈন্যের কবর আছে এই সমাধিক্ষেত্রে। কমনওয়েলথ পরিচালিত ওয়ার সিমেট্রিটির অবস্থান ময়নামতি সাহেব বাজার এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের টিপরা বাজারের মধ্যস্থলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
প্রায় ৪ দশমিক ৫ একর পাহাড়ি ভূমির ওপর গড়ে তোলা ওয়ার সিমেট্রি বাংলাদেশের ২য় কমনওয়েলথ সমাধিক্ষেত্র। স্থানীয় নিবাসীরা একে ইংরেজ কবরস্থান নামে ডাকলেও এখানে সমাহিত সৈন্যদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও ইহুদিও রয়েছেন। কুমিল্লা থেকে সিএনজি-অটোরিক্সা কিংবা বাসে করে পৌছা যায় ময়নামতির এই যুদ্ধের গোরস্থানে।
ধর্মসাগর দীঘি
কুমিল্লা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই দর্শনীয় স্থানটি। আঙ্গিনায় ঢুকতেই দেখা যায় একটি সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা আছে এই দীঘির ইতিহাস। ১৭৫০ থেকে ১৮০৮ সালে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে রাজ্যে এক ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখন পাল বংশের এই জনদরদী রাজা প্রজাদের কষ্ট দূর করার জন্য খনন করে দেন ধর্মসাগর দীঘিটি। অতঃপর তার নামেই দীঘিটি প্রসিদ্ধি লাভ করে।
দীঘির উত্তরে সবুজে ঘেরা শিশুপার্ক থেকে ধর্মসাগরের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পর্যটকদের কেউ ধর্মসাগরের পাড় ধরে হেটে বেড়ান, কেউ বা নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ান দীঘির জলে। কুমিল্লার শাসনগাছা থেকে স্থানীয় যে কোন যানবাহন নিয়ে বাদুরতলা পর্যন্ত গেলেই দেখা যাবে ধর্মসাগর।
আরও পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
নব শালবন বিহার
কুমিল্লার প্রাচীন নিদর্শনের এক নতুন সংযোজন কোটবাড়ি এলাকার এই বিহারটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শান্তি বিহার নামে পরিচিত এই বিহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। এখানকার মুল আকর্ষণ আপাদমস্তক ধাতুতে মোড়া প্রায় ছয় টন ওজনের ৩০ ফুট উচ্চতার সোনালী রঙের বুদ্ধের মূর্তি। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এটি বাংলাদেশকে উপহার দেয়া হয়।
এই বিহার পরিদর্শন করতে হলে কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি-অটোরিক্সা দিয়ে বিহার পর্যন্ত যেতে হবে। এছাড়া কুমিল্লা জিরো পয়েন্ট থেকে কান্দিরপাড় সড়ক দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়া যায়। সেখানে বামের রাস্তা ধরে কিছু দূর গেলেই নব শালবন। একই পথে ফেরার সময় কান্দিরপাড় থেকে মনোহরপুর গেলেই মিলবে কুমিল্লার বিখ্যাত মাতৃভান্ডারের রসমালাই।
ইটাখোলা মুড়া
কোটবাড়ির এই স্থানটি মূলত ৭ম বা ৮ম শতকে নির্মিত একটি বৌদ্ধ বিহার। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে ইট পোড়ানো হয় বিধায় জায়গাটির নাম হয়েছে ইটাখোলা মুড়া। ইটাখোলা মুড়ায় প্রবেশ করে উপরে উঠে গেলে চতুর্ভূজাকার ক্ষেত্রের মাঝে দেখা যায় বিহারের প্রধান মন্দিরটি।
আরও পড়ুন: বান্দরবান ট্যুর গাইড: সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ
ইটাখোলা মুড়া থেকে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১৮ তোলা ওজনের স্বর্ণ, রৌপ্য মুদ্রা, মাটির পাতিলে রক্ষিত সোনার বল, ধ্যাণী বুদ্ধ মূর্তির আবক্ষ অংশ, তাম্রশাসন, মাটির ফলকলিপি, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অক্ষোভ্য, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অমিতাভ, অলংকৃত পোড়া মাটির ফলক, গণেশ মূর্তি ও তেলের প্রদীপ।
কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি কিংবা অটোরিক্সাযোগে ইটাখোলা মুড়া যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি
গাছ-গাছালি ও ফুল বাগানে সুসজ্জিত কোটবাড়ির এই স্থাপনাটি মুলত একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯ সালের ২৭ মে প্রতিষ্ঠার সময় এটির নাম ছিলো পাকিস্থান গ্রাম উন্নয়ন একাডেমি। পরবর্তীতে পল্লী গবেষক ড. আখতার হামিদ খান এটিকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী নাম দেন, সংক্ষেপে যেটি বার্ড নামে সুপরিচিতি লাভ করে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
প্রায় ১৫৬ একরের বিশাল জায়গায় রয়েছে ৫টি হোস্টেল, হেলথ ক্লিনিক, চারটি কনফারেন্স রুম, মসজিদ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, লাইব্রেরি, একটি প্রাইমারি স্কুল ও দু’টি ক্যাফেটেরিয়া। বিশেষ অনুমতি নিয়ে এখানে পিকনিক করার সু-ব্যবস্থা আছে। কোটবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে হেটেই বার্ড-এ পৌঁছা যায়।
রূপবান মুড়া
কোটবাড়িতে ইটাখোলা মুড়ার ঠিক উল্টো পাশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাটির নাম রূপবান মুড়া। রহিম ও রূপবানের ভালোবাসার কিংবদন্তিতে প্রচলিত আছে এই ঐতিহাসিক স্থান ঘিরে। ৯০-এর দশকে কুমিল্লা-কালিবাজার সড়কের কাছে আবিষ্কৃত হয় এই প্রত্নস্থানটি। এখানে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়।
রূপবান মুড়ার উঁচু বিহারের উপর থেকে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে ভীড় জমান পর্যটকরা। কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে যেতে হবে কুমিল্লা-কালির বাজারের পথে। অতঃপর দক্ষিণ দিকে বিজিবি ও বার্ডের মাঝখানে টিলার উপর দেখা যাবে নয়নাভিরাম রূপবান মুড়া।
আরও পড়ুন: সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান: অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নগরী
রাণী ময়নামতির প্রাসাদ
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ধরে পূর্ব দিকে কমনওয়েলথের ওয়ার সিমেট্রি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার গেলেই দেখা যাবে এই প্রাসাদ। এই পুরাকীর্তিটির নির্মাণকাল ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মাঝের কোনো সময়। সে সময় চন্দ্র বংশের রাজা মানিক চন্দ্র তার স্ত্রী ময়নামতির আরাম আয়েশের জন্য বানিয়ে দেন এই প্রাসাদ।
১৯৮৮ সালে ভূপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটার গভীরে থাকা একটি সুড়ঙ্গের সামনে খননের সময় আবিষ্কৃত হয় এই প্রাসাদ। প্রতি বৈশাখের ৭ম দিন থেকে এখানে মাসব্যাপী উদযাপন হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈশাখী মেলা।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট গেইট অথবা কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে অটোরিকশা নিয়ে ময়নামতি সাহেব বাজার গেলেই দেখা পাওয়া যাবে এই প্রাচীন প্রাসাদের।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
আনন্দ বিহার
কোটবাড়ির ময়নামতিতে অবস্থিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এই বিহারটি ছিলো উপমহাদেশের সর্বশেষ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি নির্মাণ করেছিলেন দেব রাজবংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব ৭ম অথবা ৮ম শতাব্দীর প্রথম দিকে। ধারণা করা হয়, ৭ম শতকের শেষ সময়ে এই বিহার ছিলো সমতটের রাজধানী।
নান্দনিক বর্গাকৃতির বিশাল অবকাঠামোর ঠিক মাঝখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্দির এবং অপরূপ এক দিঘি। কুমিল্লা সদর থেকে কোটবাড়ির আনন্দ বিহার যাবার পথে বিখ্যাত টমছম ব্রিজ দেখে নেয়া যেতে পারে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে করে কুমিল্লা যাওয়া যায়। সায়েদাবাদ কিংবা কমলাপুর থেকে বাস যোগে কুমিল্লা যেতে খরচ পড়তে পারে জনপ্রতি ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা। এই যাত্রায় সময় নিবে মাত্র আড়াই ঘন্টা। এছাড়া চট্টগ্রামগামী প্রায় সকল ট্রেনই কুমিল্লা স্টেশনে যাত্রী নামায়। ট্রেনের সিটের ধরন ভেদে ভাড়া জনপ্রতি ১৭০ থেকে ৪৬৬ টাকা।
আরও পড়ুন: বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি মনোরম জায়গা
শেষাংশ
ঢাকার খুব কাছে হওয়াতে কুমিল্লা জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে অনেকগুলোই এক দিনে ঘুরে আসা যায়। আর এ জন্যেই একদিনের ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ঢাকাবাসীদের কাছে কুমিল্লা অনেক জনপ্রিয়। এরপরেও ভালো ভাবে পুরো জেলাটি ঘুরে দেখার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে যাওয়া উচিত। তাছাড়া ঝটিকা সফরে অনেক ছোট ছোট সৌন্দর্য্য চোখ এড়িয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেকের জন্য তা ক্লান্তিকরও বটে। তাই ঢাকার নিরন্তর যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে কয়েকটি দিন কুমিল্লায় কাটিয়ে আসা যেতে পারে।
দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
রংপুর বিভাগের অন্তর্গত দিনাজপুর জেলাটি আবহমান কাল ধরে ধারণ করে আছে উত্তরবঙ্গের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। রাজধানী থেকে ৪১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত সদর উপজেলার প্রধান নদী পুনর্ভবা। এই জেলার পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এবং দক্ষিণে রয়েছে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলা। ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দিনাজপুর শহর ভ্রমণ মানে শুধুই একটি অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান জানা নয়। অঞ্চলটির অতীতের সঙ্গে এক সেতুবন্ধনও বটে। এর প্রতিটি ইট আর দেয়ালের রঙ সরবে জানান দেয় ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর কথা। পাশাপাশি পরিচয় করিয়ে দেয় শহরবাসীর পূর্বসূরীদের। আজকের আয়োজনে থাকছে দিনাজপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ।
ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার উপায়
উত্তরাসহ গাবতলীর পথে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া যায় দিনাজপুরের বাসগুলো। এগুলোতে মান ভেদে ভাড়া ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা।
আর ট্রেনে যেতে হলে কমলাপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ অথবা সকাল ৯টা ৫০-এ টিকেট বুক করা যেতে পারে। সিটের ধরন ভেদে এগুলোতে ভাড়া ১৮৫ থেকে ৮৯৭ টাকা পর্যন্ত নিতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
রামসাগর দিঘি
বাংলাদেশের বৃহত্তম দিঘি হিসেবে পরিচিত এই জলাশয়টি মূলত একটি কৃত্রিম দিঘি। পলাশী বিপ্লবের কিছু পূর্বে রাজা রামনাথ রাজ্যের পানির চাহিদা মেটাতে খনন করেছিলেন এই দিঘি। রাজার নামানুসারেই দিঘিটি পরবর্তীতে পরিচিতি পায়। বর্তমানে এটি দিনাজপুর পর্যটন বিভাগের দায়িত্বে আছে।
প্রায় চার লাখ ৩৭ হাজার ৪৯২ বর্গমিটার ক্ষেত্রফল এবং ১০ মিটার গভীরতার এই দিঘির আশপাশে বিকালে ঘুরে বেড়ানোর জন্য দারুণ জায়গা। এখানে সাঁতার কাটারও ব্যবস্থা আছে। পূর্ণিমার সময় ক্যাম্পিং করার জন্য রামসাগর বেশ জনপ্রিয় একটি স্থান।
শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে যেতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
কান্তজির মন্দির
বাংলাদেশের এই বিখ্যাত স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল ১৮ শতকে, যার আরও একটি নাম নবরত্ন মন্দির। ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর গ্রামে এর অবস্থান। মন্দিরের শিলালিপি অনুসারে মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরের কাজ শুরু করেছিলেন। ১৭২২ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার পুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
প্রথমে মন্দিরটির উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতির কারণে এটি এখন ৫০ ফুট লম্বা। মহাভারত, রামায়ণ ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনীগুলো মন্দিরের বাইরের দেয়ালে প্রায় ১৫ হাজার টি বর্গাকার পোড়ামাটির ফলকে চিত্রিত করা। শহর থেকে অটোরিকশা করেই পৌঁছা যায় কান্তজির মন্দিরে।
বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি মনোরম জায়গা
চিরাচরিত যান্ত্রিকতায় পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে শহরের বাইরে বনভোজনে যাওয়ার সময় পাওয়া বেশ দুষ্কর। ব্যস্ততম শহর ঢাকার নিরন্তর বাড়তে থাকা ভিড়ে বেড়ানোর জায়গাগুলো সবসময়ই থাকে কোলাহলপূর্ণ। সেখানে সবুজে ঘেরা ছায়া ঢাকা পরিবেশে বা নদীর ধারে বনভোজন অসম্ভব ব্যাপার। তবে,নগরবাসীর এই চাহিদা পূরণ করতে পারে ঢাকার উপকণ্ঠে গড়ে ওঠা পিকনিক স্পটগুলো। সপ্তাহান্তের ছুটিতে দারুণ ভাবে কাটানো যেতে পারে পুরো একটি দিন। অস্থিরতার সাময়িক অবসানে একটু শান্তির নিমিত্তে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পারেন ঢাকাবাসী। আর সেই পরিকল্পনার সহায়ক হতেই বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি চমৎকার জায়গার খোঁজ নিয়ে আজকের নিবন্ধ।
ঢাকার কাছেই বনভোজনের জন্য ১০টি দর্শনীয় স্থান
জল ও জঙ্গলের কাব্য
বিগত কয়েক বছর ধরে ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে গাজীপুরের পুবাইলের এই রিসোর্টটি। ৯০ বিঘা জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা রিসোর্টটি স্থানীয়দের কাছে পাইলট বাড়ি নামে পরিচিত। পুকুরে মাছ ধরা, শীতের পিঠা সহ অন্যান্য বাঙালি খাবার; সব মিলিয়ে জায়গাটির সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এক গ্রামীণ আমেজ।
আরো পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
এখানকার ডে আউট প্যাকেজে বড়দের জন্য খাবারের খরচ ২০০০ টাকা। বাচ্চাদের জন্য অথবা সঙ্গে গাড়ি চালক থাকলে তাদের খরচ মাথাপিছু ১০০০ টাকা। রিসোর্টটিতে যাওয়ার জন্য গ্রুপে নূন্যতম ১০ জন থাকতে হয়। প্রতি সপ্তাহান্তেই জায়গাটি বেশ ব্যস্ত থাকে, তাই যাওয়ার আগে বুকিং দিয়ে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।
উত্তরা দিয়ে টঙ্গীর রাস্তায় পূবাইল কলেজ গেট হয়ে রিসোর্টে পৌঁছানো যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
গাজীপুরের বাঘের বাজারে অবস্থিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান এটি। সাফারি পার্কটিতে রয়েছে ৫টি সেকশন: কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, জীববৈচিত্র্য পার্ক, বিস্তৃত এশিয়ান সাফারি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু চত্বর।
আরও পড়ুন: শীতকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের জনপ্রিয় ১০ স্থান
বন্যপ্রাণীদের মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সাদা সিংহ তো আছেই। এছাড়াও দেখা পাওয়া যাবে জেব্রা, হরিণ, বাইসন, ম্যাকাও, হর্নবিল, ময়ূর, হাতি, কুমির, চিত্রা হরিণ, বানর ও হনুমানের। আলাদাভাবে দৃষ্টি কাঁড়ে জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর, অ্যাকোয়ারিয়াম, হাঁসের পুকুর এবং ছোট প্রজাপতি ঘের।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বনভোজনের জন্য প্রবেশ মূল্য ৪০০ টাকা। এছাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা করে রাখা হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিনি খোলা থাকে সাফারি পার্কটি। ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে বাঘের বাজার যেয়ে বাঁ দিকে কিছুদুর গেলেই পৌঁছানো যায় এই পার্কটিতে।
সোনারগাঁও পানাম নগর
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত হওয়া বাংলাদেশের হিন্দু বণিকদের সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত এই শহরটি এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সোনারগাঁও লোক-শিল্প ও কারুশিল্প জাদুঘর, গোয়ালদী মসজিদ এবং সোনারগাঁয়ের অন্যান্য আকর্ষণগুলো দেখতে দেখতে সারাটা দিন কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত অঞ্চলটি সপ্তাহের ৬ দিন উন্মুক্ত থাকে দর্শনার্থীদের জন্য। শুধুমাত্র রবিবার বন্ধ থাকে পানাম নগর। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মাত্র ১৫ টাকা প্রবেশ মূল্যে এই ঐতিহাসিক স্থানটি ঘুরে বেড়াতে পারেন পর্যটকরা।
গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের পথে মোগরাপাড়া হয়ে হাতের বাঁ দিকে কিছু দূর এগোলেই পৌঁছানো যায় পানাম নগরে।
মৈনট ঘাট
প্রমত্তা নদী পদ্মার সাগরসম রূপের জন্য স্থানীয়দের কাছে এই মৈনট ঘাট মিনি সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত। এখানে আসার পথে নবাবগঞ্জের পথে দেখে নেয়া যেতে পারে নবাবগঞ্জের জজবাড়ি, আনসার ক্যাম্প, কোকিলপ্যারি দালান, উকিলবাড়ি, খেলারাম দাতার বাড়ি বা আন্ধার কোঠার মত ঐতিহাসিক কিছু দর্শনীয় স্থান।
আরো পড়ুন: পাহাড় ভ্রমণে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
লক্ষ্য যখন পদ্মার পাড়, তখন দর্শনার্থীদের সবারই মধ্যে হিড়িক পড়ে যায় ইলিশ ভাজা খাওয়ার। এছাড়া কার্তিকপুর বাজারের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও বান্দুরা বাজারের চারা বিস্কুট কিনে নিতে তারা ভোলেন না।
গুলিস্তান থেকে বাবু বাজার সেতু পার হয়ে দোহারের পথে এগোলে রাস্তা গিয়ে শেষ হয় মৈনট ঘাটে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলা সেতু দিয়েও ওঠা যায় দোহারের রাস্তায়।
জিন্দা পার্ক
নৌকা বাইচ, লাইব্রেরি, কৃত্রিমভাবে তৈরি খিলান-সুড়ঙ্গ এবং পদ্ম পুকুর; কোন কিছুরই ঘাটতি নেই ঢাকাবাসীদের প্রিয় জিন্দা পার্কে। পরিবারকে নিয়ে পিকনিক করার জন্য একটি আদর্শ জায়গা এই পার্কটি। ১৯৮০ সালে জিন্দা গ্রামের অগ্রপথিক পল্লী সমিতির ৫০০০ অধিবাসী দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গড়েছেন এই অপূর্ব পার্কটিকে।
আরও পড়ুন: নারীর একাকী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০ শহর
পার্কে ঘোরার সময় গাছের ওপর দেখা যাবে টং ঘর, মাটির ঘর, সুন্দর স্থাপত্যশৈলীর লাইব্রেরি ও ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা। পার্কের লেকে নৌবিহারের জন্য সাজানো আছে ৮ টি নৌকা।
কুড়িল হাইওয়ে ধরে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত যেয়ে বাঁয়ে বেশ খানিকটা ভেতরে গেলেই পাওয়া যাবে জিন্দা পার্ক। এখানে প্রবেশ টিকেট জনপ্রতি ১০০ টাকা। লাইব্রেরির প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
আহসান মঞ্জিল
ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী জমিদার পরিবারের সাক্ষী হয়ে আছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেষা এই গোলাপী প্রাসাদটি। প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই পর্যটকরা যেন নিজেদের আবিষ্কার করেন প্রাচীন কোন নগরীতে।
আরও পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
একসময়ের পুরনো ঢাকার সবচেয়ে উচু ভিত্তির ওপর স্থাপিত এই দালানটি ১৯৯২ সাল থেকে জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জাদুঘরটি ঘুরে বেড়াতে ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করতে হয়। শুধু শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এছাড়া বৃহস্পতিবারসহ বিভিন্ন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে এই দর্শনীয় জায়গাটি।
লালবাগ কেল্লা
পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় অবস্থিত বিধায় প্রাচীন ঢাকার এই দুর্গটির নামকরণ করা হয়েছে লালবাগ কেল্লা হিসেবে। মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্দান্ত এই শৈল্পিক স্বাক্ষরটি ঔরঙ্গাবাদ দুর্গ নামেও পরিচিত। তিনটি দালানে পরিবেষ্টিত দুর্গের কেন্দ্রীয় এলাকাটি। পূর্বে দিওয়ান-ই-আম ও হাম্মাম, পশ্চিমে মসজিদ। আর এই দুয়ের মাঝখানে পরী বিবির সমাধি।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণ গাইড: ঘুরে আসুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্দর নগরী
সুন্দর ফোয়ারার একটি জলধারা তিনটি ভবনকে সংযুক্ত করেছে। পুরো স্থাপনাটি অবস্থিত বুড়িগঙ্গা নদী তীরের সমৃদ্ধ লাল মাটিতে। কেল্লা রবিবার বাদে প্রতিদিনি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মাঝে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা আধঘন্টা বন্ধ থাকে। এছাড়া যে কোন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে লালবাগ কেল্লা।
গোলাপ গ্রাম
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুরে তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত গোলাপ ফুলের এক বিস্ময়কর রাজ্যের নাম গোলাপ গ্রাম। এখানকার লাল, হলুদ ও সাদাসহ রঙ-বেরঙের গোলাপগুলো যে কোন পর্যটকের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। রাজধানীতে গোলাপ ফুল যোগানের একটি বিরাট অংশ পুরণ করে এই গ্রামটি। গোলাপের ক্ষেত্রে মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা সরু পথ নিমেষেই ভুলিয়ে দেবে শহরের যত কোলাহল।
এখানকার শ্যামপুর গ্রামে প্রতি সন্ধ্যায় বসে গোলাপের জমজমাট হাট। সেখানকার আবুল কাশেম বাজার ছাড়াও মোস্তাপাড়ার সাবু বাজারের সন্ধ্যাগুলো প্রতিদিনি মুখরিত থাকে ফুল ব্যবসায়ীদের আনাগোনায়। ঢাকা থেকে বিরুলিয়ায় সরাসরি বাস সার্ভিস আছে। তবে মিরপুর ১-এর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে নৌকা ভ্রমনটি সবচেয়ে রোমাঞ্চকর যাত্রা।
আরো পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
ঢাকা নগরবাসীর বনভোজনের জন্য সেরা জায়গা হলো গাজীপুর। আর সেই গাজীপুরের প্রধান আকর্ষণ হলো এই ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এখানে আছে চিড়িয়াখানা, ভাওয়ালের প্রাচীন গাছ শালের বন এবং একাধিক পিকনিক স্পট। চিড়িয়াখানায় দেখা মিলবে বাঘ, চিতাবাঘ, মেছোবাঘ, হাতি, ময়ূর ও হরিণের। থাকার জন্য আছে ১৩টি কটেজ এবং ৬টি বিশ্রামাগার। যাওয়ার জন্য আগে ভাগেই বুকিং দিয়ে নিতে হবে।
উদ্যানটিতে জনপ্রতি ৫০ টাকা প্রবেশ মূল্যে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা অব্দি ঘুরে বেড়ানো যাবে।
ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পেরিয়ে ময়মনসিংহ রুটে একদম ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের গেটের সামনে নামা যায়।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট
বনভোজনের জন্য রিসোর্ট খুঁজতে গেলে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের এই রিসোর্টটি। নাট্য দম্পতি তৌকির আহমেদ ও বিপাশা হায়াত ২০১১ সালে প্রায় ২৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করেন এই রিসোর্ট।
সবুজে ঘেরা জায়গাটিতে গড়ে তোলা হয়েছে দীঘি, ঝর্ণা, সুইমিংপুল ও কনফারেন্স হল। তাই পরিবার-পরিজন কিংবা অফিসের কলিগদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট সেরা জায়গা।
এই রিসোর্টে যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তার পর ময়মনসিংহ রোড ধরে পৌঁছাতে হবে রাজেন্দ্রপুরের রাজাবাড়িতে। তারপর রাজাবাড়ি বাজার থেকে ডান দিকে চিনাশুখানিয়া গ্রাম পর্যন্ত গেলেই পাওয়া যাবে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। রিসোর্ট ঘুরে দেখতে ৫০০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিতে হবে।
আরো পড়ুন: সমুদ্রে স্নানের সময় সতর্ক থাকতে করণীয়
শেষাংশ
পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে বনভোজনের জন্য ঢাকার নিকটবর্তী ১০টি মনভোলানো স্থান শুধু একটি দিনকে স্মরণীয় করবে না; নতুন উদ্যমে কর্মব্যস্ত সপ্তাহটি শুরু করতেও শক্তি যোগাবে। এগুলোর প্রতিটি স্থানই প্রিয়জনদের নিয়ে একান্তে সময় কাটানোর জন্য একটি নিখুঁত প্রবেশদ্বার। তবে বনভোজনের পূর্বপ্রস্তুতিতে অবশ্যই সতর্কতামূলক কর্মকাণ্ডগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে। সুন্দর পরিবেশকে সুন্দর রাখতে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, আনন্দের আতিশয্য যেন স্থানীয়দের বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।