যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধটি কোভিড-১৯-এর জন্য অনুমোদিত হয়নি। তবে এ ওষুধ ব্যবহারে রোগীরা অন্তত পাঁচ দিন আগে সুস্থ হয়ে উঠছে বলে পূর্ববর্তী এক গবেষণায় বলার পর শুধুমাত্র জরুরি ব্যবহারের জন্য রেমডেসিভিরের অনুমোদন দেয়া হয়।
যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এ ওষুধ অনুমোদিত হয়েছে এবং চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসায়ও রেমডেসিভির ব্যবহার করা হয়।
ডব্লিউএইচও’র গবেষণার জন্য বিশ্বের ৩০ দেশে হাসপাতালে থাকা ১১ হাজার ২৬৬ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর ওপর চারটি ওষুধের পরীক্ষা চালানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখন পর্যন্ত যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে এ চারটি ওষুধের একটিও কোভিড রোগীর মৃত্যু ঠেকাতে বা হাসপাতালে থাকার সময়ের ওপর প্রভাব রাখে।
ফলাফলগুলো কোনো জার্নালে প্রকাশিত হয়নি বা স্বতন্ত্র বিজ্ঞানীরাও পর্যালোচনা করেননি। এটি একটি সাইটে পোস্ট করা হয়েছে যেটি গবেষকরা দ্রুত গবেষণার ফলাফল শেয়ার করতে ব্যবহার করেন।
করোনাভাইরাসের বিভিন্ন চিকিৎসা গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্টিন ল্যান্ড্রে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রেমডেসিভির কোভিড-১৯ রোগীদের বেঁচে থাকায় কোনো অর্থবহ প্রভাব ফেলে না এটি একটি বড় বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি ওষুধ যা ৫ থেকে ১০ দিনের জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হয় এবং কোর্স প্রতি এর খরচ আড়াই হাজার ডলারের বেশি। কোভিড বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ এবং তাদের পরিবারকে প্রভাবিত করছে। আমাদের সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং যথার্থ চিকিৎসার প্রয়োজন।’
এদিকে, ওষুধটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত এ গবেষণার দাবি প্রত্যাহার করেছে।
তবে ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র ডা. মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘এ গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টউট অব হেলথ’র গবেষণার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী কারণ ডব্লিউএইচও’র গবেষণায় অনেক বেশি মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে।’