���������������������������������-������������������������
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রোহিঙ্গাদের নিজেদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সপ্তম অংশীদারি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য এর সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বর্তমানে দেশটি মিয়ানমার থেকে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে। এছাড়া তাদের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা সরবরাহ করছে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংকটের ভার যে কেবল আমাদের কাঁধেই বর্তাবে না তা বোঝা অপরিহার্য। যদিও আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিয়ানমারে এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সতর্ক করে বলেছেন যে- রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন শুরু করতে বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার অভাব সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
রাষ্ট্রপতি জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি বৈশ্বিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা বৈশ্বিক সহযোগিতার দাবি রাখে।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন শুরু হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যখন এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'-এর মতো কৌশল গ্রহণ করে; 'রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১' এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' যা আমাদের অর্জিত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, দারিদ্র্য ও প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে উন্নয়নের যাত্রায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
আরও পড়ুন: ১২ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে আশা, সহানুভূতি ও নিঃস্বার্থতার বাতিঘর আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এটি মানবতার মূল মর্মকে প্রতিনিধিত্ব করে।
তিনি আরও বলেন, ‘সপ্তম অংশীদারিত্ব সভার মাধ্যমে, আমরা কেবল রেড ক্রিসেন্টের স্থায়ী চেতনাই উদযাপন করছি না, বরং অগণিত ব্যক্তি, সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উদযাপন করছি যারা এটি সম্ভব করেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিডিআরসিএস মহাসচিব শফিকুল আলম।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল ওয়াহাদ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট প্রদান করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান অ্যাগনেস ধুর, আঞ্চলিক পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আলেকজান্ডার ম্যাথাউও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন: দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
১২ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায় ১২ দিনের সফর শেষে শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান (ফ্লাইট নম্বর বিজি-৫৮৫) সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন: দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, কূটনৈতিক কোরের ডিন, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবলো, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আইওআরএ সেক্রেটারি জেনারেলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৮ সেপ্টেম্বর, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে চেক-আপের জন্য সিঙ্গাপুরে যান রাষ্ট্রপতি।
ইন্দোনেশিয়ায়, তিনি ৪৩তম অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলন, ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এ ছাড়া ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাইডলাইনে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও আসিয়ান চেয়ার ২০২৩ জোকো উইডোডোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ৪ সেপ্টেম্বর জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: জাকার্তায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
৪৩তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট রাষ্ট্রপতিকে তার স্ত্রী অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়।
অন্যদের মধ্যে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সফরকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন।
আরও পড়ুন: আসিয়ান সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন
প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানান, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এবং আসিয়ান চেয়ার ২০২৩-এর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
‘এশিয়ান ম্যাটারস: এপিসেন্ট্রাম অব গ্রোথ’ প্রতিপাপদ্য নিয়ে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনটি তিন দিনের একটি ব্যস্ত কর্মসূচি নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
আসিয়ান সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় 'ইস্ট এশিয়া সামিট'-এ যোগ দেবেন।
পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতি সেখানে ‘অতিথির চেয়ার’ হিসাবে ‘আইওআরএর দৃষ্টিকোণ থেকে প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুকে সমর্থন করার জন্য আঞ্চলিক স্থাপত্যকে শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ে সমাপনী বক্তৃতা দেবেন।
এছাড়াও তিনি তার ইন্দোনেশিয়ার প্রতিপক্ষ জোকো উইডোডো এবং থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং তিমুর-লেস্তের রাষ্ট্রীয় নেতাদের সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
৬ সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রপতি হুতান কোটা গেলোরা বুং কার্নোতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আয়োজিত 'গালা ডিনার'-এ যোগ দেবেন।
জোকো উইডোডো ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে ১২টি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। আশিয়ান হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশগুলোর একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এর সদস্য দেশ হলো- ব্রুনাই দারুসসালাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং তিমুর লেস্টে বা পূর্ব তিমুর। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন হলো এর সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি দ্বিবার্ষিক সভা।
আসিয়ান সচিবালয় অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের (ইএএস) সভাপতিত্ব করবেন। যা ১০টি আসিয়ান দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ান ফেডারেশন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ ১৮ সদস্য নিয়ে গঠিত।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ফোরামের নেতা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক এবং বিশ্বব্যাংক (বিশ্বব্যাংক)ও আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।
জাকার্তা থেকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন।
সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, সাক্ষাতের সময় হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের কাছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের একটি শুভেচ্ছাপত্র হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর
তিনি বাংলাদেশে তার মেয়াদ পূরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে তার দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য পাকিস্তানের বিদায়ী হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও সচিব (সংযুক্তি) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য ইতালির বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ইতালি বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছে।’
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর বাণী ছড়িয়ে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ফুড সিস্টেম সামিটে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং ২০২০ সালে ইতালির রাষ্ট্রীয় সফর দু'দেশের সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি সই দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করেছে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা, অভিবাসন, নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে চাপ অব্যাহত রাখতে ইতালির প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেওয়ার জন্য ইতালির প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দেশটির বৈধ অভিবাসন স্কিমের আওতায় বাংলাদেশ থেকে তাদের সরকারের আগ্রহকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইতালি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের জনশক্তি ইতালির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইতালিতে কর্মরত বাংলাদেশিরা সুশৃঙ্খল এবং তাদের মধ্যে অপরাধ খুবই কম।
তিনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে ইতালি নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে। রাষ্ট্রদূত তার নতুন দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির এপিএস সাগর হোসেনের নিয়োগ বাতিল
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে জনগণ যাতে স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ নিরলস চেষ্টা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এ সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও সচিব(সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বঙ্গবন্ধুর বাণী ছড়িয়ে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তৎকালীন কলকাতা দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, শৈশব থেকে ছাত্রজীবন পর্যন্ত অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যে বঙ্গবন্ধু একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘জাতির পিতাকে নিয়ে আমি গর্বিত। তার উপস্থিতিতে ছয়বার থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে- স্বাধীনতার আগে দুবার এবং স্বাধীনতার পর চারবার।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে। বঙ্গবন্ধু আমাকে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) পাবনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।’
‘মুজিব ভাই’ অ্যানিমেশন মুভিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের প্রয়াস হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুভিটির পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আইসিটি বিভাগ প্রযোজিত অ্যানিমেশন মুভি 'মুজিব ভাই' বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর
অ্যানিমেশন হলো একটি মজার এবং শক্তিশালী মাধ্যম, যা কার্টুন, ফিল্ম ও গেমিং শিল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
অ্যানিমেশনে বিষয়বস্তুর কল্পনাপ্রসূত চিত্র, বিশেষ ইফেক্ট, আলো, সঙ্গীত ও ভয়েস ওভার ব্যবহার করে গল্প বলা হয়।
এটি বিজ্ঞান, শিল্প, কৌতুক, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং আরও অনেক কিছুর একটি সমন্বিত সৃষ্টি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুজিব ভাই’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবনযাত্রা, সংগ্রাম ও দেশবাসীর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ও মর্মস্পর্শী প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও আইসিটি বিভাগের সচিব, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন
তথ্য-প্রযুক্তিসহ পেশাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিচারকদের দক্ষ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত নৌপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ ও লেবাননের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, মিলাদ ও দো’আ মাহফিলের আয়োজন করেন।
দোয়া মাহফিলে যোগ দেওয়ার আগে দরবার হলে আসরের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
আসরের নামাজের আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাহউদ্দিন ইসলাম, সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
নামাজের পর এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল কাবির।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মচারীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মহান এই নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এর আগে সকাল ৬টা ২৮ মিনিটে রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দু'জনেই কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী থেকে আগত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এবং তিন বাহিনীর প্রধানের অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান; তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব; তাদের তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং মুজিবের তিন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়সহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে একদল সেনাসদস্য হত্যা করে।
সেসময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১৫ আগস্টের পেছনে জিয়া, ২১ আগস্টের পেছনে তারেক: তথ্যমন্ত্রী