পরিবেশ-ও-কৃষি
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিআরও কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর মোট ১ হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।গতবছর ২৮টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছিল, এবছর ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন, কানাডায় ৪০ টন উল্লেখযোগ্য।
এতে আরও বলা হয়, দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।
আরও পড়ুন: ইউরোপের ৪ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আম রপ্তানি শুরু
২০১৭-১৮ সালে মাত্র ২৩২ টন, ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১৬৩২ টন, ২০২১-২২ সালে ১৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে দেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রপ্তানি কম হচ্ছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের প্রথম বছরেই গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন আম বেশি রপ্তানি হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর আরও ১৫-২০ দিন আম রপ্তানি হবে।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
একই সময়ে তাপমাত্রার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, মৌসুমী বায়ুর বর্ধিতাংশের অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
বৃষ্টি সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
এদিন সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১০৪ নিয়ে রাজধানীর অবস্থান ছিল বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৪র্থ।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, রাশিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৭০, ১১২ ও ১০৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে অব্যাহত
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী বায়ুর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় তীব্র চাপ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
এতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ অবস্থায় রয়েছে।
আজ সকাল ৯টা ১১ মিনিটে বায়ুর গুণমান সূচকে (একিউআই) ৯১ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে খারাপ বায়ুর মানের তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছে।
সৌদি আরবের রিয়াদ, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং ব্রাজিলের সাও পাওলো বায়ুমান সূচকের স্কোর যথাক্রমে ১৫৭, ১৫৫ এবং ১৩৪ নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
৫১ এবং ১০০-এর মধ্যে স্কোরকে একটি একিউআই 'মধ্যম' বলে বিবেচিত হয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে একিউআই 'অস্বাস্থ্যকর' বলে বিবেচিত হয় এবং ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। আর যখন এই স্কোর ৩০০+ হয়ে যায় তখন তা'বিপজ্জনক' বলে বিবেচিত হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই পাঁচটি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে দূষণকারী। যেগুলো হলো - পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম১০) এবং পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান সোমবার সকালে ‘মধ্যম’
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। আর এসব মৃত্যুর জন্য মূলত দায়ী হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৯ম
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এতে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি একই এলাকায় ঘনীভূত হয়ে মৌসুমী গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ঢাকায় যান চলাচল ব্যাহত, ভোগান্তিতে নগরবাসী
বর্ষার বৃষ্টির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈদুল আজহা উদযাপন
উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয় যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ-বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
এছাড়া, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালে ‘মধ্যম’
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালে ‘মধ্যম’
রাজধানীর বাতাসের মান বুধবার (২ আগস্ট) সকালে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। এর জন্য রাজধানীবাসী বৃষ্টিকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন। এদিন সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫৭ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকায় ৩৫ম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং মালয়েশিয়ার কুচিং যথাক্রমে ১৫৩, ১৫২ ও ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর'বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘মধ্যম’
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় মৌসুমী গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্ক বার্তায় বলা হয় যে এটি আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয় যে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বাংলাদেশ উপকুল অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
ঢাকাসহ দেশের ৭ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) পূর্বাভাসে বলেছে, ঢাকাসহ অন্যান্য ৭ বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় চিহ্নিত নিম্নচাপটি মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি মৌসুমি নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদ উল আযহায় সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: বিএমডি
এতে আরও বলা হয়, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগ এবং চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চিহ্নিত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি মৌসুমি নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়েছে। এছাড়া এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, নিম্নচাপের কেন্দ্র বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে: বিএমডি
দেশের সব বিভাগে আরও বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: বিএমডি