খুন
হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুনের অভিযোগ
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের প্রিজন সেলে মো. মোতাহার নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তরিকুল ইসলাম নামে অপর এক আসামির বিরুদ্ধে। এসময় অজিত নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
এছাড়া আহত অজিত হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।
হামলাকারী তরিকুল ইসলাম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী ওই আসামি অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।
এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র বলছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। ভোরে আকস্মিকভাবে মানসিক রোগী অপর দুই আসামিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়কভাবে পেটাতে থাকেন।
এতে মোতাহারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। অজিত আঘাত পেলেও ততটা গুরুতর নয়। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেননি।
হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারব। দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় কার্গোডুবির ঘটনায় আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
ফেনীতে চুরির অভিযোগে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
যশোরে আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কন্দোলের জেরে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান শিমুলকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে চুড়ামনকাটির আমবটতলার গোবিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিমুল গোবিলা গ্রামের সাবেক মেম্বার মোকলেছুর রহমানের ছেলে এবং আমবটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য।
আরও পড়ুন: নাটোরে আদালত চত্বরে যুবককে কুপিয়ে জখম, আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড
স্থানীয়রা জানিয়েছে, জিল্লুর রহমান শিমুল এলাকায় রাজনৈতিক একটি পক্ষের অনুগত হিসেবে চলাফেরা করেন। দুইদিন আগে রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় গাড়িতে লাইট না থাকায় প্রতিপক্ষের একই এলাকার বুলবুল, বিল্লাল, নাইম, সোহরাব, শিমুল ও মনিরুলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন তারা জিল্লুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গোবিলা গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে দিয়ে একা যাচ্ছিলেন জিল্লুর রহমান। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন তাকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় জিল্লুর রহমানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৪ দিন পর মৃত্যু
নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুন বলেন, ‘রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার বুলবুল, বিল্লাল, নাইম, সোহরাব, শিমুল ও মনিরুল তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি বাইরে থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
হাসপাতালটির ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে জিল্লুর রহমান মারা গেছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মোগলাবাজার থানার সিলাম ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তপন মিয়া রুস্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কহলের জেরে ছেলে আনছার মিয়া তার বাবা তপন মিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে ছেলেকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল আহমদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও জানান, এবিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা দায়েরের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
পাবনায় মাত্র এক হাজার টাকার জন্য বন্ধুকে খুনের অভিযোগে আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলম।
এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৬
নিহত আজাদ পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং গ্রেপ্তার আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট একইগ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গত ১১ মার্চ সাড়ে ৭টায় আজাদ তার মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজাদের লাশ দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ চেয়ারম্যানের খামারের পাশে লিচু বাগানে পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে ১২ মার্চ বিকালে পাবনা সদর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
তদন্তের পর অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাটকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজাদ হত্যার কথা স্বীকার করেন সম্রাট।
সম্রাট জানান, সম্রাটের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পেতেন আজাদ। টাকা চাওয়ার পর থেকেই তাদের দন্দ্ব। তারই জের ধরে আজাদকে হত্যা করেন সম্রাট।
এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সম্রাট। পরে তাকে সদর থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
যশোরে মামলার আসামি যুবক খুন
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ায় রমজান আলী নামে এক যুবককে খুন করা হয়েছে।
বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে খড়কি কলাবাগান এলাকার চিহ্নিত মাদক-অস্ত্র কারবারি ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার পিচ্চি রাজা ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
নিহত রমজান আলী (৩২) রেলগেট পশ্চিমপাড়ার ফয়েজ শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সে রেলগেটে বসবাস করলেও বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।
পারিবারিক সূত্র জানা গেছে , শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড়ির সামনের বাবুর চায়ের দোকানে বসে ছিলেন রমজান আলী। এ সময় অতর্কিতভাবে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এমএম কলেজ রোড সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মাদক ও অস্ত্র কারবারী চক্রের অন্যতম সদস্য ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন, গ্রেপ্তার ৫
রজমান আলীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, থানা সূত্র জানা গেছে, ২০২২ সালে শহরের মুজিব সড়ক থেকে রমজানকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব-৬ এর একটি দল।
রমজানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২৫ টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে সাতটি অস্ত্র, পাঁচটি বিস্ফোরক, একটি হত্যা, একটি ডাকাতি, চারটি হত্যা চেষ্টা ও সাতটি মাদকসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, রমজান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। থানা পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে নেমেছে।
জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
মুন্সীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, পৌরসভার কর্মচারী খুন
সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম নামে এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরাম উপজেলার মোগলাবাজার থানার রুস্তমপুর তলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাইয়ুম সিলাম ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলিযুক্ত ৯ মণ চিংড়ি জব্দ
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, কাইয়ুমের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাইয়ুম বিদেশে ছিলেন। দেশে আসার পর থেকে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। এর সূত্র ধরে হয়তো এই ঘটনা ঘটতে পারে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই মসিক নির্বাচন, কেন্দ্রে পৌঁছেছে নির্বাচনি সরঞ্জাম
নাটোরে গাছের ডাল মাথায় পড়ে শিশুর মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, পৌরসভার কর্মচারী খুন
মুন্সীগঞ্জ শহরের মাঠপাড়ায় সোমবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী উজ্জ্বল মোল্লা (৪০) নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ডিশ ব্যবসায়ী হুমায়ুন আহমেদ ও তার ছোট ভাই সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গুলি করতে মাঠপাড়ার বাড়িতে ঢুকে পেটালে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন উজ্জ্বল মোল্লা। স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন, গ্রেপ্তার ৫
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মাঠপাড়ায় একটি জমির ওয়ারিশ ক্রয় করেন হুমায়ুন আহমেদ। এই নিয়ে উজ্জ্বল মোল্লার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হুমায়ুন ও তার ছোট ভাই সোহেলের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় উজ্জ্বল মোল্লার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
নিহত উজ্জ্বল মোল্লার ছোট ভাই রাজু মোল্লা জানান, হুমায়ুন ও তার ভাই দলবল নিয়ে গুলি করতে করতে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমার বড় ভাই উজ্জ্বল মোল্লাকে ব্যাপক মারধর করে চলে যায়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রধান দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- জমি সংক্রান্ত রিবোধের কারণে এই হামলা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের হাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
চট্টগ্রামে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামে পরিকল্পিভাবে ডেকে নিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।
এই খুনের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তারা হলেন- ইমতিয়াজ আলম মুরাদ, আশহাদুল ইসলাম ইমন, মো. তৌহিদুল আলম, মো. বাহার, মো. আলমগীর।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ৫ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয় জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত।
তিনি বলেন, ‘শাওন বড়ুয়ার ডিজিটাল ক্যামেরা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে ৫ জনের এই চক্র। পরে পরিকল্পনা মতো তারা শাওনকে নির্জনে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ক্যামেরাসহ অন্যন্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ভুল করে ফেলে যায় শাওনের মোবাইল ফোনটি। মূলত এই ফোনের সূত্র ধরেই মঙ্গবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুনের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চাঁন্দগাও থানার অনন্যা আবাসিক এলাকার একটি সড়কের থেকে পুলিশ শাওনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বিয়ে ও গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার কথা বলে তারা (খুনি) শাওনের সঙ্গে চুক্তি করে। বিকাশে ৫০০ টাকা অগ্রিম পাঠায় তারা।
তিনি আরও বলেন, বিয়ে-অনুষ্ঠানে যারা ফটোগ্রাফি করে তারাই মূলত ওদের টার্গেট। বিভিন্ন মাধ্যমে নম্বর সংগ্রহ করে নামে-বেনামে ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়াই তাদের কাজ। যে নম্বরগুলো ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের ফাঁদ পাতা হয় তার বেশিরভাগেই ছিনতাই করা মোবাইল।
ঘটনাস্থলে পাওয়া অপরাধীদের মোবাইল ফোনে আরও অনেক ফটোগ্রাফারের নম্বর পাওয়া গেছে। যার কারণে আঁচ করা যাচ্ছে তাদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে। তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের হাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
চট্টগ্রামে কথা কাটাকাটির জেরে শাহ্ আলম নামে এক দোকান কর্মচারীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে মাহবুব নামে আরেক দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাঁশখালী উপজেলায় মিয়ারবাজার এলাকার একটি বেকারিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শাহ্ আলম সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ রূপকানিয়া এলাকার মাইজপাড়ার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মায়ের দোয়া ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি বেকারিতে কাজ করেন শাহ্ আলম ও মাহবুবুল আলম। মাহবুব ও শাহ্ আলমের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মাহবুব লোকজন নিয়ে শাহ্ আলমের উপর হামলা চালান। এসময় গাছের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন শাহ্ আলম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় একজন খুন হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালর মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোকান কর্মচারী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা খুন
কক্সবাজারের উখিয়ায় ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদসা মিয়া (৩৮) উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সিরাজুল মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন।
তিনি জানান, অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন বাদসা মিয়াকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রথমে মারধর করে। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে বাদসাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি।