������������������������
উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের তিনজন, ১৪ দলীয় জোটের দুজন ও স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বুধবার আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমান ৯৪ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার আপেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হককে তিন হাজার ৬৫৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল ওয়াদুদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৬৩৮ ভোট এবং সামিউল পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৮০ ভোট।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এ কে এম গালিব খান রাত ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন।
বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। আলম মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: ৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, যিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতাও, তিনি ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৩৫ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন তিন হাজার ২৬৯ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন ৮৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়কে ৩৩ হাজার ৭৩৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
গোপাল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯ ভোট এবং ১৪ দলের সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৫৬ ভোট। সেখানে উপ-নির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ছয়টি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে গড় ভোটার উপস্থিতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। এটি আমাদের প্রাথমিক অনুমান, চূড়ান্ত নয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান। তবে ভোটকেন্দ্রে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়নি।
ছয়টি আসনে চল্লিশ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক জনসভায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গত ১১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান পদত্যাগ করেন। বিএনপির অপর দুই সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন অর রশীদ পরবর্তীতে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
হেরে গেলেন হিরো আলম
বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে বহুল আালোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পরাজিত হয়েছেন। বুধবার ভোট গণনা শেষে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে বগুড়া-৪ আসনে জাসদ (ইনু) প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।
সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে জানা গেছে, এ আসনের কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে মশাল প্রতীকে তানসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ৩০৮ ভোট।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪০৪ ভোট। অর্থাৎ, ৯৫১ ভোটে হেরে গেছেন তিনি।
রাত সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেনি।
৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপির ছেড়ে দেয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে গড় ভোটার উপস্থিতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গড় ভোটার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। এটা আমাদের অনুমান, তবে চূড়ান্ত নয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও উপনির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় ছিল।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। কোনো ব্রেকিং নিউজ প্রকাশিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, তারা এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অনিয়ম বা ভোট কারচুপির তথ্য পাননি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজকের উপনির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সে দিক থেকে নির্বাচন সফল ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন যে তারা এখন পর্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর নির্ভর করি, কারণ তারা নির্বাচন সফল করতে তারা পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এমপিদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হয়ে যাওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে।
যে ছয়টি আসনে ভোট হয়েছে সেগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি। ৬টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকাল ৯টার দিকে জেলা আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শহীদ জানান।
তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে একটি অশোধিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১১০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং চারটি স্ট্রাইকিং টিম দায়িত্ব পালন করছে।
নির্বাচনী এলাকায় ৮৬৭টি ভোটকেন্দ্রে মোট ২২ লাখ ৫৫ হাজার ২১৭ জন ভোটার রয়েছেন।
এদিকে উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক জনসভায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ থেকে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান।
বিএনপির অপর দুই সংসদ সদস্য- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন-অর-রশিদ- পরে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত।
এদিকে, সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে আসছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। নেই উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে ভোটারের উপস্থিতি।
নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এরা হলেন- বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি)। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষণা করায় এখানে দলটির কোনো প্রার্থী (দলীয়) নেই।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
এছাড়াও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অফিসারসহ এক হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও চারটি স্ট্রাইকিং টিম নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে তিনজন পুলিশ, অস্ত্রধারী দু’জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও দুইজন গ্রাম পুলিশ।
উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে দুই পক্ষের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কেন্দ্রের মাঠ থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন ও নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওদুদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল কালাম শাহিদ জানান, দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে স্কুলমাঠে ককটেল বিস্ফোরণ!
নওগাঁর মান্দায় আমবাগান থেকে ১৮টি ককটেল উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কোনো কোনো কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দুই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা আট লাখ ১৬ হাজার ৯৪৫ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৩৫২টি। এবারই প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচনে দু’টি আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ছয়জন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে তিনজন।
এদিকে, ৩৫২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২১৯টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে সহিংশতার খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব জানান, শান্তিপুর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুই আসনে আইনশৃংখলা বাহিনীর এক হাজার ৮০০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষায় দু’টি আসনে ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ হারুন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, নাচোল) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করায় এ আসন দু’টি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো.জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, সরকার এই মুহূর্তে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ক্রয় প্রকল্পটি বাতিল করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সরকারের আর্থিক সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ইসি ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব
এছাড়া গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর, নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনে ইভিএম সংগ্রহের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ আগস্ট আগামী নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। আগামী বছরের শুরুতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা। তারা জুলাই মাস জুড়ে চলা সিইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
এরশাদের আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ১ সেপ্টেম্বর: ইসি সচিব
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাহান আলম সাজু।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আইনজীবী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ উপনির্বাচনে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্য চার প্রার্থীরা হলেন: জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্রভাবে জাপা বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু আসিফ।
উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে মো মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন ও দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিএনপি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদসহ দলের অভ্যন্তরীণ সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাত্তার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের সাতজন বিএনপি সদস্যের মধ্যে পাঁচজন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল৷
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনোত্তর মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু সংকটের কথা শোনা গেছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এমন সমস্যা কোন ভোটে দেখতে চায়না ইসি। তাই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধীরগতির কারণ পর্যালোচনাও করবে কমিশন বলেও জানান তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফিঙ্গার প্রিন্টের সমস্যা কম ছিল। তবে নানা কারণে নির্বাচনে ভোট কাস্টিং এ ধীরগতি কম ছিল। ইভিএম এ ভোট সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে নির্বাচন কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা ভোটের দিনের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা ইসিকে অবহিত করেন।
সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের দেখা অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো তুলতে গিয়ে ভোটারদের বাধা দেয়া, ইভিএম ত্রুটি ধরা পড়া, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা বলেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ভোটাররা এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি ইভিএমে। অনেকের হাতের ছাপ না মিলায় রংপুরে ভোটগ্রহণ ধীরগতি হয়েছে। আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় সিইসি ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিল।
পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী, সদ্য সমাপ্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও অংশ নেন এই সভায়।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রমাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
ওই দুই আসনে মোট ২২জন প্রার্থীর মধ্যে বাতিল হয়েছে বগুড়া-৪ আসনে পাঁচজন এবং বগুড়া-৬ আসনে ছয়জনের।
বগুড়া-৪ আসনের বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, ইলিয়াস আলী, সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, আব্দুর রশিদ ও আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
বগুড়া-৬ আসনে- বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদল, আব্দুল মান্নান আকন্দ, সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, হিরো আলম ও রাকিব হাসান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন সংগ্রহ
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের দুই আসনেই ১ শতাংশ ভোটার সমর্থক তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। একই রকম গড়মিলের কারণে বাতিল হয়েছে অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নও।
সাইফুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকের দাখিল করা তথ্যে গড়মিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে কারও আপত্তি থাকলে আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলের পর হিরো আলম বগুড়া ডিসি অফিসে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আমি আপিল করবো। মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনে লড়বো।
এদিকে বগুড়া-৬ আসনে বাতিলের পর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু এবং জাপা ও জাসদসহ সাতজনের। আর বগুড়া-৪ আসনে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ১৪ দলের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন ও জাপাসহ চারজন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- শূন্য ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আর ‘বিকৃত’ করে গান গাইবেন না হিরো আলম
বউ পেটানোর মামলায় হিরো আলম কারাগারে