কৃষি
কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশ
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় পর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সঙ্গে সারা দেশে উঠান বৈঠক করার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
এর অংশই হিসেবে প্রথম উঠান বৈঠক করেছেন তিনি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোন জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
আমন ধান কাটার এই গ্রামের জমি এখনো পতিত পড়ে আছে কেন, কৃষকদের কাছে সে বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম, অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরও বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উঠান বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে স্থানীয় পর্যায়ে কী কী সমস্যা আছে, তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আরও বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে আছে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারও পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিকে কোনো প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে ভালো বীজ, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যেভাবেই হোক ফসলের উৎপাদন আমাদের বাড়াতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বীজ, সার প্রভৃতি কৃষি উপকরণের কোনো রকম ঘাটতি হবে না, সংকট হবে না। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশি করে কৃষি উপকরণ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার(১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. আব্দুস শহীদ কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তার নির্বাচনি এলাকা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করে। কীভাবে এই সিন্ডিকেট ভাঙা যায়, তার কার্যকর পদ্ধতি বের করতে আমরা চেষ্টা করছি। মজুতদারদের রোধ করতে হবে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পুঁজি। এই আদর্শের কারণেই বঙ্গবন্ধু আমাকে ভালোবাসতেন। স্বাধীনতার পর লন্ডনে গিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি বলেই সেখানে যাইনি। দেশে থেকে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখন জনগণের ভালোবাসাই আমার সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
পরে সন্ধ্যায় মন্ত্রী শ্রীমঙ্গলে ফুলছড়া চা বাগানের শীতার্ত ও অসহায় চা-শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্ট্যাডি করতে চাই।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, মার্কেট দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোনো ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয় ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোনো জমি খালি রাখতে চাই না। যেসমস্ত জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করব। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা ও সঠিক মাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
জামার্নির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রপ্তানি করতে চাই। তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলছে। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া কুয়াশা আর দিনের বেলা হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় কাজ করতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। কাজের ফাঁকে শুকনো খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা।
এদিকে তীব্র শীতে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে স্বচ্ছ সাদা রঙের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখছেন বীজতলা। এমন বৈরি আবহাওয়ায় জমিতে চারা রোপণের সাহস পাচ্ছেন না কৃষকরা।
কথা হয় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বোরো আবাদের জন্য বীজতলার চারার পরিণত বয়স হয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে জমিতে রোপণ করতে পারছি না। এদিকে বীজতলাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে প্লাস্টিক দিয়ে বীজতলা ঢেকে রেখেছি।
আরেক কৃষক মো. মন্তাজ আলী বলেন, যে শীত পড়ছে তাতে কৃষি আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বিশেষ করে আলু খেত, বীজতলায় হিম ধরা শুরু করেছে। স্প্রে করতেছি কোনো কাজ হচ্ছে না। কী হবে আল্লাহ জানে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
শ্রমিক মো. রহমত আলী বলেন, ‘বাহে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ছে। হাত পা টট্টরিয়া নাগছে (বরফ মত)। মাঠে এক-দেড় ঘণ্টা কাজ করলে আর কাজ করা যায় না। কাজের ফাঁকে আগুন তাপা নাগে। কী করমো কাজ না করলে পেটে কি ভাত জুটবে?’
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, রবিবার জেলায় সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে। তবে মাসের শেষে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা রয়েছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় কৃষকদের বোরো আবাদে বিলম্বিত হচ্ছে। বীজতলা এখনও নষ্ট হওয়া শুরু করেনি। তবে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে চারা খাদ্য গ্রহণ করতে না পারায় পাতা হলুদ হয়ে যায়। বীজতলা নষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে কৃষকদের বাড়তি যত্ন ও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) এর তথ্য অনুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট) উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী ২ থেকে ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এ মৃদু শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য কিছু জরুরি পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
পরামর্শগুলো হলো-
কুয়াশা ও মৃদু, তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।
ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার উপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭ থেকে ১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০ থেকে ১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।
ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়, পলিথিন শীট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
কয়েকদিনের কনকনে শীতে বোরো ধানের বীজতলা এবং সবজির ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন যশোর অঞ্চলের কৃষকরা। যদিও কৃষি বিভাগের বিশ্লেষণ এরকম আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়নি।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে না নামা পর্যন্ত ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং সবজির জন্য তা উপকারই হবে।
যশোরে গত ১৪ দিন ধরে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও গেল তিনদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শেষ তিনদিনের কমে যাওয়া তাপমাত্রায় কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন। এতে অনেক এলাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষকের মধ্যে। বিশেষ করে বোরো ও সবজি চাষিদের এক প্রকার ঘুম হারাম হতে যাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত ঠান্ডায় বোরো বীজতলা, বোরো আবাদ ও সবজি নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন: বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেছেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামলে ফসলের ক্ষতি হবে। যা এখনও হয়নি। যে অবস্থা চলছে এটি স্থায়ী হলে বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। একইসঙ্গে বন্ধ করতে হবে সেচ দেওয়া। পলিথিন ঘেমে যে পানি বীজতলায় পড়বে তাতেই সেচের কাজ হবে। বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না।
উপপরিচালক আরও বলেন, এ ধরনের শীতে সবজির কোনো ক্ষতি হয় না। বরং উপকারই হবে। অনেক সময় কৃষক ভ্রান্তিতে পড়েন।
এদিকে, যশোরের আট উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়া জানুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক জমিতে বোরো লাগানোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাট চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু
সরেজমিনে সবজি খেত ঘুরে এখন পর্যন্ত কোনো সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি চোখে পড়েনি।
সাজ্জাদ হোসেন নামে এক চাষি বলেন, এখন পর্যন্ত আমার সবজি ও বোরো বীজতলা ঠিক আছে। বেশি কুয়াশা পড়লে আমি সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে দিই। সাজ্জাদের মতো কৃষক ওহিদ, সেলিম, মেহেদীসহ আরও অনেকেই এটি করেন বলে তারা জানান।
রবিবার কনকনে শীতের মধ্যেও কৃষকের সবজি ও বোরো ধানের পরিচর্যা করতে দেখা যায়। যশোর বিমানবন্দরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, রবিবার সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সন্ধ্যা ৬টায় ফের তাপমাত্রা কমে যায়। এ সময় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
জয়পুরহাট চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু
৩৫ হাজার ১০০ টন আখ মাড়াই করে ২ হাজার ১৭০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে জয়পুরহাট চিনিকলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আখ মাড়াই শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) শেখ শোয়েবুল আলম বিকাল সাড়ে ৪টায় চিনিকল চত্বরে আখ মাড়াইয়ের উদ্বোধন করেন।
২৮ দিনে ৩৫ হাজার ১০০ টন আখ মাড়াই করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, চিনির পুনরুদ্ধারের হার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত মৌসুমে জয়পুরহাট চিনিকলের লোকসান হয়েছিল ৬৯ কোটি টাকা।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখলাছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএসএফআইসির সেক্রেটারি চৌধুরী রুহুল আমিন কাওসার, চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলী আখতার ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব রুমেল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু, লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার টন
নাটোরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
মাগুরায় আখের বাম্পার ফলনে চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর (২০২৩-২৪) বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপির হার ৭৬ শতাংশ
এর আওতায় সারা দেশের ১৫ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক প্রণোদনা পাবেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
চলতি বছর এর আগে (গত মাসে) প্রথম ধাপে বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার আদেশ জারি হয়েছে। এসব প্রণোদনা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ চলছে।
সব মিলিয়ে দুই ধাপে বোরোতে প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে আলুর দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এতে দাম কমবে, মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। দেশে আলুর উৎপাদন বেড়েছে প্রচুর। আমরা বলি, আলু উদ্বৃত্ত থাকে। আধুনিক কৃষি-প্রযুক্তি ও উন্নত জাত প্রবর্তনের কারণে উৎপাদন বেড়েছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া আলু উৎপাদনের অনুকূল। আন্তর্জাতিক বাজারে আলু রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ বছর আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এ দাম বেড়ে যাওয়া কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। এতে নিম্নআয়ের মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। গত দুদিনে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: 'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোল্ড স্টোরেজে আলু থাকার পরও দাম এত বাড়বে কেন- সেই প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, আমরা আলুর যে দাম স্থির করে দিয়েছিলাম, তাতেও তাদের লাভ হওয়ার কথা। কিন্তু সেই দামের ধারেকাছেও তারা থাকছে না।
তিনি বলেন, কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা একটি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা আলু বের করেন না, তারা আলু লুকিয়ে রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে আলু আমদানি করতে চায় তারা। আমরাও সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেখেছি, এত দাম দিয়ে মানুষ আলু কিনতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে আলুর দাম কম। তারা আলু আনতে চাচ্ছে। আমরা সম্মতি দিয়েছি। আজকে থেকেই আইপিও ইস্যু করা শুরু হবে। এতে দাম কমবে, মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তারা নিজেদের তৎপরতা আরও বাড়াবে, যেন বাজারে কোল্ড স্টোরেজ সিন্ডিকেট যেভাবে আলুর দাম বাড়াচ্ছে, তা কমিয়ে আনা। আড়ৎ ও কোল্ড স্টোরেজ মিলেই দাম বাড়াচ্ছে। এটা কমিয়ে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও তৎপরতা শুরু করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছরও আমরা আলু রপ্তানির চেষ্টা করেছি। কিছু রপ্তানি হয়েছে। এ বছরও রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু যতটুকু রপ্তানি হয়েছে, তাতে দাম এত অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কথা না।
তিনি বলেন, গত বছর আলুর দাম অনেক কম ছিল, তখন চাষিরাও দাম পাননি, কোল্ডস্টোরেজ মালিকরদেরও লোকসান হয়েছে। কিন্তু এবার কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা তাদের সেই লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তারা এবার সর্বাত্মক আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর কৃষকরা সরিষা চাষ করেছে, অথবা আলু উৎপাদন করেনি, যেটা আমাদের মূল্যায়নে আমরা সঠিকভাবে জরিপ করতে পারিনি। তাহলে আমরা একেবারেই রপ্তানি করতাম না। কিন্তু আমরা তো আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে চাই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আলু রপ্তানি করেছি।
আগামী দুই বছরের মধ্যে আলু ও পেঁয়াজের সমস্যা সমাধান হবে। আলু ও পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বারবার সিন্ডিকেটের কথা বলছেন, কিন্তু মানুষতো অসহায়- এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটের কথা বলছি না, আপনারা বলছেন। কিন্তু একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট যে কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না আ. লীগ: কৃষিমন্ত্রী
চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
চলতি বছর বোরো মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এ প্রণোদনার আওতায় ১৪ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় দুই কেজি হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে পাবেন।
এর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ১ লাখ ৯২ হাজার হেক্টর বাড়বে এবং হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৯৫ টন ফলন হিসাবে ৯ লাখ ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হবে।
প্রসেঙ্গত, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫ লাখ কৃষককে হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। এতে ২ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ বেড়েছিল এবং ৯ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল উৎপাদন বেড়েছিল।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী