বিশ্ব
মিয়ানমারে ‘সেনাবাহিনীর হামলা’য় সেভ দ্য চিলড্রেনের ২ কর্মী নিখোঁজ
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হামলায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের দু’জন কর্মী নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হামলায় ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন।
এর আগে শনিবার একটি বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন দেশের বেসামরিক নাগরিকের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সেনাবাহিনীর হামলায় সেদিন কমপক্ষে ৩৮ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে সৈন্যরা তাদের গাড়ি থেকে বেশকিছু লোককে গ্রেপ্তার করেছে এবং কয়েকজনকে হত্যার পর তাদের লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, মানবিক কাজের পরে ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল তাদের দুই কর্মী, এই হামলায় তারা নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গোপন হাসপাতালে সামরিক বাহিনীর হামলা
সংস্থাটি বলেছে, আমরা নিশ্চিত যে তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা করা হয়েছে এবং পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন-এর প্রধান নির্বাহী ইনগার অ্যাশিং আরও বলেছেন, নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিক ও আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংসতায় আমরা আতঙ্কিত। আমাদের কর্মীরা নিবেদিত মানবতাবাদী মানুষ, তারা মিয়ানমার জুড়ে লাখ লাখ শিশুকে সহায়তা করতে প্রাণ বাজি রেখে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরোধিতাকারী মিলিশিয়াদের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স বলেছে, নিহতরা মিলিশিয়া সদস্য নয় বরং সংঘর্ষ থেকে দূরে যেতে চাওয়া বেসামরিক নাগরিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গ্রুপের একজন কমান্ডার বলেছেন, মৃতদেহগুলো দেখে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ নিহতেরা সবাই বিভিন্ন বয়সী নারী, শিশু ও বৃদ্ধা।
অন্যদিকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, শুক্রবার তারা ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর ওপর হামলা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে মিয়ানমার জুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর দফায় দফায় সেনাবাহিনীর হামলায় শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বহালে খোলা চিঠি
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা রবিবার এক বিবৃতিতে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দারিদ্রতা, বর্ণবাদ, যৌনতা ইত্যাদি বিরোধী প্রচারণায় ডেসমন্ট টুটুর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
ডেসমন্ট টুটু ১৯৩১ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের ক্লের্কড্রপ জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে ১৯৬২-৬৬ সালে ধর্মতত্ত্বে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করলেন তিনি। তারপর দক্ষিণ আফ্রকায় ফিরে আসেন এবং ধর্মতত্ত্ব পড়াতে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন টুটু।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নিরসনে ভূমিকার জন্য ডেসমন্ট টুটু ১৯৮৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে সিডন শান্তি পুরস্কারসহ ২০০৭ সালে গান্ধী শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বড়দিনে ব্রাজিলে গোলাগুলিতে নিহত ৫
দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
বড়দিনে ব্রাজিলে গোলাগুলিতে নিহত ৫
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ফোর্তালেজায় শনিবার ভোরে একটি ফুটবল মাঠে বড়দিন উদযাপনের সময় গোলাগুলিতে পাঁচ জন নিহত ও ছয় জন আহত হয়েছেন। সিয়েরা রাজ্যের পাবলিক সিকিউরিটি সেক্রেটারিয়েট এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমে অস্থিরতায় গাজা-ইসরায়েল ব্যাপক গোলাগুলি
সংস্থাটির প্রেস অফিস থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সন্ত্রাসী দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মার্কেটে গোলাগুলিতে নিহত ১০
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের একজনের বয়স ২১, অপরজনের ২৬। তাদের বিরদ্ধে অপরাধ সংঘটন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, চুরি ও শান্তি ভঙ্গের মতো অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলার রেকর্ড ছিল।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৪ লাখের কাছাকাছি
বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৪ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ৯৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩০ জন ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৪১১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ১৬ হাজার ৪৬৩ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৬৮৬ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: যুক্তরাজ্যে নতুন সতর্কতা
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৯ হাজার ৫২০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ২৭৫ জন। এর আগে শুক্রবার ৩৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৬ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৮৫ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৭ কোটি ৮৮ লাখ ছাড়াল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক ১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৮০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
কোভিড ১৯: বিশ্বজুড়ে আরও একটি নিরানন্দ বড়দিন
করোনাভাইরাস বৃদ্ধির ফলে বেথলেহেম ও ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে লন্ডন ও বোস্টন পর্যন্ত দ্বিতীয় বছরের মতো ক্রিসমাসের অনুষ্ঠান পালন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গির্জাগুলোকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাতিল করতে বলা হচ্ছে এবং নাগরিকদের ভ্রমণ ও পারিবারিক জমায়েত সীমিত করতে বলা হচ্ছে।
যিশু খ্রিষ্টের কথিত জন্মস্থান ইসরায়েলে ওমিক্রন সংক্রমণ কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ইসরায়েলে ভ্রমণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
জার্মানিতে ক্রিসমাসের দিনে সকাল থেকে কোলনের বিশাল ক্যাথেড্রালের চারপাশে একটি বড় লাইন দেখা যায়। এ লাইন ক্যাথেড্রালের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য নয়, করোনার টিকা দেয়ার জন্য।
ক্যাথেড্রালের প্রভোস্ট গুইডো আসমান ডিপিএ নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ক্রিসমাস উপলক্ষে এই টিকাদান কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই বছর ধরে চলা লকডাউন এবং অন্যান্য বিধিনিষেধে আটকে থেকে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সবাই এখন নিরাপদে ছুটির অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
রোজালিয়া লোপেস নামের পর্তুগিজ এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ক্যাসকেসের উপকূলীয় শহরে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করছিলেন। তিনি বলেন, তিনি ও তার পরিবার মহামারির কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এখন ভ্যাকসিন, বুস্টার ডোজ, দ্রুত হোম টেস্ট ও জনসম্মুখে মাস্ক পরাসহ সব নিয়ম মেনে হলেও তারা ক্রিসমাসের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে চায়।
নিউইয়র্ক শহর, যেখানে ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে; সেখানকার অধিবাসীরা করোনা পরীক্ষা করার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার আগে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে অনেকেই এসময় করোনা পরীক্ষা করছেন।
অনেকে ছুটির দিনে ভ্রমণ করতে বাধার মুখে পড়েছে কারণ বিভিন্ন দেশের প্রধান এয়ারলাইনগুলো ওমিক্রনের কারণে শত শত ফ্লাইট বাতিল করেছে।
শুক্রবার সাদিয়া রেইন নামের এক নারী তার ৭৫ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়া থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে পৌঁছেছেন। রেইনস বলেন, গত দু’বছর তারা দু’জন ক্রিসমাসে আলাদা থেকেছেন। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ায় ভ্রমণে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, তিনি এবছর মায়ের থেকে আলাদা থাকতে পারেননি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য চার্চ ব্যক্তিগত বিভিন্ন পরিষেবা বাতিল করেছে। এরমধ্যে রাজধানী ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রাল ও বোস্টনের ঐতিহাসিক ওল্ড সাউথ চার্চও রয়েছে।
রোমে শুধুমাত্র পোপ ফ্রান্সিস সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। অন্যান্য বছর সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে কমপক্ষে দুই হাজার মানুষ একত্রিত হতো। এবছর সেখানে প্রবেশ দর্শকদের প্রবেশ সীমিত ছিল এবং উপাসকদেরও মাস্ক পরতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্তের ৭৩ শতাংশ এখন ওমিক্রন
জার্মানিতেও গির্জাগামীদের বিভিন্ন বিধিনিষেধ মানতে হয়েছে। অনেক জায়গায় টিকা বা করোনা পরীক্ষার প্রমাণপত্র দেখাতে হয়েছে।
ইউরোপের সবচেয়ে কঠোর লকডাউনের মধ্যে থাকা নেদারল্যান্ডের লোকেরা কঠিন বিধিনিষেধের মধ্যে ক্রিসমাস পালন করছে। দেশটিতে বার এবং রেস্তোরাঁসহ সমস্ত অপ্রয়োজনীয় দোকান বন্ধ ছিল এবং ক্রিসমাসে চারজনের বেশি মানুষ একত্রে কোথাও ভ্রমণে যাওয়া নিষেধ ছিল।
ফ্রান্সে ক্রিসমাসের দিনে কেউ কেউ হাসপাতালে প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করেছেন। কারণ দেশটিতে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। তবে সরকার ক্রিসমাসের ছুটি উপলক্ষে কারফিউ তুলে নিয়েছে।
বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে ক্রিসমাস ট্রিগুলিকে সাংস্কৃতিক স্থানগুলো বন্ধ রাখার প্রতিবাদে জানালা থেকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখেছে অধিবাসীরা।
বেথলেহেমে মহামারির আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার খ্রিস্টান তীর্থযাত্রী ভ্রমণ করতেন। কিন্তু গতবছরের মতো এবছরও দর্শনার্থীর অভাবে শহরটির হোটেল, রেস্তোরাঁ ও উপহার সামগ্রীর দোকানগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন সংক্রমণ, ৮৯ দেশে শনাক্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৭ কোটি ৮৮ লাখ ছাড়াল
বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ৮৮ লাখ ছাড়াল। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ২১৪ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৩ লাখ ৯২ হাজার ২০ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৭৮৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ১৬ হাজার ৩৬২ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৬৫৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: করোনা: সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিট বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে ১২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনার এ নতুন ধরনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ জন ছাড়িয়েছে। শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি। রাজধানী দিল্লি এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন শনাক্তের তুলনামূলক বেশি।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৬ হাজার ৬৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২৬ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৯ হাজার ১৩৩ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৪২ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৫ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৭১০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনাতেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়েছে
ভারতে ২৪ ঘণ্টায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে ১২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনার এ নতুন ধরনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০ জন ছাড়িয়েছে।
শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি। রাজধানী দিল্লি এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন শনাক্তের তুলনামূলক বেশি।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে ৩০টিরও বেশি ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘দেড় থেকে তিন দিনে ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। তাই আমাদেরকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
সব মিলিয়ে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৬ হাজার ৬৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে মারা গেছেন ৩৭৪ জন।
এর আগে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যা প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্তের ৭৩ শতাংশ এখন ওমিক্রন
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৭ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আবার বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ৮৮ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাচঁ কোটি ১৮ লাখ আট হাজার ৯৪৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ১৫ হাজার ৩৬৮ জন।
ব্রাজিল
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৪৯২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ৯৪৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
ভারত
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৬ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৯ জনে।
রাশিয়া
এছাড়া রাশিয়ায় মোট শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি এক লাখ ৪০ হাজার ৪২৯ জন ছাড়িয়েছে। একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৬ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৭ কোটি ৭১ লাখ ছাড়িয়েছে
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৮২ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৪ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৬৮ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৬২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্তের ৭৩ শতাংশ এখন ওমিক্রন
করোনা নেগেটিভ হলেন ওমিক্রন আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটার
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৭ কোটি ৭১ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আবার বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার ৯১২ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাচঁ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯৯১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ১২ হাজার ৬৯ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৮ হাজার ৩২৫ জনে।
এছাড়া রাশিয়ায় মোট শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি এক লাখ ১৪ হাজার ৯৮৩ জন ছাড়িয়েছে। একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩২২ জনে।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৫২ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫২ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৯৮৬ জনে পৌঁছেছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৭৭৯ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৮৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৮১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় বেড়েছে শনাক্ত
পর্যটন স্পটে মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
দ. আফ্রিকার বিশেষজ্ঞেরা বলেছেন, দেশের করোনা সংক্রমণের বর্তমান হার দেখে বোঝা যাচ্ছে, করোনার পিক সময় আরও আগেই পার হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার দেশটিতে ১৫ হাজার ৪২৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে রেকর্ড ২৭ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
পর্যাপ্ত পরীক্ষার সুযোগ না থাকা, পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হওয়া এবং নানা জটিলতার কারণে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণের এই অবিশ্বাস্য রকমফের হতে পারে। তবে দেশটির সংক্রমণের ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে, দ্রুত ছড়িয়ে পরা ওমিক্রন সংক্রমণ স্থিমিত হয়ে পড়েছে।
উইটওয়াটারস্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস এনালিটিকস বিভাগের জ্যেষ্ঠ গবেষক মার্টা নুনস বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, কিছুদিন আগে ওমিক্রন শনাক্তের অন্যতম হটস্পট গাউটেং প্রদেশ এবং সারা দেশের অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়; আমরা ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়ান্ত অবস্থা পার হয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, এটা ছোট একটি ঢেউ…এবং সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এর ফলে করোনায় প্রাণহানি ও হাসপাতালগুলোর দূরাবস্থা অন্যান্য ঢেউয়ের তুলনায় অনেক কম ছিল।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
মার্টা আরও বলেন, এটা ঠিক যে কোনো সময় মহামারি হঠাৎ উর্ধ্বগামী হতে পারে। তেমনি গত নভেম্বর মাসের তুলনায় আমরা হঠাৎ নিম্নগামীতা লক্ষ্য করছি।
নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে দ. আফ্রিকার গাউটাং প্রদেশে সংক্রমণের হার বাড়তে দেখি। ২৫ নভেম্বর দেশটিতে বিজ্ঞানীরা করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন ধরন শনাক্ত করে। এসময় বিজ্ঞানীরা জানায়, বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়ানো করোনার ডেল্টা ধরনের চেয়েও ওমিক্রন দ্রুত সংক্রামক।
খুব দ্রুতই ওমিক্রনের প্রভাবে পুরো দ. আফিকা কাবু হয়ে পড়ে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশটিতে শনাক্ত হওয়া রোগীর ৯০ শতাংশই নভেম্বরের মাঝামাঝি আক্রান্ত হয়।
এছাড়া সারা বিশ্বেই সেসময় দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়। মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সপ্তাহে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর ৭৩ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। এর মধ্যে নিউইয়র্কে শনাক্ত রোগীর ৯০ শতাংশের বেশিই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে ৬০ শতাংশ আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৯ শতাংশ দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের কথা জানা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হচ্ছে
ওমিক্রনের প্রাদূর্ভাব মাঝারি ধরনের হলেও, বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছিলেন এত দ্রুত শনাক্ত বাড়তে থাকলে দেশের হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে উঠবে। অক্সিজেন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামের অভাবে হাসপাতালগুলো আবারও চাপে পড়বে। কিন্তু চলতি মাসের শুরুর থেকেই গাউটাং প্রদেশে শনাক্তের হার কমতে থাকে। গত ১২ ডিসেম্বর দৈনিক শনাক্ত ১৬ হাজার পর্যন্ত পৌঁছানোর পর থেকেই ক্রমান্বয়ে শনাক্তের পরিমাণ কমছে।
প্রিটোরিয়ার স্টিভ বিকো একাডেমিক হাসপাতালের কোভিড-১৯ চিকিৎসক ডা. ফারিদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘হঠাৎ শনাক্তের হার কমে যাওয়াটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’
তিনি বলেন, দ্রুত শনাক্তের হার বৃ্দ্ধি পাওয়ার পর হঠাৎ শনাক্ত কমে যাওয়ার ফলে আমরা বুঝতে পারছি, আমরা প্রথম ঢেউয়ের শেষভাগে এসে পৌঁছেছি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেই চট্টগ্রামে নিখোঁজ ২ জন