সারাদেশ
করোনা: রামেক হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় চার জন ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচ জন মারা গেছেন । এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী শারীরিক স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় বরিশাল বিভাগে ৮ মৃত্যু
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর তিন জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও পাবনার দুই জন করে এবং নওগাঁর এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। যাদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে।
আরও পড়ুন: করোনা: ঠাকুরগাঁওয়ে আক্রান্ত ১২, মৃত্যু ২
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ইউনিটে নতুন ২৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৩ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ২৮৯ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
কেরানীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় সোমবার রাতে র্যাব-১০ এর সদস্যদের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাহিনুদ্দিন হত্যা: কথিত বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত
র্যার-১০ এর দায়িত্বরত কোম্পানি কমান্ডার মেজর ওহেদুর রহমানের ভাষ্য, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ঝিলমিল আবাসিক হাউজিং এলাকায় সোমবার দিবাগত রাতে র্যাব (১০) এর টহল দল ও সন্ত্রাসীদের মাঝে ২০-৩০ মিনিট গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় দুই সন্ত্রাসীকে দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। পরে রাতেই আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, র্যাবের গুলিতে আহত দুই যুবক মারা গেছে। তবে এখনও তাদের কোন নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজিবির সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফে ২ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, সকাল ১০টার দিকে তাদের থানার একজন পুলিশ অফিসারকে তথ্য সংগ্রহের জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আসার পর সকল তথ্য দেয়া হবে।
অবশেষে মিলল নিখোঁজ বরের সন্ধান
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা মিতাপাড়া গ্রামে নিখোঁজ বর ফুলবাবু চন্দ্র বর্মনের সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তার বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর-কনের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও এই বিয়েতে ছেলে ও তার পরিবার রাজি ছিল না। কিন্তু মেয়ে পক্ষের চাপের কারণে বিয়ে ঠিক হয়। তবে বিয়ের দিন বর আত্মগোপন করে। পরে বিভিন্ন মহলের চাপে বরকে হাজির করা হয় ও বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ি থেকে বর উধাও: অপহরণ নাকি আত্মগোপন!
ওই গ্রামের প্রভাত চন্দ্র বর্মনের ছেলে ফুলবাবু চন্দ্র বর্মনের দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুর গ্রামের দালালপাড়া এলাকার হরি বর্মনের মেয়ে প্রতিমা রানী শেফালীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ অবস্থায় ১৫ দিন আগে শেফালী বিয়ের দাবিতে ফুলবাবুর বাড়িতে অনশন শুরু করে। পরে উভয় পরিবারের লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে উভয়ের হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে বিদায় আনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে ও কার্ড ছাপানো হয়। এতে বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ, শুক্রবার বরযাত্রি ও শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে পণ্ড
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাবু বিয়ের বাজার করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। বিয়ের দিন শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বরকে খুঁজে না পেয়ে কনে শেফালীর পরিবারের লোকজন কনেকে ফুলবাবুর বাড়িতে দিয়ে আসেন। এ অবস্থায় অবশেষে গত রবিবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও সোমবার বৌভাত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা।
দুদকের উপপরিচালক মো. শাওন মিয়ার করা এই মামলা সোমবার খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখা থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেয়। এই ঋণের বিপরীতে গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ জামানত ছিল। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আ. রহিম বাবু গোডাউন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি মাছ পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপন মাছ বিক্রির প্রমাণ পান। তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু এই ঘটনায় ব্যাংকের সিবিএর নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডিজিএমকে লাঞ্ছিত করেন এবং পুলিশের কাছে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে পুলিশ পক্ষপাতমূলকভাবে এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।
দুদকের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে , মো. আ. রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়ায় তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় ডিজিএম সিবিএ নেতাদের চাপে কোনো ব্যবস্থা নিতে এবং তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি।
ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অভিযোগ, দুদক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. আ. রহিম বাবু শ্রমিক লীগনেতা ও সোনালি ব্যাংক সিবিএর সাবেক সভাপতি। দলীয় কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। অবসরে গেলেও নতুন নির্বাচন না হওয়ায় তিনিই এখনো সিবিএ নেতা। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: যশোরে দুদকের মামলায় রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার বর্তমান ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই-বোনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দায় ঘরের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চর দোগাছী গ্রামে সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলো- ওই গ্রামের মো. মোকলেছুর রহমানের মেয়ে মোছা. মুন্নী খাতুন (১৪) ও ছেলে আবু তালহা (৫)।
আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের সুইচে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রাকিবুল হুদা জানান, মোকলেছুর রহমানের ঘরে স্টিলের তৈরি আলমারির কোন স্থানে বিদ্যুতের তার লেগে বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। বিষয়টি বাড়ির কেউ টের পায়নি। এ অবস্থায় মোকলেছুর রহমানের শিশু সন্তান আবু তালহা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই আলমারিতে স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মেয়ে মুন্নী খাতুনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা তিনবিঘা করিডোর গেটে দুই বাংলাদেশি যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকালে জয়নাল আবেদিন (৩২) ও আল মামুন (৪০) নামে দুই বাংলাদেশি যুবক করিডোর গেট দিয়ে ভুলবশত ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে গেলে তাদের রাইফেল দিয়ে মারধর করে ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ ঘটনার জের ধরে বিজিবি এবং বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের কারণে প্রায় ২ ঘণ্টা তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, তিনবিঘা করিডোরের ভিতরে দুই বাংলাদেশি যুবক ভুলবশত ভারতের অভ্যান্তরে ঢুকে পরে। এ সময় ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দুই যুবককে রাইফেল দিয়ে মারধর করে। বিএসএফ’র নির্যাতনে আহত ওই দুই যুবক স্থানীয় বিজিবি’র কাছে অভিযোগ করেন। বিজিবি’র সদস্যরা তাৎক্ষণিক এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। পরে তিনবিঘা গেট সম্মুক্ষে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকে। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র দুজন কোম্পানী কমান্ডার বাংলাদেশিকে মারধরের ঘটনায় বিজিবি’র কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
৫১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। বৈঠকে বাংলাদেশি দুই যুবককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশসহ এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএসএফের ধাওয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার
দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের যুবক মহিন উদ্দিন (২৪) নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত ১২টার দিকে দুবাইয়ের আবু সাকারায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে তার স্বজনরা জানান।
নিহত মহিন উদ্দিন উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর (উ.) ইউনিয়নের আহাম্মদপুর গ্রামের মো. সফিউল্যার ছেলে। তিনি দুবাইয়ের আবুধাবিতে ফার্নিচার ও পর্দার কাপড় সাপ্লাইয়ের কাজ করতেন। মহিন নতুন বিয়ে করেই ছুটি কাটিয়ে দুবাই ফিরে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় নিকট প্রতিবেশী মীর হোসেন জানান, মহিন উদ্দিনরা তিন ভাই চার বোন। তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চলছে শোকের মাতম।
নিহত মহিন উদ্দিনের বাবা সফিউল্যাহ ইউএনবিকে জানান, ‘ছেলেকে বিয়ে করিয়েই বিদেশ পাঠিয়েছি। তার ভাগ্য এমন হবে ভাবতেও পারিনি। ঘটনার পরপরই আমরা সহকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। এখন শুধু ছেলের লাশটা চাই। এ জন্য সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারাও দোয়া করবেন।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫
চাঁদপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
চৌগাছায় সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে বাবা-ছেলের মৃত্যু
যশোরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাবা-ছেলে। সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের হাদিউজ্জামানের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চৌগাছা উপজেলার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের গিরিন দাসের ছেলে মধু দাস (৫২) ও তার ছেলে সাগর দাস (২৬)।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ৭টার দিকে মধু দাস সিংহঝুলি গ্রামের হাদিউজ্জামানের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে আসেন। সেপটিক ট্যাংকে নামার পর তার আর কোন সাড়া না পাওয়ায় ছেলে সাগর দাসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে সাগর দাসও এসে বাবাকে উদ্ধার করতে সেপটিক ট্যাংকে নামেন। কিছুক্ষণ পর তারও কোনো সাড়া না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
যশোর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার দেলোয়র হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে বাবা ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সেপটিক ট্যাংকে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাস বা অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় সেপটিক ট্যাঙ্কির বিষাক্ত গ্যাসে নিহত ২
লক্ষ্মীপুরে সেফটি ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটে ৩ মাদরাসা ছাত্র ‘নিখোঁজ’
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুরে তিন মাদ্রাসা ছাত্রের খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। এই তিনজনই আল্লামা আব্দুল মুকিত মঞ্জলালী একাডেমির হিফজ শাখার ছাত্র।
গত ৩ আগস্ট তারা নিখোঁজ হয় বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান। নিখোঁজ ছাত্ররা হলো- সাজ্জাদ মিয়া (১৬) রোহান আহমেদ (১৭), নাহিম আহমেদ (১৫)। এদের মধ্যে সাজ্জাদ ও নাইম ৩ আগস্ট মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু গত ৭ আগস্ট মাদরাসায় ফোন দিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, তারা মাদ্রাসায় যায়নি।
আরও পড়ুন: এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চীনা নাগরিক নিখোঁজ
গত ৮ আগস্ট সাজ্জাদ মিয়ার বোন দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। অন্য দুই কিশোরের পরিবার জিডি করতে চাইলে মাদরাস থেকে তাদের জিডি করতে নিষেধ করা হয় বলে জানান তাদের পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সাজ্জাদ মিয়া নামে একটি ছেলে নিখোঁজের জিডি হয়েছে। তার সাথে আরও দু’টি ছেলে আছে বলে জানা গেছে। তারা একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও বার বার এটা সিম বদলাচ্ছে। তারা তিনজন হয়তো পরিকল্পনা করেই গেছে। মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাদের শেষ লোকেশন ময়মনসিংহের দিকে পাওয়া গেছে। আশা করি তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে।’
তিনি জানান, এভাবে তিনজন ছাত্র নিখোঁজের ব্যাপারটা আসলেই উদ্বেগজনক। কারণ সম্প্রতি তালেবান ইস্যুতে বাংলাদেশের কিশোর-যুবকদের সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া গেছে। তবে আমরা এই ব্যাপারটা সিরিয়াসলি দেখছি।
আরও পড়ুন:নিখোঁজ চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার
রবিবার পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি) জানায়, আব্দুর রাজ্জাক নামে সিলেটের মদনমোহন কলেজের এক ছাত্র তালেবানদের হয়ে লড়তে আফগানিস্তান চলে গেছেন। 'বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার' কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আফগানিস্তান চলে যান রাজ্জাক। রাজ্জাকের আফগানিস্তান যাওয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সিলেটের আরও তিন ছাত্র নিখোঁজের খবর এলো।
করোনায় বরিশাল বিভাগে ৮ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: ঠাকুরগাঁওয়ে আক্রান্ত ১২, মৃত্যু ২
একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৭ জন। আর এ সময়ের মধ্যে শনাক্তের প্রায় পাঁচগুণ, ৮৮০ জন সুস্থ হয়েছেন
আরও পড়ুন: করোনায় সিকৃবি কর্মকর্তা রথীন্দ্র মল্লিকের মৃত্যু
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে তিনজন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০০ জনে।