ড. হাছান মাহমুদ
দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সবার সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া 'নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' এ কথা বলেন তিনি।
এ সম্মেলনের সমাপনী দিন বুধবারে (১৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান বলেন, সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে এমন সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা নেওয়া প্রয়োজন। মানুষের একমাত্র আবাস পৃথিবী গ্রহকে টিকিয়ে রাখা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদের দায়িত্বশীল ও সযত্নে ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনসহ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে গৃহীত নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, পরিবেশের ক্ষতি কমাতে জাতীয় সীমার বাইরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং গ্রিন শিপিং বা পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহনের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
সব রাষ্ট্রে জাতীয় সীমাবহির্ভূত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ চুক্তি (বিবিএনজে) অনুমোদিত করা এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে তহবিল বরাদ্দের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাগতিক দেশ গ্রিস, কোস্টারিকা, কেপ ভার্দে, সাও টোমে এবং প্রিন্সেপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশবাসীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কয়েক কোটি মানুষ যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। এই সুযোগে পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার বিষয়টিতে নজর রাখছে।
এ ধরনের বাড়তি বাড়া আদায় অযৌক্তিক ও কোনোভাবেই সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, ‘বাড়িতে যাওয়ার সময় জনগণেরও সচেতন থাকতে হবে, অযথা হুড়োহুড়ি করে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বৃহস্পতিবার যেন সারা দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত হয়।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অসাধু চক্র, মজুতদার, বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক- এ ধরনের নানা অপচেষ্টা সত্ত্বেও সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক দৈত্যের দল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপিকে একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ' হরর বা ভয়ের সিনেমায় দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়। বিএনপি যেভাবে মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাতে করে এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মুভির মতোই বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।'
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে 'একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলছে' বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আশা করি পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবেন, ততদিন বিএনপির কোনো সম্ভাবনা নেই।'
মন্ত্রী হাছান বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমন কী বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।'
তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখেও অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হওয়া কঠোর হস্তে দমনে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে যেমন প্রচার হয়, দাম কমলে সেটিও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া দরকার।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য চাইলে ড. হাছান বলেন, তাদের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতোমধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিরাজনীতিকরণের নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েটকে) জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ৫৬ বছর পূর্তিতে 'মুক্তিযুদ্ধের স্মার্ট বাংলাদেশ' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটে সবসময় ছাত্ররাজনীতি ছিল। দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদ বুয়েট থেকে পাস করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘একটা গোষ্ঠী নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং পরে বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়েছিল, যে কিছু হয় কি না। কিন্তু বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর ফলে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। তারাই বুয়েটকে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বুয়েটে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার বিচারও হয়েছে। কিন্তু প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের আড়ালে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে কি না সেটি খুঁজে বের করতে হবে।’
ড. হাছান আরও বলেন, 'ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করার অপরাধে বুয়েট ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটেছে -এটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।'
তিনি বলেন, ‘বুয়েটে সাধারণ ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে সেটিকে সম্মান জানাই। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। বুয়েটে জঙ্গিবাদ ঢুকেছে কি না সেটিও দেখা দরকার।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
এ সময় শিক্ষার্থীদের বিপথগামিতা থেকে বাঁচাতে সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্ব আরোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাছান বলেন, দেশে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার। পাড়া-মহল্লায় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো দরকার। তাহলেই ছাত্ররা বিপথে যেতে পারবে না।
এ সময় দীর্ঘ অর্ধশতাধিক বছর ধরে বাচসাসের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংসদ ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
সভায় অংশ নেন- বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সম্পাদক ফোরামের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনে কোনো কৃতিত্ব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজের দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অপপ্রচার থেকে বিরত থেকে দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'গণমাধ্যমের দায়িত্ব সাদাকে সাদা বলা এবং কালোকে কালো বলা।’
রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাসান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হক সুজন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে বিরোধীদল ওভারটাইম কাজ করছে।
তিনি বলেন, তাদের কিছু 'পেইড এজেন্ট' অপপ্রচার চালায় যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একই গোষ্ঠী পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভ্যাকসিন ইস্যুতে কীভাবে অপপ্রচার চালিয়েছিল।
ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য বিএনপির আহ্বানের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের রাজনীতি দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না।
তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হতে পারে, কিন্তু দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে নয়।’
পেশাগত দায়িত্ব পালনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রচেষ্টার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন হাছান।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মধ্যে কাজ করেন। এ পেশাকে ভালোবেসে তারা সাংবাদিকতায় নিয়োজিত। তারা মেধাবী।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে। তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে কখন ছোবল মারবে।’
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে আজকের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। সংকটে সংগ্রামে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে ধৈর্যহারা না হয়ে অবিচল থাকতে হয়, নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থাকতে হয়, তার উদাহরণ তিনি।’
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তির কথা ভাবছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনায় গণতন্ত্রকে যেভাবে শেকল পরানো হয়েছিল, একজন শেখ হাসিনা না থাকলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা সম্ভবপর ছিল না। সেই সময় শেখ হাসিনার পাশে ছায়ার মতো ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।’
ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা প্রতিনিয়ত জাতিকে 'জ্ঞান' দিতে থাকে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা গত নির্বাচনের আগেও সক্রিয় হয়েছিল, আবার যদি কিছু করা যায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কাছে বিএনপি-জামাতের অপশক্তি যেমন পরাজিত হয়েছে, ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের স্বপ্নও তেমন ধুলিস্যাৎ হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা, যারা দেশের ওপর শকুন আহ্বান করে, তারা ঘাপটি মেরে আছে, যদি কোনো সুযোগ কোনো সময় পাওয়া যায় ছোবল মারার জন্য। সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে।'
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের অনুসরণীয় নানা দিকের ওপর আলোকপাত করেন।
সভায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দিলীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি মো. শেখ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু, ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খোকা, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল।
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের আইনি পরিণতি সম্পর্কে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তুর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত দৃঢ় সমর্থন, আন্তরিক সহযোগিতা ও গাজাবাসীদের সাহায্য করতে পণ্যসামগ্রী পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
চলতি সংকট মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা কামনা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইইউটি উপাচার্যের সাক্ষাৎ
ওআইসিভুক্ত ২৪টি দেশের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে আইইউটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (১৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে ড. হাছান মাহমুদকে এই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, কাঠামো, পরিচালনা পর্ষদ, একাডেমিক কার্যক্রম, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান আইইউটির ভিসি।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইইউটি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন ধরে রাখায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইইউটিকে ইসলামি সংহতির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় কাজ অব্যাহত রাখবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক পাঠ্যক্রম অনুসারে শিক্ষা গ্রহণ করবে।
আইইউটি’র অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রমের উন্নয়নে সরকারের সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে ড. হাছান মাহমুদ ভাইস চ্যান্সেলরকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং উৎকৃষ্ট কর্মকাণ্ডগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে আসিয়ান ও বাংলাদেশ উভয়ই লাভবান হবে।
এ লক্ষ্যে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আসিয়ানের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আসিয়ানের ঢাকা কমিটির (এডিসি) সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আসিয়ানের এসডিপি হতে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় সমর্থন করার আশ্বাস দেন এডিসির সদস্য।
এডিসি ঢাকাভিত্তিক আটটি আসিয়ান আবাসিক মিশন- ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মিশন প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আসিয়ান দেশগুলোর উচিত পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনকে কাজে লাগানো।
বাংলাদেশের সঙ্গে আসিয়ানের যে বাণিজ্যিক ব্যবধান রয়েছে, তা অতিক্রম করা সম্ভব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার সুফল পেতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক উভয় পর্যায়ে বেসরকারি খাতের বর্ধিত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে তাদের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করতে মিশন প্রধানদের পরামর্শ দেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি মোকাবিলায় এডিসির সদস্যদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওআইসি অধিবেশনে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দিক থেকেই সদিচ্ছা আছে। একসঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চাই।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চায়, এটি একটি বড় বিষয়।
সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরাও তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
এইলিন লুবাখার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।’
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় বলে, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
এতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ অনুসরণ করবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে। ‘আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরী প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। মার্কিন পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের অধীনে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে 'কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে' সফর করছেন।
তারা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যম তৈরির কাজে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি দিয়েছেন তা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পত্রের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর লেখা পত্রের একটি কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী লুবাখারকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতীয় নির্বাচনের পর ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে প্রতিনিধিদলের একাংশ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ দিন দুপুরে আসিয়ান দেশগুলোর ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী জানান, আসিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও এই জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে অংশ নেন।