%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
গোপালগঞ্জ আ. লীগ নেতা রেজাউলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হক শিকদার রাজুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি গোপালগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এবং গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক নির্বাচিত মেয়রও ছিলেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পাঠানো শোকবার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
জাতীয় পতাকার প্রথম নকশাকার শিব নারায়ণের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
দেশের যুদ্ধকালীন জাতীয় পতাকার নকশাকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
স্বাধীনতার ঠিক আগে বাংলাদেশের প্রথম পতাকার নকশা প্রণয়নকারী শিব নারায়ণ দাস শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি কুমিল্লার এক শহীদ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সতীশ চন্দ্র দাস ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন ও নিহত হন।
স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী ও ছেলে অর্ণব দাসকে রেখে গেলেন শিব নারায়ণ দাস।
জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাস মারা গেছেন
বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
তার ছেলে অর্ণব আদিত্য দাস মুঠোফোনে ইউএনবিকে জানান, আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করা শিবনারায়ণ দাসের বাবা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।
শিবনারায়ণ দাস প্রথম ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন।
১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
এই লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১০৮ নং কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ন দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে সবার আলোচনার শেষে সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান (খসরু) তখন ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারী দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনলেন; এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে আজম হল (বর্তমানে তিতুমীর হল) এর ৩১২নং কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র।
শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে তার নিপুন হাতে মানচিত্রটি আঁকলেন লাল বৃত্তের মাঝে, এমনি করে রচিত হলো 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী'র পতাকা, যা কিছুদিন পর স্বীকৃত হয় বাংলাদেশের প্রথম পতাকা হিসেবে।
এক শোক বার্তায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুর হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার জাসদ নেতা শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বিজিএমইএ সভাপতির মা মারা গেছেন
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর মা জাহানারা বেগম গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
ঢাকায় শ্যামলীস্থ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ও পোশাক শিল্প পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। বিজিএমইএ মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মারা গেছেন
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মায়ের ইন্তেকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের মাতা নাজমা রহিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার(২৭ মার্চ) বিকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে নাজমা রহিম মারা যান।
মরহুমা নাজমা রহিম বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এম আব্দুর রহিমের সহধর্মিণী।
মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান এক শোকবার্তায় বলেন, মরহুমা নাজমা রহিম তার পুত্র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, মেয়ে ডা. নাদিরা সুলতানা, ডা. নাসিমা সুলতানা, নাফিসা সুলতানা ও নাজিলা সুলতানার জীবনে সাফল্যের কারিগর হিসেবে তিনি রত্নগর্ভা ‘স্বপ্নজয়ী’ মায়ের সম্মাননায় ভূষিত হন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর গোর-এ- শহীদ বড় ময়দান ও এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ্ মাঠে প্রথম জানাযা এবং দুপুর ২টায় মরহুমার গ্রামের বাড়ী দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমা নাজমা রহিমের দাফন কার্য সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (১৬ মার্চ) শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের অবদান মানুষ চিরদিন মনে রাখবে।
আরও পড়ুন: ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
শোকবার্তায় আরও বলেন, ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল হাই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও আওয়ামী লীগের অনুগত সৈনিক ছিলেন।
মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মারা গেছেন
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মারা গেছেন
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই এমপি মারা গেছেন। শনিবার থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আব্দুল হাই জন্মগ্রহণ করেন শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পাশ করার পর ভর্তি হন বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাশ করার পর ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে পাশ করেন বিএ।
আরও পড়ুন: সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন
বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন অবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে ১৯৮৭ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের স্ত্রী মারা গেছেন
তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন আব্দুল হাই। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলে দ্বিতীয় বারের মতো ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি।
আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৩ বছর বয়সে গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যু হয়।
প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধের এই প্রয়াত সংগঠক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক, প্রাজ্ঞ আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপুর অবদান দেশের ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।
ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার(১০ মার্চ) এক শোক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
বিবৃতিতে তিনি মরহুম ইহসানুল করিম-এর পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, ইহসানুল করিম আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর এবং তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।