বাংলাদেশ
মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ বাকৃবি গবেষকের
মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে কোনো একটি এলাকার মশায় ডেঙ্গু ভইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এই গবেষক আরও বলেন, বাকৃবি ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার এডিস মশার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত এডিস মশা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত নির্যাসে ডেঙ্গু ভাইরাসের এন্টিজেন ব্যবহারের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। ‘ল্যাটারাল ফ্লো ক্রোমাটোগ্রাফিক ইমিউনো অ্যাসে’ পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে একটি অথবা একসঙ্গে অনেকগুলো এডিস মশার ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করা যায়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এক ঘণ্টা সময়ে ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হলো মশা নিয়ন্ত্রণ। মশা নিয়ন্ত্রণ একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়।
তবে মশা নিয়ন্ত্রণের আগে মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে অধ্যাপক সহিদুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, ‘ল্যাটারাল ফ্লো ক্রোমাটোগ্রাফিক ইমিউনো অ্যাসে’ পদ্ধতির মাধ্যমে কোন একটি এলাকার এডিস মশায় ডেঙ্গু ভাইরাস আছে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত মশার সংখ্যা নজরদারির পাশাপাশি ডেঙ্গু পরিস্থিতির পূর্বাভাস জেনে সংক্রমনের ঝুঁকিও কমানো সম্ভব। এছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপও নেওয়া যাবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে যেমন মশার প্রজননের হার বেড়েছে তেমনি জনসংখ্যা ও বাসস্থান বাড়ার কারণে এডিস মশার প্রজননের স্থানও বৃদ্ধি পেয়েছে।
একসময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকলেও এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ক্রমান্বয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব মশা থেকে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক বলেন, সাধারণত ডেঙ্গু জীবাণুবাহী স্ত্রী এডিস মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তবে প্রকৃতিতে পুরুষ ও স্ত্রী উভয় এডিস মশাতে ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবানু থাকতে পারে। আক্রান্ত পুরুষ মশার সঙ্গে সুস্থ্য স্ত্রী মশার প্রজননে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্মের মশায় ওই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। তাই ডেঙ্গুর সংক্রমণ হার কমাতে পুরুষ ও স্ত্রী, ছোট ও বড় সকল মশায় ডেঙ্গুর উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।
জনস্বাস্থ্যরক্ষায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউএনবিকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে এসিড মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
প্রচণ্ড গরমে সাপের কামড়ের হার বৃদ্ধি পায়
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শুধু মানুষই হাঁসফাঁস করছে না, বরং সাপের কামড়ের সংখ্যাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছর সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য দৈনিক কল উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মতে, বর্তমান তীব্র তাপপ্রবাহে সারা দেশে সাপের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই সময়ে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. জোবায়দুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, সাপের কামড় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাপ উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা বছরের পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সাপের কামড়ে নিহতদের পরিবারের ফোন এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাপ উদ্ধারের ব্যাপক অনুরোধে পাচ্ছে সংগঠনটি। জুবাইদুর বলেন, 'এ বছর আমরা প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি জরুরি কল পাচ্ছি, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।’
তিনি জোর দিয়েছিলেন যে বন বিভাগের অধীনে প্রশিক্ষিত এবং প্রত্যয়িতরাই কেবল বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযানে নিযুক্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: যশোরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান ইউএনবিকে বলেন, সাপ শীতকালে বেশি সক্রিয় থাকে, শীতকালে কম সক্রিয় থাকে।
বাংলাদেশে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের কয়েক সপ্তাহ ছাড়া সারা বছরই সাপ সক্রিয় থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাপের কামড়ের হার ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
‘বাহ্যিক তাপমাত্রার ওঠানামা সরাসরি সাপের শরীরের তাপমাত্রা এবং আচরণকে প্রভাবিত করে,’ বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাখির ছানা ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে শিশুর মৃত্যু
সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।
বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির সই করা এক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এর আগে ২০১৯ সালে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ ১৯৫৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাটহাজারীর নুর আলী মিয়ার হাট ফরহাদাবাদ গ্রামের হিম্মত মুহুরী বাড়ীর মরহুম বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চতর হিসাব কর্মকর্তা নুর হোসেনের ছেলে।
ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুছ। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি অবস্থায় চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বি.কম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধা ফোরাম ‘৭৫ এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী
পাট শিল্পের উন্নয়ন ও সমস্যাগুলো সমাধানে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক বলেন, পাটবীজের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশে তৈরি হয়। বাকি তিন- চতুর্থাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় যা দুঃখজনক। এছাড়াও পাট গবেষণা কেন্দ্র পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান নয়। এটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, হাজারো সমস্যার কারণে পাট শিল্পে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। জুট কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে এ সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। জুট কাউন্সিল গঠন করা হলে পাট উন্নয়নের সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করাও সহজ হবে বলে আশা করি।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিকের তৈরি ৫০ কেজি চালের বস্তা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বিজিএমের সদস্যরা। শুধু ৫০ কেজির বস্তা নয় সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ডিসি কনফারেন্সে রমজান মাসের পর প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ করে পাটের ব্যাগ কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্য তৈরির করতে এর মধ্যেই ১০০ কোটি টাকার তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এ খাতে আরও বিনিয়োগ নিশ্চিত করা হবে।
নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তাবাহক উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘আমি আপনাদের বার্তা তার কাছে পৌঁছে দিব। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বার বার বলেছেন, পাট ও চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে পোশাক শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে।’
আগে পাট থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসত জানিয়ে পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পাট ও পাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগণের উন্নতি চেয়েছিলেন, তিনি পাটের উন্নতির জন্য পাট মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়েছেন। ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করেছেন। পাট ও পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ ঘোষণা করেছেন।’
সরকার পাটের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পাটমন্ত্রী বলেন, পাটশিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গার্মেন্টসশিল্পের মতো পাটশিল্পের উন্নয়ন চান এবং এজন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর কাছে পাটশিল্প খাতের কিছু সমস্যা তুলে ধরেন বিজেএমএর চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যরা।
সমস্যাগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৮২টি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে বলা হয়েছে। এতে করে রপ্তানিকারকরা বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে।
পাটশিল্পের বকেয়া ঋণ সুদ-আসলসহ একটি হালনাগাদ তারিখভিত্তিক ব্লক হিসেবে স্থানান্তরের বিষয়ে ২ বছরের মরাটোরিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরে পরিশোধ এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের পরিবর্তে ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট আদায় নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, কাঁচা পাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর, প্রতিবেশী দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানির ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আরোপ রহিতকরণ, ২ শতাংশ সরল সুদে পাটশিল্পের কাঁচামাল ক্রয় করার জন্য দেশীয় মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার একটি জুট সেক্টর উন্নয়ন তহবিল গঠন, কাঁচাপাটের পাশাপাশি পাটজাতপণ্যকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাটির প্রজ্ঞাপন জারি, পাটমিলগুলোর পুরাতন মেশিনারি স্থানান্তরের জন্য সরকারিভাবে অন্তত ৩০ শতাংশ নগদ সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রি বাড়ানো প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে পাট পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। বিদেশের বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রি বাড়াতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, বিদেশের বিভিন্ন মেলা এবং বাজারে যাতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের মানোন্নয়নের জন্য এর ডিজাইন, কালারিং, নকশা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাটশিল্প খাতকে গার্মেন্টসশিল্পের মতো সুযোগ সুবিধা দেওয়া ও উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।
বিজেএমএর চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী নাবিল আহমেদ, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার, বিজেএমএর প্রাক্তন ও নবনির্বাচিত পর্ষদ পরিচালকরা এবং পাট ও পাট পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
রাঙামাটিতে ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উদয়পুর সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের কাজ করছিল শ্রমিকরা। কাজ শেষে সীমান্ত থেকে ফেরার পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে ছয় শ্রমিক নিহত ও আটজন আহত হন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সাজেক থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ন্যাপ এক্সপোর তৃতীয় দিনে 'ইমপ্লিমেন্টেশন ন্যাশনাল গাইডলাইন্স ইন আরবান লোকাল গভর্মেন্ট কনটেক্সট উইথ ইফেক্টিভ পার্টিসিপেশন: লার্নিং ফ্রম প্রাকটিসেস' শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে প্রধান প্যানেলিস্টের বক্তব্য দেন সচিব ফারহিনা।
অভিযোজন সক্ষমতায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ সচিব আরও বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছে বাংলাদেশ।
ড. ফারহিনা আরও বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রাজনিত পরিস্থিতি সামাল দিতে নগর ও শহরে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সরকার প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগাচ্ছে। জনগণকেও প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। রাজধানীতে মাটি ও পানির জলাশয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
পরিবেশ সচিব বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন। এটি হ্রাসের লক্ষ্যে হালনাগাদ হওয়া এনডিসির লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমিয়ে আনা। আন্তর্জাতিক সহায়তায় ২০৩০ সালের মধ্যে এই হ্রাসের পরিমাণ আরও ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ হতে পারে।
জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. সারোয়ার বারী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জিআই লয়েডের জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই নগর উন্নয়ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার সমন্বয়কারী ডানা দে লা ফন্টেইন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এম. মেহেদী আহসান।
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরে সহযোগী হতে চায় যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করতে যুক্তরাজ্য সহযোগীর ভূমিকা রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ এভিয়েশন শিল্পের নানা খাতে একসঙ্গে কাজ করেছে দুটি দেশ।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও উন্নতি আনাসহ সম্ভাব্য নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানান সারাহ কুক।
বৈঠকে বাংলাদেশকে সফলভাবে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে দুই দেশের একত্রে কাজ করাটা হবে আনন্দের। এভিয়েশন শিল্পে কোন কোন ক্ষেত্রে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হবে রূপান্তরের জন্য সরকার কাজ করছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সকল বিমানবন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আরও অধিকতর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছি। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ সমাপ্তির পর তা বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
বিদ্যুৎ উৎপাদন নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) রেকর্ডে দেখা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, যা মঙ্গলবারে ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে।
কিন্তু আবারও লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায় এবং বুধবার বিকাল ৩টায় তা বেড়ে ৮২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিকাল ৫টায় দেশে সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
ডেঙ্গুতে আরও ৩৩ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ২০ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও ১৩ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ৮৪ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ২৮৩ জন ও নারী ৮০১ জন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ নিশ্চিতকরণে এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। এছাড়া, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোতে।
তিনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় সূচকের তথ্য হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন।
এ সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ারও পরামর্শ দেন ইউজিসির এই সদস্য।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।
ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় অংশ নেন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।