অন্যান্য
রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের খাবার মানসম্মত না হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের চুক্তি অনুযায়ী মানসম্মত খাবার প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়েছে খাবারের।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং সার্ভিসের সেবার মান এবং সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যাত্রীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ- ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাসি রুটি ও গন্ধযুক্ত খাবার দিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা ক্যাটারিং পরিচালনা করেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। খাবারের মান ভালো করতে হবে। মান খারাপ হলে বদনাম ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের হয় না। দুর্নাম হয় রেল কর্তৃপক্ষের, রেলমন্ত্রীর।
খাবারের মান স্বাস্থ্যসম্মত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে খাবার মানসম্মত হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে এবং একই সঙ্গে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে। ট্রেনে হকারদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে, হকারদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন অপরিষ্কার এবং অনেক সময় বাথরুম ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় থাকে, যা মেনে নেওয়া যায় না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে পরিদর্শন বাড়ানোসহ নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মনিটরিং করার নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, রেলে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আর দায়িত্বে অবহেলার কারণে বদনাম হয় মন্ত্রীর এবং প্রধানমন্ত্রীকেও সে বদনামের ভাগীদার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয় এমন কাজ সহ্য করা হবে না।
সকলকে দায়িত্বের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত শিক্ষক আসিফকে জামায়াতের অভিনন্দন
সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে (ব্র্যাক) একটি ঘটনা জাতীয়ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও প্রকাশ্যে পাঠ্যপুস্তকের পাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টির আসিফ মাহতাবকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান সরকারের শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করেন। জামায়াতের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলা হয়, 'ফ্যাসিবাদী একদলীয় সরকার নৈতিকতা ও আদর্শ বর্জিত কারিকুলাম চাপিয়ে দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের চরিত্র ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৯২ শতাংশ মুসলমান এই পাঠ্যক্রমটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
এতে বলা হয়, এই প্রেক্ষাপটে আসিফ মাহতাব একজন সত্যিকারের আদর্শবাদী শিক্ষকের মতো কাজ করেছেন। বিবেকের তাড়নায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি সমকামিতার কঠোর সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতির প্রতিধ্বনি করেছেন। তার দৃঢ় অবস্থানের জন্য আমি তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাকে বরখাস্ত করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মূলত এমন একটি শিক্ষা কারিকুলামের পক্ষ নিয়েছে যা জাতীয় পরিচয়বিরোধী। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অবিলম্বে মাহতাবকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'আসিফ মাহতাবকে অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে: এ কে আজাদ
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের বাহিনী দিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফরিদপুরে একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনও একপেশে আচরণ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
নির্বাচনের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।
এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশকে বেকারত্ব ও ক্ষুধামুক্ত করার মিশনে ঈগলের পক্ষে জনসমর্থন দেখে তা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক ও তার সমর্থকরা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বারবার নানা কায়দায় বাধার সৃষ্টি করছেন। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা, ভয়-ভীতি দেখানো অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা এবং ১৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরও দুই-একটি ছাড়া তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে আমার নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারা যাতে বাসায় না থাকেন এই ভয়ও দেখানো হচ্ছে। শামীম হকের গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিশ হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
তিনি বলেন, গত রাতেও পুলিশ ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও একাধিক নেতা-কর্মী বাসায় হানা দিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানান এ কে আজাদ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নাটোরে লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগের সংঘর্ষে ৭ জন আহত
নাটোরের সিংড়ায় লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদসহ ৩ জনকে।
ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির দাউদার মাহমুদের পেট্রোল পাম্প, পুলিশের একটি গাড়িসহ অন্তত ৭টি গাড়ি।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দাউদার মাহমুদের নেতৃত্বে সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লিফলেট বিতরণ শুরু করে বিএনপি। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপির কর্মীদের ধাওয়া করে এবং দাউদার মাহমুদের পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
নৌকার প্রচারের মধ্যে বেজে উঠল হিন্দি গান, সংঘর্ষে আহত ৭
লাঙ্গল থেকে নৌকায় ৩ শতাধিক নেতা-কর্মী
ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলালের নেতৃত্বে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির ৩ শতাধিক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষ্যমতে, বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ‘অভিভূত’ হয়ে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঢাকা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমানের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তারা যোগদান করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যোগ দেওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, জাতীয় মাহিলা পার্টির ঢাকা জেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রেশমী আক্তার, জাতীয় যুব সংহতির নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন ও জাতীয় যুব সংহতি নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহফুজুর রহমান৷
সদ্য যোগ দেওয়া রেশমী আক্তার ও খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ডে আমরা বিরক্ত। তাই কাঁধ থেকে লাঙ্গল ফেলে দিয়ে আজ নৌকায় উঠলাম। আমাদের প্রিয় নেতা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে থেকে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করব। আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ দেশের উন্নয়ন করছে, বিএনপি মানুষ পোড়াচ্ছে: সালমান এফ রহমান
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমান জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে বলেন, ‘নবাবগঞ্জের অভূতপূর্ব উন্নয়নে এ অঞ্চলের মানুষ যারপরনাই খুশি। আজ যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে নিরলস কাজ করে যাবেন বলে আশা করি।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান।
এ সময় দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির রাজনীতি করা এসব নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জাতীয় পার্টিতে অবহেলিত এসব নেতা-কর্মীরা তুলে ধরেন তাদের আক্ষেপের কথা।
অনুষ্ঠানে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সবাইকে নিয়ে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ করা নেতা-কর্মীদের সহযোগিতার করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
বিএনপিকে ছাড়াও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে: সালমান এফ রহমান
সংসদ ভেঙে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট ইনসানিয়াতের
সংসদ ভেঙে দিয়ে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট দায়ের করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্যদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের ১০ নম্বর(এনেক্স) আদালতে রিটটি দায়ের করেন দলটির চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।
রিটে বলা হয়, মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব মনে করে, ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ প্রভাব ও জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকারের প্রধান বাধা হলো সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
দলটির চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত বলেন, বিগত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।’
আরও পড়ুন: দল হিসেবে ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ’কে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ
ইমাম হায়াত বলেন, ক্ষমতাসীন দলীয় সংসদ সদস্যদের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা নিরাপত্তা। বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা দেখেছি প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জীবন হানিকর আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্রয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা অস্ত্র ও গুলি-বোমা ইত্যাদি ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, বুথ থেকে গণনা পর্যন্ত আস্থাশীল সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন ব্যতীত নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পূর্ণ অসম্ভব।
ইমাম হায়াত বলেন, জালিয়াতিমুক্ত, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়া যে কোনো প্রকার প্রহসনের নির্বাচন জনগণের নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্রীয় মালিকানা অস্বীকার এবং রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংসাত্মক এবং গণতন্ত্রের উৎখাতের শামিল।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
তিনি বলেন, মুক্ত স্বাধীন ভোটাধিকার, জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন এবং নিরাপদ নির্বাচন দেশ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণের সবার দাবি যা নিছক কোনো দল বা ব্যক্তির বিষয় নয়।
ইমাম হায়াত বলেন, দেশ রক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের অধিকার এবং মালিকানার স্বার্থে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ নির্বাচনের আদেশ চেয়ে এবং সংসদ না ভাঙ্গা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর একই বিষয়ে দলটির দায়ের করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের করা রিটের শুনানি বুধবার
নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করুন: অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কোনো প্রহসন দেশবাসী বরদাশত করবে না। সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের গণজাগরণ শুরু হয়েছে। এ গণজাগরণের বিস্ফোরণ ঘটার আগেই সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করছি।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কার্যনির্বাহী পরিষদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন: উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতি ইমাদুদ্দীন, মুফতি আনওয়ার হোসাইন, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আলতাফ হোসাইন, আবদুল আউয়াল, আবদুর রাজ্জাক, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা কামাল হোসাইন, এম এইচ মোস্তফা, মুফতি জিয়াউল আশরাফ, মুফতি আবদুল আহাদ, মুফতি আকতার হোসাইন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, একতরফা পাতানো নির্বাচন হলে দেশে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। দেশের শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো গার্মেন্টস শ্রমিক কর্ম হারিয়ে ফেলবে। দেশের অর্থনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, মাফিয়া সরকারের দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের স্বপ্ন পূরণ হবে না। ৭ তারিখের নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
দেশ বাঁচাতে আ.লীগ-বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র খোলা চিঠি
একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধী দলগুলোর একটি বিরোধী মঞ্চ গণতন্ত্র মঞ্চ আজ (বৃহস্পতিবার) দেশের জনগণকে রাস্তায় নেমে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় 'একতরফা' নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত এবং দেশের নাগরিক ও বর্তমান প্রজন্মের প্রতি যদি আমাদের সামান্যতম অঙ্গীকার থাকে, তাহলে আমরা কেউই এই ভোটকে সমর্থন করতে পারব না। আমরা এই ভোটকে ন্যায়সঙ্গত করতে পারি না।’
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে সকল জনগণকে এখন রাজপথে নামতে হবে। আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাঠে আসি। এই নিপীড়ক শাসনের সিংহাসন ভেঙ্গে পড়বে যদি জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে ওঠে।
সাকি বলেন, দেশকে বাঁচাতে এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সাহসিকতার সঙ্গে সরকারকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, 'আমি জনগণকে বলতে চাই, এই দেশ আমাদের সবার। দেশকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুতরাং আপনার আর অলস বসে থাকার সময় নেই। তারা (সরকার) আমাদের গুলি করতে পারে এবং ভয় দেখাতে পারে, কিন্তু তারা আমাদের সবাইকে হত্যা করতে পারে না। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেটা করতে পারেনি। সুতরাং পায়ের তলার মাটি হারানো এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমাদের দমিয়ে রাখার ক্ষমতা নেই। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি তামাশা আমাদের বয়কট করতে হবে।
একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করতে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে গণতন্ত্র মঞ্চ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
পরে মঞ্চের নেতা-কর্মীরা মতিঝিল অভিমুখে একটি মিছিল বের করেন।
জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা বর্তমান অবৈধ সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান সাকি।
তিনি বলেন, 'আমাদের গণসংযোগ ও গণমিছিল অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আমরা আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে সরকার ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করে এবং বিরোধী দলগুলোর উপর দোষ চাপিয়ে বিরোধীদের দমন করার কৌশল নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি সরকারকে বলছি, আপনারা অতীতে এসব নাশকতা চালিয়েছেন। মানুষ এখন আর এই দোষারোপের খেলা বিশ্বাস করে না। জনগণ বুঝতে পেরেছে যে আপনার মূল উদ্দেশ্য বিরোধী দলকে নিপীড়ন করা। আপনারা বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর জন্য নাশকতার কাজ করেছেন এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছেন।
সাকি অভিযোগ করেন, সরকার বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার করে ট্রেন ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে সরকারি চক্রান্তের অংশ হিসেবে রাজধানীতে একটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন দেখছি এই সরকার কতটা ষড়যন্ত্র করতে পারে। আজ (মঙ্গলবার) তেজগাঁওয়ে একটি চলন্ত ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে, এতে কয়েকজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, চলমান আন্দোলনের সঙ্গে এ ধরনের নাশকতার কোনো সম্পর্ক নেই।’
সাকি বলেন, সরকার নাশকতার মাধ্যমে বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। ‘তারা (সরকার) নাশকতা সৃষ্টি করে আন্দোলন দমন করতে চায়।’
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে উসকানি দিয়ে গত ২৮ অক্টোবর সরকারের এজেন্ট ও সমর্থকদের মাধ্যমে সহিংসতা সৃষ্টি ও নৃশংসভাবে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপিয়ে সর্বাত্মক দমন-পীড়ন শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
সাকি বলেন, আন্দোলন দমনে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আগেও বলেছি, তারা (সরকার) বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের জেলে রেখে আন্দোলন দমন করতে চায়। এখন ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ঠান্ডা মাথায় বলেছেন, তারা সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপিসহ আমাদের বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কারাগারে রেখেছে।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান আন্দোলনকে কোনো শক্তি ও দমন-পীড়ন থামাতে পারবে না বলে সতর্ক করেন সাকি।
তিনি বলেন, 'আমরা রাস্তায় নামব এবং যদি আপনাদের (সরকারের) সাহস থাকে তাহলে আমাদের বাধা দিন। আমরা আপনাদের বাধাকে ভয় পাই না এবং আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা যথাসময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
নির্বাচন কে সামনে রেখে বিরোধী দলের সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজয়নগর থেকে তোপখানা সড়ক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা জেপিসির সামনে সমাবেশ করেন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
ভিক্ষুকের মতো ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে আগাম ২৫ থেকে ২৬টি আসন নিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জাতীয় পার্টির সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদে কে বিরোধী দল হবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা খুবই স্পষ্ট যে জনগণ এটাকে নির্বাচন হিসেবে দেখছে না। এই নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আরব বসন্তের আদলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে রাশিয়ার অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাঙালি বসন্ত হবে।
বাংলাদেশের বসন্তের জন্য মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে। জনগণের তীব্র ক্ষোভ বাংলাদেশে যে কোনো সময় গণঅভ্যুত্থানের কারণ হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশ দল ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে।
দলটির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে দলের রাজনৈতিক নিবন্ধন মামলা, একতরফা নির্বাচনের তফসিল, গুপ্ত হত্যা, গণগ্রেপ্তার, ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনে মানববন্ধন করা হয়।
তারা অভিযোগ করেন, হঠাৎ পুলিশ গুলি ছুড়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর (প্রধান) নুরুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী জানান, সকালে শহীদ ফারুক সড়কে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করার সময় লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এ ঘটনায় দলের ৩ জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন পর রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দলটি রাস্তায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার