বাংলাদেশ
১৫ মার্চ থেকে সব বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান (ক্লাস) শুরু হবে আগামী ১৫ মার্চ থেকে।শনিবার রাজধানীর টিকাটুলিতে শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে লীলা নাগ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।তিনি বলেন, নতুন কারিকুলাম চালু হলে পরীক্ষার সংখ্যা কমবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি দূর হবে। পরীক্ষানির্ভর মূল্যায়ন থেকে বের হয়ে আসা যাবে। প্রতিদিনের লেখাপড়া মূল্যায়ন প্রতিদিনই হবে। বছর শেষে সীমিত আকারে পরীক্ষা হবে, তবে সারা বছরের মূল্যায়ন সমন্বয় করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: দীপু মনি
করোনার কারণে প্রায় দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সর্বশেষ গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হলেও দুই দফায় ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়।সর্বশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয় সীমিত আকারে। আর ২ মার্চ থেকে সীমিত আকারে প্রাথমিক স্তরের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির
নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
নেত্রকোণায় বিকল ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ২
নেত্রকোণায় সিমেন্ট বোঝাই বিকল ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের ধাক্কা লেগে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হন। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের সাকুয়া বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তরিকুল (৩৫) কলমাকান্দা উপজেলার বড়কাপন ইউনিয়নের শুনই আমবাড়ী গ্রামের আজিজ বেপারীর ছেলে। নিহত অপর জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত পিকআপচালক তারিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত, বাবা-মা আহত
নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুল মজিদ জানান, নেত্রকোণা-ময়ময়নসিংহ আঞ্চলিক সড়কের সাকুয়া নামক স্থানে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক বিকল হয়ে যাওয়ায় তা মেরামত করছিল। শনিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোণাগামী একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা দু’জন ঘটনাস্থলেই নিহত ও চালক গুরুতর আহত হন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে নিহতদেরকে গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪
এ ব্যাপারে নেত্রকোণা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে আরেকজনের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গুরুতর আহত চালক তারিককে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে আর কখনো জাতীয় পতাকা উড়বে না’
স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা উড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিশ্বাস করি দেশের তরুন প্রজন্ম এবং সচেতন মানুষ আর কখনো রাজাকারের গাড়িতে পতাকা উড়তে দেবে না। স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা উড়বে না।
শনিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে কে-ফোর্স এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনে আপনারা তাদের বর্জন করবেন, ঘৃণা করবেন, যারা রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। আর যেন কখনো রাজাকারর গাড়িতে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা লাল-সবুজের পতাকা না ওঠে। দেশবাসীকে সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে। দেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল উল্লেখ করে এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ইন্ধন ছিলো। হত্যা পরবর্তী বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে খুনিদের বক্তব্যেই তা প্রমাণ হয়েছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পরে আর সামান্য কাল অপেক্ষা করেননি জিয়াউর রহমান। দেশকে পাকিস্তানে পরিণত করার জন্য এমন কিছু নেই যা তিনি করেননি।
আরও পড়ুন: নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পে অনিয়ম হলে ছাড় নয়: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
এসময় উপমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, জেনারেল জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে। শাহ আজিজ ছাড়াও জিয়া আরও কয়েকজন ‘রাজাকার’কে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তারা হলেন- মসিউর রহমান (যাদু মিয়া), মির্জা গোলাম হাফিজ, আবদুল আলিম, সামসুল হুদা চৌধুরী, এস এম শফিউল আজম ও খন্দকার আবদুল হামিদ।উপমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৮ সালের ১১ জুলাই পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযম ঢাকায় আসেন। তার ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও জিয়া সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে কয়েক দফা ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ’৯২ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। ’৯৪ সালে খালেদা জিয়ার আমলে আদালতের রায়ে নাগরিকত্ব ফেরত পায়।উপমন্ত্র্রী শামীম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার। খালেদা জিয়ার শাসনামলেও খুনিচক্রের প্রধান রশিদকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন তথাকথিত নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত করা হয়। বিরোধী দলের আসনে বসার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল তাকে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কুখ্যাত রাজাকার নিজামী, মুজাহিদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করেছিল। লাখে শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা আর যেন রাজাকারের গাড়িতে না ওঠে, সেজন্য সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে।খালেদ মোশাররফের কন্যা ও কে-ফোর্সের উপদেষ্টা মাহজাবিন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কে-ফোর্সের উপদেষ্টা ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, যুব মহিলালীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, যুবলীগের উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা মহসিন, সদস্য আসাদুজ্জামান আজম প্রমুখ।
এসময় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে মেঘনা থেকে চাঁদপুরকে রক্ষা করা হবে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুরে সাড়ে ১২ হাজার পরিবারকে পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর সহায়তা
বরগুনায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরগুনায় স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেতাগী উপজেলার জোয়ার করুনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন-ওই এলাকার মো. মনিরের ছেলে আসলাম তার স্ত্রী ও এলাকার হিরু হাওলাদারের মেয়ে তামান্না আক্তার। নিহত আসলাম পেশায় দিন মজুর ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৪
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান জানান, সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে জোয়ার করুনা এলাকায় যায় পুলিশ। পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠায়। আসলাম ঢাকায় দিন মজুর হিসেবে কাজ করতো। দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: নবীনগরে নৌকাডুবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, সন্তান নিখোঁজ
ধামরাইয়ে প্রাইভেটকার চাপায় ২ ছেলেসহ মায়ের মৃত্যু
ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাইভেটকার-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলেসহ একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ আরও তিন জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঢুলিভিটা এলাকায় ঢুলিভিটা-ধামরাই বাজার সড়কের মমতাজ মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া এলাকার নাসির উদ্দিন খানের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫) ও দুই ছেলে নাসিব খান (২০), ছোটন খান (১৮)।
আহত সিএনজি চালক ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রামের আবুল দেওয়ানের ছেলে শাহ আলম (৩২) এবং একই এলাকার মামুনের ছেলে তুষার (২৪)। এবং অপর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, দম্পতি আটক
ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য শামীমুজ্জামান শামীম জানান, তারা তিন জন ঢাকায় বেড়ানো শেষে ঢুলিভিটা থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। মমতাজ মেডিকেলের কাছে আসলে একটি প্রাইভেটকার তাদেরকে ধাক্কা দেয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মমতাজ মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে মা ও উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে দুই ছেলে মারা যায়। গুরুতর আহত সিএনজি চালক ও অপর দুই আহতকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সায়লা শায়মীন জেসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, দুই ছেলেসহ মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। নিহতদের পরিবারের পক্ষে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
খুব দ্রুত সময়ের ভেতরে ঘাতক প্রাইভেটকার ও চালককে আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন ওসি।
আরও পড়ুন: রেললাইনে গেম খেলারকালে ট্রেনের ইঞ্জিনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত, বাবা-মা আহত
কলকাতায় গেস্ট হাউজে আগুন, বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
ভারতের কলকাতার একটি গেস্ট হাউজে আগুন লেগে এক বাংলাদেশি নারী নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন।
শনিবার ভোর ৪টায় শহরের মির্জা গালিব স্ট্রিটের গেস্ট হাউজের দ্বিতীয় তলায় রিসিপশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং শিগগিরই তা আরও ১১টি কক্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত নারী হলেন- শামিমাতুল বেগম (৬০)।
আরও পড়ুন: দিল্লির বস্তিতে আগুন লেগে ৭ জনের মৃত্যু
কলকাতা পুলিশের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় গেস্টহাউসে ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছিলেন। আগুনে বৃদ্ধ নারী মারা গেলেও অন্য দুই বাংলাদেশি নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
কলকাতা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ১১টি কক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত বলে মনে হচ্ছে। তবে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং দপ্তর থেকে গেস্টহাউসটির অগ্নি-নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স ছিল কি না তাও পরীক্ষা করে দেখব।’
রেললাইনে গেম খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
খুলনায় রেললাইনে বসে মোবাইল ফোনে পাবজি গেম খেলার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনে কাটা পড়ে এক যুবকের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পা হারানো জিহাদ (২০) নগরের বসুপাড়া এলাকার বাচ্চু হাওলাদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মস্তক ও হাত-পা বিচ্ছিন্ন যুবকের খণ্ড লাশ উদ্ধার
খুলনা রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আশিক আহমেদ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনে বসে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে বসে জিহাদ মোবাইল ফোনে পাবজি গেম খেলছিলেন। পুরাতন স্টেশন থেকে একটি ইঞ্জিল নতুন স্টেশনের দিকে আসছিল। হর্ন দিলেও কানে হেডফোন থাকায় শুনতে পাননি জিহাদ। যার কারণে বাকি বন্ধুরা সরে গেলেও জিহাদ সরতে পারেনি। এ সময় লাইনের ওপর জিহাদের থাকা বাম পা ইঞ্জিনে কাটা পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে ট্রাকচাপায় নিহত ১, গার্মেন্টস শ্রমিকের পা বিচ্ছিন্ন
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত, বাবা-মা আহত
নাটোরে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের আরোহী শিশু নিহত হয়েছেন। এই সময় নিহত শিশুর বাবা-মা আহন হন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু ফাহিমা ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। আহতরা হলেন- ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী দিলারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেরামত আলী জানান, সকালে ফারুক হোসেন তার স্ত্রী দিলারা ও মেয়ে ফাহিমাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া থেকে নাটোর সদরের হয়বতপুরে তার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে কালিকাপুর এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু ফাহিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে স্কুলছাত্র নিহত
ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন
ফরিদপুর জেলা শহরের একটি টার্মিনালে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অন্তত ১২টি বাসে আগুন দিয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের গোয়ালচামটে নতুন বাস টার্মিনালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বাসগুলো অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন। ২০২০ সালের ৭ জুন পুলিশের অভিযানে বরকত-রুবেলের গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে দুদক এসব বাস জব্দ করে। এরপর থেকে সেগুলো সেখানেই রাখা ছিল।
শনিবার সকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, কয়েকজন দুর্বৃত্ত সাউথ লাইন পরিবহনের ১২টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ২২টি বাস রাখা ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
বরকতের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীন বলেন, গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি বরকতের মালিকানাধীন ৫৫টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেন একটি স্থানীয় আদালত।
ফরিদপুরের সিআইডির পরিদর্শক নাসির হোসেন জানান, ঘটনাটি সিআইডি তদন্ত করে দেখবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
গত বছরের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার মামলায় বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
যশোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
যশোরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই যুবক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া-তেতুলিয়া সড়কের বসন্তপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- মণিরামপুর উপজেলার কিসমত চাকলা গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে শাওন হোসেন (২১) ও একই গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে ইমরান হোসেন (২২)। তারা দুজনই এইচএসসি পাশ করেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
আহত আসিফ হোসেন (২১) মণিরামপুর উপজেলার ডুমুরখালি গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ছদরুল আলম জানান, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় বসন্তপুরে গ্রামে পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি মেহগনি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং এতে ঘটনাস্থলে শাওন ও ইমরান নিহত হন। আর আসিফ গুরুতর আহত হন। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত, আহত ২