বিএনপি
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারাগারে ‘অমানবিক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, কারাগারে আমাদের দলের শীর্ষ নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে তাদের ডিভিশন দেয়া হয়নি।
প্রিন্স বলেন, এমনকি তাদের দলের অসুস্থ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালামকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠাতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘জেলে তাদের (গ্রেপ্তার দলের নেতাদের) কাছে প্রয়োজনীয় পোশাক পৌঁছানো যাচ্ছে না। বন্দিদের পরিবার বারবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জেলগেটে নিয়ে গেলেও কারা কর্তৃপক্ষ সেগুলো ফেরত দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
প্রিন্স আরও অভিযোগ করেছেন যে বেশিরভাগ কারাবন্দি নেতাদের এখন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে জেলে গেলেও তাদের সঙ্গে কুখ্যাত খুনি ও অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে, যা জেলবিধি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি এমন জঘন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জেলকোড অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবি জানান।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরদিন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকেও গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন:১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধকতার ৫১ বছর পরও আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠা। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এই সরকারকে অপসারণ করতে হবে। আমরা সমগ্র দেশের জনগণ সঙ্গে নিয়ে এই শাসককে উৎখাত করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই বলপ্রয়োগ করে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই সংসদ গঠন করেছিল এবং ২০১৮ সালে তারা রাতে ভোট দেয়। তারা এখন আবারও দেশে একটি একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য ১০ দফা দাবি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের দল ক্ষমতায় এলে কীভাবে দেশ মেরামত করবে তার একটি রূপরেখাও তারা উপস্থাপন করবেন। ‘আসুন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সেই রূপরেখা এবং ১০ দফা নিয়ে এগিয়ে যাই। দেশকে দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার এই দিনে আমরা শপথ নিই।’
মোশাররফ বলেন, লাখ লাখ মানুষ সারাদেশে তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে বার্তা দেয় যে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতি ও বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে এবং সমাজকে কলুষিত করেছে তারা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং জনগণ যে পরিবর্তন চায় তা আনার দায়িত্ব এখন বিএনপি, সব জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির।’
এর আগে সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান খন্দকার মোশাররফসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
পরে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় তুলে নিয়ে যায়।
এ উপলক্ষে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকায় বর্ণাঢ্য ‘বিজয় দিবসের র্যালি’ বের করবে বিএনপি।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ র্যালি বের করা হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির ইভেন্ট কাভারের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কনস্টেবল প্রত্যাহার
বিজয় দিবস উপলক্ষে দলটি ১৬ ডিসেম্বর সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে।
এদিন সকাল ৯টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
পরে তারা একই দিন রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালন করবে।
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের কর্মসূচি সফল করতে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে জাতি শুক্রবার ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন করবে।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এবং ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং প্রায় অর্ধলাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর গৌরবময় দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অনুরোধে গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তন করবে বিএনপি
১০ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ইশরাকসহ বিএনপি’র ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সকল বাধা-বিপত্তি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করে রাজধানীতে বিশাল সমাবেশ করে জনগণ বিজয়ী হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর সরকার পরাজিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি ও গ্রেপ্তারের মধ্যেও ঢাকায় আমাদের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে জনসভা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। সরকার তা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ জিতেছে এবং সরকার পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।’
মঙ্গলবার এক সমাবেশের বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ অত্যন্ত সফল হয়েছে কারণ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাদের দল আগামী দিনে রাজপথে ক্ষমতাসীন দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই যে আমরা আগামী দিনে তাদের (যারা ক্ষমতায়) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আমরা রাজপথে সংকটের সমাধান করব। সুতরাং, আমাদের সকলকে এই ব্যর্থ, স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী শাসনকে রাজপথে উৎখাত করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত দলের অন্যান্য নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর।
গত ৭ ডিসেম্বর কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই ছিল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির প্রথম কর্মসূচি।
৭ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
আরও পড়ুন: বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
মোশাররফ বলেন, তাদের দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ-প্রশাসনকে জনগণের সঙ্গে একত্রে মোকাবিলা করবে
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই অতীতে দেশে এই ধরনের স্বৈরাচারী শাসন ছিল। স্বৈরাচারী শাসক এরশাদকে এ দেশের ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এবং পাকিস্তানের শাসনামলে আইয়ুব খানকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কায়ও মানুষ রাজপথে নেমে রাজাপাকসের ভাইদের উৎখাত করেছে। আমাদের জনগণও প্রস্তুত (রাস্তায় নামতে)।’
বিএনপি নেতা পুলিশ ও প্রশাসনকে তাদের শপথের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনগণ ও তাদের স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনি মানুষের শত্রু নন এবং তাদের পক্ষে অবস্থান নিন। সরকার পতনের ঘণ্টা এখন বাজছে। সরকার যাবে, কিন্তু আপনি এখানেই থাকবেন কারণ আপনি এই দেশের সন্তান এবং সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী। মানুষের সঙ্গে লড়াই করা আপনাদের উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর অভিযানে পুলিশ নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভাঙচুর করেছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে পুলিশ। তারা নগ্নভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বর্বরতা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের প্রথম তলায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু ভাংচুর করে এবং সব ছবি নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের অফিস থেকে সব সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, প্রিন্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
‘আমাদের অ্যাকাউন্ট বিভাগ থেকে সবকিছু লুট করা হয়েছে। নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। বিজয়ের মাসে এমন বর্বর ঘটনা কেউ দেখবো বলে আশা করেনি,’ বলেন মোশাররফ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রমাণ করেছে যে এটি একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও দখলদার সরকার।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বে এমন নজির নেই…এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ধরনের হামলা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেছে, তাই জনগণ আমাদের বার্তা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগ করে দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি মেরামত, নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তাদের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলায় জনগণ এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে মোশাররফ দলীয় কার্যালয়ে যান।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুলের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তার বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মেয়ে মিথিলার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়া তাদের দলের সকল মহানগর ও জেলা শাখা গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে ঘোষিত পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী একই মাঠে একই দিনে গণমিছিল করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই হবে বিএনপির নয়াপল্টনে প্রথম কর্মসূচি।
পুলিশি অভিযানের চারদিন পর রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়া হয়।
এর আগে, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ৭ ডিসেম্বর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় এ্যানি ও সালামসহ ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠায়।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকার একটি আদালত।
পরে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ে পুলিশি অভিযানের পর চার দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার দুপুরে আবার খুলে দেয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতা বিএনপি কার্যালয়ে যান এবং দুপুর সোয়া ১টার দিকে কয়েকজন আইনজীবী ও সাংবাদিক নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
পরে তারা পুরো কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমরান সালেহ বলেন, পুলিশ অফিসের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। তারা অফিসের কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ অফিসে যে ক্ষতি করেছে, আমরা তার একটি তালিকা তৈরি করব।’
ভাঙচুরের কারণে কার্যালয়ের সর্বত্র কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আইনজীবী, সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাবধানে অফিসে প্রবেশ করতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য রবিবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সিরাজ ইউএনবিকে জানান, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিএনপির সংসদ সদস্যরা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর আগে শনিবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২; মো. হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এবং রুমিন ফারহানা, মহিলা সংরক্ষিত আসন।
তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া রুমিন ফারহানার মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে, শনিবার ই-মেইলের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: ২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে: খসরু
স্পিকারকে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য
বিএনপির সাত সংসদ সদস্য সংসদের স্পিকারের কাছে রবিবার সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
সকাল ১১টার দিকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কথা রয়েছে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার গোলাপবাগ মাঠে দলের সমাবেশে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন: মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২; মো. হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩; এবং রুমিন ফারহানা, মহিলা সংরক্ষিত আসন।
শনিবার ই-মেইলের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার রায় দিয়েছে: খসরু
২৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি
সকল জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটিয়ে এবং অসংখ্য বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে বিএনপি শনিবার রাজধানীতে শান্তিপূর্ণভাবে একটি বিশাল সমাবেশ করেছে। সমাবেশ থেকে দলটি ২৪ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
দলটি ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে গণসমাবেশ করবে।
৭ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত, দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানাতে ১৩ ডিসেম্বরও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গোলাপবাগ মাঠের জনসভায় এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, যে সব দল যুগপৎভাবে আন্দোলন শুরু করতে তাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাবে তারা এগিয়ে যাবে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনকে তীব্র করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা
তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। ব্যালট পেপার ব্যবহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য সব রাজনৈতিক বন্দিদের কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইন প্রত্যাহার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র রাখা।
রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেয় এবং জনসমাগম সমাবেশস্থলের চারপাশের কয়েক বর্গকিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে দলের সাত সংসদ সদস্য ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে দমন করে ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট কাটিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানে এটির সুযোগ নেই বলে দাবিটিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: মুগদায় আ.লীগ-বিএনপির ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ২টি মোটরসাইকেলে আগুন
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ