পাকিস্তান
ঢাকা টেস্টের আগে জাতীয় দলে যোগ দিচ্ছেন সাকিব
৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সাকিব কয়েকদিন আগে একাই অনুশীলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পরই জাতীয় দলে যোগ দিতে পারবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের সাথে অনুশীলন করে পরে টিম হোটেলে যোগ দেন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে সাকিব ২৯ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা টেস্ট থেকে বাদ সাইফ হাসান
লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত পারফরমেন্স সত্ত্বেও চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আট উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। লিটন দাশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, মুশফিকের ৯১ এবং বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের সাত উইকেট শিকারেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টে অতিরিক্ত বোলার না থাকায় ভুগতে হয়েছে স্বাগতিকদের। সেই ঘাটতি হয়তো সাকিবের উপস্থিতিতে ভালোভাবেই মেটানো যাবে। এছাড়া ব্যাটিংয়ের জন্যও দারুণ বিকল্প হতে পারেন তিনি।
ঢাকা টেস্ট স্কোয়াডে বাংলাদেশ দলে নতুন ডাক পেয়েছেন মোহাম্মদ নাইম, রেজাউর রহমান রাজা, শহিদুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়।
তবে সম্প্রতি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসানকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে। তার বদলি হিসেবে কাউকে দলে ডাকেনি বিসিবি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
এছাড়া সাকিবের পাশাপাশি ঢাকা টেস্টের জন্য তাসকিন আহমেদকেও দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ। ডানহাতি এই পেসার টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন, কিন্তু চোটের কারণে প্রথম টেস্ট থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি।
এই সিরিজের পর দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে ৯ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল।
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা টেস্ট থেকে বাদ সাইফ হাসান
জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় বাংলাদেশের ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসান পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবেন না। বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গণমাধ্যম বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ম্যাচে লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত খেলার পরও আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টকে সামনে রেখে ২০ সদস্য বিশিষ্ট দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সাইফ হাসান খেলতে না পারায় এখন সদস্য সংখ্যা ১৯।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
যে ভিডিও গেমগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলক
প্রযুক্তির বিকাশ ও সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমে সৃজনশীলতার চর্চার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাস সমৃদ্ধ জ্ঞান ক্রমাগত সহজলভ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গেমিংগুলো। বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নশীলতায় এক অমূল্য সংযোজন স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট। এতে বাংলাদেশি গেমের নিজস্বতার পাশাপাশি এ দেশের বাংলা ভাষাভাষি নতুন প্রজন্মের উপর প্রতিফলিত হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সরকারি পদক্ষেপের সাথে সাথে উল্লেখযোগ্য হারে বেসরকারি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমত প্রতিযোগিতা করে গেম তৈরি ও ক্রমান্বয়ে সেগুলোর মানোন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই ধরনের কয়েকটি গেম নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের ফিচারের আলোচ্য বিষয়বস্তু।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাতটি ভিডিও গেম
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান (Heroes of 71)
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান গেমটি মুক্তি পায় ২০১৫ সাল। গেমটির গেমপ্লে এবং বিশদ কাহিনী বিন্যাস প্রচন্ড গেমপ্রিয়দের পাশাপাশি যারা সাধারণত গেম খেলায় অভ্যস্ত নন তাদেরকেও সমানভাবে আকৃষ্ট করেছিল।
১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার বরিশাল বিভাগের একটি কাল্পনিক গ্রামকে কেন্দ্র করে গেমটির কাহিনী অগ্রসর হয়। গেমটির ইউজাররা গ্রামের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসাবে খেলতে পারে। গেমের খেলোয়াড়দের প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানি নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শিবিরকে রক্ষা করার জন্য একটি আউটপোস্টে নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
ব্যতিক্রমী আবহ সঙ্গীতের সাথে দারুণ গ্রাফিক্সের মেলবন্ধনে আকর্ষণীয় গেম হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান। শান্ত এবং নিরিবিলি গ্রামীণ ল্যান্ডস্কেপ এবং যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা গেমটিতে সুন্দরভাবে দৃশ্যায়ন করা হয়েছে।
দুর্দন্ত গেমপ্লে ও অত্যাশ্চর্য গ্রাফিক্সের কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইন্ডফিশার এর আরও দুটি সিক্যুয়াল বের করে।
হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান: রিটালিয়েশান (Heroes of 71: Retalliation)
২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ান: রিটালিয়েশান-ই হচ্ছে ২০১৫ সালের সেই হিরো’স অফ সেভেন্টি ওয়ানের দ্বিতীয় সংস্করণ। এর গেমপ্লে প্রথমটির চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বরং এখানে নতুন বৈশিষ্ট্য হিসেবে যুক্ত করা হয় একজন নারী চরিত্র। এটি ছিলো বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গেমে গেরিলা সদস্য হিসেবে প্রথম নারী চরিত্রের আবির্ভাব। পূর্বে যেখানে একমাত্র লক্ষ্য ছিল একটি ফাঁড়ি রক্ষা করা, এখানে তার জায়গায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে একাধিক মিশন।
আরও পড়ুন: সুবর্ণ আইজাক বারী: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘বিস্ময় বালক’
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ২০ সদস্য বিশিষ্ট দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৪ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে।
বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে দলে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া বামহাতি ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈম প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ আট উইকেটে হেরেছে। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ক’টি ম্যাচেই হারে টাইগাররা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), শাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, নাঈম হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাইম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়েছে সফররত পাকিস্তান। এর ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।
ম্যাচের পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯৩ রান। হাতে ছিল ১০ উইকেট। মাত্র নয় রানের জন্য দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করেন পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলী। তিনি এই টেস্টে ২২৪ রান করে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেন। অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিকও পাকিস্তানের নতুন টেস্ট ওপেনার হিসেবে জোড়া-ফিফটি করে লাইমলাইটে এসেছেন।
২০২ রানের লক্ষ্য দিলেও ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছে। আবিদ এবং আবদুল্লাহর ১৫১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
এই টেস্টের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে ছিল। প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের সঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের উপর ভর করে ৩৩০ রান করে স্বাগতিকরা। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করলে বাংলাদেশ ৪৬ রানের লিড পায়। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে মুমিনুলের দল। চতুর্থ দিনে আরও ১১৮ রান করে মোট ১৫৭ রানে অলআউট হলে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রান।
চতুর্থ দিনে কোনো উইকেট না হারিয়েই ১০৯ রান করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে প্রথম সেশনে দুই ওপেনারকে (আবিদ আলী ৯১ ও আব্দুল্লাহ শফিক ৭৩ রান) হারালেও বাবর আজম ও আজহার আলী জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মেহেদি ৩৮); হাসান ৫/৫১, ফাহিম ২/৫৪)
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস): ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬/১০ (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, ফাহিম ৩৮); তাইজুল ৭/১১৬, এবাদত ২/৪৭
বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ৫৬.২ ওভারে ১৫৭/১০ (লিটন ৫৯, ইয়াসির ৩৬*); শাহীন ৫/৩২, সাজিদ ৩/৩৩
পাকিস্তান (২য় ইনিংস) ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩); মেহেদী ১/৫৯, তাইজুল ১/৮৯
ফল: প্রথম টেস্টে পাকিস্তান আট উইকেটে জয়ী।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদুল্লাহ’র বিদায়
পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্টের চতুর্থ দিনে সোমবার বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৭ রান করেছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ লিড নিয়েছিল ৪৪ রান। সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল মুমিনুলের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের পক্ষে লিটন দাস ৫৯ এবং ইয়াসির আলী ৩৬ রান করেন। শাহীন আফ্রিদির বাউন্সারে মাথায় আঘাত পাওয়ার আগে ইয়াসির ভালোই ব্যাট করেছিলেন। বদলি হিসেবে নুরুল হাসান সোহানকে একাদশে যোগ করেছে বাংলাদেশ।
ইয়াসির মাঠ ছাড়ার পর মেহেদি হাসান ১১ এবং নুরুল হাসান ১৫ রান করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: ইয়াসিরের ‘কনকাশন সাব’ সোহান
এর আগে তৃতীয় তিন দিন শেষে ৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে শেষ ছয় উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান যোগ করে তারা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ৪৪ রান, সব মিলিয়ে ২০২ রানের লিড পেয়েছে তারা।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন শাহীন। এছাড়া সাজিদ খান তিনটি ও হাসান আলী দুটি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের অভিষেক সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহীমের ৯১ রানের ওপর ভর করে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে আবিদ আলীর ১৩৩ রানের সুবাদে ২৮৬ রান করে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: তাইজুলের ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান
চট্টগ্রাম টেস্ট: ইয়াসিরের ‘কনকাশন সাব’ সোহান
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতে অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলীর বদলি হিসেবে নুরুল হাসান সোহানকে একাদশে যোগ করেছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে পানি পানের বিরতির পর মাঠ ছাড়েন ইয়াসির। ইয়াসির আহত হয়ে ফিরে গেলে ব্যাট করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ ঘোষণা করে যে নুরুল হাসানকে কনকাশন সাব হিসেবে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শাহীন আফ্রিদির একটি ডেলিভারি হেলমেটের লাগার পর আরও এক ওভার খেলেন তিনি। কিন্তু পরে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেন নি। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাকে স্ক্যানের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: তাইজুলের ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান
আইসিসির আইন অনুসারে, কনকাশন রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে, একটি দল 'লাইক-ফর-লাইক রিপ্লেসমেন্ট' ফিল্ড করতে পারে। যার অর্থ একজন বোলার একজন বোলারকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং একজন ব্যাটার একজন ব্যাটারকে প্রতিস্থাপন করতে পারে।
এদিকে, চতুর্থ দিনের লান্স বিরতি পর্যন্ত ১৫৯ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আজ দিনের শুরুতে মুশফিককে হারায় তারা। এরপর মেহেদী মিরাজও ১১ রান করে ফিরে যান। লিটন এবং সোহান লান্স বিরতির পর আবার ব্যাটিং শুরু করবেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
চট্টগ্রাম টেস্ট: তাইজুলের ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে রবিবার চট্টগ্রাম টেস্টে সাত উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বিনা উইকেটে ১৪৬ রান করা পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ একটি নাটকীয় কামব্যাক করেছে। তৃতীয় দিনের দুই সেশনে ১৪০ রানে তাদের সবকটি উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষে ৪৪ রানের লিড নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের বিরতি শেষে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে তাইজুল ১১৬ রান দেন ৭ উইকেটে। টেস্ট ইনিংসে এটি ছিল তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং। তিনি ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রান দিয়ে আট উইকেট শিকার করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
দিনের প্রথম সেশনে, তাইজুল চারটি উইকেট নিলে বাংলাদেশ চার উইকেট লাভ করে এবং লাঞ্চ-পরবর্তী সেশনে, তারা পাকিস্তানের বাকি ছয়টি উইকেট তুলে নিয়ে অলআউট করে।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ রান করেন আবিদ আলী এবং অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিক করেন ৫২ রান। কিন্তু পরের চার ব্যাটসম্যান মাত্র ২৩ রান করেন এবং আজহার আলী শূন্য রানে ফিরে যান।
এর আগে টেস্টে লিটন দাসের প্রথম সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের সুবাধে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী পাঁচটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
চট্টগ্রাম টেস্ট: দ্বিতীয় দিন শেষে ১৪৫ রান পাকিস্তানের
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শনিবার দ্বিতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
আবিদ আলী ৯৩ রান এবং অভিষেক ম্যাচে ৫২ রান করে অপরাজিত আছেন আবদুল্লাহ শফিক। টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরি করতে আবিদ আলীর প্রয়োজন আর সাত রান।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়েছে ৭৭ রান যোগ করে। পরবর্তী সেশনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ যা করেছে পাকিস্তানও তাই করেছে। তবে পাকিস্তানের কোনো উইকেট পড়েনি।
বাংলাদেশ দুই পেস বোলার ও দুই স্পিন বোলারের সমন্বয়ে বোলিং অ্যাটাক সাজিয়েছে। এছাড়া অধিনায়ক মোমিনুল নিজেকে পঞ্চম বোলার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
ম্যাচে ফিরতে তৃতীয় দিনে যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানের সব উইকেট শিকার করতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে শুক্রবার প্রথম দিন শেষে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২৫৩ রান। ১১৩ রান করে লিটন দাস ও ৮২ রান করে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩০
চট্টগ্রাম টেস্ট: লিটনের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের
চট্টগ্রাম টেস্ট: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩০
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম দিনে চার উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন দাস ১১৩ এবং মুশফিকুর রহীম ৮২ রানে দ্বিতীয় দিনের ইনিংস শুরু করেন। তবে আজ মাত্র এক রান করেই লিটন ফিরে যান। মুশফিকুর রহীমও সেঞ্চুরির আগে (৯১ রান) রিজওয়ানের হাত ক্যাচ দিয়ে ফাহিমের বলে ফিরে যান। শেষের দিকে মেহেদী মিরাজের ৩৮ রানের সুবাধে দলীয় ৩৩০ রান করে টাইগাররা।
পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী ৫১ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: লিটনের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের
এর আগে গতকাল সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দিনের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ওপেনার সাঈফ হাসান ব্যক্তিগত ১৪ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ফিরে যান। এরপর দলীয় ৩৩ রানের মাথায় সাদমান ইসলামের পর ৪৭ ও ৪৯ রানের সময় যথাক্রমে অধিনায়ক মুমিনুল এবং নাজমুল শান্ত ফিরে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে টাইগাররা। সেখান থেকেই মুশফিক এবং লিটন দলের হাল ধরেন। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারালেও শেষ দুই সেশনে কোন উইকেট যেতে দেননি মুশফিক-লিটনরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এটি বাংলাদেশের ২১তম টেস্ট। এই ভেন্যুতে গত ২০ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুটিতে।
এই টেস্টের আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে ১০টিতে হেরেছে এবং অন্য ম্যাচটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ