%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
বুয়েটে নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক নিয়োগ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক।
বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. ফোরকান উদ্দিন নতুন এ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে সাধারণ বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ইইই বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমানের পদত্যাগের দাবি ওঠে। যিনি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি বুয়েট শিক্ষক সমিতির
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বুয়েটে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি।
সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।’
গত ২৯ মার্চ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। যেখানে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে বাধা নেই।
গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি বুয়েটে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কমিটি দিচ্ছে এমন তথ্য ছড়িয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানটিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বহালের দাবিও জানান আন্দোলনকারীরা। শেষমেশ আন্দোলনের বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। যেখানে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে বাধা নেই।
এদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের সমাগম ঘটানোর কারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বীর আবাসিক হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত এই আদেশ দেন।
চাঁদাবাজ ও ভূমিদখলকারীদের কোনো ছাড় নেই: পরিবেশমন্ত্রী
সন্ত্রাসী, অত্যাচারকারী, চাঁদাবাজ ও ভূমি দখলকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন ও পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার গোলারবাড়ি ব্রিজ নন্দীপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সাবের চৌধুরী বলেন, ‘এ সরকার সাধারণ মানুষের সরকার, প্রতিটি মানুষের সরকার। সব নাগরিকের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও আমরা জনগণের পাশে থাকব।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভালো কাজের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। জনগণের পাশে থাকাই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পিছিয়ে পড়া-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের চাল, ডাল, আলু, তেল, সেমাই, শাড়ি, লুঙ্গিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে।’
এ সময় প্রায় ১২০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রথম নির্বাচিত কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নাসরিন আহমেদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
পরে মানিকদিয়া ইদ্রিসিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১০০০ পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে বস্ত্র বিতরণ করেন পরিবেশমন্ত্রী।
জিহাদ করতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে হিযবুত তাহরীরের ই-মেইল
নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন হিযবুত তাহরীর এক ই-মেইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের 'পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম' এবং দেশে 'খেলাফতে ইসলামির' শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে। এ ঘটনায় এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তিন পৃষ্ঠার বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের তাদের মিশনে একত্রিত হতে, সমস্ত পশ্চিমা মূল্যবোধ ত্যাগ করতে, সমস্ত পশ্চিমাদের ইসলামের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে এবং খেলাফতের শাসন বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে হিযবুত।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে কটাক্ষ করে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগকে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করে হিযবুত। একই সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগকে প্রতিরোধ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
'বুয়েট থেকে ছাত্রলীগকে প্রতিহত কর' শিরোনামের ওই বিবৃতিতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে ক্যাম্পাসে পশ্চিমা সংস্কৃতি প্রচার করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। ‘ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত এবং সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধদের পরিণতি মারাত্মক’ হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
বৃহস্পতিবার বুয়েট ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে একদল শিক্ষার্থী তাদের নিরাপত্তার আবেদন করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে এই ই-মেইল আসে বলে কয়েকজন জানিয়েছেন।
ই-মেইল পাওয়া শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি গণমাধ্যমে জানান, হিজবুত তাহরীর ও বেশ কয়েকটি সংগঠন নতুন করে সদস্য সংগ্রহের জন্য ক্যাম্পাসে একটি গোপন মিশন চালাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে উগ্রবাদী ও চরমপন্থী সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন পেজ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এজন্য তারা শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন।
উগ্রবাদীদের হুমকির পর নিরাপত্তা চাইলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে উগ্রবাদী ও মৌলবাদী সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী।
তারা জানান, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও সাম্প্রদায়িক উসকানিতে অভিযুক্ত এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত পেজ বাঁশেরকেল্লা, টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীদের নাম ও ছবি প্রচার শুরু করেছে।
অতীতে এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার সঙ্গে এর মিল রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এসব হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কারণ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের পর বুয়েটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া
শুক্রবার বুয়েটের শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে হুমকির স্ক্রিনশটগুলোসহ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল আলম, অরিত্র ঘোষ, সাগর বিশ্বাস জয় ও অর্ঘ্য দাস এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নিল ও মিশু দত্ত।
কয়েকদিন আগে তারা উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন, যেখানে তারা ২১ জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করেন, যারা একই ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন।
তারা বলেন, ‘মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ায় অতীতে আমাদের ওপর মৌখিক আক্রমণ হয়েছে, যা স্পষ্টতই মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।’
২০১৩ সালে পৃথক হামলায়, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়। এক ছাত্র নিহত ও অপর একজন বেঁচে যান। শিবিরের হামলার শিকার হওয়া এই দুই ছাত্রনেতা মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
তারা আরও বলেন, তন্ময় আহমেদ ও আরিফ রায়হান দীপ নামে ওই দুই ছাত্রনেতার ওপর হামলার আগে বাঁশেরকেল্লা ও আমার দেশ পত্রিকা 'ইসলামের শত্রু' আখ্যা দিয়ে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালিয়েছিল।
হলের ভেতরে মৌলবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এক সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে দীপ মারা গেলেও তন্ময়কে শিবির কর্মীরা নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করেছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
এসব হামলার কথা স্মরণ করে তারা বলেন, 'আমাদের পূর্বসূরীদের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন তৈরি হয়। দুজনেই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং এই দলগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। একই ভাবে বাঁশের কেল্লা আমাদের টার্গেট করেছে। আমাদের বিস্তারিত তথ্যসহ পোস্টগুলো এরই মধ্যে টেলিগ্রাম চ্যানেলের মতো বিভিন্ন যোগাযোগ চ্যানেলের মাধ্যমে এই দলগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে।’
প্রত্যন্ত অঞ্চলে বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীসহ শিবিরের ৩৪ জন নেতা-কর্মীর গোপন বৈঠকের খবরের বরাত দিয়ে তারা বলেন, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তারা ছাত্রদের নিয়ে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।’
‘এমনকি কিছু ফেসবুক গ্রুপেও আমরা দেখতে পেয়েছি যে, আমাদের নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করা হয়েছে এবং আমাদের কিছু সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীকে টার্গেট করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর পোস্টগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা জঙ্গিদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই স্থান ব্যবহার করছে, এই কর্মীদের জড়িত থাকার আরও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!
হাইকোর্টের রায়ের পর বুয়েটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিতে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডমুক্ত ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা দেশের বিচার বিভাগের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থার কথা উল্লেখ করে তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের ওপর জোর দেন। বিশেষ করে ২৮ মার্চ যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে, ঘটনাটিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করছেন।
তারা রাজনীতিমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার সঙ্গে একাত্ম হতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সোমবার বিকালে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণে সংকুচিত সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধার হিসেবে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বুয়েটে নিয়মিত ছাত্র রাজনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং হাইকোর্টের রায় ও বুয়েটের অধ্যাদেশ অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বুয়েট প্রশাসন হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। যা ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পটভূমিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
'বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতিতে কোনো বাধা নেই'- হাইকোর্টের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বুয়েট উপাচার্য বলেন, 'হাইকোর্ট যা বলবে তা আমাদের মেনে নিতে হবে। আদালতের আদেশ অবশ্যই মানতে হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনকে পারস্পরিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে এবং এজন্য আলোচনা জরুরি।
উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন ওই শিক্ষক।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ (৪৬ তম আবর্তন) এক শিক্ষার্থী নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ তুললে ওই শিক্ষার্থীর নামে মিরপুর মডেল থানায় গত ২৪ মার্চ সাধারণ ডায়েরি করেন শিক্ষক সাজু সাহা।
গত ২৩ মার্চ তিনি তার ফেসবুক একাউন্টে যৌন হয়রানি অভিযোগ করে বলেন, 'সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা তাকে কাউন্সিলিং করানোর নামে যৌন হয়রানি করেছে। এছাড়া তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য রেস্টুরেন্টে পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছিল। এসবের কারণে আমি ঠিকমতো ক্লাস পর্যন্ত করতে পারিনি।'
ওই শিক্ষকের ব্যাপারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওনার এত কনফিডেন্স যে আমি কিছু প্রমাণ করতে পারব না.. কারণ উনি প্রমাণ রাখার মত কিছু রাখেন নাই.. তবে যা আছে, তা ওনার দোষ প্রমাণ করতে যথেষ্ট.. এত হ্যারাসমেন্ট -এর পরেও আমার বিশ্বাস ছিল উনি গিল্টি ফিল করবেন। কিন্তু ওনার মধ্যে কোনো অনুতপ্ত হওয়ার চিহ্ন নেই। শুধু ডিপার্টমেন্ট শেষ করার জন্য আমি ওনার সঙ্গে ভালো আচরণ করে গেছি।’
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলায় শিক্ষার্থীর নামে জিডি
একদিনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি পোস্টে আরও বলেন, ‘উনি যে রিকশায় আমার গায়ে জোর করে হাত দিয়েছেন, তার কি প্রমাণ আমি দেব?? রিকশাওয়ালাকে খুঁজে নিয়ে আসব?? এটা কি আদৌ সম্ভব! আমি এরপরও ভয়ে ওনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি।’
ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে সাজু সাহা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আমরা সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আমাকে পরোক্ষভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে তাকে অভিযুক্ত করার। আমাকে হ্যারেজ করার পর তিনি(সাজু সাহা) বার বার বলতে থাকেন আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে তুমি এ নিয়ে কাউকে কিছু বলোনা।'
ভুক্তভোগী আরও বলেন,'আমাদের কথোপকথনের রেকর্ড আমার কাছে আছে। তিনি অনেক মেসেজই ডিলিট করলে আমাকে ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করার মেসেজ আছে।'
জিডি বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের ওই শিক্ষক প্রথমে অস্বীকার করেন পরে জিডির কপি দেখালে তিনি বলেন,'আমি লিগ্যালি হ্যান্ডেল করব।'
যৌন হয়রানি বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেও অবাক। আসলে হঠাৎ করে এ ধরণের অভিযোগ, আমি নিজেও বুঝতেছি না। আমার কাছে এটার কোন ভিত্তিই নাই। আমি কি করেছি সেটাও আমি বুঝতেছি না। তার পোস্ট পড়ে আমি যতটুকু বুঝলাম, আমার কাছে বিষয়টা স্ট্রেঞ্জই লাগছে। এটা ও ই ভালো বলতে পারবে। আমি দেখেছি বিষয়টা— এটা নিয়ে কি করা যায়। আমি আইনগতভাবে যাব।
সিগন্যাল অ্যাপ
অ্যাপ এর ব্যপারে ওই শিক্ষক বলেন,আমি ভুক্তভোগীকে এই ধরনের কোন মেসেজ আদান প্রদানের অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলিনি। কেউ না চাইলে কি কাউকে জোর করে কোন কিছু করানো যাবে।
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে হোয়াটাঅ্যাপে সিগন্যাল নামে একটি গোপন বার্তা পাঠানোর অ্যাপের লিংক পাঠান এবং ডাউনলোড করতে বলেন।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুল হক বলেন, আমি বিষয়টি দেখেছি। এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি আসে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ঘটনার পরে,বিভাগের নিয়মিত একাডেমি কাউন্সিল সভায় সাজু সাহার বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং আলোচনা শেষে ওই বিভাগের সকল শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।
এছাড়াও সাজু সাহা ওই শিক্ষার্থীর নামে উপাচার্য বরারব যৌন হয়রানি অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগ কর্মীদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শনিবারও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।
সকালে তারা ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্র রাজনীতি চালুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর ১১ অক্টোবর ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির হল বরাদ্দ বাতিল করে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে ইমতিয়াজ রহিম রাব্বিকে বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যেসব শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের বহিষ্কারেরও দাবি জানান তারা। তারা হলেন- এ এস এম আনাস ফেরদৌস (আইডি: ১৮১৮০০৪), মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল (আইডি: ২১০৬১০১), অনিরুদ্ধ মজুমদার (আইডি: ২১০৬০৭৯), জহিরুল ইসলাম ইমন (আইডি: ২১১২০৩১) এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদীন রিফাত (আইডি: ২১০৬১২৬)।
এছাড়া মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেমিনার কক্ষ ব্যবহারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন শিক্ষার্থীরা। কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করতে হলে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের অনুমতি নিতে হয়।
'দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি লঙ্ঘনের' অভিযোগেছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালকের পদত্যাগও দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন তারা।
শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির কয়েকজন নেতা-কর্মী রাষ্ট্রপতির হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের একজন দারোয়ান ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের মিলনায়তন ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জালিয়াতি রোধে বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্রের সাফল্য
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাম্পাসে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবারও শুরু করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সকল প্রকার শিক্ষাকার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
২০১৯ সালে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষের মেধাবী ও সংবেদনশীল শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে বুয়েট ক্যাম্পাসে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভয়ংকর নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী জড়িয়ে পড়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের রাজনীতি বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এরপর থেকে ছাত্রলীগ বিক্ষিপ্তভাবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বা বিশেষ করে রাজনৈতিক কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই শিক্ষার্থীদের রাজনীতি বিরোধী সংগঠনের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে এবং সর্বশেষ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক ধারাবাহিক সেই সূত্রেই পড়ে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ: এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকাল বিদায়
গত বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি এবং তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে 'গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। এরপর ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির কয়েকজন নেতাকর্মী ছাত্রলীগ সভাপতিকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রবেশ চেষ্টা বলে মনে করছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
নিরাপদ ক্যাম্পাস ও বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
শত শত শিক্ষার্থী সকাল থেকে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভে যোগ দেয় এবং সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন করে।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন যে তাদের বিরোধীরা 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বুয়েট ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র করছে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের নির্ধারিত ক্লাস এবং পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণাও দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য বুয়েটের যে কোনো ছাত্রকে হল ও বিভাগ থেকে সাময়িক বহিষ্কা করা; বিশেষ করে 'জড়িত' ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
তারা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, এ ঘটনায় বুয়েট প্রশাসনের অবস্থান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তাসহ লিখিতভাবে আশ্বাস দেওয়া এবং কোনো হয়রানির শিকার না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন