শিক্ষা
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, তখন শিক্ষকদের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল যে, খবরদার! তোমরা এটা করতে পারবা না। একজন শিক্ষকও সেটা করেননি। একজন শিক্ষকের এরকম মেরুদণ্ডহীন হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাশিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সমস্ত তরুণ প্রজন্ম তোমাদের পেছনে। সমস্ত মানুষজন তোমাদের পেছনে। তোমরা সুস্থ হও। উদাহরণ তৈরি করো। যে উদাহরণ বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুসরণ করবে।’শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ‘দানব’ বলেছেন। সেই ‘দানবের’ কাছে আপনারা শিক্ষার্থীদের রেখে যাচ্ছেন। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘শুনেন, ছাত্রদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। কে, কাকে, কার কাছে রেখে যাচ্ছি, সেটা সময়েই বলে দেবে।’উপাচার্যের অপসারণ সংক্রান্ত দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন দাবিদাওয়া মেনে নেবেন বলেছেন, তখন দাবির মধ্যে এই দাবিটাও তো পড়ে। কিন্তু সরকারেরও তো নিজস্ব টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য তাদের হয়তো একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সেলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, ওদেরকে অনশন থেকে বের করতে পারি কিনা।’আন্দোলনে বহিরাগতদের কোনো ইন্ধন ছিল বা আছে কিনা, এরকম এক প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমি দেখেছি যে, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কোনো উচ্চভিলাষ নাই। পুলিশ ওদের গায়ে এরকম নির্মমভাবে হাত তুলেছে, কাজেই ওদের মনের ভেতর একটা ক্ষোভ হয়েছে, সংঘত কারণেই। সেজন্যই তারা এই আন্দোলনটা করছে। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র বাড়াবাড়ি নাই, অহেতুক কোনো দাবি নাই। ওদের দাবি শতভাগ যৌক্তিক দাবি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিউপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি তিন বছর আগে যখন নাকি অবসরে চলে যাই, তখন একটা চিঠি লিখে উনাকে দিয়ে যাই। সেই চিঠিতে আমি বলে দিয়েছিলাম অনেকগুলো। আমি সেখানে লিখেছিলাম স্পষ্ট করে, আপনি যদি এগুলো না করেন, ছাত্রদের এখন যে ক্ষোভ আছে, তা বিক্ষোভে রূপ নেবে। একদম অক্ষরে অক্ষরে আমার কথাটা ফলেছে।’‘মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ অভিহিত করে শিক্ষার্থীরা একে ‘তালেবানি সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা তো অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার যে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কাজগুলো বন্ধ হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রেংথ ছিল, আমাদের এমন কোনো সংগঠন নাই যেটা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না। সেটা যখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তখনই বোঝা গেছে, এই মানুষটা আর যাই হোক, উনি একাডেমি বুঝেন না।’শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোর চারটায় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।এর অংশ হিসেবে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) অনশন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন। বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল পানি খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান। টানা সাতদিন ধরে অনশন করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এর আগে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। আন্দোলনরত ২৬ জন শিক্ষার্থীকে মুখে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙানো হয়।বুধবার ভোর ৪টার দিকে ড. জাফর ইকবাল দম্পতি ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিক্যাম্পাসে এসে তারা শিক্ষার্থীদের বলেন, আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের, সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
‘১০ হাজার টাকা দিলাম, আমাকে অ্যারেস্ট করুক’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ায় সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কি না। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।’
পুলিশের উদ্দেশ্যে জাফর ইকবাল বলেন, ‘ছাত্রদের গায়ে হাত তুলবেন না। অলরেডি হাত তুলে আপনারা অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন। আর করবেন না। তাদের হয়রানি করবেন না।’
শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ ও দাবি শোনার পর ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা আমাকে গণমাধ্যমের সামনে কথা দিয়েছ, এ অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দেবে, এটা মানা যায় না। গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা করা হয়ে গেছে, তাদের তো আদালতে তোলা হবে। আশ্বাস পেয়েছি ছাত্রদের জামিন দেয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোররাতে ক্যাম্পাসে যান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
শাবিপ্রবির ছাত্র আন্দোলনে টাকা পাঠানোর অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জালালাবাদ থানায় ওই মামলা করা হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
এর মধ্যে হাবিবুর শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।
এর আগে রাজধানী ঢাকা থেকে শাবিপ্রবি'র সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সিআইডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অঅরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে গেলেন সিলেট-২ আসনের (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। সেখানে তিনি আধাঘণ্টা অবস্থান করেন। এসময় এমপি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এখানে কোনো ধরনের রাজনীতি নেই। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এগিয়ে আসেন সব সমস্যা সমাধানে। তিনি চাইলেই এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন।’শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল
‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
করোনা ঝুঁকির কথা জানিয়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে মেডিকেল টিম প্রত্যাহার করেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রলীগ। সোমবার গভীর রাত থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দলটি নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে তারা শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন।মেডিকেল টিমের সদস্য নাজমুল বলেন, ‘অনশনকারীদের অনেকেরই করোনার উপসর্গ আছে। কিন্তু তারা টেস্ট করাতে রাজি হচ্ছেন না। সেভাবে স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না। এতে আমরা ঝুঁকিতে পড়ছি। আমাদের অনেককেই আবার হাসপাতালে ফিরতে হয়। ফলে অন্যরাও ঝুঁকিতে পড়ছেন।’তিনি বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমরা যেসব অনশনকারীকে হাসপাতালে পাঠাই, তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই আবার ক্যাম্পাসে চলে যান। ফলে তাদের জীবন যেমন সংকটে পড়ছে, তেমনি আমরাও সমস্যায় পড়ছি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
নাজমুল আরও বলেন, ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের মেডিকেল টিমের একজনের এরই মধ্যে করোনা হয়েছে। আরও কয়েকজনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। আপাতত আমরা শাবিপ্রবিতে কার্যক্রম বন্ধ রাখছি।’এদিকে, ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আর কারো কাছ থেকে কোনো চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন না।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক বলেন, ‘ওখানে আমাদের অফিসিয়াল কোনো টিম ছিল না। সেখানে যারা কাজ করেছেন তারা স্বেচ্ছায় গিয়েছেন। কেন তারা ফিরে এসেছেন এটা আমরা জানি না। এটা আমাদের কোনো বিষয় না।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানো’য় আটকদের নিয়ে সিলেটের পথে সিআইডি
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা সরকারকে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা নতুন না। এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছে। ২০১৪ সালের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছিল। ২০০৩ সালে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছিল। এখনও হামলার ঘটনা ঘটছে। কেন শাবিপ্রবিতে এ ঘটনা ঘটলা? কারণ তারা শুধু স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, গত ১০ থেকে ২০ বছর ধরে আমি ছাত্র আন্দোলন দেখছি। শাবিপ্রবিতে তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিল। ১৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা অনশনে আছে। তারপরও সেদিকে নজর নেই সরকারের। আমরা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আন্দোলন শুরু করেছি এবং আমাদের কর্মসূচি চলবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আলী রেজা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর, রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনসহ অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এর আগে, শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘নীরব বিক্ষোভ’ করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ খান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের নায্য দাবির সমর্থনে ঢাকা থেকে সিলেটে লংমার্চের ডাক দেয়া হয়েছে।
‘বিবেকবান নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
মঙ্গলবার বিবেকবান নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাবিপ্রবি'র উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলছে। দীর্ঘ অনশনে অনেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের কেউ অনশন ভাঙেননি। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট কেউ শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে এগিয়ে আসেননি। তাদের দাবি পূরণে আশ্বাসও দিতে দেখা যায়নি। এভাবে টানা অনশনে ছাত্র-ছাত্রীরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছেন। এভাবে চলতে পারে না। শিক্ষার্থীরা জীবন বিপন্ন করে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন, আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
এমন পরিস্থিতিতে আজকের মধ্যে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ না করলে আগামীকাল বুধবার ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে।বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব বিবেকবান মানুষকে লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।ছাত্র-শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, খেলোয়াড় এবং শ্রমজীবীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে লংমার্চ সফল করা হবে।বিবেকবান নাগরিক সমাজের পক্ষে বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, কবি ও লেখক রাখাল রাহা এবং সাংবাদিক এহসান মাহমুদ।
লংমার্চ কর্মসূচি উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসির বাসায় খাবার নিতে বাধা, শাবিপ্রবিতে অনশন অব্যাহত
শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা এবং সকল পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষাথীরা। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী আবু সুফিয়ান রাসেল, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ঈশিতা, ফয়সল আহমেদ ও রুবেল মজুমদার।
বক্তারা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ চালু থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু থাকবে না কেন? বাণিজ্য মেলা যদি চলতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন পরীক্ষা হবে না।
পরীক্ষা বন্ধের কারণে ২৮ লাখ শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হওয়া পরীক্ষার দাবিতে সড়কে শিক্ষার্থীরা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেনের ছয়টি অ্যাকাউন্ট বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির যেকোনো কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা যৌথ উদ্যোগে তহবিল গঠন করে থাকেন। এ আন্দোলনেও সেভাবেই অর্থ সংগ্রহ চলছিল।
তবে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এসব নম্বরে আর কোনো লেনদেন করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
রকেট, নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মোট ছয়টি অ্যাকাউন্ট থেকে তারা কোনো লেনদেন করতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীদের মেডিকেল সাপোর্ট বন্ধ
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মেডিকেল সাপোর্টও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যে মেডিকেল টিম উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছিলেন, তারাও সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের এক মুখপাত্র আরিফুল ইসলাম চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, 'অনশনরত শিক্ষার্থীদের সবার অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। তারা সবাই খিঁচুনি, ব্লাডে অক্সিজেন ও সুগার লেভেল কমে যাওয়া, ব্লাড প্রেশারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় পড়ছেন। তারা অর্গান ড্যামেজের ঝুঁকিতে আছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
শাবিপ্রবি: উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের অনশন ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে। রবিবার বিকালে নতুন করে এই কর্মসূচিতে আরও চার শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭-এ।
এদিকে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসবভন ঘেরাও করে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় উপাচার্যের বাসভবন, গেস্টহাউজ, শিক্ষক ডরমিটরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ডরমিটরিতে থাকা শিক্ষকদের পাশাপাশি গেস্টহাউজে থাকা করোনা ল্যাবে কাজ করা ভলান্টিয়াররাও সমস্যা পড়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের সামনে মানব-শেকল তৈরি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, পুলিশ ব্যতিত কাউকে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে সাত শিক্ষার্থীকে ক্যানোলার মাধ্যমে লিকুইড স্যালাইন ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি দেয়া হচ্ছে। বাকি ১২ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পানিসহ কোনো ধরনের তরল খাদ্য গ্রহণ করছেন না। যার ফলে অনেকেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন। তবে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কেউ অনশন ভাঙবেন না।
আরও পড়ুন: সরকারকে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান শিক্ষক সমিতির