বজ্রপাত
রূপসা নদীতে বজ্রপাতে ট্রলার মাঝি নিখোঁজ, আহত ৭
খুলনার রূপসা নদীতে বজ্রপাতে এক ট্রলার মাঝি নিখোঁজ এবং আরও এক মাঝিসহ সাত যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ মতি শিকদার (৪৫) পূর্ব রূপসার রেল মসজিদ পার্শ্ববর্তী মাঝি পাড়ার সলেমান শিকদারের ছেলে।
আহতদের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মাঝি সংঘের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খোকন শেখ (৫৫), বাগমারা গ্রামের নিজামের ছেলে নাজমুল হাসান রানা (২২) ও মতি মাঝির ছেলে রাকিব (১৫) এবং পূর্ব রূপসা আড্ডা গলির মোবারক শেখের ছেলে খোকন মাঝি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রূপসার ঘাট মাঝি সংঘের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ ব্যাপারী জানান, ট্রলার মাঝি মতি শিকদার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পূর্ব রূপসা ঘাট থেকে ট্রলারে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে পশ্চিম রূপসা ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় পশ্চিম রূপসা ঘাট থেকে খোকন মাঝি ট্রলার নিয়ে পূর্ব ঘাটে আসছিল। এ সময় ট্রলারের কাছে বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটে। এতে কানের পর্দা ফেটে খোকন মাঝি, মতি শিকদারের ছেলে রাকিব ও যাত্রী নাজমুল হাসান রানাসহ ৭ যাত্রী গুরুতর আহত হন। এ সময় ট্রলার মাঝি মতি শিকদারসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে মতি শিকদারের ছেলে রাকিবসহ অন্যান্য যাত্রীদের উদ্ধার করা হলেও মতি শিকদারের সন্ধান মেলেনি। বজ্রপাতে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
খবর পেয়ে রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম ও থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিখোঁজ মতিকে উদ্ধারে রূপসা নদীতে ফায়ার সাভির্সের ডুবুরি দল তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের আঁখিনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খায়রুল ইসলাম (৪৮) ও মেরিনা বেগম (৩৭)।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, সকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের বাগানে তারা দুই জন আম কুড়াতে গেলে হঠাৎ বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় ফসলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
রাজধানীতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
রাজধানীর দক্ষিণখাঁন কাওলা এলাকায় বজ্রপাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রাহাত আহমেদ বাঁধন (১৯) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বামভুইয়া পাড়ার মো. নুরুন্নবীর ছেলে।
বাঁধনের ভাই রাকিব জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটায় কাওলা ট্রান্সমিটার মাঠে খেলাধুলা করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে অচেতন হয়ে পড়ে বাঁধন। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে তাকে প্রথমে স্হানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রাত ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৩
কচুয়ায় ফসলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
চাঁদপুরের কচুয়ায় জমিতে কৃষি কাজে গিয়ে বজ্রপাতে মিল্লাত হোসেন ওরফে সাদ্দাম (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
মিল্লাত হোসেন উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের বেপারি বাড়ির মোস্তফা কামালের ছেলে।
শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, মিল্লাত হোসেন সকালে বৃষ্টিতে ভিজে ধানের বীজ বপন করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ভারী বৃষ্টি ও প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হলে এলাকার লোকজন সাদ্দামকে মাঠে সংজ্ঞাহীন পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে স্বজনরা দ্রুত নিকটস্থ শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩
দৌলতপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সাতগাঁও হাওরে ও রানিচাপুর গ্রামের সামনে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-স্কুলছাত্র মামুন মিয়া (১৪)ও কৃষি শ্রমিক জাকারুল মিয়া (৩৪)। মামুন চাকুয়া ইউনিয়নের রানিচাপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে। বজ্রপাতে আহত হওয়ার পর তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে জাকারুল আটপাড়া উপজেলার ইকরহাটিয়া গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে। তিনি কিছুদিন ধরে মেন্দিপুর ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে তার শশুর আব্দুল জলিলের বাড়িতে থেকে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, জাকারুলসহ কয়েক শ্রমিক সাতগাঁও হাওরে ধান কাটছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা মাথায় করে ধানের বোঝা নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি হাওরেই মারা যান।
অন্যদিকে কিশোর মামুন বিকেলে রানিচাপুর গ্রামের সামনের মাঠে শুকাতে দেয়া ধান তোলার কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা আশঙ্কাজানক অবস্থায় তাকে নিয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খালিয়াজুরী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসিন খন্দকার বলেন, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু
মেহেরপুরে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ৩
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। বৃহস্পতিবার জেলার তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁওয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, বেলা ১১টার দিকে একটি ক্ষেতে ধান কাটার সময় একদল শ্রমিকের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে তিনজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু
নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় পৃথক মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ও পশ্চিম রঘুনাথপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-সায়েম আলী (৪০) ও নুর মোহাম্মদ নুহ (৫৫)। তাদের একজনের বাড়ি উপজেলার পশ্চিম দুয়ারপাল গ্রামে এবং অপরজন একই উপজেলার পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রামে বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহুরুল হক জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পোরশা উপজেলায় ইসলামপুর ও পশ্চিম রঘুনাথপুর মাঠে ধান কাটছিলো শ্রমিকরা। এই সময় মোষলধারে বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাত হলে সায়েম আলী ও নুর মোহাম্মদ নুহ দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হন। পরে মাঠে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকরা তাদেরকে উদ্ধার করে পোরশা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করে।
ওসি জানান, তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের সকালে বজ্রপাতে টাঙ্গাইলে ৩ কিশোরের মৃত্যু
এদিকে মোষলধারে বৃষ্টির মধ্যে উপজেলার নিতপুর বাঙ্গালপাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৫০) নামে এক নারী মাঠে বেঁধে রাখা ছাগল আনতে গেলে বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পোরশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হামিদ রেজা জানান, শুক্রবার সকালে বজ্রপাতে নিহত দুজন ও আহত একজনের পরিবারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
মাগুরা সদরে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বেরইল-পলিতা ইউনিয়নের সত্যবানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.জান্নু মোল্ল্যা (৩৫) উপজেলার বেরইল পরিতা ইউনিয়নের সত্যবানপুর গ্রামের চৌধুরী মোল্ল্যা ছেলে এবং পেশায় কৃষক।
আরও পড়ুন: ঈদের সকালে বজ্রপাতে টাঙ্গাইলে ৩ কিশোরের মৃত্যু
বেরইল-পলিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি চলাকালে কৃষক জান্নু মোল্যা ও তার এক সহযোগী বাড়ির পাশে বিলের জমির ধান কাটার কাজ করছিলেন। এই সময় বজ্রপাত হলে জান্নু মোল্যা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। প্রতিবেশীরা আহত জান্নুকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় মাগুরা থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করার পরিকল্পনা
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করে তৈরি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’- শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সভাপতি তপন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলবো। জাপানের সহায়তায় ভূমিকম্প সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে করে ভবনগুলো সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় হয়ে ওঠে। আর ইতোমধ্যে যেগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা করবো, যদি কোনো দুর্বলতা থাকে তাহলে সেগুলোকে শক্তিশালি করা হবে। নতুন যে ভবনগুলো এখন থেকে তৈরি হবে এগুলো তৈরি হবে বিএমডিসি কোড অনুযায়ী।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, অবশ্য এক্ষেত্রে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঐতিহ্য ঘোষণা করা ভবনগুলোকে তালিকায় রাখা হয়নি বলেও জানান তিনি।
একই সঙ্গে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন,সিদ্ধান্ত নিয়েছি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করবো। ৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপ সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামুলক ভাবে ৪০ টি বসিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আসন্ন বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ সহনীয় দেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
চাঁদপুরে বড় ভাইয়ের লাশ দেখে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বড় ভাইয়ের লাশ দেখে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে পৌর এলাকার উত্তর কাছায়িরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বড় ভাই তরিকুল ইসলাম রুবেল (২৬) তার মাছের খামারে বজ্রপাতের শিকার হন।
রুবেলকে উদ্ধার করতে তার ছোট ভাই সোহেল স্থানীয় লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে বড় ভাইয়ের লাশ দেখতে পেয়ে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সোহেল।
পরে দুজনকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৯টার দিকে দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মোজাম্মেল হোসেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মোটরসাইকেলের চাকায় বোরকা পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোহেলের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তার স্বজনরা নিশ্চিত করায় তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে রুবেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।