ব্যবসা
কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিবারের জন্য মৃত্যু কিনে আনার মতো হবে : ক্যাব
ঈদের কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিবারের জন্য মৃত্যু কিনে আনার মতো হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতারা।
তারা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ যখন ক্রমাগত বাড়ছে, সরকার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শে দু সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করলেও ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে গত ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেবার অনুমতি প্রদান করে। ব্যবসায়ীরা মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শপিংমল খোলা ও দোকানপাট চালু করলেও প্রথমদিনই তাদের সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন নেই। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের জীবিকা বাঁচানোর জন্য রমজানে একমাস ব্যবসা করবো, পুরো বছর বসে থাকবো-এ শ্লোগানকে সফল করতে ক্রেতারা যদি হুমড়ি খেয়ে ঈদের বাজার করতে মৃত্যুপুরী শপিংমল ও দোকানে ভিড় করেন তাহলে আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য করোনা কিনে আনার মতো বিপর্যয় হবে।
আরও পড়ুন: ইমক্যাবে বাসুদেব সভাপতি, মাছুম বিল্লাহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
সোমবার এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান এই সব মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা বলেন, ‘করোনা যেহেতু ছোঁয়াছে এবং সংক্রমণ বাড়ার উৎসগুলোর মধ্যে গণপরিবহন, শপিংমল ও মসজিদসহ জনসমাগমকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেহেতু নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচার জন্য এ সমস্ত ঘটনা এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই। ব্যবসায়ীদের জীবিকা বাঁচানোর জন্য আপনি যদি বেঁচে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে সেটা করতে পারবেন। কিন্তু জেনে শুনে নিজ ও পরিবারের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনা বুদ্ধিমানের পরিচয় হবে না।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
তারা বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অক্সিজেনের জন্য পুরো ভারত জুড়ে হাহাকার এবং মৃত্যুর মিছিল। সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি, পত্র-পত্রিকার কল্যাণে আমরা এ সমস্ত সংবাদ শুনলেও আমলে না নেবার পরিণতি ভারতের মতো হবে।
নেতারা বলেন, করোনা যেহেতু দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং অদৃশ্য শত্রু। করোনার রোগী শনাক্ত ও চিহ্নিত করা কঠিন। যে পরিবারের একজন আক্রান্ত হয়েছে শুধুমাত্র সেই পরিবারের আহাজারি ও অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট শুনার মতো কেউ নেই। করোনায় জীবিকা বাঁচাতে গিয়ে অনেক পরিবার চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ যোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের জানা, হাসপাতালে বেড নেই, চিকিৎসা নেই, ওষুধ-অক্সিজেন নেই। মানুষ বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যুর প্রহর গুনেছে। করোনায় মৃত্যুবরণকারী অনেকের ঠিকমতো জানাজা পড়া ও কবর দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই এবারও সে ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন হতে না হয় সে জন্য নিজেকে সতর্ক করা ছাড়া বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
ক্যাব নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গণপরিবহন মালিকরা যেভাবে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করেনি। সেখানে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন হাতে গোনা কয়েকটি দায়সারা ফটোসেশনের অভিযান পরিচালনা করেছেন। একই ভাবে ব্যবসায়ীদের শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ নিবেন সে আশা কতটুকু পুরণ হবে তা নিয়ে সন্দিহান। তাই নাগরিক হিসেবে করোনা থেকে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদেরকে বাঁচাতে নিজের সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিজেকে নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
করোনাকালে অনলাইনে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ ‘সহজ হেলথে’
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা সবার হাতের নাগালে আনতে ১৫০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ২০ জনের বেশি স্পেশালাইজেশন বা ক্যাটাগরি নিয়ে ‘সহজ হেলথ’ সেবা নিয়ে কাজ করছে সহজ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে ডাক্তার-রোগী আনুপাতিক গড় হচ্ছে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য ডাক্তার রয়েছে মাত্র ৫ দশমিক ২৬ জন, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী যেভাবে ছড়িয়েছে, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। আর এ সময়ে করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে ডাক্তারদের পরামর্শ একটাই-স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে বাসায় থাকুন। আর সরকারও সংক্রমণের হার কমাতে লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিতেও বাধ্য হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা সবার হাতের নাগালে আনতে ‘সহজ হেলথ’ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ব্র্যান্ড সার্ভিস অফার নিয়ে এলো অপো
সহজ-এর বিশ্বমানের ডিজিটাল হেলথকেয়ার অ্যাপে ব্যবহারকারীরা দেশের যেকোনো স্থান থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্শ নিতে পারবেন। এ ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে প্রথমেই সহজ অ্যাপে লগ-ইনের পর ‘হেলথ’ অপশনে গিয়ে স্পেশালাইজেশন বা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নির্দিষ্ট ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। সহজ হেলথ-এ নিয়োজিত কমিউনিটি এনগেজমেন্টের কর্মীরা ডাক্তারদের সঙ্গে ভিডিও কলে পরামর্শ গ্রহণের প্রতিটি পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের বুঝিয়ে দিবে।
আরও পড়ুন: বাজারে আসছে নতুন অপো এফ১৯ প্রো
এছাড়া, সহজ সুপারঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাসায় বসেই স্থানীয় ফার্মেসীগুলো থেকে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ ডেলিভারি পেয়ে যাবেন খুব সহজে। কোভিড-১৯ এর এই সময়ে ডাক্তারদের পরামর্শের জন্য এখন আর ঝুঁকি নিয়ে চেম্বারে যেতে হবে না।
উপরোক্ত সেবাসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেশালাইজেশনের শতাধিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণের পাশাপাশি ঘরে বসে প্রয়োজনীয় ঔষধ ডেলিভারি সুবিধা পাওয়া যাবে ‘সহজ হেলথ’ থেকে।
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিধানসভা নির্বাচনের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল সচল রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহাকুমা অঞ্চলে বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচন। এ উপলক্ষে পেট্রাপোল বন্দরের সাথে বেনাপোল বন্দরের সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর ব্যবহাকারীরা জানিয়েছেন। শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও রপ্তানি বাণিজ্যে ধস
পেট্রাপোল স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোল বন্দর বঁনগা থানার মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনের মধ্যে বাণিজ্যিক নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস সচল থাকবে। শনিবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আবারও এ পথে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন:বেনাপোলে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বাড়ছে
সংশ্লিষ্ট জানান, প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিকেল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখ্যযোগ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব্য।
‘অপো-লাইকি চ্যালেঞ্জে’ জিতুন অপো এফ১৯ প্রো
গ্লোবাল স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপো ও সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি ও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম লাইকি একসাথে বাংলাদেশে নতুন ক্যাম্পেইন চালু করেছে। লাইকি প্ল্যাটফর্মে ‘অপো-লাইকি রমজান হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনটি ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের অধীনে যেকেউ #ShareRamadanMoment লিখে নিজের, পরিবারের বা বন্ধু-বান্ধবের সুন্দর মুহূর্তগুলো সবার সাথে শেয়ারের সুযোগ পাবেন।
ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে হলে ব্যবহারকারীকে লাইকির ব্যানারে ক্লিক করতে হবে ও অফিসিয়াল অ্যানিমেশন টেমপ্লেট ব্যবহার করতে হবে। তারপর নিজেদের রমজানের মুহূর্ত ও মজার ভিডিও রেকর্ড করে #ShareRamadanMoment ব্যবহার করে লাইকি প্ল্যাটফর্মে শেয়ার দিতে হবে। সর্বোচ্চ সাড়া পাওয়া ভিডিওটি থেকে পর্যায়ক্রমে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
আর বিজয়ীদের জন্য থাকছে অপো এফ১৯ প্রো, অপো ব্যান্ড স্টাইল এর মতো আকর্ষণীয় নানা পুরস্কার। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে।
ক্যাম্পেইনটি শুধুমাত্র লাইকি ক্রিয়েটর ও ইউজারদের জন্য। এই বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে লাইকি কর্তৃপক্ষের।
উল্লেখ্য, শিগগিরই সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে অপো বাজারে নিয়ে আসছে এফ১৯ প্রো এর ঈদ সংস্করণ। ঈদের চাঁদের সাথে সমন্বয় রাখতে এবার ফোনটি আসছে ক্রিস্টাল সিলভার কালার ভ্যারিয়েন্টে।
দুর্দান্ত এই ফোনটিতে রয়েছে এআই প্রোর্টেট ভিডিও, ডুয়েল-ভিউ ভিডিও, ৩০ ওয়াটের ভুক ফ্ল্যাশ চার্জের সুবিধাসহ নানাবিধ ফিচার। ভুক চার্জিংয়ের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে মাত্র ৫ মিনিট চার্জ দিয়ে ৩.২ ঘন্টা কথা বলা যাবে।
আরও পড়ুন: রমজানে ব্র্যান্ড সার্ভিস অফার নিয়ে এলো অপো
বাজারে আসছে নতুন অপো এফ১৯ প্রো
পুরো এইচডি রেজ্যুলেশন ও সুপার এমোলড প্যানেলের দারুণ ফোনটির ডিসপ্লের আকার হচ্ছে ৬.৪৩ ইঞ্চি। ৭.৮ মিলিমিটার পুরুত্বের ফোনটির ওজন মাত্র ১৭২ গ্রাম। ফোনটির ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম ফোনটিকে দিয়েছে শক্তিশালী পারফরমেন্স ক্ষমতা। এর সাথে অক্টা-কোর মিডিয়া টেক হেলিও পি-৯৫ এর মতো প্রসেসর তো রয়েছেই। অর্থাৎ শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার থাকার কারণে ফোনটি দিয়ে পাবজির মতো হাই-রেজ্যুলেশন গেম খেলা যাবে নির্বিঘ্নে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য বাংলাদেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপতালে’ কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে হ্যান্ড রাব ও বিশুদ্ধ খাবার পানি দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল।
বুধবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনের কাছে এ সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালকে সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলার লড়াইয়ে প্রথম থেকেই বিভিন্নভাবে দেশ ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এরই অংশ হিসেবে এবার ডিএসসিসি কোভিড হাসপাতালের কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রাণ-আরএফএলের উৎপাদিত অ্যাকটিভো ব্রান্ডের হ্যান্ড রাব ও প্রাণ ড্রিংকিং ওয়াটার প্রদান করা হয়, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মহামারির সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
গত বছরের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে উপার্জনের পথ হারিয়ে বিপাকে পড়ে অনেক অসহায় পরিবার। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ভোলার ১৫টি হাসপাতালে মাস্ক, পিপিই হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ প্রদান করে গ্রুপটি।
লকডাউনে দেশব্যাপী ‘রিয়েলমির’ হোম ডেলিভারি সেবা
তরুণ প্রজন্মের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় রেখে লকডাউন চলাকালীন সময়ে গ্রাহকদের জন্য হোম ডেলিভারি সেবা চালু করেছে।
দেশব্যাপী লকডাউনে স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে এবং ব্যবহারকারীরা ঈদের আগে নতুন স্মার্টফোন কিনতে আগ্রহী। তাই গ্রাহকদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনায় ঘরে বসেই রিয়েলমি ফোন কেনার সুযোগ করল প্রতিষ্ঠানটি
গ্রাহকেরা রিয়েলমি সি১১, সি১২, সি১৫, সি১৭, নারজো ৩০এ এবং সম্প্রতি বাজারে আসা সি২১ এবং ৮ প্রো মোইল ফোনগুলো হোম ডেলিভারির মাধ্যমে ঘরে বসেই কিনতে পারবেন। হোম ডেলিভারির জন্য গ্রাহকেরা হটলাইন ০১৮৭৩৯০২৬৬৯ অথবা ০১৮১১১৯৩৭৭৫ নাম্বারে কল করতে পারেন।
ক্রেতারা চাইলে আশেপাশের রিয়েলমি আউটলেটে সরাসরি কল করে পছন্দের ফোন কিনতে পারবেন। রিয়েলমির প্রতিটি আউটলেটের নাম্বার পেতে ভিজিট করুন https://realmebd.com/brandshop-এই লিংকে।
হোম ডেলিভারি সেবা পেতে গ্রাহককের কোনও অতিরিক্ত ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না।
আরও পড়ুন: ঈদে আরও দু’টি নতুন স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
সম্প্রতি বাজারে এসেছে রিয়েলমির নতুন স্মার্টফোন – রিয়েলমি ৮ প্রো এবং রিয়েলমি সি২১।
রিয়েলমি ৮ প্রো ৫০ ওয়াট সুপারডার্ট চার্জ সম্বলিত সবচেয়ে শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা কোয়াড ক্যামেরা ফোন এবং রিয়েলমি সি২১ টিইউভি রাইনল্যান্ড উচ্চ নির্ভরযোগ্যতা মানের প্রশংসাপত্র অর্জনকারী রিয়েলমির প্রথম এন্ট্রি-লেভেল অলরাউন্ডার স্মার্টফোন। গ্রাহকেরা রিয়েলমি ৮ প্রো (৮+১২৮জিবি) মাত্র ২৭,৯৯০ টাকায় ক্রয় করতে পারবেন।
বিকাশে রেমিটেন্স পাঠালে ১ শতাংশ ক্যাশব্যাক অফার
চলমান করোনা পরিস্থিতি এবং পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিকাশে রেমিটেন্স পাঠানো আরও স্বস্তিদায়ক করতে সরকারি ২ শতাংশ প্রণোদনার সাথে আরও ১ শতাংশ ক্যাশ বোনাস দিচ্ছে বিকাশ।
বিশ্বের ৯৩টি দেশ থেকে অনলাইন বা ওয়ালেট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৫০টির বেশি মানি ট্রান্সফার সংস্থা হয়ে দেশের ১০ টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ২০ লাখ বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিরাপদে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা। এসব সুবিধার কারণে বিকাশে ২০২০ সালে প্রায় ১ হাজার ১৬০ কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠায় প্রবাসীরা।
করোনার এই সময়ে ঘরে বসে সহজেই রেমিটেন্স গ্রহণসহ সরকারি ২ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি আরও ১ শতাংশ ক্যাশ বোনাস অফার ঘোষণা করেছে বিকাশ।
আরও পড়ুন: বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করবে সেবা প্ল্যাটফর্ম
১০ হাজার টাকা বা এর অধিক যেকোনও পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য এই অফারটি প্রযোজ্য হবে। অফারটি চলবে ৩১ মে ২০২১ পর্যন্ত।
একজন গ্রাহক অফার চলাকালীন সময়ে মাসে ২ বার করে দুই মাসে মোট ৪ বার এবং মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা করে দুই মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস উপভোগ করতে পারবেন। সরকারি প্রণোদনা ও বিকাশ বোনাস সহ একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেমিটেন্স হিসেবে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।
করোনার মহামারির এই সময়ে বাড়ির কাছের যেকোন বিকাশ পয়েন্ট থেকে রেমিটেন্সের টাকা তুলতে পারছেন খুব সহজেই। এছাড়াও বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘরে বসেই ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালের খরচ পরিশোধ, কেনাকাটা করা সহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন গ্রাহক।
মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহায়তা দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিলের মাধ্যমে মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সরকার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন মেডিকেল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বিশ্বের অর্থনীতিকে দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। বিশ্বব্যাংক মেডিকেল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। এ অনুদানের মাধ্যমে মেডিকেল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। স্থানীয় বাজার ও বৈদেশিক বাজারে রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারা এ কর্মসূচি সুবিধা পাবেন।’
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ উদ্যোক্তা বান্ধব তহবিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ কর্মসূচি একটি মাইলস্টোন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় মেডিকেল এন্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্টানগুলোর জন্য ‘কোভিড-১৯ এন্টারপ্রাইজ রিসপন্স ফান্ড’ এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বহুমুখী করতে পিআইএফআইসি কর্মসূচি চালু হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকল্পের আওতায় ম্যাচিং গ্রান্ট প্রোগ্রামের দি এক্সপোর্ট রেডিয়েন্স ফান্ড (ইআরএফ) হিসেবে ১৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করা হবে।
যেসব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে এ অনুদান প্রযোজ্য হবে তা হলো, পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ডায়াগনোস্টিক ইকুইপমেন্ট, ক্লিনিক্যাল কেয়ার ইকুইপমেন্ট। এমপিপিই পণ্যের ডিজাইন ও কারিগরি মানের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও বৈচিত্র্য আনয়ন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন প্রণয়ন, এমপিপিই পণ্যের সহায়তামূলক কর্মকান্ড যেমন, গবেষণা, পন্য উন্নয়ন, টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন এবং নতুন উদ্ভাবন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমপন।
আরও পড়ুন: আলুর দাম ২-৩ দিনের মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেমে আসবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিসিবির পণ্য: সাতক্ষীরায় পঁচা পেঁয়াজ না নিলে দেয়া হচ্ছে না তেল, চিনি
সাতক্ষীরায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খাবার অযোগ্য পঁচা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে। পঁচা পেঁয়াজ না কিনলে ক্রেতার কাছে সয়াবিন তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ টিসিবির অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে না। এককথায় বাধ্য হয়েই ক্রেতাদেরকে পঁচা ও খাবার অযোগ্য পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
এদিকে টিসিবির পণ্য বিক্রির অন্যতম শর্ত হলো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না কেউই। গায়ে গা মিশিয়ে পণ্য কিনছে ক্রেতারা। ফলে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। আর এসব নিয়ে প্রশাসনের কোনো ধরনের তদারকি নেই সেখানে।
আরও পড়ুন: খুলনার বাজারে নতুন পেঁয়াজ, মজুদ নিয়ে চিন্তিত টিসিবি
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে টিসিবির ডিলার সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের ব্যবসায়ী সংকর সাধুর এভাবেই সরকারি পণ্য বিক্রির সরেজমিনে সত্যতা পাওয়া গেছে।
ক্রেতারা জানায়, পঁচা পেঁয়াজ না কিনলে অন্য কোনো পণ্য দেয়া হচ্ছে না। ডিলার সংকর সাধু ও তার ভাই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যারা পঁচা পেঁয়াজ না কিনবে তাদেরকে অন্যান্য পণ্য দেয়া হবে না। মাল ওজনেও কম দেয়ার অভিযোগ করেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পেঁয়াজ
এ ব্যাপারে ডিলার সংকর সাধু বলেন, পঁচা পেঁয়াজ আমাদেরকে কিনে আনতে হচ্ছে টিসিবি থেকে। আমরা যা কিনবো তাই বিক্রি করবো। পেঁয়াজ পঁচা হলে আমাদের কিছু করার নেই।
লকডাউনে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক
দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধিতে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কাচাঁমাল সরবরাহ ঠিক রাখতে মোংলা বন্দরে ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।
লকডাউনে এক সপ্তাহে বন্দরে জাহাজ আগমন করে ২১টি, গত বছর সমসাময়িক সময়ে জাহাজ আগমন করেছে ১৮টি। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৭ মেট্রিক টন, গত বছর সমসাময়িক সময়ে ছিল ২ লাখ ৩ মেট্রিক টন। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩৭৩টি হাউজে এবং ৭ হাজার ১১৭ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
এছাড়াও এ সময়ে বন্দর থেকে ২৭২টি গাড়ি ডেলিভারি করা হয়েছে। জাহাজ, কার্গো, গাড়ি ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে সকল সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ফলে বন্দরের আয় স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের মধ্যে মোংলা বন্দরের যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে-ডাল, ছোলা, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, কয়লা, হোয়াইট ক্লিংকার, পাথর, গ্যাস, কিচেন সিংক, ডাটা কেবল, ফেব্রিক্সস, এলইডি লাইট, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, অ্যালুমিনিয়াম সীট, এমএসি স্টীল, লেনটাইলস, মেশিনারিজ, চাল ও গাড়ি।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ইতোমধ্যে মোংলা বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চালের প্রথম চালান জানুয়ারিতে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের ফলে সর্তকতা হিসেবে মোংলা বন্দর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ (সীমিত আকারে), অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষা, বন্দরের অফিসগুলোতে এবং বন্দর এলাকায় করোনার সতর্কতামূলক বিভিন্ন ধরনের ব্যানার স্থাপন, বন্দরের মসজিদ গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় ইত্যাদি।
মোহাম্মদ মুসা বলেন, লকডাউনের মধ্যে বন্দর কার্যক্রম সচল রাখতে মোংলা বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, সিএনএফ এজেন্ট, স্টিভের্ডস ও অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যেহেতু আমরা বন্দরের সকল স্টক হোল্ডারদের সমন্বয়ে কাজ করছি ফলে করোনার মধ্যে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চলমান থাকবে।