%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৯ মে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১২ মে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি
এছাড়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৬ থেকে ৮ মে আপিল করতে পারবেন প্রার্থীরা। আর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে আগামী ৯-১১ মে।
এরপর ১৩ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১২টি উপজেলায় প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এবার চার ধাপে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন। এবার সারাদেশে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় এবং ২১ মে ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য দুই ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
গত সোমবার প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়। ১৫০টি উপজেলায় একটি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুটি করে মোট ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে ইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল পদ্ধতি চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা অনলাইনে সম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। এছাড়া যে কোনো স্থান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ সংক্রান্ত কার্যক্রমও সম্পন্ন করতে পারবেন তারা।
শুক্রবার(৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রার্থীরা অনলাইনে পছন্দমতো প্রচলিত কার্যকর উপায়ে জামানত জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটির মেয়র নির্বাচিত তাহসিন বাহার
প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে প্রার্থীর সময় বাঁচবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য www.ecs.gov.bd লিংকে (মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমাদান) বা https://onss.ecs.gov.bd/ সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে হলে প্রথমত প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে এনআইডি যাচাই ও মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ যাচাই-বাছাই করা হয়। সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর যে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেই নম্বরে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে, যা সাবধানে সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক টিটু
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর রিটার্নিং অফিসার অনলাইনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র প্রাপ্তি স্বীকার, নিশ্চিতকরণ, বাছাই/যাচাই-বাছাই, আপিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পাদন করবেন। প্রদত্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে প্রার্থী যে কোনো সময় তাদের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন; পাশাপাশি মোবাইলে মেসেজ পাবেন।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা যাবে। শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
প্রার্থীদের সুবিধার্থে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফেসবুক পেজ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজ ও নিচের লিংকে ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে- https://youtu.be/hcImF47SkO8?si=eloeoZ1rI_liBs_G
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
কুমিল্লা সিটির মেয়র নির্বাচিত তাহসিন বাহার
শনিবার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উপ-নির্বাচনে বেসরকারিভাবে তাহসিন বাহার সূচনাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় নগরীর জিলা স্কুল মিলনায়তনে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে সূচনা পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক টিটু
আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৫ ভোট এবং অপর প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম পেয়েছেন ৫ হাজার ১৭৩ ভোট।
সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টার দিকে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে।
তাহসিন বাহার বলেন, এ বিজয় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ ও কুমিল্লা নগরবাসীর বিজয়।
এ সময় তিনি কুমিল্লা নগরীর সংস্কারে সর্বস্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় মেয়র আরফানুল হক রিফাতের মৃত্যুতে মেয়র পদটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটির ভোট গ্রহণ চলছে
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক টিটু
শনিবার অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে ইকরামুল হক টিটুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে টিটু আবারও মসিক মেয়র নির্বাচিত হলেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
টিটু পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আইনজীবী সাদেকুল হক খান মিল্কি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট।
অপর প্রার্থী এহতেশামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৩৩ ভোট, রেজাউল পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট ও জাতীয় পার্টির শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
এছাড়া ৩২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ও ১১টি সংরক্ষিত নারী আসনে ১৪৯ জন কাউন্সিলর ও ৬৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবারের উপনির্বাচনে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটির ভোট গ্রহণ চলছে
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারের সমর্থক।
আহত জহিরুল ও তুহিনকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সকাল ১০ টায় কুমিল্লা নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশেই ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক জহিরুল আহমেদ ও তুহিন নামের এক ব্যক্তিকে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুমন গুলি করে।
এই ঘটনায় আহত জহির বলেন, ‘ভোট ক্যাম্পের পাশে আমি দাঁড়িয়ে থাকলে বাস মার্কার সমর্থক মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুজন আমাকে ও তুহিনকে পুলিশের সামনেই গুলি করে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটির ভোট গ্রহণ চলছে
নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনার সমর্থকরা ভোট দিতে আসতে দিচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আমার কর্মীরা। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’
এই ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার হাসান আহমেদ কামরুল বলেন, ঘটনাটি ভোটকেন্দ্রের সীমানার বাইরে ঘটেছে। আমি বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছি।
এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই মসিক নির্বাচন, কেন্দ্রে পৌঁছেছে নির্বাচনি সরঞ্জাম
কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটির ভোট গ্রহণ চলছে
শান্তিপূর্ণভাবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
কুমিল্লায় মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মেয়র আরফানুল হক রিফাতের মৃত্যুতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি শূন্য হয়।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ড. তাহসিন বাহার সূচনা, নিজাম উদ্দিন কায়সার, সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও নূর-উর-রহমান।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই মসিক নির্বাচন, কেন্দ্রে পৌঁছেছে নির্বাচনি সরঞ্জাম
ময়মনসিংহে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের সাহায্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স ছাড়াও ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, সশস্ত্র পুলিশ, আনসার ও র্যাবের ১৭ টিম মাঠে থাকবে।
এছাড়া ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: মসিক নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী টজুর ১৫ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা
প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
ময়মনসিংহে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইকরামুল হক টিটু, এহতেশামুল আলম, আইনজীবী সাদেকুল হক খান মিল্কী, রেজাউল হক ও শহিদুল ইসলাম স্বপন।
এছাড়া ৩২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ও ১১টি সংরক্ষিত নারী আসনে ১৪৯ জন কাউন্সিলর ও ৬৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত ২৪ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসায় বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে: কাদের
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন ৯ মার্চ: ইসি
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এই তফসিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
পৌরসভা নির্বাচনসহ আরও ২৩১টি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ইসি সচিব জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ২২ ফেব্রুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ রবিবার (২১ জানুয়ারি) জানিয়েছে, সর্বশেষ খসড়া হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী দেশে এখন মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইসির সহকারী পরিচালক আশাদুল হক জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকায় পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ জন।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে কমিশন এ বছর তা করতে পারেনি।
দেশের প্রতিটি উপজেলা ও থানা নির্বাচন কার্যালয়ে এই তালিকা থাকবে। খসড়া তালিকায় বিদেশি, মৃত, জাল ভোটারের উপস্থিতির বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো যাবে।
আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। এ তালিকা ধরেই হবে আগামী উপজেলা নির্বাচন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন ভোটার ১১.৯৬ কোটি: ইসি
এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো নির্বাচনই বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়, এমনকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও নয়।
তিনি বলেন, কোনো নির্বাচনই বিতর্কের ঊর্ধ্বে যায়নি। এমনকি যে নির্বাচন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট, সেটিও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল করার জন্য আয়োজিত ধন্যবাদ অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন খুব একটা অংশগ্রহণমূলক ছিল না, কারণ একটি বড় দল শুধু নির্বাচন বর্জনই করেনি, বরং এটি যাতে অনুষ্ঠিত না হয় এবং তারা এটিকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
তিনি বলেন, 'নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় জাতি সন্তুষ্ট হয়েছে।’
অপবাদ ও বদনাম দুটোই নিতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় একটি কাজ সফল করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি এই সংকট কাটিয়ে উঠেছে।’
রাজনীতিবিদদের আস্থা না থাকলে নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্যতা পায় না।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: ঢাকা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে সফল হয়েছি। আমি যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি সেখান থেকে নিচে নামতে পারি না। আমরা দেখবো কিভাবে এই কমিশন কাজ করে। এটা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’
আরেক কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
‘চ্যালেঞ্জ করলে আমরা সেটা দেখাতে পারি। এবারই প্রথম প্রতিটি আসনে গঠিত নির্বাচনী তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও ভালো কাজ করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ, সংলাপ ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন ছিল একতরফা ও কৃত্রিম প্রতিযোগিতা: টিআইবি
বাংলাদেশের নির্বাচন ছিল একতরফা ও কৃত্রিম প্রতিযোগিতা: টিআইবি
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক ছিল না বলে একটি প্রতিবেদনে বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত গত ৭ তারিখের ভোটের ফলাফল মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লাভ-ক্ষতিসহ সামগ্রিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশুভ, যা গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
আজ ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এতে বক্তব্য দেন।
টিআইবি তাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের অধীনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ৫০টিতে এই জরিপ পরিচালনা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক পরস্পরবিরোধী ও অসহিষ্ণু অবস্থানের কারণে নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি।’
এতে বলা হয়,‘এই পরস্পরবিরোধী কর্মসূচি এবং অসহিষ্ণুতা কারণে সংঘাতের কাছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে জিম্মি করার অবস্থা আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অব্যাহত থাকা নিশ্চিত করার কর্মসূচি সফলভাবে অর্জিত হয়েছে। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা নাও হতে পারে। আর চ্যালেঞ্জ করা হলে টিকে নাও থাকতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক সততা, গণতান্ত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধের দিক থেকে এই সাফল্য চিরদিন বিতর্কের বিষয় হয়ে থাকবে।’
গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সর্বোপরি অবাধ, উন্মুক্ত ও অবাধ প্রতিযোগিতার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পূর্বশর্তের মতো জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাল অনুশীলনের মূল উপাদানগুলো পূরণ করা হয়নি বলে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, 'নির্বাচন কমিশন কখনও সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতার নামে এবং কখনও নকশার মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মূল অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনও একই ভূমিকা পালন করেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে নির্বাচনী রাজনীতির সমান সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। কোনো অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও, যেখানে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে এবং তার নিজস্ব 'স্বতন্ত্র' এবং অন্যান্য অনুসারী দলের বিরুদ্ধে বানোয়াট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সহিংস শত্রুতা রয়েছে। যেটির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ বা জনস্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
প্রতিবেদনের শেষ অংশে বলা হয়, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি যেমন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অশুভ অভিজ্ঞতা। তেমনি গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন দেশ ও জনগণকে কী করতে হবে এবং এড়ানো উচিত, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি কৌশল ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি একটি পাঠ হতে চলেছে।