স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের বাজারে দাম বৃদ্ধির দ্রুততম গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
বৈশ্বিক এই প্রবণতার ধারাবাহিকতায় সোমবার একই দিন বিকাল ৪টা থেকে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস।
শনিবার স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়ানোর পর মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা বা প্রতি গ্রামের দাম ১০ হাজার ৮০ টাকা; ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা; আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য সমন্বয় দেখা গেলেও রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে, যার মধ্যে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী, প্রতি আউন্স (৩১.১০৩ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩২৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণের দাম বাড়ার জন্য মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে দায়ী করা হয়েছে যে কারণে স্বর্ণে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে।
বৈশ্বিক আর্থিক বাজার এবং পণ্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বাংলাদেশে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণের কৌশলকেও প্রভাবিত করে।
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চলেছে বেসিক ব্যাংক।সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং সিটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিনের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এই কৌশলগত একীভূতকরণের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়।
বেসিক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের মধ্যে একীভূতকরণ স্বেচ্ছায়ই হতে যাচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়। গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একীভূতকরণের সুপারিশ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও উভয় ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
সংযুক্তিকরণ সত্ত্বেও আগামী তিন বছর দুই ব্যাংক আলাদাভাবে তাদের আর্থিক হিসাব দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দেশে ব্যাংক একীভূতকরণের বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক সম্ভাব্য সংযুক্তিকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর জনগণকে জানানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের মধ্য দিয়ে কৌশলগত একীভূতকরণের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তার মধ্যেই এই নতুন পদক্ষেপ এলো।
বিডিবিএল সোনালী ব্যাংকে এবং রাকাব বিকেবির সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে
ব্যাংকিং খাতকে সুশৃঙ্খল করার অংশ হিসেবে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অধিগ্রহণ করবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংককে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বৈঠকে এই একীভূতকরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
বিকেবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক উভয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছে এবং ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে সোমবার বিকেবি ও রাকাবের মধ্যে একটি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
এছাড়াও বিডিবিএলকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএলের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণ না হলে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মার্চে ৫১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ: ইপিবি
চলতি বছরের মার্চে ৫১০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায় যায়, গত চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ মাসে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি এখন পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ফলে সার্বিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৭৯ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) মোট ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও মার্চ মাসের শেষে পণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পিছিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
ঈদ ও বৈশাখকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে কেনাকাটা
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের সঙ্গে এবার যোগ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি-বিতানগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। একসঙ্গে দুই উৎসবের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসছেন অনেকেই।
শুক্রবার ছুটির দিনে মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
হলিডে হকার্স মার্কেটের ফুটপাতের দোকানেও কেনাবেচা জমে উঠেছে। ছুটির দিন হওয়ায় এদিন চাকরিজীবীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের সমবায় মার্কেট, প্যানোরমা প্লাজা, মার্ক টাওয়ার, টপটেন মার্ট, হক প্লাজা, আলমাছ পয়েন্ট, বেইলি টাওয়ার, স্বান্ত্বনা মার্কেট, আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার, জিরো বাজার, লুৎফা টাওয়ার, ইজি ফ্যাশন, সায়াম প্লাজা, হাসনাত স্কয়ার, লুৎফা টাওয়ার, সায়াম প্লাজা, বর্ষণ সুপার মাকেট, এফ রহমান সুপার মার্কেট, ফ্রেন্ডস মার্কেটে, সোলস্তা, আড়ৎসহ ছোট-বড় এসব মার্কেটগুলোতে অল্প সময়ের মধ্যেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে ব্যস্ত ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
রোজার শুরুতে মানুষের আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কম। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের ঈদের চেয়ে দেড়গুণ-দ্বিগুণ দাম বেশি রাখছেন দোকানিরা। তৈরি পোশাক ও জুতার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার শুরুর দিকে কেনাকাটা করতে পারিনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ এসেছি ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে। তবে এবার জামা কাপড়ের দাম অন্য বছরের তুলনায় দেড়-দুই গুণ বেশি।’
পুরুষদের তুলনায় নারী ক্রেতার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। হাতে সময় কম থাকায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে।
আরও পড়ুন: ফোসার উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ঈদ চ্যারিটি বাজার’ অনুষ্ঠিত
পাশাপাশি কসমেটিকস, শাড়ি, জুতার দোকানগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দর-কষাকষি করে পছন্দের জিনিসগুলো কিনছেন ক্রেতারা।
সমবায় মার্কেটের নন্দন ফ্যাশন হাউসের মালিক মোহাম্মদ ওমর বলেন, ‘এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ দুই উৎসবে ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে।’
বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, অনেকে আগে পোশাক সেলাই করে ব্যবহার করতেন। এবার তৈরি পোশাকের চাহিদা বেশি।
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের জন্য বাহারি ডিজাইনের পোশাকই বেশি পছন্দ করছেন নারী ক্রেতারা। আর ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, জিনস প্যান্ট ও টি-শার্ট। পাশাপাশি দেশীয় কাপড়ের কদরও রয়েছে বেশ।
বাবা-মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছেন সামির। তিনি বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করেছি। পছন্দমতো প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবি কিনেছি।’
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে: আইজিপি
ঈদকে সামনে রেখে চাষাড়া হলিডে মার্কেট ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। স্বল্প দামে পছন্দসই পোশাক কিনতে পারছেন বলে এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। ফুটপাতের এসব দোকানগুলো থেকে নিম্ন, মধ্য ও উচ্চবিত্ত- সব শ্রেণিরই নারী-পুরুষদের পোশাক কিনতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
অনিয়ম ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করে এমন অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারে ইসলামিয়া শান্তি কমিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এ সহযোগিতার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসায়ীরা নিয়মের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে গোটা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সারা দেশের ব্যবসায়ীদের অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আরও বলেন, শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছর দেশব্যাপী এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণগুলো শনাক্ত করে লিখিত আকারে এফবিসিসিআইকে দিতে আহ্বান জানান তিনি। সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মত বিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কৃষক ও ভোক্তারা ভোগান্তিতে থাকলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন।
ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা না থাকায় বেশি কারচুপি হচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা চালু করা গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশেই কমে আসবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
পণ্য কেনা-বেচার সময় রসিদ রাখার বিষয়ে জোর দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিয়া শান্তি সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া আড়ৎদারদের পাশাপাশি আমদানিকারকদেরও মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, সাবেক পরিচালক, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কমিটি।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
কোন ব্যবসায়ী অসাধু উপায়ে বাড়তি মুনাফা করার চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটি।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটির মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই'র সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।
তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে চিহ্নিত করে সাজা নিশ্চত করতে হবে। এফবিসিসিআই'কে অসাধু ব্যবসায়ীদের তথ্য দিন। আমরা সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
রমজানে বাজার সহনশীল রাখতে বেসরকারি খাতের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এফবিসিসিআই বাজার মনিটরিং করছে বলে জানান সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে ভোক্তাদেরও ক্রয় অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এক মাসের বাজার একদিনে না করে আরও সংযমী হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতিটি বাজারে বণিক সমিতি বা বাজার কমিটির নিজস্ব নজরদারি ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এবং এফবিসিসিআই এর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে জানান মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বাবুল।
মতবিনিময় সভা শেষে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই'র পরিচালক, সাবেক পরিচালক, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
রাজধানীর কাঁচাবাজারে শুক্রবার মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে গরুর মাংস ও মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার(২২ মার্চ) প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৫০ টাকা বেড়েছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দামও বেড়েছে।
প্রায় সবজির দাম কমলেও নতুন আসা মৌসুমি সবজির দাম যেমন সজনে ডাটা, শিম, করলার দাম বেশি। যা মান ভেদে ১০০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম প্রতি ডজন ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এক ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪টি) ৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা (চারটি) দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে রান্নার অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছে এফবিসিসিআই
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে মানসম্মত বীজ ও আধুনিক সংরক্ষণাগার সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বুধবার(২০ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে কৃষি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এক আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনশীলতা অর্জনে এ খাতের ব্যবসায়ীরা কৃষক পর্যায়ে ভালো মানের উচ্চফলনশীল বীজ প্রাপ্যতা, খাদ্য উদ্ভাবন প্রক্রিয়া জোরদার এবং জলবায়ু সহিষ্ণু জাত ও গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
এছাড়া উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনা নির্মাণ, উন্নত সরবরাহ ব্যবস্থা ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বীজের গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশি নজর দিতে হবে। কৃষিতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নীতি প্রয়োগ করা উচিত।
ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।
প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি ডাল ও তৈলবীজসহ উদ্যান পালন, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং হাঁস-মুরগির উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিনিময় শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক(বিবি)।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সাধারণ মানুষ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট বদল করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ৩১ মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
একজন ব্যক্তি নতুন নোটের জন্য একাধিকবার টাকা বদল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর