শিক্ষা
আগামী বছরের পাবলিক পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এখন যে পাবলিক পরীক্ষা নিতে দেরিটা হয়েছে, পরবর্তীতে তা সমন্বয় করা হবে। কাজেই কারও অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ। আগামী বছরের যে সব পাবলিক পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলো একেবারে যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এ বছরের মতো এত দেরি হবে না।’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে এই সিদ্ধান্তটি হওয়ার পরে আপনাদের কী মনে হয়? আমাদের ২২ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার সুযোগ ছিলো। এখনও তো দেশের প্রতিটি জেলায় ফাইজারের টিকা দেয়ার মত অবস্থা নেই। কাজেই আমরা চেষ্টা করছি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে কিভাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে দিতে পারি। যেহেতু আমাদের সব জেলায় টিকা দেয়ার মত অবকাঠামো নেই, তারপরেও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা: আটক ৩
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে করোনার ফাইজার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার শহরের বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান।
এই সময় সিভিল সার্জন মো. একরামউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়া শুরু
জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ১৬ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ ফাইজার টিকা দেয়া হবে। পরীক্ষার পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি সোমবার সংসদে বলেছেন, দেশের ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪) এর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৪১০টি শিক্ষকের পদ শূন্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৬টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১৪টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় ৩১০টি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০৩টি শূন্য পদ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ২৪২টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৩টি, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, ১৩১টি, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩১, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৭ টি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১৪টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৬টি শূন্য পদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
৫০টিরও বেশি শূন্য পদে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ অনুযায়ী, দুই লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৮ জন ছেলে এবং এক লাখ চার হাজার ৫৯৯ জন মেয়ে শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সনদ কেন্দ্রিক ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৭ এবং ২৩১ জন।
তবে ইউজিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী
ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ২.৫৬ শতাংশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দুই দশমিক ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।
এ সময় চারুকলা অনুষদের ডিন ও ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ‘চ’ ইউনিটের ১৩৫টি আসনের বিপরীতে ১০ হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ২৫৮ জন শিক্ষার্থী সমন্বিতভাবে (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ রবিবার
শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস এর মাধ্যমেও জানতে পারবেন।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য জন্য শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে ১৬ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে চারুকলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করতে পারবেন।
এ বছর ‘চ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান পর্ব ৯ অক্টোবর এবং অঙ্কন পর্ব ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
জাবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
সারাদেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার শুরু হয়েছে এবং পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।
সাধারণত প্রতি বছর এ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় এবং ২৭ সেপ্টেম্বর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর আগের বছর এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বিদায় সভা
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গ্রুপ ভিত্তিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া বিদেশ থেকে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ৬৭৯টি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধ করতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারি করা হবে। যদি কোনো আইডিকে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
১৩ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
বিশেষ পরীক্ষার দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু রবিবার
সারাদেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার থেকে শুরু হবে এবং পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।
সাধারণত প্রতি বছর এ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় এবং ২৭ সেপ্টেম্বর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর আগের বছর এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গ্রুপ ভিত্তিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া বিদেশ থেকে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ৬৭৯টি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধ করতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারি করা হবে। যদি কোনো আইডিকে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
১৩ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫
ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ রবিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রকাশ করা হবে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।
শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস এর মাধ্যমেও জানতে পারবেন।
এর আগে ৯ অক্টোবর ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৩৫টি আসনের বিপরীতে ১৫ হাজার ৪৯৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ,পাসের হার ১০.৭৬
কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামী শনিবার (১৩ নভেম্বর) চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিতব্য হবে।
বৃহস্পতিবার খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা ‘ক’ ও ‘খ’ দুইটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হবে। ‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ও ‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
চুয়েট ক্যাম্পাসে ৫০০০১-৫৭৪৫৫ ও ৫৮৫০১-৫৯৫৪৫, কুয়েট ক্যাম্পাসে ৬০০০১-৬৬৯৬৩ ও ৬৮৫০১-৬৯৪৮৪ এবং রুয়েট ক্যাম্পাসে ৭০০০১-৭৮১৯২ ও ৭৮৫০১-৭৯৫০৮ রোলধারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৬৪৭ জন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগে ১২০ জন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ১২০, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগে ১২০, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ১২০, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগে ৬০, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগে ৬০, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগে ৬০, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগে ৬০, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্লানিং (ইউআরপি) বিভাগে ৬০, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগে ৬০, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগে ৩০, আর্কিটেকচার (আর্ক) বিভাগে ৪০, ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (এমএসই) বিভাগে ৬০, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগে ৩০, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএইচই) বিভাগে ৩০, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (এমটিই) বিভাগে ৩০ ও সংরক্ষিত (ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীদের এবং চট্রগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলার অধিবাসীদের জন্য) ৫টি আসনসহ ৩টি অনুষদের অন্তর্গত ১৬টি বিভাগে সর্বমোট ১০৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু চবির ভর্তি পরীক্ষা, থাকছে বিশেষ শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা
অপর দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নির্ধারিত আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্যাবলী kuet.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
জাবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্মাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট ((juniv-admission.org)-এ এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ডি ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ৩২০ টি। এর মধ্যে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথকভাবে ১৬০ টি করে আসন রয়েছে। মেধাক্রম অনুযায়ী মোট আসন সংখ্যার দশগুণ শিক্ষার্থীদের ফলাফল পিডিএফ ফাইল আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পৃথকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভর্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, এবছর ‘ডি’ ইউনিটে ৩২০ টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬৯ হাজার ২২৬ টি। সে হিসেবে প্রতিটি সিটের বিপরীতে ২১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা: নওফেল
জাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
রাশিয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বিদায় সভা
রুশ ফেডারেশন সরকার প্রদত্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত রুশ ফেডারেশনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০২০-২০২১ সালে নির্বাচিত সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার রাশিয়ান হাউসে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতোভ উচ্চ শিক্ষার গন্তব্য হিসেবে রাশিয়াকে বেছে নেয়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঠিক সিদ্ধান্তের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালু হচ্ছে রাজশাহীতে
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তারা অবশেষে রাশিয়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। তাদের সবার জন্য তার শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে সোভিয়েত/রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্নাতক দেশে ও বিদেশে মর্যাদাপূর্ণ এবং ভালো বেতনের চাকরি পেয়েছেন যারা এখন উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।’
এ সময় সভায় বলা হয়, মহামারির করোনা কারণে প্রায় অনেক দিন লকডাউন ছিল।
বৈঠকে বাংলাদেশস্থ রুশ ফেডারেশনের দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর মিসেস একাতেরিনা এ. সেমেনোভা এবং সেকেন্ড সেক্রেটারি মিখাইল ভি. কাত্সুরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
এর মধ্যে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রাশিয়ায় তাদের থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কিছু দিক সম্পর্কেও কথা বলেন।