������������������
সিরাজগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের গুলিতে মেডিকেল ছাত্র গুলিবিদ্ধ
সিরাজগঞ্জের শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে গুলি করেছেন এক শিক্ষক।
আরাফাত আশিক তমাল (২৩) নামে ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বগুড়া জেলার ধানসিঁড়ি নাটাইপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর শিক্ষক ড. রায়হান সাদিককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল।
এই ক্লাসে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তৃতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর পায়ে গুলি করেন তিনি।
এ ঘটনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আমিরুল হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ২টি কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির পৃথক দুটি অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যৌন হয়রানির পৃথক দুটি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের জন্য ১৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয় এবং একই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাডেমিক অসদাচরণের আরেকটি অভিযোগ তদন্তে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিববার(৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব কমিটি গঠন করা হয়।
যৌন হয়রানি তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহকে সদস্য করা হয়েছে।
একাডেমিক অসদাচরণের অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত অন্য কমিটিতে রয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছাড়, সিন্ডিকেট সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানের কাছে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী।
পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন সাবেক এক শিক্ষার্থী।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও একাডেমিক অসদাচরণের বশবর্তী হয়ে অধ্যাপক নাদির ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের একটি কোর্সে অস্বাভাবিক কম নম্বর দিয়েছেন।
অভিযোগ দায়েরের পরপরই শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাময়িক বরখাস্ত ও বিচারের দাবিতে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।
তবে আন্দোলনের মধ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি নাদিরকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার জন্য জমা পড়েছে তিন লাখ আবেদন
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জেএসটি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের পছন্দের পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাসিম আখতার এ তথ্য জানান।
উপাচার্য নাসিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জেএসটি ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক অনুষদের ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, “আবেদনকারীদের মধ্যে ৯০ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটে ৫৩ হাজার ৮৩২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১৯ হাজার ৭৭০ জন, ‘সি’ ইউনিটে ১৭ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। যা মোট আবেদনকারীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।”
আরও পড়ুন: আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বছর আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবেদনের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। এখন আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করব।’
ভর্তি পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে না বলেও কমিটি জানিয়েছে।
যে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জেএসটি-তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলো হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
আরও পড়ুন: বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
আগা খান একাডেমির মানসম্মত শিক্ষার প্রতিশ্রুতি স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে এবং পরিবর্তনশীল বিশ্বে ইতিবাচক অবদান রাখতে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা দিয়ে সমৃদ্ধ দেশ গঠনের বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে আগা খান একাডেমি ঢাকা অবদান রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রধান প্রধান সুভিনা শুংলু।
তিনি বলেন, ' একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশের অভিন্ন লক্ষ্যের জন্য এবং আমাদের জনগণের উন্নতির লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’
সম্প্রতি তার কার্যালয়ে ইউএনবিকে এসব কথা বলেন আগা খান একাডেমি ঢাকার নতুন প্রধান।
সুভিনা বলেন, একাডেমি এখন দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষে রয়েছে, এবং তার একটি স্বপ্ন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মানসম্পন্ন শিক্ষা, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির সংস্কৃতির প্রচার করে।
তিনি বলেন, ‘এই স্বপ্ন আমাদের কাছে এসেছে এর প্রতিষ্ঠাতা আগা খানের কাছ থেকে। আমরা এখানে এসেছি এবং স্কুলটি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এখানে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, একে অপরকে সম্মান করবে এমন প্রজন্ম গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন এবং যারা বহুত্ববাদ ও ভিন্নমত গ্রহণ করবে এবং সর্বজনীন লক্ষ্যের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
গত ৩০ বছর ধরে শিক্ষা ও স্কুল প্রশাসনে কাজ করা সুভিনা জানান, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে তাদের একাডেমি না থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরনের একাডেমি রয়েছে।
আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত আগা খান একাডেমির নেটওয়ার্কের মধ্যে চতুর্থ আগা খান একাডেমি ঢাকা।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
দেশের আটটি বিভাগে একযোগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ পরীক্ষা।
চলতি বছর বিজ্ঞান অনুষদের ১ হাজার ৮৫১টি সিটের বিপরীতে ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
সাড়ে ১১টার দিকে, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে পরীক্ষা গ্রহণে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পবিপ্রবি ভিসি ও ইউজিসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- পবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বসু, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও ইউজিসি চেয়ারম্যান।
২৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন ইসরাত জাহান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির বাদশা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাদী (ভুক্তভোগী) ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন এবং বিজ্ঞ আদালত সমন নোটিশ ইস্যু করেছেন।’
এ বিষয়ে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ‘মামলা হয়েছে কি না বলতে পারব না, এখনো কোনো কাগজপত্র পাইনি।’
আরও পড়ুন: পবিপ্রবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৪
ভিসি অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘শুনেছি মামলা হয়েছে, তবে এখনো কোনো কাগজ পাইনি। মামলা হলে অবশ্যই অফিশিয়ালি ফেস (মোকাবিলা) করব।’
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর সেকশন অফিসার পদে একজন ও ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর তিনজনসহ অন্যান্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর।
সেকশন অফিসার পদের জন্য ঢাকার বাসিন্দা ইসরাত জাহান অনি (মামলার বাদী) আবেদন করেন। ফলে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর বাদীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ঢাকা হলে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক–কর্মকর্তা পদে বাছাইয়ের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করে। যা বিধিবহির্ভূত বলে বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
বিবরণে আরও বলা হয়, সেকশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা লেনদেনের গুঞ্জন রয়েছে। এ প্রক্রিয়ার কারণে মামলার বাদী ইসরাত জাহান অনি উপযুক্ত প্রার্থী হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। এজাহারে সেকশন অফিসারসহ অন্যান্য পদের নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভূক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার- ২০২৩’ -এর ফল প্রকাশিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
১ম গ্রুপের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বমোট দুই হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ফলাফল পাওয়া যাবে।
উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও ফলাফলের মেসেজ পাবেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৯ হাজার ৩৩৭ জন।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
কুষ্টিয়ায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে জাহেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রতন রায় ও রিহাব রেদোয়ানের।
তারা ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সমর্থক।
এ নিয়ে একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বসে থাকা অবস্থায় রতন ও রিহাব তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখির কলরবে মুখর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে রিহাব রেদোয়ান বলেন, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগ কারো দায় নেয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক নবীনকে নির্যাতন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সমর্থক শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগরের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী তাকে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে য়ে নির্যাতন করে।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
‘ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান প্রয়োজন’
ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন করতে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠিত হলে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন সহজ হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ওয়ান হেলথ, স্মার্ট বাংলাদেশ ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দিতে হবে। ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলী অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, স্মার্ট পাঠ্যক্রম, স্মার্ট গ্রাজুয়েট ও স্মার্ট খামারির মাধ্যমে দেশের কৃষির উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন:কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
তিনি আরও বলেন, বিএসভিইআর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে কাজ করে। স্মার্ট ভেটেরিনারিয়ান তৈরিতে ভেটেরিনারি শিক্ষাকে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রমের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় 'স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সম্মেলনে প্রাণীর বিভিন্ন রোগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থাপিত এসব পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ থেকে যে ফলাফল পাওয়া যাবে স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠা করতে তা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নারেশ চন্দ্র দেব বার্মা, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম বলেন, আন্তর্জাতিক কর্মবাজারে আমাদের ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের প্রতিষ্ঠিত হতে হলে দক্ষতা সমপন্ন হতে হবে। দক্ষতায় ঘাটতি থাকার কারণেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গ্রাজুয়েটই বেকার।
তিনি আরও বলেন, তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলি অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
ওয়ান হেলথ সম্পর্কে ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান বলেন, ওয়ান হেলথ একটি পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদ্ধতি যা মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য তিনটি বিষয়েই আলোকপাত করে।
তিনি বলেন, সফল জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এমন এক স্বাস্থ্য পদ্ধতির প্রয়োজন যা মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছর বিএসভিইআর সম্মেলনে অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলমকে ‘বার্ষিক লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
স্মার্ট ভেটেরিনারি ও ওয়ান হেলথ নিশ্চিতকরণে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
দেশের ৬১ শতাংশ রোগ প্রাণী থেকে মানুষে ও মানুষ থেকে প্রাণীতে ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উচ্চশিক্ষা ও গবষেণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান।
তিনি জানান, তাই ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। এ লক্ষ্যে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি অ্যাডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এবারের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনরে প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
অধ্যাপক আবু হাদী বলেন, ভেটেরিনারি শিক্ষায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রায় ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও দুইটি ভেটেরিনারি কলেজ বাকৃবিকে অনুসরণ করে ভেটেরিনারি ডিগ্রি প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখনো ডিজিটাল ও স্মার্ট ভেটেরিনারি পাঠ্যসূচি প্রণয়ন সম্ভব হয়নি। বিএসভিইআর সম্মেলনে সম্মানিত অতিথিদের কাছ থেকে ডিজিটাল ও স্মার্ট ভেটেরিনারি বিনির্মানের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে এবং তা সরকার ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে।
এছাড়াও দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হবে, যা দেশের প্রাণিসম্পদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনটিতে দেশের ৪০০ জন ভেটেরিনারি গবেষক, শিক্ষাবিদ, মাঠপর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেবেন।
বিএসভিইআর এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে একটি বার্ষিক বক্তৃতাসহ দুইটি পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা, একটি মূল প্রবন্ধ, ৬৮টি মৌখিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং ৭৮টি পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম গোলাম শাহি আলম।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত) ড. নাথু রাম সরকার, রেনাটা লিমিটেডের এনিমেল হেলথ ডিভিসনের প্রধান মো. সিরাজুল হক, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম খসরুজ্জামান।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিকৃবির সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ অ্যাক্রিডেটশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক এম গোলাম শাহী আলমকে ‘অ্যানুয়াল লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তাবান্ধব গবেষণায় দেশসেরা বাকৃবি
বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি