অন্যান্য
গায়ক খালিদ মারা গেছেন
জনপ্রিয় গায়ক খালিদ আর নেই।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৭টায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ।
‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ। তার জনপ্রিয় গানগুলো মধ্যে অন্যতম ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘আবার দেখা হবে’ ইত্যাদি।
১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা শুরু করেন গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী। আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে জানাজা শেষে মরদেহ গোপালগঞ্জে নেওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দ্বন্দ্ব ভেঙে সমঝোতায় অপূর্ব ও আলফা আই
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর সঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আইয়ের চুক্তি বিষয়ক জটিলতা তৈরি হয়। অভিযোগ ছিল ২৪টি নাটকের জন্য ৫০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হলেও ৯টি নাটক করে সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বিরত ছিলেন অপূর্ব। আর এর জন্য নিয়েছিলেন ৩৩ লাখ টাকা।
এ অবস্থায় টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন আলফা আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল।
অপূর্বের মতো জনপ্রিয় এক তারকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে বেশ আলোচনা তৈরি হয়। সহকর্মীরা তারকার পাশে থেকে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তবে এ নিয়ে প্রায় চুপ ছিলেন অপূর্ব। জানিয়েছিলেন আইনি পথেই সবকিছুর সমাধান হবে। আর সেটিই শেষ পর্যন্ত হলো।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা
শনিবার (১৬ মার্চ) টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের কার্যালয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতীয়মান হয়, চুক্তি মোতাবেক দুই পক্ষই পরিপূর্ণভাবে কার্য সম্পাদন করেনি। চুক্তি অনুযায়ী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ৯টি নাটকে অভিনয় করেছেন। বাকি নাটকগুলো উভয় পক্ষই আর না করবার বিষয়ে একমত হয়েছে।
সেক্ষেত্রে অভিনয়শিল্পী অপূর্বকে প্রদান করা বাকি যে নাটক বাবদ অগ্রিম অর্থ তা উভয় পক্ষ সমন্বয় করে নেবে।
সবশেষ বলা হয়েছে, উদ্ভূত ঘটনা কোনোভাবেই অর্থ আত্মসাৎ নয়, এটা চুক্তি বিষয়ক জটিলতা। পুরো বিষয়টি পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয়হীনতার কারণে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: অপূর্ব’র ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ হইচই-এ আসছে ফেব্রুয়ারিতে
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার। এই সময় এসেও টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
আর ওটিটিতে তাকে দেখা গেছে ভিন্ন এক রূপে। তার অভিনয় মুন্সিয়ানার প্রমাণ তিনি এখানে আরও তীব্রভাবে দিয়েছেন।
আর এমন সময় তাকে ঘিরে চুক্তি ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে অস্কার পুরস্কার পেলেন যারা
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার চুক্তি অনুযায়ী ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা।
তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় সবার প্রত্যাশা অপূর্ব কী বললেন। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না।
গণমাধ্যমে তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি জানে। তারা যা বলার বলবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা কথাবার্তা এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।’
অপূর্বের এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে পোস্টে অপূর্ব প্রসঙ্গে লেখেন।
তার কিছু অংশ হলো, ‘কাউকে ছোট করে, অসম্মানিত করে কেউ কখনই বড় হতেই পারে না কোনোদিন। ফেইসবুকে প্রকাশ্যে তো অবশ্যই নয়। আর ফেইসবুক কখনই আদালত না যে এইখানেই সবকথা বলতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কথা। প্রহেলিকার মতো বলতেই চাই, চোখে যা দেখা যায় তা আসলে দেখা যায় না।’
আরও লেখেন, ‘আর ইন্ড্রাস্ট্রি কখনোই একা একা এগোয় না। সব্বাইকে নিয়েই সামনে এগোয়। আর অপূর্বর ১৬/১৭ বছরের ক্যারিয়ার টানা ধরে রাখাও এমনি এমনি হয়নি। পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার খারাপ সময়ে বা দুঃসময়ে কে আমার পাশে থাকল না, তা আমি মাথায় রাখি না কখনই। বরং আমার প্রিয়জনদের জন্যে শুভ কামনা আমার মন থেকে সবসময় আসে।’
অভিনেতা খালেদ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অপূর্ব ভাইকে ভালোবাসি। অপূর্ব ভাই সুপারস্টার ছিলেন, সুপারস্টার আছেন এবং সুপারস্টার থাকবেন। সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে রাজার মতো ফিরবেন প্রিয় অপূর্ব ভাই।’
পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন লেখেন, ‘অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি বলতে, অপূর্বকে আমরা খুব ভালো চিনি। এই কাজ ওকে দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই অভিযোগটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য! অপূর্ব, তুমি একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।’
আরও পড়ুন: বুয়েট ছেড়ে শান্তিনিকেতনে পাড়ি দেন সাদি মহম্মদ
নীরবে চলে গেলেন সাদি মহম্মদ
বুয়েট ছেড়ে শান্তিনিকেতনে পাড়ি দেন সাদি মহম্মদ
শত অভিমান বুকে নিয়ে নিরবে চির বিদায় নিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ। যার হাত ধরে আজ অনেক রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ছড়িয়ে আছে দেশ-বিদেশে। সেই মানুষের হঠাৎ চলে যাওয়া যেন শোকের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সবার মাঝে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাদ জোহর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে জানাজা শেষে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সাদিকে সমাহিত করা হয়।
সাদি মহম্মদের মা মারা যান গত বছর। মা হারানোর বেদনা কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না তিনি। এরপর অনেকটাই নিরব হয়ে যান তিনি।
সাদি মহম্মদের জন্ম ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর। তার বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা সলিমউল্লাহর বাড়িতে নিয়মিত বৈঠকে আসতেন দলের শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধুপুত্র শহীদ শেখ কামালও।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদি মহম্মদের আঁকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ। মূলত সেই পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে সলিমউল্লাহর বাড়ি।
পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের পুরো বাড়ি। পাশাপাশি গুলি করে হত্যা করা হয় সাদি মহম্মদের বাবা সলিমউল্লাহকে। পরে তার বাবার নামেই ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়।
ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে বাবা-মায়ের ইচ্ছায় বুয়েটে ভর্তি হন। কিন্তু যেই ছেলে একটি বাংলাদেশের রবীন্দ্রসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী হবেন তার তো প্রকৌশলে মন বসানো সম্ভব নয়।
তাই ১৯৭৫ সালে গানের টানে স্কলারশিপ নিয়ে শান্তিনিকেতনে সংগীত নিয়ে পড়তে চলে যান সাদি মহম্মদ। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেই থেকে গানের জগতে পথচলা তার।
বর্ষা ও বসন্তের গান ভীষণ পছন্দ করতেন সাদি মহম্মদ। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র, উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের সিনেমা ছাড়াও হলিউডের ‘দ্য বাইসাইকেল থিফ’, ‘রোমান হলিডে’ ছিল তার পছন্দের তালিকায়। এ ছাড়া বই পড়তে ভালোবাসতেন। তার প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন ছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিতি থাকলেও আধুনিক গানও গেয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
নীরবে চলে গেলেন সাদি মহম্মদ
মারা গেছেন দেশবরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ। বু্ধবার (১৩ মার্চ) আনুমানিক রাত ৮টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মোহাম্মদ। তিনি জানান, তানপুরা নিয়ে সাদি মহম্মদ সংগীত চর্চা করেছেন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তার আকস্মিক মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তার মরদেহ বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই
উল্লেখ্য, সাদী মহম্মদ রবীন্দ্রসংগীতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।
আরও পড়ুন: তানভীর তারেকের সুরে সুবীর নন্দীর অপ্রকাশিত গান ‘ঘুম’
ছাদ থেকে পড়ে আহত শিল্পী নকুল কুমার
একই প্ল্যাটফর্মে দুই তারকা শাকিব-সাকিব
ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান ও বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে বেশ কয়েকবার। তবে এবার তাদের এক হওয়ার ঘটনাটি একটু ভিন্ন। এরইমধ্যে সবার জানা অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শাকিব। আর তার প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হয়ে যোগ দিলেন সাকিব আল হাসান। নতুন এই ব্র্যান্ডটির নাম হলো ‘টাইলক্স’।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেলকে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘পেয়ারার সুবাস’
রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত হোটেলে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের একসঙ্গে পথচলার চুক্তি সই করে নায়ক শাকিব ও খেলোয়াড় সাকিব।
শাকিব খান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘সাকিব আল হাসান কিংবা শাকিব খান, যে নামে ডাকা হোক; উই আর ব্রাদার। আজকে একটা অলরাউন্ডার ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব আল হাসান শুধুই যুক্ত হননি, বরং উচ্ছ্বসিত মনে যুক্ত হয়েছেন। কারণ তিনিও বুঝেছেন, এটা সত্যিই একটা বিশ্বমানের পণ্য। যেটা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব, এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
সাকিব আল হাসান বলেন, ‘এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালো লাগছে। আমি আশা করছি এই ব্র্যান্ড দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হবে এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসবে। আর আমরা দেশের পণ্য ব্যবহার করব। আমার মনে হয় মানুষও এতে উপকৃত হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন শাকিব খান। প্রতিষ্ঠানটি কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, হোম কেয়ার ও স্কিন কেয়ার ইত্যাদিবিষয়ক পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করবে।
আরও পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমের পর এবার টফির পর্দায় আসছে ‘ওরা ৭ জন’
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নতুন যাত্রায় তাহসান
বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য স্মার্ট এক্সেসরিজ প্রতিষ্ঠান ওরাইমোর ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ডিলারদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাহসানের সঙ্গে ওরাইমোর নতুন এই যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় ওরাইমোর ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাহসান খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওরাইমোর গ্লোবাল ব্র্যান্ড ডিরেক্টর জয়ী জিং ই, ওভারসিস সেলস ডিরেক্টর জাস্টিন ই, কান্ট্রি ম্যানেজার তানবীর মজুমদারসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আগামীতে বাংলাদেশে ওরাইমোর যেসব স্মার্ট এক্সেসরিজ ডিভাইস যেমন টিডব্লিউএস, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন, ট্রিমার, চার্জার পাওয়া যাবে এসব পণ্যের সঙ্গে ক্রেতা ও ভক্ত-শ্রোতারা তাহসান খানকে দেখতে পাবেন। নতুন এই যাত্রায় ভক্তদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন জনপ্রিয় এই তারকা।
আরও পড়ুন ঢাকায় দুই দিনব্যাপী লাতিন আমেরিকান কার্নিভাল
সংবাদ সম্মেলনে তাহসান বলেন, ' ওরাইমো বিশ্বব্যাপী তরুণদের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। এ ধরনের একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমি সত্যি দারুণভাবে আশাবাদী যে, ওরাইমোর সঙ্গে আমার এই যাত্রা নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেবে।'
ওরাইমোর কান্ট্রি ম্যানেজার তানবীর মজুমদার বলেন, 'আমরা খুবই আনন্দিত যে, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী তাহসান খান ও ওরাইমো আগামীতে এক হয়ে কাজ করবে। তাহসান খানের মতো প্রতিভাবান শিল্পীর অগণিত ভক্ত ও দর্শক রয়েছে, যাদের মাধ্যমে ওরাইমোকে চিনবে তরুণরা। আমরা আশাকরি তার সঙ্গে ওরাইমোর যাত্রা হবে আনন্দদায়ক।'
আরও পড়ুন- আম্বানিপুত্রের রাজকীয় বিবাহ-পূর্ব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি তারকা ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলা
আম্বানিপুত্রের রাজকীয় বিবাহ-পূর্ব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি তারকা ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলা
জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হওয়ায় বিয়ের সময়টাকে প্রত্যেকেই চেষ্টা করেন বিশেষ ভাবে স্মরণীয় করে রাখতে। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন বিশ্বের অন্যতম ধনী পরিবারের কোনো বিয়ে নিয়ে, তখন তা অবস্মরণীয়ভাবে জাক জমকপূর্ণ হওয়াই স্বাভাবিক। ঠিক তারই যেন মহড়া হয়ে গেলো আম্বানি পুত্রের রাজকীয় প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে।
বিয়ের মূল অনুষ্ঠানের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ১২ জুলাই। আর সেই দিনকে সামনে রেখে গত ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত বসেছিল বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিবর্গের মিলনমেলা। কারা ছিলেন সেই অতিথিবৃন্দ, আর কেমনি বা ছিল টানা ৩ দিনের আয়োজন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রাজকীয় অনুষ্ঠানের মধ্যমণি
বর ২৮ বছর বয়সী আনান্ত আম্বানী; ভারতের অন্যতম ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানির সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। আনান্ত ইউএস (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)-এর ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেছেন। বর্তমানে তিনি বাবা মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের নতুন এনার্জি ব্যবসার পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত।
কনে ২৯ বছর বয়সী রাধিকা মার্চেন্ট; ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল টাইকুন মার্চেন্ট বীরেন ও শায়লা মার্চেন্টের কন্যা। রাধিকা নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন। বর্তমানে তিনি বাবার প্রতিষ্ঠিত ওষুধ প্রস্তুতকারক এনকোর হেলথকেয়ারের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। রাধিকার আরও একটি পরিচয় হচ্ছে যে, তিনি একজন ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী।
আরও পড়ুন: ‘জঙ্গল’ থিমের পোশাক পরবেন আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিরা, থাকবেন হলিউড-বলিউড তারকারা
তানভীর তারেকের সুরে সুবীর নন্দীর অপ্রকাশিত গান ‘ঘুম’
কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী প্রয়াত হয়েছেন চার বছর হলো। তবে তার সুর রয়ে গেছে। আরও রয়ে গেছে তার অপ্রকাশিত অনেক গান। সেগুলোর একটি ‘ঘুম’। গীতিকবি সোমেশ্বর অলির কথা গানটির সুর ও সংগীত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক তানভীর তারেক।
দীর্ঘদিন সুবীর নন্দীর কিছু গান নিয়ে কাজ করছিলেন তানভীর তারেক। সেগুলো মুক্তির আগেই প্রয়াত হন বরেণ্য এই শিল্পী। ‘ঘুম’ গানটি প্রসঙ্গে তানভীর তারেক গণমাধ্যমে বলেন, ‘সুবীর দা আমার সংগীত জীবনের অনেক বড় একটা অনুপ্রেরণার নাম। আমার সংগীতের যে কোনো বিষয়ে তিনি আমাকে বরাবরই সাহস জুগিয়েছেন। একদিন এক আড্ডায় আমাকে তিনি বলেন, তানভীর তোমরা এ সময়ের সুরকার। আমার জন্য কিছু গান বাঁধো। গেয়ে যাই।’
আরও পড়ুন: দর্শকদের সুরের মূর্ছনায় বুঁদ করতে ঢাকায় আসছেন অঞ্জন দত্ত
তিনি আরও বলেন,‘আমার কাছে দাদার এই কথাটি অনেক বড় পুরস্কারের মতো ছিল। এরপর আমি আমার স্টুডিওতে সুবীর দার জন্য নিয়মিত গান তৈরির কাজে লেগে যাই। আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে গানগুলোর কাজ করেছি। সুবীর দা আর আমি আমার স্টুডিও কোলাহলে মাঝরাত অব্দি দিনের পর দিন সময় কাটিয়েছি।
তানভীর তারেক বলেন, ‘অ্যালবামে ঢাকা-কলকাতার মিউজিশিয়ানরা বাজিয়েছেন। এভাবে আমরা ১০টি গান কমপ্লিট করি। এর ভেতরে একটি গান আমি আমার চ্যানেলে রিলিজ দিয়েছি। সোমেশ্বর অলির লেখা এই গানটি হবে আমার সেই প্রজেক্টের দ্বিতীয় রিলিজ। বাকি ৮টি গান ধারাবাহিকভাবে মুক্তি দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কাজী শুভর কণ্ঠে বাবুর শততম গান
গানটি প্রসঙ্গে গীতিকবি সোমেশ্বর অলি বলেন, ‘তানভীর ভাইকে অনেক আগে দুটি গান দিয়েছিলাম। তার ভেতরে এই গান তিনি কবে কখন সুর করে সুবীর দাকে দিয়ে গাইয়ে রেখেছেন সত্যিই আমি জানি না। আমি শুনে অবাক। আমার জন্য এটা সারপ্রাইজ ছিল! কিছুটা আবেগ্রাক্রান্ত হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছিল এ আই দিয়ে দাদাকে আবার ফিরিয়ে আনলাম। তানভীর ভাইয়ের সুরে দাদার নিজস্ব কণ্ঠের এই আনরিলিজ ট্র্যাক সত্যিই শ্রোতাদের জন্য বিশেষ উপহার হয়ে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। অসাধারণ সুর করেছেন তানভীর ভাই।’
গানটি ‘সাউন্ডস অব তানভীর’ এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও স্বাধীন মিউজিক অ্যাপে মুক্তি পাবে। বিশ্বজুড়ে স্পটিফাই, আইটিউনসসহ বাকি সব প্ল্যাটফর্মেও গানটি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই
‘জঙ্গল’ থিমের পোশাক পরবেন আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিরা, থাকবেন হলিউড-বলিউড তারকারা
যখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ছেলে বিয়ে করতে চলেছেন তখন কী কী হতে পারে ভাবতে পারছেন? বিয়ের প্রধান অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার চার মাস আগেই তার বাবা প্রাক-বিবাহ আনন্দ উদযাপনের আয়োজন করেন।
শুক্রবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট শহর জামনগরে রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, হলিউড ও বলিউডের তারকাদের মেলা বসেছে। বিলিয়নিয়ার শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তার ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল এক আয়োজনের তারা জড়ো হয়েছেন।
প্রায় ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি অতিথিদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন পপতারকা রিয়ান্না, বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও বলিউড তারকা শাহরুখ খানও।
সবার চোখ এখন ২৮ বছর বয়সী অনন্ত আম্বানি ও তার দীর্ঘ সময়ের বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টের ওপর। আগামী জুলাইতে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা। এনকোর হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী বীরেন মার্চেন্ট ও উদ্যোক্তা শায়লা মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা।
এই উৎসব আম্বানি পরিবারের জমকালো ও আভিজাত্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি অর্থনীতি ও রাজনীতিতে এই ভারতীয় বিলিয়নিয়ারের যে প্রভাব সেটিও প্রদর্শন করে।
দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা আম্বানি পরিবার ও বিবাহ-পূর্ব এই জমকালো আয়োজন সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কে এই মুকেশ আম্বানি?
১১৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক ৬৬ বছর বয়সী মুকেশ আম্বানি ফোর্বস তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের দশম এবং এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
তার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ একটি বিশাল সাম্রাজ্য যার বার্ষিক আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পেট্রোকেমিক্যাল, তেল-গ্যাস থেকে শুরু করে টেলিকমসহ রিটেইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।
১৯৬৬ সালে তার বাবার প্রতিষ্ঠিত রিলায়েন্স আম্বানির নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ৪জি ফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা জিও চালু করার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম মূল্য যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। বর্তমানে এটি ফাইভ জি পরিষেবা দিচ্ছে এবং গ্রাহকসংখ্যা ৪২০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে নিজেদের ব্যবসা আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত করতে ডিজনি এ সপ্তাহের শুরুতে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে নতুন একটি মিডিয়া জায়ান্টের জন্ম হতে চলেছে।
আম্বানি পরিবারের অন্যান্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে মুম্বাইতে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অ্যান্টিলা নামে একটি ২৭ তলাবিশিষ্ট ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং। এটিতে তিনটি হেলিপ্যাড, একসঙ্গে ১৬০টি গাড়ির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যারেজ, ব্যক্তিগত সিনেমা থিয়েটার, সুইমিং পুল ও ফিটনেস সেন্টার রয়েছে।
আম্বানির সমালোচকরা বলছেন, সত্তর-আশির দশকে কংগ্রেস সরকার এবং ২০১৪ সালের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে রাজনৈতিক সম্পর্কের জোরে আম্বানির প্রতিষ্ঠান বিকাশ লাভ করে। ভারতে এই ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক (ক্রোনি ক্যাপিটালিজম) আম্বানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নতি লাভ করতে সাহায্য করেছে।
বর্তমানে মুকেশ আম্বানি তার দুই ছেলে ও মেয়েকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে শুরু করেছেন। বড় ছেলে আকাশ আম্বানি এখন রিলায়েন্স জিওর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আর মেয়ে ইশা রিটেইল সেক্টর ও সর্বকনিষ্ঠ, অনন্ত নতুন জ্বালানি শক্তির ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন।
সীমা অতিক্রম করাই আম্বানির আয়োজনের বিশেষত্ব।
২০১৮ সালে মেয়ের বিয়ের সময় পশ্চিম ভারতের শহর উদয়পুরে বিবাহপূর্ব জমকালো উৎসবে পপ সেনসেশন বিয়ন্সেকে নিয়ে এসে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন আম্বানি। সে সময় ভারতীয় সেলিব্রিটি ও বলিউড তারকাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারি ক্লিনটন ও জন কেরিও।
সেই বছরই ইশা আম্বানি ও আনন্দ পিরামল ইতালির লেক কোমোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মুম্বাইতে আম্বানির বাসভবনে বিয়ে করেছিলেন তারা।
আসন্ন বিবাহ-পূর্ব আয়োজনে বিশেষ যা রয়েছে-
আগামী জুলাইতে বিয়ের সময় কেমন জমকালো আয়োজন হতে চলেছে তারই আভাস দিচ্ছে তিন দিনব্যাপী এই প্রাক-বিবাহ আয়োজন।
গুজরাটের কাছেই মরুভূমিতে অবস্থিত ৬ লাখ জনসংখ্যার শহর জামনগরে আম্বানিরা এই উৎসবের আসর বসিয়েছে। যেখানে তাদের পারিবারিক নিবাস এবং তাদের ব্যবসার প্রধান তেল শোধনাগারও রয়েছে।
সেখানে জঙ্গল থিমের পোশাক পরে হবু বর অনন্ত পরিচালিত একটি প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন অতিথিরা। নির্যাতিত, আহত ও বিপন্ন প্রাণীদের বিশেষ করে হাতিদের আশ্রয়ের জন্য ৩ হাজার একর জমির ওপর এই কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে যা ‘ভানতারা’ বা ‘বনের তারকা’ নামে পরিচিত।
আমন্ত্রণপত্রে জানা যায়, অতিথিদের জন্য প্রতিদিন ভিন্ন ও নতুন এক ড্রেস কোড থাকবে। এজন্য তাদের সাহায্য করতে হোটেলে মুড বোর্ড, হেয়ার স্টাইলিস্ট, মেকআপ আর্টিস্ট ও পোশাক ডিজাইনাররা থাকবেন।
একটি মন্দির প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানও হবে।
অতিথিদের অনেকেই চার্টার্ড প্লেনে আসবেন। এই আয়োজনে প্রায় ১০০ শেফের তৈরি ৫০০ ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে।
অতিথিদের তালিকায় আরও রয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন জসিম আল থানি; কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার; ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমা।
বুধবার, আশেপাশের গ্রামে বসবাসকারী ৫১ হাজার লোকের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে আম্বানি পরিবার।