উন্নয়ন
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম' এর মাধ্যমে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে এবং কাছ থেকে জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা যাতে আরও কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে- সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন। ফলে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু'দিনব্যাপী 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামে'র আওতায় প্রথম দিন আজ দুপুরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশন প্রধানদের নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন শেষে ট্রেনে কক্সবাজার যান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরও জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সেকারণেই তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে তারা কক্সবাজার যাবেন।
বিদেশি প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কি না -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটালেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন।
আরও পড়ুন: কায়রো অপেরা হাউজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন।
কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশ ভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
মন্ত্রী বলেন, এই জনপদের মানুষ ১২৫ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অসাধারণ কাজ কূটনীতিকদেরকে দেখাবার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে এসেছি। তাদেরকে এখানে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চেনে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যে আমাদের দেশে, এই খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারে, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি।
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয় এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এবং এখনও যদি তারা সুযোগ পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাস ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ইকেবানা কর্মশালা অনুষ্ঠিত
উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির সরদার প্যাটেল ভবনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চলমান এই সফরে সেই বিষয়টিই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পরে বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পুনর্বাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এই সফরে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথাও রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন রেলমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিলেন তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং অপারেশন সেক্টরে সহযোগিতাসহ, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে রেলের উন্নয়নের সহযোগিতা করতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিতে হবে’
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি করতে হলে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, এ এই তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করাই হবে আমার প্রথম কাজ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা নিয়েই আমি ডাক্তার হয়েছি। মন্ত্রীও হয়েছি। সুতরাং এই চট্টগ্রাম থেকেই আমার কাজ শুরু হলো।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদের
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকদের তৃণমূলে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসকদের তৃণমূলে পাঠাতে ও রাখতে কাজ করব। তবে একইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথাটিও ভালো করে মনে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার হাসপাতাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের পটুয়াখালীর একটি মেয়ের উপর আক্রমণ হলো। কিছুদিন আগেই সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালে আক্রমণ হলো।
মন্ত্রী বলেন, এগুলোও আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবে, আমরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আর পিছিয়ে থাকব না, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি, আমরা এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
এখনো দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, জনগণ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নির্বাচনের আগে থেকেই ছিল।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিয়ামতপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য এবং দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্বাচন ছিল উন্নয়নকে বেছে নেওয়ার এবং আগুন সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করার নির্বাচন।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে উল্লেখ জনগণকে সতর্ক থাকারি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। মানুষকে ভালোবেসেছি, ভালোবাসাও পেয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করতে ডাচ এনজিওগুলো তাদের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিতেএক সম্মেলনে দেশটির এনজিওর প্রতিনিধিরা এ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করে।
সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি ডাচ এনজিও থেকে ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। তারা বাংলাদেশে নারী ও শিশু, জলবায়ু অভিযোজন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, কৃষি, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঞ্চালনায় সম্মেলনে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা), রাষ্ট্রদূত প্যাসকেল খ্রোটেনহাউস ও রাষ্ট্রদূত (এশিয়া ও ওশেনিয়া) ওয়াউটার ইয়োর্খেন বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ বিশদভাবে তুলে ধরেন কীভাবে দুটি ব-দ্বীপের মানুষ সক্ষমতা ও জ্ঞানের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও উদ্ভাবন, সহনশীলতা ও উন্নয়ন উদ্যোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়।
ডাচ এনজিওগুলোকে ‘বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু’ আখ্যায়িত করে তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ডাচ এনজিওগুলো কীভাবে বাংলাদেশে আরও নিয়োজিত হতে পারে, তার ক্ষেত্র ও ধারণাগুলো তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত প্যাসকেল তার মূল বক্তব্যে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার সুরক্ষা ও জীবিকা অর্জনের জন্য একটি সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে তার ভাবনা উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্যানেল আলোচনায়, অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু মোকাবিলা ও জীবিকা বিষয়ে ডাচ সরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও এনজিও থেকে প্রায় ১০ জন বিশেষজ্ঞ আলোচনা করেন। এ ছাড়া উন্নয়ন কর্মী, তৃণমূল, নারী ও শিশু, যুবকদের প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি রূপান্তরকারী সম্ভাবনা পরীক্ষণের সুযোগ ও সম্ভাব্য সমাধান আলোচনা এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার জন্য জীবিকার বিকল্প তৈরি করতে প্রযুক্তিচালিত সমাধান প্রবর্তন তাদের আলোচনায় প্রাধাণ্য পায়।
নেদারল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন কালেকশন (এনআইসিসি) বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ডাচ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততার একটি সময়রেখা তুলে ধরে।
বাংলাদেশের ‘উন্মুক্ত ও উদার নৈতিক মূল্যবোধ’ও টেকসই সমাধান, সামাজিক সংহতি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিতকরণে একটি ‘জীবন্ত গবেষণাগার’ হিসেবে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ডাচ এনজিও ও অন্যরা।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
‘পিছিয়ে পড়া মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে চাই’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা প্রান্তিকতা দূর করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রত্যেক মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে চাই।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী উদ্যমী নারী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্ন জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, সমাজে এখনো প্রান্তিক মানুষ আছে এবং সেই প্রান্তিকতা নানা কারণে হয়ে থাকে। কোথাও ভৌগলিক, কোথাও অবস্থানগত, আর্থিক, বৃত্তি ও সাম্প্রদায়িক কারণে। সেই প্রান্তিকতা দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছিলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, এই প্রান্তিকতা দূর করতে আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারী নেই। বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায়ও এখন নারী রয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
তিনি বলেন, সে কারণে আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে কাজ করতে হবে। নারীর এগিয়ে আসা মানে পুরুষের পিছিয়ে যাওয়া নয়। নারী এগিয়ে যাওয়া মানে সমাজের সবার এগিয়ে যাওয়া।
নারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে শুধু তাদের আয় রোজগারের ব্যবস্থা করছেন তাই নয়, তারা অন্যদের কর্মসংস্থান তৈরী করছেন। নারীর জয় শুধু নারীর নয়, সমাজেরই জয়।
তিনি বলেন, নারীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক। এর মধ্যে আর্থিক ও প্রশিক্ষণের সমস্যা রয়েছে। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিং এর যে সুবিধাগুলো করে দিয়েছে সেগুলো অনেক উদ্যোক্তা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে এখন অনেক উদ্যোক্তা নারী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন এবং যার ফলে এখন অনেক নারী এগিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী পাঁচ বছর মধ্যে উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সময় একেবারেই নির্ধারিত। তাই আমি চাই আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি বাড়ুক, যাতে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাসভবনে মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি মাঠ প্রশাসনকে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও নকশা প্রণয়নের সময় সেখান থেকে কী পাওয়া যাবে তা বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনি যখন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন, তখন আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সেখান থেকে কী পাওয়া যাবে এবং দেশ ও জনগণ কতটা উপকৃত হবে।’
তিনি আরও বলেন, শুধু অর্থ ব্যয়ের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন না তিনি।
তিনি বলেন, অনেক দেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথ থেকে পিছলে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সফলভাবে অনেক বাধা অতিক্রম করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার বিভিন্ন প্যারামিটারে স্থিতিশীল অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'তাই আমাদের সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে (উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রার জন্য)।’
সরকারের সমালোচকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা কোনো কিছুতেই ভালো বোধ করে না। ‘তাদের অধিকাংশই আমার কাছে খুব পরিচিত। আমি আমার ছাত্রজীবন থেকেই তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ‘সুতরাং, এগুলো দেখে ও শুনে মন খারাপ করবেন না। আমি এ বিষয়ে আগে থেকেই সব কিছু বলছি।’
দেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্যে কান না দিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তা অব্যাহত রাখার জন্য সংকল্প, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ বাড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এত উন্নত হবে এবং এগিয়ে যাবে তা অনেক দেশ ভাবতেও পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সাফল্য ও উন্নয়ন দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত।
সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং এগুলো (বাংলাদেশ সম্পর্কে গুজব ও নেতিবাচক মন্তব্য) দেখে উদ্বিগ্ন হবেন না, দ্বিধা করবেন না এবং কাজ বন্ধ করেবেন না। আপনাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে অনেক ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্র হয়েছে।
নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য তিনি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, পরিবেশ রক্ষায় ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণ, প্রতিটি উপজেলাকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে আরও প্রচার চালানোর জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার এখন গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি মুদ্রাস্ফীতি না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি কিন্তু ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে রুপিতে ট্রেডিংয়ের জন্য ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের মুদ্রায় বাণিজ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
পশ্চিমারা নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে, সবার সঙ্গে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন করা হবে: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো গঠিত সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ সব রাষ্ট্রদূত অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি: হাছান মাহমুদ
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ ইইউ দেশগুলোরসহ প্রায় সব দেশের রাষ্ট্রদূতরা ছিলেন। অর্থাৎ তারা সবাই বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে গিয়েছিলেন।’
নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মধ্যে যে পরিতৃপ্তি আছে, সেটি অন্য কিছুতে নেই। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি আপনাদের সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ও পৃথিবীতে এখন বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আস্থায় রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাল্লাহ, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব। পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটাব।’
তিনি বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’ সেই নীতি নিয়েই আমরা সবার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলব।”
আরও পড়ুন: নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া: হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে কাগজে দেখলাম, বিএনপি তালা ভেঙে তাদের অফিসে ঢুকেছে। অথচ তালাটা কিন্তু তারাই লাগিয়েছিল। তারাই লাগিয়ে তারাই ভাঙছে, অর্থাৎ একটা নাটক দেখাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭৫ দিন ধরে কেউ যায়নি। চাবি ইচ্ছে করে হারিয়ে ফেলেছে বা চাবি আছে, এরপরেও এভাবে তালা ভাঙার একটা নাটক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা অপচেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে: হাছান মাহমুদ