শিল্প-সংস্কৃতি
কুষ্টিয়ায় ৩ দিনব্যাপী লালন উৎসব শুরু
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুবছর বিরতির পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাউল সাধক ফকির লালন শাহের স্মরণে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হচ্ছে। উৎসব চলবে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তিন দিনের অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে লালন একাডেমি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন খান।
উত্সবে অংশ নিতে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে কয়েকশ ভক্ত আখড়ায় ভিড় করেছেন। অনুষ্ঠান মালার মধ্যে রয়েছে লালনের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
৪০ দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’ শুরু
শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’-এর দশম আয়োজন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর আয়োজনটি আংশিক সরাসরি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর বিশ্বের ১৯৬টি দেশ থেকে জমা হয়েছিল ২১ শতাধিক প্রামাণ্যচিত্র, যার মধ্য থেকে ৪০ দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে প্রতিদিন চারটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও নির্বাচিত ছবিসমূহ প্রতিদিন স্ট্রিমিং করা হবে। গেল দু’বছরের মতো এবারও ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ এক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ১০০টি যাত্রাপালা মঞ্চায়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১২-৩০ মার্চ দেশব্যাপী ১০০টি নতুন যাত্রাপালা নিয়ে ‘বাংলাদেশ যাত্রা উৎসব ২০২২’ এর আয়োজন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামি ১২ মার্চ (শনিবার) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে হলো ‘গুণিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার!
আলোচক হিসেবে থাকবেন যাত্রা ব্যক্তিত্ব জ্যোৎস্না বিশ্বাস, যাত্রা গবেষক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।
১২-১৬ মার্চ প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে যাত্রামঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের যাত্রাদলের যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হবে।
আরও পড়ুন: রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস: ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুপারস্টার অজয় দেবগন
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
সময়ের সঙ্গে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রায় সবক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। মানুষের দুটি সত্তা নারী ও পুরুষ হলেও অধিকারের প্রশ্নে সবাই সমান। সেই কথাগুলো উঠে এসেছে বিশ্বের অনেক লেখদের বইতে। এই জায়গায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
দেশের তরুণ অনেক লেখকদের বইতে উঠে আসছে নারীদের নিয়ে আলোচনা। তেমনই একটি বই ‘অপরাজিতা’ এ বছরের একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে। এটির লেখক আইরিশ পারভীন।
অনন্যা প্রকাশনী থেকে ‘অপরাজিতা’ উপন্যাসটি আইরিশ পারভীনের দ্বিতীয় প্রকাশিত বই।
বইটি সম্পর্কে আইরিশ বলেন, ‘নারী শব্দটি খুব দৃঢ় এবং শক্তিশালী এক শব্দ। শব্দের মতোই দৃঢ় এবং শক্তিশালী হয় নারী মানুষ হিসেবেও। নারী সুন্দর, নারী শাশ্বত। তবে আমাদের সমাজে নারী অসহায়, অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এখানে নারীদের চালে বাঁধা, চলনে বাঁধা। সেসব বাঁধাকে তোয়াক্কা না করে যেসব নারীরা এগিয়ে চলে মনুষত্বের পথে স্বাধীনতার পথে মুক্তির পথে সেসব নারীদেরকে সম্মান ও সালাম জানিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্বে এনেছি আমার গল্পের অপরাজিতা চরিত্রটি।’
তিনি আরও জানান, অপরাজিতা এমন একটি চরিত্র যে মনুষত্বের পথে ভালোবাসা বিলিয়ে চলে। যে তার নামের অর্থকে তার জীবনের মাহাত্ম বানাতে চেয়েছে।
পড়ুন: একুশে বইমেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত: প্রতিমন্ত্রী
গুলশান সোসাইটি আয়োজিত ‘বইমেলা ২’ শুরু
মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে শুরু হয়েছে বইমেলা। ৪ মার্চ (শুক্রবার) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
স্বনামধন্য প্রকাশক এবং পুস্তক বিক্রেতাদের ২৫টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে মেলা। এটি গুলশান সোসাইটি আয়োজিত দ্বিতীয় বইমেলা।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শুক্লা সরোয়ার সিরাজ বলেন, ‘মহামারির মধ্যে গতবারের চেয়ে এ বছর মেলার আয়োজন আরও বড় পরিসরে আয়োজন হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই মেলা আয়োজনের প্রথম দিনের দর্শনার্থীদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা মুগ্ধ।’
বইমেলায় বিভিন্ন স্টল থাকলেও সাহিত্য নির্ভর স্টলের অভাব রয়েছে। তবে সেটি আগামীতে থাকবে না বলে আরও জানান শুক্লা সরোয়ার সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই ছোট পরিসরে মেলা শুরু করেছি। আমাদের কমিউনিটির সাড়া কেমন পাব সেটির অপেক্ষায় ছিলাম বলা যায়। সেটি যেহেতু বেশ ইতিবাচক। তাই সামনে আরও অনেক দিকে আমরা নজর দিব।’
পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
ঢাকাবাসীর কাছে বইমেলা মানেই বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘একুশে বইমেলা’। কিন্তু সময় ও দূরত্বের দিক থেকে যারা সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের অনেকের স্বস্তির কারণ গুলশান সোসাইটি আয়োজিক ‘বইমেলা ২’।
মেলায় দর্শনার্থীদের এমনই একজন নূরুল হক। সন্তানদের নিয়ে দুপুরের পরই বইমেলায় উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই একুশে বইমেলায় যাওয়া হয়। বই পড়তে আমি সব সময় বই পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু এবার এখনও যাওয়া হয়নি। গুলশান সোসাইটিকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মেলার আয়োজন করে।’
বইমেলা প্রাঙ্গণে আকর্ষণীয় স্টলগুলোর একটি কসমস বুকস। স্টলটির পক্ষ থেকে সৌরভ চৌধুরী বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও বেশ সুন্দর আয়োজন হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বই কেনার প্রতি পাঠকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।’
অন্যদিকে ‘বেঙ্গল বই’ স্টলের পক্ষ থেকে মুনা রহমান বলেন, ‘অবশ্যই দারুণ একটি আয়োজন। তবে আয়োজকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বইমেলার সময়টা যদি বাড়ানো যেত। কারণ অনেকেই হয়তো মেলা সম্পর্কে জানতে সময় লেগে যায়। কিন্তু ততদিনে মেলা থাকে না। এছাড়া বলব সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ এটি।’
পড়ুন: জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক: হাইকোর্ট
‘বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সোমবার বিকেলে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভিন মনি এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
বইটি প্রকাশ করেছে তৃণলতা প্রকাশ। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৩৭৩/৩৭৪ নং স্টলে এবং অনলাইনে রকমারি ডটকম থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
প্রধান অতিথি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই গ্রন্থটি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর একটি কালজয়ী উদ্যোগ। তিনি এই বইয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত সাবলীল ও ব্যাপক তথ্য নির্ভরভাবে জাতির পিতাকে তুলে ধরেছেন। আশা করি এই বইটি পাঠ করার মাধ্যমে পাঠক বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী জীবন সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বিশিষ্ট লেখক ও কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন,বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের উচিত বঙ্গবন্ধুকে জানা, আর বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে অনেক বেশি বেশি পড়তে হবে। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু রচিত বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুকে জানতে বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বইটি সংগ্রহ করতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
বইয়ের লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে বেড়ে উঠেছি। সবসময় বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে আমার পথচলা। আসলে বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি, যাকে সামান্য কয় পৃষ্ঠা কাগজে লিখে শেষ করা দুঃসাধ্য কাজ। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের চুম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরেছি।
পাঠক ভালোভাবে বইটি পাঠ করলেই আমার স্বার্থকতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
মাইকেল শিরোনামে নির্মিত হবে ‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক
‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসনের জীবনকে উপজীব্য করে নির্মিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র; শিরোনাম ‘মাইকেল’। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিখ্যাত মুভি নির্মাণ ও সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান লায়ন্সগেটের প্রেসিডেন্ট জো ড্রেকের এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় এম জে (মাইকেল জ্যাকসন) ভক্তরা তাদের প্রিয় তারকাকে নতুন করে বড় পর্দায় দেখতে মুখিয়ে উঠলো। চার দশক ধরে পপ সঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তার করা এই সেরা স্টেজ পারফর্মারকে নিয়ে ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু তথ্যচিত্র। চলুন, সবেমাত্র নির্মাণের প্ল্যাটফর্মে ওঠা মুভিটি নিয়ে কিছু কথা জেনে নেয়া যাক।
মাইকেল জ্যাকসন দ্যা কিং অফ পপ
পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন; জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট আমেরিকার ইন্ডিয়ানা প্রদেশের গ্যারি শহরে। জোসেফ ওয়াল্টার জ্যাকসন ও মা ক্যাথরিন এসথার জ্যাকসনের দশ সন্তানের মধ্যে তিনি আট-তম। আফ্রো-আমেরিকান দরিদ্র জ্যাকসন পরিবারের বসতি ছিল জ্যাকসন স্ট্রীটে। ইউএস স্টীলের ক্রেন অপারেটর হিসেবে বাবার চাকরি আর সিয়ার্সে খণ্ডকালীন কর্মরত মায়ের উপার্জন দিয়ে চলতো সংসারের খরচ। বাবা অবশ্য সংসারের খরচে সামঞ্জস্য আনার জন্য ফ্যালকন্স নামের একটি লোকাল ব্যান্ডের সাথে গিটারও বাজাতেন।
পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
১৯৬৪ সালে বাবার সৃষ্টি করা ভাইদের নিয়ে জ্যাকসন ফাইভ ব্যান্ডের মাধ্যমে শুরু হয় মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গীত জীবনে পথ চলা। ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর পঞ্চম একক অ্যালবাম ‘অফ দ্য ওয়াল’ তাকে একক সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
মাইকেল জ্যাকসন সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গানের এ্যালবামের শিল্পীদের একজন। সারা বিশ্বে তাঁর বিক্রিত গানের রেকর্ড সংখ্যা আনুমানিক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন। তিনি একমাত্র পুরুষ শিল্পী হিসেবে ১৩ বার বিলবোর্ড হট হান্ড্রেডে শীর্ষস্থানে ছিলেন। এই তালিকায় প্রথম শিল্পী হিসেবে এককভাবে শীর্ষ দশ-এ ছিলেন গোটা পাঁচ দশক জুড়ে। তাঁর অর্জনের মধ্যে রয়েছে ১৫টি গ্র্যামি, ৬টি ব্রিট, একটি গোল্ডেন গ্লোব এবং সর্বকালের সবচেয়ে সফল এন্টারটেইনার সহ ৩৯টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। এছাড়াও রয়েছে দুইবার রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম, ভোকাল গ্রুপ হল অফ ফেম, সং রাইটারস হল অফ ফেম, একমাত্র শিল্পী হিসেবে দ্যা ডান্স হল অফ ফেম, এবং রিদম অ্যান্ড ব্লুজ মিউজিক হল অফ ফেম।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে নতুন সিনেমার চিত্রপট
মাইকেল সিনেমার গল্পে একজন জটিল মানসিকতার মানুষের একজন পপসম্রাট হয়ে ওঠার দিকটি গভীরভাবে চিত্রিত করা হবে। এর সাথে পরিবেশন করা হবে জ্যাকসনের সৃজনশীলতার অসামান্য ছাপের ফলে সৃষ্ট ইতিহাসকে।
২০১৯-এ ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ শিরোনামের এইচবিও তথ্যচিত্রে জ্যাকসন কিংবদন্তির একটি কালো অধ্যায়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করা হয়। কোরিওগ্রাফার ওয়েড রবসন এবং প্রাক্তন শিশু অভিনেতা জেমস সেফচাকের শৈশব থেকে প্রয়াত গায়কের সাথে সম্পর্কের ঘটনা তুলে ধরা হয়। এখানে জ্যাকসনে বিরুদ্ধে আনা শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগগুলো বিশদ আকারে উপস্থাপন করা হয়।
পড়ুন: নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
তাকে নিয়ে নির্মিত সম্প্রতি ‘মিউজিক্যাল এম জে’ নামের ব্রোডওয়ে শোটিতে আলোকপাত করা হয় ১৯৯২ সালের একটি সময়কে, যখন বিপজ্জনক ওয়ার্ল্ড ট্যুরের জন্য জ্যাকসন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এটি ছিলো তাঁর বিরুদ্ধে আসা প্রথম শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগের কিছু সময় আগে।
জ্যাকসন সেই অভিযোগটি অস্বীকার করেন এবং অভিযুক্তের দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে তিনি আবারো শিশু শ্লীলতাহানির জন্য অভিযুক্ত হন এবং মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হন। ২০০৯ সালে ৫০ বছর বয়সে গায়ক মারা গেলেও কিংবদন্তিটির রেশ রয়ে যায় তাঁর নামের সাথে।
পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
‘মিউজিক্যাল এমজে’ শো’তে সঙ্গীত শিল্পীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি থেকে সেই কালো অধ্যায়টি বাইরে রাখা হলেও মাইকেল সিনেমায় তার প্রভাব পড়বে কিনা সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
যোগাযোগের চিরায়ত মাধ্যম ভাষা মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে মনের ভাব প্রকাশে সহায়তা করে। কিন্তু যখন শিক্ষা গ্রহণের প্রশ্ন আসে, তখন ভাব বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি সেখানে আরও কিছু নির্ণায়ক জুড়ে যায়। যুগ যুগ ধরে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতির বিকাশের চাকার ঘূর্ণনকে নানা দিকে বদলেছেন বিশ্ব শিক্ষার নীতি নির্ধারকগণ। সব কিছুকে ছাপিয়ে বারবার যে বিষয়টি এই অগ্রগতির রূপরেখায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছিল, তা হলো মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্ব। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক তুলে ধরা হলো এই ফিচারে।
সামঞ্জস্য বিধানের সহজাত দক্ষতা
স্কুলে যেয়ে একটি শিশু যখন তার পরিবারের লোকদের বলা কথাগুলোই শুনতে ও বুঝতে পারে, তখন তার ভেতরে ইতোমধ্যে সংরক্ষিত শব্দগুলো দিয়ে স্কুলের শেখানো শব্দগুলোর সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে। ভিন্ন ভাষার শব্দ হলে তখন তার এই সামঞ্জস্য করার দক্ষতা বিলম্বিত হয়। প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। শিশুর যাচাই করার ক্ষমতার এই প্রাথমিক স্তরে কাঠামোর ভিত্তি গড়তে তাই প্রয়োজন তার মস্তিষ্কে তার মাতৃভাষার শব্দগুলোর প্রবেশ ঘটানো।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
অনুশীলনের সুবিধা
পরিবারের গণ্ডিতে যে কথ্য ভাষায় তিন থেকে চার বছর শিশুটি লালিত হয়, সে ভাষাটি স্কুলেও পেলে শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে তা নিয়ে তার অন্তর্নিহিত ভাবগুলো অনায়াসেই প্রকাশ করতে পারে। তাছাড়া স্কুলে দেয়া হোমওয়ার্কগুলো বাবা-মার সহায়তায় বাসায় চর্চার সুবিধা তো আছেই। বিশেষত নতুন কোন কিছু বা জটিল বিষয়গুলো শেখার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়। আশেপাশের মানুষদের সাথে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে অনুশীলনের ফলাফল হিসেবে অনুশীলনকৃত বিষয়টির ঠিক-বেঠিক নির্ণয়ে মাতৃভাষা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সৃজনশীলতার সহায়ক
শিশুটির মস্তিষ্ক যখন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শব্দভান্ডারে বিকশিত হয়, তখন সময় আসে সে সেগুলো নতুন করে ব্যবহার করতে পারছে কিনা তা যাচাই করে দেখার। অবশ্য এটি বিভিন্ন শিশুর মধ্যে তার পরিবেশ ও শিক্ষা গ্রহণের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে পরিলক্ষিত হয়। তবে জীবনের প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ শিশু মস্তিষ্কে সৃজনশীলতার বীজ বুনতে সাহায্য করে। এমনকি, এর ওপর নির্ভর করে শিশুর স্বাভাবিক মানসিক ক্রমবিকাশ পরিচালিত হয়। এর পরিধি কয়েকটি বর্ণ মিলিয়ে একটি শব্দ গঠন থেকে শুরু করে নতুন অনুভূতি প্রকাশ করা পর্যন্ত বিস্তৃত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন
সংস্কৃতির মধ্যে নিহিত থাকে প্রতিটি মানুষের শিকড়। আর এর উপরেই মাটি ভেদ করে আকাশের দিকে ধীরে ধীরে ডালপালা গজাতে শুরু করে মূল্যবোধের বৃক্ষটির। ব্যক্তির আচার-আচরণ থেকে শুরু করে ভুল-শুদ্ধ নিরূপণের ভীত রচনা করার মোক্ষম হাতিয়ার সংস্কৃতি। মাতৃভাষা শুধু এই হাতিয়ার বানাতেই সাহায্য করে না বরং একজন পরিণত মানুষের জন্য এই হাতিয়ারকে শাণীত রাখার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ফলশ্রুতিতে নিজ গোষ্ঠী ও প্রথাগুলোকে মর্যাদাপূর্ণ করার পাশাপাশি ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গেও পারস্পরিক লেনদেনের উৎস উন্মোচিত হয়।
মাতৃভাষায় শিক্ষা পদ্ধতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
পাঠ্যক্রমগুলোতে মাতৃভাষার দারুণ প্রয়োগ দেখা যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জাপান, জার্মানি, ও ফ্রান্স বিভিন্ন চড়াই-উৎড়াইয়ের পরেও দেশ গঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মাতৃভাষা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকেনি। বরং সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাব্রত পালন করতে এই দেশগুলোতে ভীড় জমানোর সময় তাদের মাতৃভাষা শেখায় গুরুত্ব দেয়।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বলিভিয়ার জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ আদিবাসী হওয়ায়, বলিভিয়ান ক্যাম্পেইন ফর দ্য রাইট টু এডুকেশন (সিবিডিই) অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে। ২০১০ সালে বলিভিয়ার জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম প্রত্যেক শিশুকে স্প্যানিশ ছাড়াও একটি আদিবাসী ভাষা এবং সংস্কৃতি শেখার বিধান জারি করে।
জিম্বাবুয়ে স্কুল পরীক্ষা পরিষদ আদিবাসী ভাষা শিক্ষায় উৎসাহিত করতে সংখ্যালঘু ভাষায় পরীক্ষা চালু করেছে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
২০১৬ সালে মাদাগাস্কারের আনালাভরি কমিউনের একটি স্কুল তাদের মাতৃভাষা মালাগাসিতে লেখা গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) থেকে ৫৪টি পাঠ্যপুস্তক পেয়েছে। এগুলো শিশুদেরকে তৃতীয় গ্রেড পর্যন্ত তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা দিয়েছে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে তারা দেশের দ্বিতীয় সরকারী ভাষা ফরাসি শেখা শুরু করে।
২০১৪ সালে জিপিই-এর ৩৫ দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের একটি অংশ দেয়া হয়েছিলো জাম্বিয়ার চাভুমা জেলায়। এতে করে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিশুরা তাদের মাতৃভাষা লুভালে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সে বছর থেকে জাম্বিয়ান প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গণিত সহ উচ্চতর পরীক্ষায় ক্রমাগত সাফল্য পেয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
১২৩ টিরও বেশি ভাষা থাকলেও নেপালি ভাষা নেপালের স্কুলগুলোর প্রধান ভাষা। ২০১৫ সালে নেপালি মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের জন্য নতুন সংবিধান চালু করা হয়।
শেষাংশ
শুরুটা হোক মাতৃভাষায়- এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে শিক্ষা লাভের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে একটি নিরবচ্ছিন্ন গতি দেয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রগুলোতে জাতীয়ভাবে যথাযথ সুযোগ-সুবিধার প্রণয়নে মাতৃভাষার পেশাগত মর্যাদার পাশাপাশি বজায় থাকবে সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ধারা। বিদেশি ভাষা বয়কট নয়; বরং বিশ্ব দরবারে মাতৃভাষাকে সমুন্নত করতেই বিদেশি ভাষা শিক্ষার নিমিত্তে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
বর্ণিল আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর উপস্থিতিতে বিকাল ৪টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে জাতীয় পতাকা ও একাডেমির পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্ববৃহৎ প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর উদ্ধোধন করা হয়। যা চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। জাতীয় চিত্রশালার দুই ও তিন নং গ্যালারিতে উদ্ধোধন করা হয় সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম নিয়ে ১০ দিনব্যাপী প্রদর্শনী। এটি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে তানভীর তারেকের ‘স্মৃতিদহন’তাছাড়া বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে একাডেমির সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ২৪টি বইয়ের পাঠ উন্মোচন করা হয়।
আলোচনা পর্বের পর সাংকৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমেই স্নাতা মাহরিনের পরিচালনা ও লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় ‘শুভেচ্ছা ভালোবাসা’ শিরোনামে নৃত্য পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ।একাডেমির সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় প্রয়াত পাঁচ প্রখ্যাত গুণীশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, বাপ্পি লাহিড়ি, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুবীর নন্দী ও এন্ড্রোকিশোরের গান নিয়ে ট্রিবিউট পরিবেশনা করা হয়।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের আলোকে প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’কে ইতিহাসের এক ‘অসাধারল’ দলিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
শনিবার অমর একুশে বইমেলায় গ্রাফিক নভেল মুজিবের শেষ দুই খণ্ডের (নবম ও দশম) মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় জাফর ইকবাল বলেন, ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খুবই অসাধারণ একটি দলিল হয়েছে; এটি শুধু ছোট বাচ্চারা পড়বে তাই নয়, বড় মানুষরা এটা তাদের বাসায় সাজিয়ে রাখতে পারবে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (সিআরআই) প্রকাশিত এ গ্রাফিক নভেলকে একটি বড় ‘পরিকল্পনা’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ছোট বাচ্চারা বড় বই পড়তে শেখেনি, কিন্তু ওদের ছবি দেখতে অনেক ভালো লাগে। আমি যখন ছোট ছিলাম, আমারও কমিক পড়তে অনেক ভালো লাগত। আমি মনে করি, এখন বাচ্চারা কমিক পড়তে খুবই পছন্দ করে। কাজেই তাদেরকে টার্গেট করে এই মুজিব কমিকটা প্ল্যান করা হয়েছে। এটা একটা বড় প্ল্যান।
শনিবার বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সিআরআইয়ের স্টলের সামনে শেষ দুই পর্বের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন লেখক আনিসুল হক, গ্রাফিক নভেলের শিল্পী সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময়, কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপ লেখক সিদ্দিক আহমেদসহ সহযোগী শিল্পীরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাফিক নভেল হলেও বাংলাদেশে এটিই ছিল এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ। ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ গ্রাফিক নভেল মুজিবের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। এরপর সিআরআই’র উদ্যোগে এর বিভিন্ন পর্ব প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে নবম ও দশম খণ্ড, যার মাধ্যমে শেষ হল এ ধারাবাহিক প্রকাশনার।
এর দশটি খণ্ড একত্রে বই আকারে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে জাফর ইকবাল বলেন, সাত বছর সময় লেগেছে, ওরা ধৈর্য্য হারায়নি। কাজগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আমি দেখেছি, প্রথম দিকে ছবিগুলো যেমন হয়েছে, আস্তে আস্তে ছবিগুলো কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি অনুরোধ করব, সবগুলো পর্ব একটা বই আকারে বের করতে এবং যে ছবিগুলো ‘রিটাচ’ করা দরকার, সেগুলো যাতে এডিট করা হয়।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক