চট্টগ্রাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নামাজের মাসআলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদে নামাজের মাসআলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরচারতলা মোল্লা বাড়ি ও কিছকি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে বিষয়টি শনিবারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে মোল্লা বাড়ির নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা ইমামতি করেন। শুক্রবার এশা ও তারাবির নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান ইমাম সাহেবের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নামাজ শেষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: গড়াই নদী থেকে মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ৫
মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, তারাবি নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান ২ মিনিট কথা বলতে আমার অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দেই। তিনি তার বক্তৃতায় এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না এমনটা বললে উপস্থিত সবাই এর প্রতিবাদ করেন। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ আমাদের বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে। এ সময় আমাদের বাড়ির ৫ জন গুরুতর আহত হন।
ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি তারাবি নামাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু গুরত্বপূর্ণ মাসআলার বিষয়ে ইমাম সাহেব ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। নামাজের প্রয়োজনীয় তাসবিহ পাঠের জন্য রুকু, সিজদা ও দাঁড়ানোতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া ও কাতার সোজা করার গুরুত্ব নিয়ে এসব বিষয়ে নজর দিতে ইমাম সাহেবকে অনুরোধ করি। এতে ইমাম সাহেব ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ভেতরেই আমাকে নাজেহাল করেন।’
আরও পড়ুন: অষ্টগ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ১৫
তিনি আরও বলেন, ‘পরে তারা আমার ও আমার এক ভাইয়ের বিল্ডিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। আমার ব্যবহারের গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন। এ সময় আমদের বাড়ির ৮ জন গুরুতর আহত হয়।’
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, সংঘর্ষ বাধার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ উপস্থিত হয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ প্রায় ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
তিনি আরও বলেন, অফিসারসহ ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজকে পার্বত্য অঞ্চলের ভূখণ্ডে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি রুমা উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও থানছি উপজেলায় প্রকাশ্যে গুলির ভয় দেখিয়ে দুটি ব্যাংকে ডাকাতির মতো ঘটনা যারাই ঘটিয়েছে তারা জঘন্য অপরাধ করেছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে। কাজেই রাষ্ট্র এখানে চুপ থাকতে পারে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলাকার জনগণের অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় পুলিশ, র্যাব ও আনসারের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তাই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে সেনাপ্রধানকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। এখানে একটি সাড়াশী অভিযান চালানো হবে। কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজকে পার্বত্য অঞ্চলের ভূখণ্ডে থাকতে দেওয়া হবে না।
শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউজে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক একটি রুদ্ধ দ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: প্রয়োজনে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক ধৈর্য নিয়ে আমরা ওই সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলাপ এগিয়েছে যাচ্ছিল। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার নেতৃত্বে শান্তি রক্ষা কমিটি তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দুই দফা আলোচনার পর উভয় পক্ষ কিছু শর্তে সমঝোতায় পৌঁছায়। কিন্তু তারা আলোচনার পথে না থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে পুনরায় বেছে নেয়। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করতে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে অভিযান পরিচালনা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সন্ত্রাসীরা ভারতে কিংবা মিয়ানমারে পালিয়ে থাকলেও ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে দেশের মাটিতে বিচার করা হবে।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংক, মসজিদসহ যেসব এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেসব স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ দমনে প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশ বাহিনী গড়তে কাজ করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমুদ্রে বারুণী স্নান করতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরের
কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বরে বন্ধুদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব বারুণী স্নান করতে নেমে জয় শর্মা নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয় শর্মা কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনার বিমল শর্মার ছেলে এবং কক্সবাজার পৌর প্রিপারেটরি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বরে বন্ধুদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব বারুণী স্নান করতে নেমে জয় শার্মা নিখোঁজ হয়। পরে তাকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, নিহত পুণ্যার্থী স্নানের এক পর্যায়ে স্রোতের টানে ভেসে যায়। পরে সেখানে থাকা লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ডে লেগুনা চাপায় নারী নিহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে লেগুনা চাপায় রোকসানা আক্তার (৩০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এসময় মরিয়ম বেগম নামে আরও এক নারী আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকসানা পৌর সদরের আমিরাবাদ এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল হাকিম জানান, হাসপাতালের সামনে দুই নারী মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকামুখী একটি লেগুনা তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রোকসানা আক্তারের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত হন মরিয়ম বেগম নামে আরেক নারী। এ সময় লেগুনাটি সড়কের উপর উল্টে পড়ে।
ফেনীতে বালুবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বালুবাহী ট্রাকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সাড়ে ৮টার দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ট্রাকটি রেললাইন পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
নিহত মো. মিজান বরিশালের উজিরপুর কাউয়ারাহা গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে এবং অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি সকালে মুহুরীগজ্ঞে এলাকায় পৌঁছলে লাইনে উঠা একটি ট্রাককে ধাক্কা দিলে এ সময় ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন।
ঘটনার পর থেকে গেটম্যান মো. সাইফুল পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ই/৩২(১)নং রেলগেইটে সকালে গেইটম্যান দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন না। আর এই কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান বলেন, বালুবাহী ট্রাক রেলক্রসিং করার সময় ট্রাকের পেছনের অংশে ট্রেনের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
ঝিনাইদহে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতার দিয়ে ফেরার পথে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতার দিয়ে ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মিরাজ ও ফারুক নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে হাটহাজারীর নয়াহাটে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ঈদের কেনাকাটা শেষে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও ছেলের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- ফটিকছড়ির সুন্দরপুরের মো. মিরাজ ও সমিতিরহাট ইউনিয়নের ফারুক। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আত্মীয়ের বাড়িতে ইফতার দিয়ে ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা মিরাজ ও ফারুক মারাত্মক আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরেফিন আজিম বলেন, দুই যুবককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সাভারে তেলের ট্যাংকার উল্টে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৪
খাগড়াছড়িতে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং বাজারে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ২১টি দোকান।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, গভীর রাতে বাজারে পানির হাউস সংলগ্ন গলির একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত আগুনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার ২০ মিনিট পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। আধা ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে অন্তত ২১ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে ব্যবসায়ীদের অন্তত দেড় কোটির টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রধান মো. রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বনানী বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
মানিকগঞ্জে আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই
বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের প্রায় দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান তারা।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাতিমাথা পাড়া এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে কেএনএফের একটি দল ব্যাংকে এবং অপর একটি দল বিচ্ছিন্নভাবে মসজিদ ও উপজেলা অফিসার কোয়ার্টারে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে নগদ টাকা লুট করেন। দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: সাভারে ডাকাতি, হাত-পা বেঁধে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট
নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতক্ষ্যদর্শী আরও বলেন, ‘সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের ১৪টির মতো অস্ত্র লুট করে এবং তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও তারা ব্যাংকের সামনে অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুল ইসলামকে জিম্মি করে বিভিন্ন কাজের রক্ষিত টাকাও নিয়ে যান।’
রুমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ব্যাংকের টাকা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে। আমি ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৫
সোনালী ব্যাংক বান্দরবান জেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজন কান্তি দাশ বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরেছি। ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার চাকরিজীবীদের ঈদের বেতন ও বোনাস ব্যাংকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় ব্যাংকে থাকা নগদ টাকাসহ ১৪টি অস্ত্র লুট ও ব্যাংকের ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। তবে ব্যাংক থেকে কত টাকা নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে দেড় থেকে ২ কোটি টাকা সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়ে গেছে।’
বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংকের টাকা ও অস্ত্র লুট এবং অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক চলছে।
আরও পড়ুন: সাভারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট
চাঁদপুরে বাস থেকে ৫০০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি উদ্ধার
চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাত্রীবাহী বাস থেকে ৫০০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি উদ্ধার করেছে সদর উপজেলা মৎস্য অফিস ও কোস্ট গার্ড।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অভিযানে অংশগ্রহণকারী সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী দিদার পরিবহন নামে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি করা হয়। ওই বাসে থাকা ১০টি ককশিটের বক্স থেকে ৫০০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১৫০০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার জেলিযুক্ত চিংড়ি মঙ্গলবার দুপুরে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেনের উপস্থিতিতে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিল হোসেন, কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলামসহ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলিযুক্ত ৯ মণ চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুরে ৪৫০০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
চট্টগ্রামে নারীর লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার বলিরহাট এলাকায় অজ্ঞাত এক নারীর খণ্ডিত মাথা ও হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকালে মধ্যবয়সী নারীর শরীরের অংশবিশেষ পাওয়া যায়।
পুলিশ ধারণা করছে, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছেন তারা।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) পংকজ দত্ত বলেন, ‘মধ্যবয়সী এক নারীর লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওই নারীকে ১০ থেকে ১৫ দিন আগে খুন করে তার লাশ খণ্ড করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘রাতে শিয়াল বা কুকুর মাটি খুঁড়ে খণ্ডিত মাথা বের করে। সকালে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে খণ্ডিত মাথা ও হাতের হাড়গোড় পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। লাশের বাকি অংশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। উদ্ধার করা মাথা প্রায় গলিত হওয়ায় পরিচয় বের করা কঠিন হবে। তবুও ওই নারীর পরিচয় আগে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাস্টবিনে পাওয়া গেছে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ
নাটোরের বনপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার