ছাত্রলীগ
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন অব্যাহত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগ কর্মীদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শনিবারও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।
সকালে তারা ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্র রাজনীতি চালুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর ১১ অক্টোবর ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির হল বরাদ্দ বাতিল করে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে ইমতিয়াজ রহিম রাব্বিকে বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যেসব শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের বহিষ্কারেরও দাবি জানান তারা। তারা হলেন- এ এস এম আনাস ফেরদৌস (আইডি: ১৮১৮০০৪), মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল (আইডি: ২১০৬১০১), অনিরুদ্ধ মজুমদার (আইডি: ২১০৬০৭৯), জহিরুল ইসলাম ইমন (আইডি: ২১১২০৩১) এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদীন রিফাত (আইডি: ২১০৬১২৬)।
এছাড়া মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেমিনার কক্ষ ব্যবহারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন শিক্ষার্থীরা। কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করতে হলে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের অনুমতি নিতে হয়।
'দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি লঙ্ঘনের' অভিযোগেছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালকের পদত্যাগও দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণা দেন তারা।
শুক্রবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির কয়েকজন নেতা-কর্মী রাষ্ট্রপতির হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের একজন দারোয়ান ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের মিলনায়তন ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জালিয়াতি রোধে বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্রের সাফল্য
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাম্পাসে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবারও শুরু করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সকল প্রকার শিক্ষাকার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
২০১৯ সালে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষের মেধাবী ও সংবেদনশীল শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে বুয়েট ক্যাম্পাসে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভয়ংকর নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী জড়িয়ে পড়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের রাজনীতি বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এরপর থেকে ছাত্রলীগ বিক্ষিপ্তভাবে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বা বিশেষ করে রাজনৈতিক কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই শিক্ষার্থীদের রাজনীতি বিরোধী সংগঠনের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে এবং সর্বশেষ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক ধারাবাহিক সেই সূত্রেই পড়ে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ: এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকাল বিদায়
গত বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি এবং তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে 'গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। এরপর ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির কয়েকজন নেতাকর্মী ছাত্রলীগ সভাপতিকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রবেশ চেষ্টা বলে মনে করছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
নিরাপদ ক্যাম্পাস ও বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
শত শত শিক্ষার্থী সকাল থেকে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভে যোগ দেয় এবং সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন করে।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন যে তাদের বিরোধীরা 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বুয়েট ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র করছে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের নির্ধারিত ক্লাস এবং পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করার ঘোষণাও দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য বুয়েটের যে কোনো ছাত্রকে হল ও বিভাগ থেকে সাময়িক বহিষ্কা করা; বিশেষ করে 'জড়িত' ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
তারা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, এ ঘটনায় বুয়েট প্রশাসনের অবস্থান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তাসহ লিখিতভাবে আশ্বাস দেওয়া এবং কোনো হয়রানির শিকার না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ক্যাম্পাসে জুনিয়র সিনিয়রের দ্বন্ধের জেরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- ওয়াহিদুল রহমান সুজন, মঈনুল ইসলাম,তৌহিদুল করিম ইমন, মো. জাহিদ) ও আমিন ফয়সাল বিদ্যুৎ। তাদের সবাইকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালি উদ্দীন আকবার জানান, গ্রুপ দুটি চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের উপগ্রুপ বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। উভয়পক্ষ লোহার রড ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ওসি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।
চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় মন্ত্রী সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
অতীতে যারা এই ধরনের সহিংসতায় জড়িত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত অছাত্রদের হল ত্যাগ নিশ্চিতকরণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন মন্ত্রী।
কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে যেন কোন দায়ী ব্যক্তি নিষ্কৃতি না পায় এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভা আহ্বান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কে এম নূর আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ২ পুলিশ আহত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই উপ গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে দুই দিনে ৩ দফায় সংঘর্ষে ঘটনা ঘটলো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শিমুল বিশ্বাস বলেন, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দিবাগত রাতে। এরপর ঘটনা গড়ায় হল ভিত্তিক দুই গ্রুপের মধ্যে। এ ঘটনায় দুটি পক্ষই দোষারোপ করছে একে-অপরকে।’
আরও পড়ুন: চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার জানান, দু’পক্ষকে সরিয়ে দুই হলের মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে তৃতীয় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৯ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে ফের তারা সংঘর্ষে জড়ায়।
এর আগে বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দফা সংঘর্ষে জড়ায় তারা। ওই দুই দফা সংঘর্ষে ছাত্রলীগের অন্তত ১৫ জন নেতা–কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
পূর্ব বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের বিজয় ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সংঘর্ষ শুরুর এক ঘণ্টা পর পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ শাহজালাল হলে অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনায় উভয় গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘর্ষে জড়ানো বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা নিজেদের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে গতকাল বুধবারও বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রবিবার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।
পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
এ ঘটনার জের ধরে সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিজয়ের এক কর্মীকে কলা ঝুপড়ি এলাকায় মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলে নিক্ষেপে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুইটি।
শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে আজকের চলমান পিঠা উৎসবে মারধর করে তারা। সেই মারধরের ঘটনা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
চবি'র সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, দুই পক্ষকেই হলে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আরও পড়ুন: চবিগামী শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, ৪৬তম ব্যাচের সাগর সিদ্দিক ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন রিমান্ডে
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান রাজুসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য দু’জন হলেন রিফাত হোসেন ও মেহেদী হাসান আকাশ।
শনিবার রাতে কুয়েটের আশপাশ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় এবং তাদের ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গ্রেপ্তার অলিয়ার কুয়েটে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। বাকি দু’জন কুয়েটের ছাত্র নন। তারা ৩ জনই কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রুদ্রের সঙ্গে প্রায়ই তাদের ক্যাম্পাসে এবং লালন শাহ হলে দেখা যেত।
আরও পড়ুন: কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
গত ১৪ জানুয়ারি রাতে হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেন কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহের অনুসারীরা। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে রুদ্র নীলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সংঘর্ষে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মামলার বাদী তাহমিদুল হক ইশরাক বলেন, ‘এজাহারভুক্ত ১২ আসামি পুলিশের সামনে ক্যাম্পাসে ও হলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার পরও আমার ছেলেদের হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
সিলেটে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে ছাত্রলীগের ৪ নেতা নিহত
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাংলা বাজার ব্রীজের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহসান, নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে নিহাল পাল, নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে মেহেদী হোসেন তমাল ও নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ। তারা সকলেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রাইভেট কারে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, জৈন্তাপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালি উল্লাহ বদরুল জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা জৈন্তাপুর থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে জাফলং এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ৪ নম্বর বাংলাবাজার এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি ব্রিজের নিচে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তারাও মারা যান।
পরে রাতেই লাশগুলো হাসপাতাল থেকে তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বার বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শান্তনা দেন।
এছাড়া দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ। এছাড়া শতশত ছাত্রলীগ নেতা কর্মী হাসপাতালে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
বছরের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং হল থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
রবিবার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ম্যাকাট্রোনিক ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার গভীর রাতে লালন শাহ হলে উঠতে চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ জন ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় তিনি মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার