ধর্ষণ
রাঙ্গুনিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেলে রেখে ধর্ষণ, অটোচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শোয়াইব (১৯) নামের এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলায় আসামি মো. শোয়াইবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আরেক আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ২০ নভেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় আসামিরা তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ২১ নভেম্বর তার বাবা রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশা চালক শোয়াইবসহ দুই জনকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন ওই শিশুর মা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীকে শোয়াইব ও তার সহযোগী জোর করে অটোরিকশায় তুলে রাঙামাটি নিয়ে যায় এবং শহরের একটি হোটেলে তারা দুজন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহরে ও পরে কক্সবাজারের রামুতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই শিশুর পরিবার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অবস্থান জেনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
নির্যাতিত শিশুকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাগুরায় ৭বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়া হয়েছে। এছাড়া চারজনকে আট বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।
মত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মো. মিম হোসেন।
এছাড়া এ মামলার অপর চারজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
তারা হলেন- নুরুন্নবী আহমেদ, মঈন হোসেন হৃদয়, মো. সৌরব শেখ ও মো. জিহাদুল কবির দিহান।
এছাড়া পর্ণগ্রাফী আইনে আসামি নুরুন্নবী আহমেদকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার এজহারে জানা গেছে, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্ত’র সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে আসামি ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকালে মোবাইলে ভুক্তভোগীকে সাহেবের কবর খানায় দেখা করার কথা বলে শান্ত। সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে নেয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানার বিহারী কলোনির ভাড়া বাড়িতে। পরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে শান্ত। ধর্ষণের ভিডিওটি ধারণ করে উপস্থিত অন্যান্যরা। ওই ভিডিও দেখিয়ে ও ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর আসামিরা ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভুক্তভোগী বড়বোনকে খুলে বলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন বড় বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ মামলা করেন।
একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ৩০ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড
সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সুনামগঞ্জের একটি আদালত বৃহস্পতিবার ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আসামিদের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আনোয়ার হোসেন খোকন, তাহিরপুর উপজেলার শফি উল্লা, সাইদুর রহমান ও শফিউল এবং ছাতক উপজেলার ইকবাল হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালে আনোয়ার তাহিরপুরের লাউড়েরগড় এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: যশোরে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পরে শফি উল্লাহ, সাইদুর ও শফিউল আনোয়ারের হাত-পা বেঁধে রাখে। তারা পালাক্রমে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করে।
পরে তাহিরপুর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্য চারজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিনজনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।
এছাড়াও, ২০১২ সালের ১৭ মার্চ ছাতক উপজেলা থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ইকবাল ও জয়নাল আবেদীন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে যে কিশোরীকে সিলেটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে আসামিরা।
বৃহস্পতিবার জয়নালকে যাবজ্জীবন ও ইকবালকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ২
যশোরে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
যশোরে মামাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে ফুফাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম হোসেন যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের কামাল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী তার দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলেন, আমার বিয়ের পরে স্বামী বিদেশ চলে যায়। একটি কন্যা সন্তান আছে আমার। আমি বর্তমানে বাবার বাড়ি থাকি।
তিনি আরও জানান, সেই সুযোগে আমার ফুফাতো ভাই উজ্জল (২১) ও অপর ফুপুর ছেলে ইব্রাহিম বিভিন্ন সময় আমাকে উত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত। আমি রাজি না হওয়ায় ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে বাসায় কেউ না থাকায় উজ্জল আমার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। ইব্রাহিম বাইরে পাহারা দিয়ে হুমকি দিতে থাকে।
কোতেয়ালি থানার উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামানের (এসআই) খান মাইদুল বলেন, রাতে ইব্রাহিমকে আটক করা হয়েছে।
উজ্জলকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযানে আছে। ইব্রাহিমকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ২
পঞ্চগড়ের বোদায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হল, বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের ঘোড়ামারা কলোনী এলাকার আব্দুল সিদ্দিকের ছেলে ফিরোজ আলী (২৭) ও একই এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মারুফ হোসেন (২১)।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসা ছুটির পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সেখানেই প্রাইভেট পড়তো। আসামি ফিরোজ ও মারুফ কয়েকদিন ধরে ওই মাদরাসা ছাত্রীর আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তারা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে চিৎকার করলে পালিয়ে যায় দুই যুবক।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
পরে বাড়ি ফিরে সে তার অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ফিরোজ ও মারুফকে আসামি করে বোদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। শুক্রবার ভোররাতে পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় জানান, মামলার পর পরই পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ২২ ধারায় আদালতে ওই শিক্ষার্থীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
আসামিরা তাদের দোষ শিকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
গোয়ালন্দে গরুর দুধ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
নড়াইলের লোহাগড়ায় ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে মধুমতি নদীর পাড়ে হ্যাভেন পার্কের ভিতর এ ঘটনা ঘটে।
লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী কামঠানা গ্রামের নিজাম শেখের মেয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ছোট ভাইকে চাচার বাড়িতে আনতে যায়। এ সময় পাশ্ববর্তী বেলটিয়া গ্রামের সাফায়েত মোল্যার ছেলে বখাটে রিফাত মোল্যা (১৮) এবং কোবাদ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান (১৬) ওই মেয়েকে ঝাপটে ধরে মুখ বেঁধে মধুমতি নদীর পাড়ে হ্যাভেন পার্কের ভিতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৩
এ সময় মেয়েটি বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মা লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে দেখতে পায় হ্যাভেন পার্কের ভিতরে দুটি ছেলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করছে।
এই অবস্থায় একজন ধর্ষককে স্থানীয়রা হাতে নাতে ধরে ফেলে অপরজন পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পালিয়ে যাওয়া অপরজনকে সকালে লোহাগড়া থানা পুলিশ আটক করে।
লোহাগড়া হাসপাতালের চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, মেয়েটিকে রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২
লক্ষ্মীপুরে দুই বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
ভূয়া পুলিশ পরিচয়ে তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণ!
ভূয়া পুলিশ পরিচয়ে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় ১৫ বছরের এক তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভূয়া পুলিশ পরিচয়দানকারী আলী হোসেন ওরফে রাকিব শেখ (২৭) মধুখালী উপজেলার দক্ষিণ নওপাড়া এলাকার মো. ছলিমুদ্দিন ওরফে পাখি নামের এক ব্যক্তির ছেলে।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, রাকিব শেখ পুলিশের ভূয়া একটি আইডি কার্ড তৈরি করে তা দেখিয়ে এক তরুণীকে অপরহরণ করেন। পরে মধুখালীর একটি ভাড়া বাড়িতে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।
পরে মধুখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর পরিবার।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাগাট বাজার এলাকা থেকে রাকিব শেখ নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় সাত বছরের শিশু তাবাসসুমকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রবিবার বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে বাপ্পি আহম্মেদ (২৪), দলিল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে কামাল পাশা (৩৭), ছানোয়ার হোসেনের ছেলে শামিম রেজা (২৪) এবং মৃত সাহেব আলীর ছেলে লাভলু শেখ (২৩)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়াকে ধর্ষণ-হত্যা: আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনটের নশরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন খোকন ও তার স্ত্রী মরিয়ম ডেইজি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তাদের মেয়ে মাহী উম্মে তাবাসসুম দাদা আবদুস সবুরের বাড়িতে থেকে স্থানীয় পাঁচথুপি-নশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থান চত্বরে দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শিশু তাবাসসুম তার দাদা ও ফুফুর সঙ্গে প্রথম দিনের তাফসির শুনতে গিয়ে রাত ১০টার দিকে মিষ্টি কিনতে মঞ্চের পাশের দোকানে যায়। সেখানে খোকনের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ থাকা কলেজছাত্র বাপ্পী আহমেদ তাফসিরে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছিল। বাপ্পী শিশুটিকে দেখতে পেয়ে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। সে বাদাম কিনে দেয়ার প্রলোভনে তাবাসসুমকে স্থানীয় হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে বাপ্পী তার তিন বন্ধু কামাল পাশা, শামীম রেজা ও লাবলু শেখ পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশু তাবাসসুম নিস্তেজ হয়ে যায়। এ সময় বাপ্পী তাকে গলাটিপে হত্যা করে। এছাড়া তাকে কোনো প্রাণী কামড়ে হত্যা করেছে এমন প্রমাণ করতে কাটিং প্লাস দিয়ে হাতের একটি আঙুল কেটে দেয়। এরপর লাশটি কাঁধে তুলে মঞ্চের কাছে বাদশা মিয়ার বাঁশঝাঁড়ে ফেলে দেয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
পরেরদিন ১৫ ডিসেম্বর নিহত তাবাসসুমের বাবা খোকন অজানা কয়েকজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাপ্পীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধকে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করে। সন্দেহভাজন বাপ্পী ও তার তিন বন্ধুকে পর্যবেক্ষণে রাখে পুলিশ। ২৫ ডিসেম্বর রাতে প্রথমে বাড়ি থেকে শামীম রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার স্বীকারোক্তিতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে বাপ্পী, রেজা ও লাবলুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে চারজনই শিশু তাবাচ্ছুমকে ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করে।
এরপর ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর চারজনকে আসামি করে ধুনট থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাহিদুল হক আদালতে চার্জশীট জমা দেন। পরে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আশিকুর রহমান সুজন জানান, তাবাসসুম হত্যা মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে তারা সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাকরির সন্ধানে বের হয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী!
হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড
হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তাসনিম সুলতানা তুহিন নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্নাকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রিয়াদ উদ্দীন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে লাশ গুম করার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ধর্ষকের বাবা শাহজাহান সিরাজ ও মা নিগার সুলতানাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
চার বছর আগে ধষর্ণের শিকার হয়ে নিহত ওই শিক্ষার্থী হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের রায়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রিয়াদ উদ্দীন সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আইনি লড়াইয়ের পর প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্নাকে বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তবে মামলার অপর দুই আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ ও নিগার সুলতানাকে খালাস দেয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ। এই দুই আসামির বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ্য করা হয়, ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাছনিম সুলতানা তুহিনকে (১৩) পৌর এলাকার ফটিকা শাহজালাল পাড়া সালাম ম্যানশনের দ্বিতীয় তলা থেকে অপহরণ করে একই ভবনের চতুর্থ তলার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আসামি মুন্না স্কুলছাত্রী তুহিনকে ধর্ষণ করে।
আত্মরক্ষার্থে তুহিন চিৎকার দিলে মুন্না তার মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মুন্না তার বাবা-মায়ের সহযোগিতায় তুহিনের লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ঘরের সোফার নিচে রাখে।
১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পালাতে গিয়ে মুন্না পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মুন্নার বাবা শাহজাহান সিরাজ ও মা নিগার সুলতানা ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর তুহিনের বড় ভাই বাদী হয়ে শাহনেওয়াজ সিরাজ ওরফে মুন্নাকে প্রধান আসামি ও তার বাবা শাহ জাহান সিরাজ এবং মা নিগার সুলতানার নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আয়ুব খান বলেন, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই চার্জশিট দেয় পুলিশ। এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭ ধারায় মুন্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর ধারায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে এ মামলায় মুন্নার বাবা-মাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
বিয়ের আশ্বাসে এক রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে নগরীর কাজলশাহ ল্যাবএইড লি. ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ডা. আর কে এস রয়েল সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী ওই চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এসময় চিৎকার করে তরুণী বলেন- ‘আমাকে এ মুহূর্তে আপনার বিয়ে করতে হবে। আমার গর্ভে আপনার সন্তান।’
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ২০১৮ সাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই তরুণীর প্রতি তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন। বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ভুক্তভোগীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার বিকালে তাকে আদালতে তোলা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৩ আসামি গ্রেপ্তার