���������������������
বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে পদদলিত ও হিট স্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরি থেকে নামার সময় পৃথক ঘটনায় পদদলিত ও হিট স্ট্রোকে পাচঁজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ দুপুরে পৃথক ঘটনায় এ দুটি ঘটনা ঘটে।
বাংলা বাজার ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, শাহ পরাণ ও এনায়েতপুরী ফেরিতে পদদলিত ও হিট স্ট্রোকে পাচঁজনের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, এনায়েতপুরী ফেরি বাংলা বাজার ঘাটে নামার সময় পদদলিত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আজও ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, বাংলা বাজার ঘাটে শাহ পরাণ ফেরি থেকে যাত্রী নামার সময় আনচুর (১৫) নামে একজন পদদলিত হয়ে মারা যান। তিনি শরিয়তপুরের নড়িয়ার কালিকা প্রসাদ গ্রামের গিয়াসউদ্দিন মাদবরের ছেলে।
এদিকে বুধবার ঢাকা আরিচা মহাসড়কের টেপরা এলাকা থেকে বানিয়াজুরি পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও হাজার হাজার যাত্রীদের কারণে যানজট তৈরি হয়েছে।
যাত্রীরা রিকশা, ভ্যানে চড়ে ও পায়ে হেটে ঘাট এলাকায় আসছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিশু, নারী, পুরুষসহ নানা বয়সী যাত্রীরা। এসব যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছেই অনায়াসে ফেরিতে ওঠতে পারছে।
ফেরি কর্তৃপক্ষ জানায়, এই নৌরুটের ১৭টি ফেরিই চলাচল করছে। রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাট থেকে খালি ফেরি ছাড়া হচ্ছে পাটুরিয়ার উদ্দেশে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার যাত্রী ৮০০ এর মত ছোট যানবাহন অর্থাৎ ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করা হয়েছে।
গণপরিবহন না থাকায় এবং সবগুলো ফেরি সচল থাকায় যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে ফেরি কর্তৃপক্ষ।
মিতু হত্যা: বাবুল আক্তার ৫ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশের এসপি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে তোলার পর তাকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বাবুলের আইনজীবী আনিসুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার মিতুকে হত্যার অভিযোগ তুলে বাবুল আকতারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এতে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মিতুকে হত্যার অভিযোগ আনেন তিনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাবুল আক্তারকে এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সাথে আগের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কিলিং মিশনের সদস্য মুসা, কালু, অস্ত্র সরবরাহকারী এহেতাশামুল ভোলা, তার সহযোগী মুনীর, মোটর সাইকেল সরবরাহকারী সাইদুল আলম সিকদার ওরফে সাক্কু, শাহজাহান, আনোয়ার এবং ওয়াসিমকে আসামি হিসাবে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই
বাবুল আকতারের নির্দেশে মুসা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার পাশাপাশি কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দিলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তার খোঁজ পায়নি। আরও দু’জন আগেই পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিল। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতার চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের সময় মুসা ছিল তার বিশ্বস্ত সোর্স। মিতু হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার তাকে ফোন এবং এসএমএস দিয়েছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে পিবিআই।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আকতারসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান, মিতু হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ জন্য নতুন একটি মামলায় তাকে আসামি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘মিতু হত্যায় বাবুল আকতারের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। তবে আইন অনুযায়ী পুলিশ চাইলেই মামলার বাদীকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। তাই আমরা আজ তদন্তাধীন মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’
ব্রিফিংয়ের পরপরই চট্টগ্রাম আদালতে বাবুল আকতারের করা মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পিবিআই। পিবিআই চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক আজমির হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর পর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করতে পৌঁছান মিতুর বাবা মোশাররফ।
পিবিআই জানায়, মিতু হত্যায় বাবুলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে এরই মধ্যে বাবুলের দুই বন্ধু গাজী আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তার ৫ দিনের রিমান্ডে
থানায় মামলা করতে আসা বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যে কারণে বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে সেই কারণে আমিও চট্টগ্রামে। আমার মেয়ের খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তার যে জড়িত সেটা আগেই আমি উত্থাপন করেছিলাম।
মঙ্গলবার রাতে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পিবিআই। এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাসহ পিবিআইয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাচঁলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ তার স্বামী বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে এএসপি থাকাকালে জঙ্গি বিরোধী অপারেশনে পুলিশের প্রথম সারির কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাবুল আক্তার ও মিতুর পরকীয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয় গণমাধ্যমে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যও নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
হত্যাকাণ্ডের বছরখানেক পর থেকেই মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর একটি মাজারের খাদেম আবু নছর ওরফে গুন্নু ও শাহজামান ওরফে রবিন নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন। হত্যকাণ্ডের ২০ দিন পর তদন্ত ভিন্নখাতে মোড় নেয়।
২০১৬ সালের ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। পরে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর নানা গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়।
এসময় পুলিশ জানায়, বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছেন বাবুল আক্তার।
তবে বাবুল আক্তারের দাবি ছিল, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তিনি। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিতু হত্যার ২১ দিন পর ২৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয় ওয়াসিম ও আনোয়ারকে। আদালতে জবানবন্দি দেন তারা। এরপর বেরিয়ে আসে হত্যায় জড়িতদের তথ্য। জবানবন্দিতে তারা জানান মুছার নেতৃত্বে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান ও মো. কালু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। অস্ত্র সরবরাহ করেন এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।
তবে কী কারণে, কার নির্দেশে তারা হত্যায় অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে কোন তথ্য দেননি। একই বছরের ৪ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নবী ও রাশেদ। মুছা ও কালুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মুছাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
২০১৬ সালের ২২ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ মুছাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন তার স্ত্রী পান্না আক্তার। এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে পুলিশ।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আজও ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় থাকলেও যাত্রী দুর্ভোগ নেই। যাত্রীরা অনায়াসে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।
তবে বুধবার ঢাকা আরিচা মহাসড়কের টেপরা এলাকা থেকে বানিয়াজুরি পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেড়ল ও হাজার হাজার যাত্রীদের কারণে যানজট তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার ১ম ডোজের টিকাদান সোমবার থেকে স্থগিত
যাত্রীরা রিকশা, ভ্যানে চড়ে ও পায়ে হেটে ঘাট এলাকায় আসছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিশু, নারী, পুরুষসহ নানা বয়সী যাত্রীরা। এসব যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছেই অনায়াসে ফেরিতে ওঠতে পারছে।
আরও পড়ুন: ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করার নির্দেশ
ফেরি কর্তৃপক্ষ জানায়, এই নৌরুটের ১৭টি ফেরিই চলাচল করছে। রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাট থেকে খালি ফেরি ছাড়া হচ্ছে পাটুরিয়ার উদ্দেশে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার যাত্রী ৮০০ এর মত ছোট যানবাহন অর্থাৎ ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করা হয়েছে।
গণপরিবহন না থাকায় এবং সবগুলো ফেরি সচল থাকায় যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে ফেরি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় বুধবার সকাল থেকেই মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী আসছেন ঘাট এলাকায়। মানিকগঞ্জের প্রবেশ মুখে মহাসড়কের বারবারিয়া ও সিংগাইরের ধল্লা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অন্য জেলার যানবাহনগুলো ঠেকিয়ে দেয়া হচ্ছে। যার কারণে হাজার হাজার যাত্রী পায়ে হেঁটে ঘাটের দিকে যাচ্ছেন।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাপ কমে গেলে ফেরিঘাট ফাঁকা হয়ে যাবে বলে আশা করছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।
শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত খুলনা নগরবাসী
খুলনা মহানগরী জুড়ে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। পাশাপাশি জেলা উপজেলা পর্যায়ের সব ধরনের মার্কেটে রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
প্রতিটি মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে দেখা গেছে ঈদের আমেজ। সব দোকানেই প্রচুর ক্রেতার সমাগম।
দেশি পোশাকের পাশাপাশি চীন, জাপান, কোরিয়ান প্যান্ট ও শ্যার্ট পিস, পাঞ্জাবি এবং ভারতীয় থ্রি পিসে বাজার সয়লাব।
নগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতানগুলোতে বেচা বিক্রিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। সবজায়গাতেই পুরুষের চেয়ে মহিলাদের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। ভিড়ের কারণে শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত টাউন মসজিদে সকাল ৮টায়
তবে অভিযোগ রয়েছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা পোশাক বিক্রি করছেন ক্রয় মূল্যের থেকে দুই/তিন গুণ বেশি দামে।
ক্রেতা তাসনুবা বেগম ইউএনবিকে বলেন, একদিন আগে যে থ্রি পিসের মূল্য চেয়েছে ১৫০০ টাকা। একদিন পরে একই থ্রি পিসের মূল্য চাচ্ছে ২৫০০ টাকা। তাছাড়া ছোটদের পোশাকের দামও অনেক বেশি নিচ্ছে। এতে করে আমরা যারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ তারা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। তাছাড়া বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে দোকানিরা সাধারণ ক্রেতাদের কোন মূল্যায়ন করছে না। সামান্য দামও কম নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন দোকানিরা।
দেখা য়ায় নগরীর বিভিন্ন শপিংমল ও বাজার, মোড়ের সামনে ভ্রাম্যমাণ পোশাক বিক্রেতারা ভ্যানে করে প্যান্ট, টিশার্ট, জামাসহ বিভন্ন পোশাক সাজিয়ে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি এ সব পোশাকের মূল্যও নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। অনেক ক্রেতাই সেই সব হকারদেরকে ঘিরে ধরে পোশাক পছন্দ করছে। তবে এই নির্ধারিত পোশাকগুলো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে। সর্বোচ্চ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। তবে প্রকার ভেদে প্যান্টের দাম একটু বেশি, সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনায় কর্মজীবী নারীদের ঘরে নেই ঈদ আনন্দ!
ক্রেতা মো: কামাল পারভেজ বলেন, ‘সামান্য আয়ের মানুষ আমরা। তাছাড়া চলমান লকডাউনে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পরও বছরে একটা ঈদের সময়ে সন্তানদের পোশাক তো দিতে হবে। মার্কেটের ভিতরে দোকানগুলোতে একই পোশাক দুই/তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই এই হকার পোশাক ব্যাবসায়ীর নিকট থেকে ক্রয় করছি। এই পোশাকের মান ভাল। বিশেষ করে আমরা যারা নিম্ন-আয়ের মানুষ তাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।’
পোশাক বিক্রেতা আরিফ ফ্যাসানের মালিক শৈকত বলেন, এ বছর হঠাৎ করোনা ও চলমান লকডাউনের কারণে আমরা চাহিদা অনুযায়ী পোশাক আমদানি করতে পারিনি। আমার দোকানে মহিলাদের পোশাকের কালেকশন বেশি যেমন জামদানী, কাতান, সিল্ক, হাফ। ফ্লোর টাচ, লং ফ্রক, লং কামিজ, কটকটি ড্রেস বেশি চলছে। সব পোশাকের মূল্য স্বাভাবিক আছে। তবে কিছু কিছু দোকানদাররা বেশি দামে পোশাক বিক্রি করছে। এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাত শুরু সকাল ৭টায়
এছাড়া খোলা কাপড়ের দোকানে মেয়েরা পছন্দ মতো কাপড় কিনে দর্জি দোকানে বিভিন্ন মডেলের পোশাক তৈরি করছে। ইতিমধ্যে দর্জি দোকানগুলোতে অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় দর্জি ব্যাবসায়ী শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমার এখানে অনেকেই জামা তৈরি করতে এসেছেন। তবে অর্ডার নিতে পারছি না। কারণ সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিতে পারবো না। অনেককে ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন ডেলিভারি দিতে হবে।
তবে এতো সবের মধ্যেও, কোথাও করোনার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মনোভাব দেখা যায়নি। বিপণিবিতানগুলোতেও তেমন স্বাস্থ্য সচেতনতা পরিলক্ষিত হয়নি।
রাজধানীতে ৬০ লাখ টাকার হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ১
রাজধানীর আদাবর থানা এলাকা থেকে বালিশের ভিতরে লুকিয়ে আনা ৬০ লাখ টাকা মূল্যের হেরোইনসহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।
বুধবার র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এক জনকে আটক করে বলে র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন আন্তঃজেলা মাদক কারবারী চক্রের সদস্য মো: সোহেল (২৭)।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে হেরোইনসহ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ আটক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী চক্রের সদস্য মাদকের একটি বড় চালান হস্তান্তরের উদ্দেশে অবস্থান করছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোর ৫টায় আদাবর থানাধীন বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন আন্তঃজেলা মাদক কারবারী চক্রের সদস্য মো: সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৬৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ আটক ২
এসময় তার সাথে থাকা বিছানাপত্র তল্লাশি করে বালিশের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে আনা ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাধারণ মানুষ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিছানাপত্র নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে। আর মাদক ব্যাবসায়ীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে এমন ছদ্মবেশের আড়ালে মাদক পরিবহন করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইনসহ আটক ১
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সোহেল দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা হতে মাদক বহন নিয়ে আসে এবং তা রাজধানীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়।
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ নিহত ২
গাজীপুরে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় র্যাব-৪ এর এক সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন তিন র্যাব সদস্যসহ এক মোটর মেকানিক।
বুধবার সকালে ঢাকা থেকে শ্রীপুর যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ পোশাক শ্রমিক নিহত
নিহত মো. খায়রুল ইসলাম র্যাব-৪ এর সদস্য বলে জানিয়েছেন সাথে থাকা র্যাবের এসআই রাকিব। এই দুর্ঘটনায় লিটন মিয়া নামের এক মোটর মেকানিক মারা গেছেন।
আহত হয়েছেন গাড়িতে থাকা র্যাব-৪ সদস্য সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম, সৈনিক মো: আতিক, কর্পোরাল প্রদীপ কুমার ও মিস্ত্রী রিফাত (২০)। আহতদের বিশেষ হেলিকপ্টারে করে গাজীপুরের শ্রীপুরের হাসপাতাল থেকে দ্রুত ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এসআই রাকিব ইউএনবিকে জানান, বুধবার সকালে ঢাকা থেকে শ্রীপুর যাওয়ার পথে র্যাব-৪-এর মাইক্রোবাসটি গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় গিয়ে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে স্থানীয় মেকানিক রিফাত ও লিটনকে ডেকে নিয়ে মেরামত করা হচ্ছিল। এসময় পেছন থেকে অপর একটি দ্রুত গতির মাইক্রোবাস র্যাব-৪ এর গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িতে থাকা চার র্যাব সদস্য ও দুই মেকানিক গুরুতর আহত হন। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খায়রুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ সহোদরসহ নিহত ৩
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামার হোসাইন জানান, আহতদের স্থানীয় আল হেরা মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকাল পৌনে ১১টার দিকে দু’টি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার সিএমএইচ-এ নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে র্যাবের কোনও কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশের চাকরিচ্যূত সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে এবার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার মামলা দায়ের করেছে মিতুর পরিবার।
বুধবার দুপুরে নিহত মিতুর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন সিএমপির পাচঁলাইশ থানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, নিহত মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন মিতু হত্যার মামলা করেছেন। এতে বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দল বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের হেফাজতে নেয়ার কথা জানান। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পর বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানায় পিবিআই’র একটি সূত্র।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই
পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বাদী ছিলেন স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। তদন্তে তার বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মিতু হত্যার আগের মামলার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই। হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারকে আসামি করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে তোলা হবে।
এদিকে থানায় মামলা করতে আসা বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যে কারণে বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে সেই কারণে আমিও চট্টগ্রামে। আমার মেয়ের খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তার যে জড়িত সেটা আগেই আমি উত্থাপন করেছিলাম। এবার তার বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি।
মঙ্গলবার রাতে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পিবিআই। এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাসহ পিবিআইয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাচঁলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ তার স্বামী বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে এএসপি থাকাকালে জঙ্গি বিরোধী অপারেশনে পুলিশের প্রথম সারির কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাবুল আক্তার ও মিতুর পরকীয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয় গণমাধ্যমে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যও নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
হত্যাকাণ্ডের বছরখানেক পর থেকেই মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর একটি মাজারের খাদেম আবু নছর ওরফে গুন্নু ও শাহজামান ওরফে রবিন নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন। হত্যকাণ্ডের ২০ দিন পর তদন্ত ভিন্নখাতে মোড় নেয়।
২০১৬ সালের ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। পরে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর নানা গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়।
এসময় পুলিশ জানায়, বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছেন বাবুল আক্তার।
তবে বাবুল আক্তারের দাবি ছিল, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তিনি। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে শিশু হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
মিতু হত্যার ২১ দিন পর ২৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয় ওয়াসিম ও আনোয়ারকে। আদালতে জবানবন্দি দেন তারা। এরপর বেরিয়ে আসে হত্যায় জড়িতদের তথ্য। জবানবন্দিতে তারা জানান মুছার নেতৃত্বে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান ও মো. কালু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের মৃত্যুদণ্ড
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। অস্ত্র সরবরাহ করেন এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।
তবে কী কারণে, কার নির্দেশে তারা হত্যায় অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে কোন তথ্য দেননি। একই বছরের ৪ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নবী ও রাশেদ। মুছা ও কালুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মুছাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
২০১৬ সালের ২২ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ মুছাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন তার স্ত্রী পান্না আক্তার। এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে পুলিশ।
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ পোশাক শ্রমিক নিহত
বরিশালের গৌরনদীতে বাস ও থ্রি হুইলার (মাহিন্দ্রা) সংঘর্ষে ২ পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি এ দুর্ঘটনায় থ্রি হুইলারের চালক ও ১ যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠি এলাকার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া এলাকার বাসিন্দা আলামিন (৩২) ও বরিশালের এয়ারপোর্ট থানাধীন গজালিয়া এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান (৩৪)।
আরও পড়ুন:তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাসহ নিহত ৪
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামে গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন নিহত ও আহত যাত্রীরা। ঈদের ছুটি কাটাতে বিভিন্ন পথে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসতে থাকেন তারা। মাদারীপুর থেকে মাহিন্দ্রায় বরিশালে আসার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে গেল কলেজছাত্রীর জীবন প্রদীপ
বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া জানান, বাসটি বরিশাল থেকে মাদারীপুরের দিকে যাচ্ছিলো আর মাহিন্দ্রাটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় দু’টি বাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মাহিন্দ্রার ওই ২ যাত্রী নিহত হন। এছাড়া মাহিন্দ্রার চালকসহ বরিশালের এয়ারপোর্ট থানাধীন গজালিয়া এলাকার ফোরকান নামে অপর ১ যাত্রী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫০
তিনি আরও বলেন, চালককে পাওয়া না গেলেও আহত ফোরকানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বাসটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়াকে জেলা প্রশাসকের ঈদ উপহার
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈলে ৭১ এর বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়াকে ঈদ উপহার দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এই ঈদ উপহার তার হাতে তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়া ও তার সন্তান সুধীরকে ঈদ সামগ্রী, কাপড় ও নগদ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির পর মাথা গোজার ঠাঁই পেলেন মায়া রানী
জেলা প্রশাসক জানান, এর আগেও বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়াকে বাড়ি, আর্থিক সহায়তা, তার সন্তানের জন্য একটি ইজিবাইক এবং সরকারি সব রকমের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাপড়া ঘরে বীরাঙ্গনা চারুবালার বসবাস, দেখতে গেলেন ওসি
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম আরও বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজেদের সম্মান বিসর্জন দিয়েছেন, এদেশকে স্বাধীন করতে অবদনা রেখেছেন, তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের পাশে আমরা সর্বদা আছি। সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা বীরাঙ্গনারা পাবেন।
ঈদ উপহার পেয়ে জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান টেপরি বেওয়া।
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচারা দিয়েছে: তোফায়েল
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা।
মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পিবিআই
চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার বাবুল আক্তারকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পিবিআই। এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাসহ পিবিআইয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করছে পিবিআই।
পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘তিনি (বাবুল) আগেও পিবিআইতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পিবিআইতে গেছেন। মামলার বাদী হিসেবে উনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের রুলিং আছে, এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।’
তবে পিবিআইয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে হাজির হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে শিশু হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘উনি মামলার বাদী। আমরা যেহেতু মামলা তদন্ত করছি, উনি অগ্রগতি জানতে আমাদের কাছে এসেছিলেন।’
বাবুলকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুযোগ নেই।’
তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার কোনও তথ্যপ্রমাণ বা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বলতে পারছি না। হাইকোর্টের রুলিং আছে।’
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাচঁলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ কারাগারে বন্দিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ তার স্বামী বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে এএসপি থাকাকালে জঙ্গি বিরোধী অপারেশনে পুলিশের প্রথম সারির কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাবুল আক্তার ও মিতুর পরকীয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয় গণমাধ্যমে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যও নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
হত্যাকাণ্ডের বছরখানেক পর থেকেই মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন দাবি করে আসছিলেন, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে তার মেয়ে মিতুকে খুন করা হয়েছে।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর একটি মাজারের খাদেম আবু নছর ওরফে গুন্নু ও শাহজামান ওরফে রবিন নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। হত্যকাণ্ডের ২০ দিন পর তদন্ত ভিন্নখাতে মোড় নেয়।
২০১৬ সালের ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। পরে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর নানা গুঞ্জন ডালপালা ছড়ায়।
এসময় পুলিশ জানায়, বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছেন বাবুল আক্তার।
তবে বাবুল আক্তারের দাবি ছিল, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তিনি। নানা নাটকীয়তা শেষে ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিতু হত্যার ২১ দিন পর ২৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয় ওয়াসিম ও আনোয়ারকে। আদালতে জবানবন্দি দেন তারা। এরপর বেরিয়ে আসে হত্যায় জড়িতদের তথ্য। জবানবন্দিতে তারা জানান মুছার নেতৃত্বে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো: রাশেদ, নবী, মো: শাহজাহান ও মো: কালু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। অস্ত্র সরবরাহ করেন এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।
তবে কী কারণে, কার নির্দেশে তারা হত্যায় অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি। একই বছরের ৪ জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নবী ও রাশেদ। মুছা ও কালুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে মুছাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
২০১৬ সালের ২২ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ মুছাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন তার স্ত্রী পান্না আক্তার। এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে পুলিশ।