এ চুক্তি স্বাক্ষরের মূল উদ্দেশ্য হলো জয়েন্ট কমিশন গঠন করে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ইরোপিয়ন ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত বছর উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমান ছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। উভয় দেশের বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উভয় দেশের মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
চেক প্রজাতন্ত্রের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশে পাওয়ার জেনারেশন, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ, আইসিটি, পাটজাত পণ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী স্লোভেনিয়া সফর করেন এবং ‘ওয়াল্ড বি ডে’ প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি স্লোভেনিয়ার কৃষি, বন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মিস আলেকজেন্ডার পিভেক)এর সাথে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রী স্লোভেনিয়ার পোর্ট অফ কোপার পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের সাথে আমদানি ও রপ্তানি ক্ষেত্রে এ পোর্ট ব্যবহারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ট্রেড এন্ড ইকোনমিক বিষয়ের উপর জয়েন্ট কমিশন গঠিত হবে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নিয়মিত ভাবে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী করণ এবং বাজার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
গত ১৭ মে অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন, তিনি আগামী ২৩ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।