হামলা
খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা: ৩ আসামির জামিন বাতিল
খুলনার বটিয়াঘাটার চার নারী ফুটবলারকে মারধরের কারণে করা মামলা প্রত্যাহার না করলে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া জিডির সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে তিন আসামি সালাউদ্দিন খাঁ, তার মা রঞ্জি বেগম ও বোন নুপুর আদালতে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন এবং তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হাদিউজ্জামান।
আদেশের পর কঠোর গোপনীয়তায় তিন আসামিকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনার নির্যাতিত নারী ফুটবলারদের পাশে প্রধানমন্ত্রী
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার জামিনে থাকা তিন আসামি তাদের জামিনের সকল শর্ত ভঙ্গ করেছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে হত্যাচেষ্টা মামলার বাদি সাদিয়া নাসরিন ও অন্য ভুক্তভোগিদেরকে মামলা তুলে না নিলে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেয়। যা পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত। বাদি ও অপর ফুটবলারদের নিরাত্তা নিশ্চিত করতেই জামিন বাতিলের আদেশ দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামে চার নারী ফুটবলারকে মারধর ও গুরুতর আহত করে নুর খাঁ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ৩০ জুলাই বটিয়াঘাটা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ফুটবলার সাদিয়া নাসরীন। পুলিশ নুর খাঁকে গ্রেপ্তার করলেও অপর তিন আসামি আদালত থেকে জামিন ছিলেন।
পরে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিলে সাদিয়া তিনজনকে অভিযুক্ত করে ১ আগস্ট থানায় জিডি করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১
দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
১৫ অগাস্টকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলার আশঙ্কা
বাংলাদেশ সাইবারস্পেসের বিরুদ্ধে ১৫ আগস্ট 'ব্যাপক সাইবার-আক্রমণ' শুরু করার জন্য ৩১ জুলাই কিছু ধর্মীয় এবং আদর্শিকভাবে অনুপ্রাণিত গোপন হ্যাকার গ্রুপের একটি ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি- ই- গভ সিআইআরটি) সতর্কতা জারি করেছে।
এতে বলা হয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সমস্ত ধরণের সরকারি এবং বেসরকারী সংস্থাগুলোকে আইটি অপারেশন এবং ব্যবসায় ব্যাহত করতে পারে এমন গ্রুপগুলোর সম্ভাব্য সাইবার-আক্রমণের বিষয়ে থাকতে হবে।
হ্যাকটিভিস্ট গোষ্ঠীগুলো থেকে উদ্ভূত ছোট থেকে মাঝারি আকারের সাইবার-আক্রমণের জন্য সমস্ত সংস্থাকে সতর্ক থাকতে এবং তাদের অবকাঠামো রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
সিআইআরটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে এই গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংস্থাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সাম্প্রতিক গবেষণায়, আমরা একই অনুপ্রেরণাসহ বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করেছি। তারা অবিরামভাবে বাংলাদেশে সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সাইবার-আক্রমণ পরিচালনা করছে যা এর কার্যক্রম এবং ব্যবসাকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গোষ্ঠীগুলোর প্রাথমিক আক্রমণের কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস (ডিডিওএস) আক্রমণ, ওয়েবসাইট বিকৃত করা, ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপোস করা এবং পেলোড ড্রপ করার জন্য পিছনের দরজা হিসাবে ক্ষতিকারক পিএইচপি শেল ব্যবহার করা।
সিআইআরটি অনুসারে শীর্ষ লক্ষ্যযুক্ত সংস্থার ধরনগুলো হলো সরকার ও সামরিক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ব্যাংকিং এবং এনবিএফআই, ফার্মাসিউটিক্যালস, খুচরা ও শিল্প সংস্থা এবংবিদ্যুৎ ও শিক্ষা খাত।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
হামলার প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু
রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের উপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকায় বিএনপির ৫৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এ জনসমাবেশের আয়োজন করেছে।
চারটি ট্রাকের সমন্বয়ে একটি অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়েছে। সমাবেশস্থলের চারপাশে প্রায় ৫০টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম জানান, সমাবেশের জন্য স্বল্প সময়ের নোটিশে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী জনসমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: ২.০৩ কোটি জামানত দেখিয়ে ইসিতে বিএনপির অডিট রিপোর্ট জমা
দুপুর ১টা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে ভিড় করতে থাকেন।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের চারপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সব মহানগর ও জেলা শহরে জনসমাবেশ করার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
এদিকে, শনিবার ঢাকার প্রধান প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি সংঘর্ষ ও সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়েছে, এতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ডিবি অফিসে খাবার খাওয়ার ব্যাখা দিলেন গয়েশ্বর
পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাজুর জেলায় রবিবার (৩০ জুলাই) একজন কট্টরপন্থী ধর্মগুরু ও রাজনৈতিক নেতার সমর্থকদের সমাবেশে শক্তিশালী বোমা হামলা করা হয়েছে।
দেশটির পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার নাজির খান বলেন, বাজুর জেলার রাজধানী খারের উপকণ্ঠে মাওলানা ফজলুর রহমানের জমিয়ত উলেমা ইসলাম (জেইউআই) পার্টির কর্মী সম্মেলনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এপি’র ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আহত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সমাবেশে আসা ৪৫ বছর বয়সী আদম খান পায়ে ও দুই হাতে স্প্লিন্টারে আঘাত পান।
তিনি বলেন, বিকাল ৪টায় বোমা হামলা হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান।
তিনি বলেন, ‘চারপাশে আমি শুধু ধুলো ও ধোঁয়া দেখতে পাই।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে ৩ সেনাসদস্য ও ২ বিদ্রোহী নিহত
কেউ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী আফগানিস্তানে সীমান্তের বাইরেও হামলা করা শুরু করছে।
খান বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
একটি বাজারের কাছে একটি হলের মধ্যে জেইউআই কর্মী সম্মেলন আয়োজন করা হয়। তবে, সমর্থক সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাইরে তাঁবু করা হয়। এসময় দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা অনুষ্ঠানস্থলটি পাহারা দিচ্ছিল।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত গন্ডাপুর বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা আলামত সংরক্ষণের জন্য ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছেন।
জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল খান জানান, বিস্ফোরণে নিহত ৪৪ জনের লাশ এবং প্রায় ২০০জন আহত ব্যক্তি খারের প্রধান হাসপাতালে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর এবং তাদের পেশোয়ার এবং পার্শ্ববর্তী জেলা দিরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি এবং অন্যান্য নেতারা এই হামলার নিন্দা করেছেন। তারা আহত ও শোকাহত পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
নিহতদের মধ্যে রেহমানের দলের স্থানীয় প্রধান মাওলানা জিয়াউল্লাহও রয়েছেন।
সিনেটর আবদুর রশিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা জামালউদ্দিনও মঞ্চে ছিলেন; তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন।
রেহমান সমাবেশে ছিলেন না বলে দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দলের আঞ্চলিক প্রধান রাশেদ বলেছেন, হামলাটি নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের আগে জেইউআইকে মাঠ থেকে সরানোর চেষ্টা।
তিনি বলেন, এ ধরনের কৌশল কাজ করবে না।
রেহমানকে তালেবানপন্থী ধর্মগুরু বলে মনে করা হয় এবং তার রাজনৈতিক দল ইসলামাবাদের জোট সরকারের অংশ। আসন্ন নির্বাচনের জন্য সমর্থকদের একত্র করতে সারাদেশে সভা-সমাবেশ করছে দলটি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাদের অনেক সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আমি ফেডারেল ও প্রাদেশিক প্রশাসনকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সুবিধা দিতে বলব।’
মোহাম্মদ ওয়ালি বলেন, তিনি একজন বক্তার বক্তব্য শুনছিলেন, তখন বিকট বিস্ফোরণে সাময়িকভাবে বধির হয়ে যান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কয়লা খনি নিয়ে দুই উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১৫
তিনি বলেন, ‘আমি এক গ্লাস পানি আনতে ওয়াটার ডিসপেনসারের কাছে গিয়েছিলাম, আকস্মিক বোমা বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হাসিমুখে সমাবেশে এসেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কান্নারত আহত মানুষ এবং তাদের প্রিয়জনের লাশ নিয়ে স্বজনদের কাঁদতে দেখেছি।’
বাজুর একটা সময় একটি উপজাতীয় অঞ্চল ছিল, কিন্তু এখন একটি জেলা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী উপজাতীয় অঞ্চল থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য ব্যাপক অভিযান চালানোর আগ পর্যন্ত ইসলামিক জঙ্গিদের একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল এটি। জঙ্গিরা এখনও প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর হামলা চালায়।
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
নাগরিকদের বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি তাদের ম্যালওয়্যার নজরদারি বাড়াতে এবং ব্যাংকগুলোর আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রয়োগ করতে বলে সতর্কতা জারি করেছে।
যদিও বিবি কোনো নির্দিষ্ট এলাকা উল্লেখ করেনি, তবে ব্যাংকিং ট্রোজান ট্রিকবট-এর মতো ম্যালওয়্যার, যা আর্থিক বিবরণ, অ্যাকাউন্টের প্রশংসাপত্র এবং ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য তথ্য চুরি করতে পারে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
বিবি ব্যাংকগুলোকে ম্যালওয়্যার আক্রমণের সাম্প্রতিক ঘটনা এবং ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে অবহিত করতে বলেছে৷
এটিতে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সাইবার আক্রমণ থেকে প্রতিরোধমূলক এবং প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থাগুলোর একটি বিশদ বিবরণও চেয়েছে৷
বিবির মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ আভ্যন্তরীণ কাজের অংশ ছিল। ‘ব্যাংকগুলো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করল বাংলাদেশ
গত মাসে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সার্ভারে ম্যালওয়্যার হামলার পর ব্যাংকগুলোকে সতর্কবার্তা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্ল্যাকক্যাট নামেও পরিচিত কুখ্যাত র্যানসমওয়্যার গ্রুপ আলফাভি, স্টেট ব্যাংকের সার্ভারে প্রবেশ করে এবং ১৭০ গিগাবাইটেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পথ তৈরি করে।
১২ দিনের সহসা প্রবেশ শনাক্ত করা যায়নি। যা হ্যাকারদের অভ্যন্তরীণ ডকুমেন্টেশন অধ্যয়ন করার এবং নির্বিঘ্নে মূল্যবান তথ্য চুরির জন্য যথেষ্ট সময় দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ৯৫ হাজার টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার সময় পুলিশের কোনো গাফিলতি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইস লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি (গুইন লুইস) হিরো আলমের ওপর হামলার কারণ জানতে চেয়েছিলেন। ‘আমরা বলেছি, 'আমরা এখনও বলতে পারি না কেন এটা হয়েছে।' একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি নির্বাচন শেষে হিরো আলমের সঙ্গে কিছু লোকের বাকবিতণ্ডা হয় এবং দেখা যায় কিছু যুবক তার ওপর হামলা চালায়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে জানিয়েছি যে আমরা ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করব। আমরা এটি তদন্ত করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করব কারা এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছিল। আমরা এটি খুঁজে বের করব।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে ২ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক নূর উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
শুনানি শেষে ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত।
অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, উপ-নির্বাচনের দিন সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন।
মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫থেকে ৬ জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫থেকে ২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
মামলার বাদী হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহযোগী সুজন রহমান শুভ এজাহারে আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে।
এসময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা
রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির এক দফা দাবিতে পদযাত্রায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করে বিএনপি।
হিরো আলমের ওপর হামলা গণতন্ত্রের নামে আ. লীগের তামাশা: ফখরুল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলাকে গণতন্ত্রের নামে তামাশা আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।’
সোমবার খুলনা ডাকবাংলা চত্বরে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে তা ভাবাই যায় না। তাই অরাজনৈতিক হিরো আলমকেও ভয় পায়।
ফখরুল বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও ভোটের সময় আলম একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ‘তখন আওয়ামী লীগের কুখ্যাত ক্যাডাররা তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দয়ভাবে মারধর করে ভোটকেন্দ্রের বাইরের রাস্তায় ফেলে দেয়।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, হিরো আলমের মতো একজন অরাজনৈতিক প্রার্থীকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মারধরের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে তারা কী মজার দৃশ্য তৈরি করেছে! এই সরকার গনতন্ত্রের নামে ও নির্বাচনের নামে তামাশা করছে। তারা (আ.লীগ নেতা) আবার বলবে যে গণতন্ত্র তাদের হাতে সবচেয়ে নিরাপদ এবং তারা অতীতে ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল।’
ফখরুল বলেন, মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন অধ্যাপক, ড. (পিএইচডি) এবং একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের প্রধান। সেখানে আওয়ামী লীগের হাইভোল্টেজ প্রার্থী ছিলেন তিনি, যদিও সেখানে কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রার্থী ছিল না।’
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন এবং বাংলাদেশের মানুষ তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু ভিন্নভাবে চেনেন।
হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি শুনেছি ও জেনেছি। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি না। যারা হামলা করেছেন, তারা নির্বাচনটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে বলে আমার মনে হয়। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’
সোমবার বিকালে উপনির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানান আরাফাত।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
আ’লীগ সমর্থিত এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি চাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) যাতে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের নির্বাচনে আর না ঘটে। ’
এর আগে আজ ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বনানী এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, প্রার্থীকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর।
নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচন-পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘হিরো আলমের ঘটনা একটি অন্যায় এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম, তবে অনিয়মের অভিযোগ নেই: পর্যবেক্ষক দল