������������������������������
চাঁদপুরে উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ গ্রেপ্তার ১৪
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়ায় জামায়াতের আমির মোস্তফা কামালসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে শাহরাস্তি থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮টি স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-কুমিল্লার জামায়াত নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান (৪৩), শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতের আমির মোস্তফা কামাল (৪৪), জামায়াত নেতা জালাল হোসেন (৩০), শামছুল আরেফীন (৩৩), মাওলানা ইমাম হোসেন (৩৩), পারভেজ হোসেন (৩০), মোশারফ হোসেন (৫০), মো. কাউছার খান (৫৩), শোহরাব হোসেন (৪৬), মাওলানা জমির হোসেন (২৭), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), মো. জসিম উদ্দিন (৪৩), হাফেজ আকতার হোসেন (৩৫) ও আকতার হোসেন (৪৪)।
কুমিল্লার জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান ছাড়া সকলের বাড়ি শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের সুচীপাড়া গ্রামের তা’লীমুল কুরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন বৈঠকের সময় তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের রশিদ, দলীয় কিছু বই উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালে বরিশালে নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পলাতক ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করে পুলিশের একটি দল ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা থেকে মো. এমদাদুল হককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান (এটিইউ-এর মিডিয়া ও সচেতনতা বিভাগ) জানান, বরিশাল কোতোয়ালি থানায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছর পর সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার সার্কিট হাউস এলাকা থেকে এমদাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন এবং ২০১০ সালে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে অবৈধভাবে চার বছর অবস্থান করেন।
২০১৪ সালে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়ার পরও আত্মগোপনে ছিলেন এমদাদুল।
আসলাম জানান, তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষাদান এবং মসজিদে দৈনিক নামাজের নেতৃত্ব দেয়ার ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার গাড়ি থেকে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা লুটের কয়েক ঘণ্টা পর নিরাপত্তারক্ষীসহ সাতজনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশীদ ইউএনবিকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় খিলক্ষেত থেকে নিরাপত্তারক্ষীসহ তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা লুট করা অর্থের বেশিরভাগই উদ্ধার করেছে, তবে তিনি উদ্ধার করা অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন: ঢাকার উত্তরায় গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির ওই কর্মকর্তা জানান, ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং লুটের ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার গাড়ি ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা জমা দিতে সাভার ইপিজেড এলাকায় যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরে আটজন সশস্ত্র লোকের একটি দল গাড়ি থামিয়ে বন্দুকের মুখে টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর গাড়ি আটকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ
৩৭০০ কোটি টাকা লুটপাট: দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
ঢাকার সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণে ২১ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ভবন মালিকসহ গ্রেপ্তারর ৩জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আলম এ আদেশ দেন।
শুনানির আগে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মাবুদ সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে বিস্ফোরণের একটি মামলায় সিদ্দিক বাজারের সাততলা ভবনের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: আরও ২টি লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমান(৪৬), ওয়াহিদুরের ভাই মতিউর রহমান(৩৬) ও মোতালেব মিন্টু (৩৬)।
মঙ্গলবার দুই ভাইকে রাজধানীর ফুলবড়িয়া এলাকা থেকে আটক করা হয় এবং একই রাতে মোতালেবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) ড. কে. মহিউদ্দিন বলেন, ভবন মালিকের অবহেলার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণ: ভবন মালিকদের ৩ জন গ্রেপ্তার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় জাটকা শিকার, ২৯ জেলে গ্রেপ্তার
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় বুধবার ২৯ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে নদীতে পেতে রাখা প্রায় ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ’ মিটার কারেন্টজাল, পাঁচটি মাছ ধরার নৌকা ও ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জেলেরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বাসিন্দা।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় বুধবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাটকা ধরার সময় ২৯ জেলেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটক জেলেদের মধ্যে ৮জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়। এছাড়া তিন শিশু-কিশোর জেলেকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
ওসি বলেন, জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার পাঁচ নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে। আর জব্দকৃত ১৮৮ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
মেঘনায় নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
মেঘনায় ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু
আপাতত দেশের বাইরে যেতে পারবে না জাপানি ২ শিশু
জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে জাপানি মায়ের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে যে যেখানে যেভাবে আছে সেভাবেই (স্ট্যাটাসকো) থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে দুই শিশুকে নিয়ে জাপানি মা নাকানো এরিকো আপাতত বিদেশে যেতে পারবেন না। আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না, এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিভিল রিভিউ পিটিশন ও একটি এক্সপাঞ্জ চেয়ে আবেদন করেছিলেন জাপানি মা। আপিল বিভাগের আগে একটি আদেশ ছিল আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা যেন আদেশ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয় তার জন্য আবেদন করেছিলেন জাপানি মা।
বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের মা নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ জাপানি মা দুইবার চেষ্টা করেছেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। মা নাকানো এরিকোও একটা আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ বাবা ইমরান একটি শিশুকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। এ কারণে তিনি এ আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের জিম্মায় দুই সন্তান, রায়ের বিরুদ্ধে বাবার আপিল
এই চারটি আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, মা নাকানো এরিকো যেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে। একইসঙ্গে জেলা জজ আদেশ দিলেন শিশুদের জিম্মায় রাখা সংক্রান্ত আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার।
এছাড়া আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি হলো স্থিতিবস্থা মেনে চলার। যার অর্থ এখন যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থাটা মেনে চলতে হবে যতদিন পর্যন্ত জেলা জজ আদালতে থাকা আপিল নিষ্পত্তি না হয়। এর অর্থ দুই শিশুকে দেশের বাইরেও নেয়া যাবে না। তারা যে যার কাছে আছে, সেখানেই থাকবে।
এর আগে বাবা ইমরানের করা মামলাটি গত ২৯ জানুয়ারি খারিজ করে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান। দুই মেয়েকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। ছোট মেয়ে শুরু থেকে বাবার কাছেই রয়েছে। তাকে উদ্ধারে মা গুলশান থানায় জিডি করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত খাস কামরায় ছোট মেয়ে লায়লা লিনার বক্তব্য শোনেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একদিন বাবার কাছে এবং আরেকদিন মায়ের কাছে থাকার আদেশ দেন আদালত। এরই মধ্যে পারিবারিক আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার জেলা জজ আদালতে আপিল করেন বাবা ইমরান শরিফ। পরে জেলা জজ আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এই আপিলটিই আজ সর্বোচ্চ আদারত তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
জাপান থেকে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন বাবা ইমরান শরীফ। মামলায় বাদীপক্ষের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিবাদীপক্ষে সাক্ষ্য দেন জাপানি মা এরিকো। জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাদের তিনটি মেয়েসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে। ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের আগস্টে হাইকোর্টে রিট করেন এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে একই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। পরবর্তীতে এরিকোর করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আদেশে বলা হয়, ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলাটি (২০২১ সালে শিশুদের বাবার করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপান থেকে আসা দুই শিশু তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবে। শিশুদের বাবা তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের এ আদালতের এখতিয়ারের বাইরে (দেশের বাইরে) নেয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
পরিবারিক আদালতে বাবার মামলা খারিজ যে কারণে-
মামলার কাগজপত্রের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফ দম্পতির বিয়ে, জাপানে তাঁদের তিন কন্যাসন্তানের জন্ম, তাঁদের কর্মজীবন, সংসারজীবনের নানা তথ্য উঠে এসেছে এই মামলায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান থেকে আসা দুই শিশুর মা-বাবা দুজনই বলেছেন, জাপানে থাকার সময় দুই নাবালিকা শিশু পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। তাদের ফল খুব ভালো ছিল। তাদের বাবা দাবি করেন, এ দেশে আনার পর দুই শিশুকে একটা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করান। একই সঙ্গে তারা অনলাইনে আমেরিকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছিল। আদালত বলেন, জাপানে পড়াশোনা করা দুই মেধাবী শিশুকে বাবার একান্ত চিন্তাভাবনা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাপ্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত সমীচীন নয়।
আরও পড়ুন: বাবার মামলা খারিজ, দুই সন্তান থাকবে জাপানি মায়ের কাছে
আদালত রায়ে আরও বলেছেন, জাপানের টোকিও পারিবারিক আদালতে একই বিষয়ে মামলা চলা অবস্থায় মায়ের সম্মতি ছাড়া বাবা দুই শিশুকে এ দেশে নিয়ে আসেন। একই বিষয়ে জাপানে বিচারাধীন মামলার তথ্য লুকিয়ে একই বিষয়ে মামলা করার সাধারণ যৌক্তিক চিন্তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর বিষয়টি নাবালিকা কন্যাদের মানসিক বিকাশের স্বার্থে নিঃসন্দেহে মারাত্মক ও অনুসরণ অযোগ্য কাজ বলে প্রতীয়মান হয়।
রায়ে এই দম্পতির দুই মেয়ের মতামত তুলে ধরেছেন আদালত। বড় মেয়ে স্পষ্ট বলেছে, তার জন্ম বেড়ে ওঠা জাপানে। বাবার বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। তবে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। তার স্কুলের সব বন্ধু জাপানে থাকে। সে জাপানে যেতে চায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান ছেড়ে আসার আগপর্যন্ত তিন বোন একসঙ্গে ছিল। তারা এখনো বিচ্ছিন্ন হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে অভ্যাসগত বসবাসের জায়গা থেকেও তিন বোনকে বিচ্ছিন্ন করা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে মঙ্গলজনক হবে না বলে প্রতীয়মান হয়।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে আদালত বলেন,নাবালক-নাবালিকার হেফাজত ঠিক করার ক্ষেত্রে তাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল বা কল্যাণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এই দম্পতির সব ধরনের তথ্য পর্যালোচনা করে রায়ে আদালত বলেছেন, সাধারণ অন্য দশটা মায়ের মতো জাপানি মা তাঁর সন্তানদের দেখভাল করেন। বাবা বাসায় থাকা সাপেক্ষে স্ত্রীকে সহযোগিতা করতেন। তবে নাবালিকা কন্যাদের প্রাথমিক যত্নকারী হিসেবে জাপানি মায়ের তুলনায় বাবার কাছে তাদের হেফাজত অধিকতর কল্যাণকর, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বাদী।
জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি কন্যাসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে।
ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করেন নাকানো এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট আবেদন করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে ওই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো; যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
এরিকোর করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে বলা হয়, ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলাটি (২০২১ সালে শিশুদের বাবার করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপান থেকে আসা দুই শিশু তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবে। শিশুদের বাবা তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
আদেশে আরও বলা হয়, মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের এই আদালতের এখতিয়ারের বাইরে (দেশের বাইরে) নেওয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২ মেয়েসহ জাপানি নারীকে দেশত্যাগে বাধা
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এসেছে
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এসেছে।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে আসলেও এখনো তার কাছে উপস্থাপিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: খালেদাকে রাজনীতি করতে দিতে বাইরের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
এদিকে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ যেটা ছয় মাস ছিল, সেটা বাড়ানো হয়েছি কি না? আবার বলা হচ্ছে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমি বলতে চাই। আমি জানতে পেরেছি, শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেগম খালেদা জিয়ার একটি আবেদন ফাইল করেছেন। এ ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনও আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতামত দেয়ার পর এটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যে তথ্য (মুক্তির মেয়াদ বাোনো হয়েছে ও বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত) টেলিভিশনে দেয়া হচ্ছে তা সর্বৈব অসত্য।’
খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখনও আবেদনটি আসেনি। আসলে আমি নিষ্পত্তি করব। আমি যখন এটি নিষ্পত্তি করব, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) অবশ্যই জানাব। আমার কাছে এখনও ফাইল আসেনি, তাই বলতে পারব না ফাইলের মধ্যে কী আছে।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে একটি ব্লকের হেড মাঝি নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ হোসেন ওরফে কালা বদ্দা উখিয়ার কুতুপালং ২- ইস্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি।
১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ছৈয়দ হারুন উর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সৈয়দ হোসেন সকালে ঘর থেকে বের হন। আরসা নামধারী একদল দুষ্কৃতিকারী অতর্কিতভাবে তাকে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নারী নিহত, হেড মাঝি আহত
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
গুলিস্তানে পাঁচ তলা ভবনে বিস্ফোরণের কারণ ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের পরিচালক মেজর মোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রাথমিক নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে এবং নমুনা পরীক্ষা করে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মেজর মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা সাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেছি এবং মনে হচ্ছে এটা কোনও আগুনের ঘটনা নয়, এটি একটি বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের মাত্রা ছিল বিশাল।’
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পিছনে গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ সহ একাধিক কারণ থাকতে পারে এবং এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণেরও কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া ভবনের ভেতরে কোনো মানুষের জীবিত বা মৃত কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি ডগ স্কোয়াড দল সেখানে কাজ করছে বলেও জানান মোরশেদ।
এর আগে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি ৫ তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
আরও পড়ুন: গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন।
সকাল ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
গুলিস্তানে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৫, আহত ৬০ জনের বেশি
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কীটনাশক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় ঘোষণা করেন ৷
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-বগুড়া শেরপুর উপজেলার চন্ডেরশ্বর এলাকার মো. গোলাম হোসেনের ছেলে মো. তছলিম উদ্দিন ওরফে তছু।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন-বগুড়া শেরপুর উপজেলার চন্ডেরশ্বর এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মো. ফারুক হোসেন ও উপজেলার ছোট টুনিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মো. আব্দুল আলিম।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাসিমুল করিম হলি জানান, গত ২০১৭ সালের ১২ জুন জেলার শেরপুর উপজেলার আলতাদিঘী এলাকার বোডের হাট তিন মাথা মোড়ে মেসার্স আঁখি ও রাফি ট্রেডার্সের কীটনাশক ব্যবসায়ী চণ্ডেশ্বর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমানকে চাকু ও স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে আনিছুর মারা যান।
নিহত আনিছুরের মা আনোয়ারা বেওয়া বাদী হয়ে বগুড়ার শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই ঘটনার পরদিন ১৩ জুন আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
বাদী রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড