পরীক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থী
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সারাদেশে শুরু হচ্ছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিনেই হবে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ছেলে ও ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্রীসহ মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি।
রুটিন অনুযায়ী এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২ হাজার ৬৫৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৬৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ৩১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
চট্টগ্রাম ও মাদরাসা বোর্ডের স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া এইচএসসির প্রথম চারটি বিষয়ের পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ড।
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকালে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তারিখ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জুন-আগস্টে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা, সিলেবাস পুনঃসংশোধিত
ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসির ১৭ আগস্টের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা হবে ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০ আগস্টের বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা ১ অক্টোবর, ২২ আগস্টের ইংরেজি প্রথম পত্র ২ অক্টোবর আর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ৩ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম পরীক্ষার প্রথম চারটি বিষয়ের পরীক্ষার নতুন তারিখ ১, ৩, ৫ ও ৮ অক্টোবর।
এর আগে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শুক্রবার রাতে তিন শিক্ষা বোর্ডের (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা পেছানো হয়।
যা ১৭ আগস্টের পরিবর্তে ২৭ আগস্ট শুরু হবে বলে জানানো হয়।
১৭ আগস্টের কুরআন মাজিদ (২০১) পরীক্ষা আগামী ১ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ২০ আগস্টের আরবি প্রথমপত্র (সাধারণ বিভাগ ২০৫) ও আরবি সাহিত্য (বিজ্ঞান ও মুজাব্বিদ মাহির বিভাগ (২২৩) পরীক্ষা আগামী ৩ অক্টোবর সকালে অনুষ্ঠিত হবে।
২২ আগস্টের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা (২৩৬) আগামী ৫ অক্টোবর সকালে এবং ২৪ আগস্টের বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা (২৩৭) আগামী ৮ অক্টোবর সকালে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
প্রাথমিকে থাকছে না বৃত্তি পরীক্ষা
প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরীক্ষা বন্ধ হলেও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩ সালে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৃত্তি পরীক্ষা থাকছে না। ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী মানদণ্ড থাকবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য কাল ও পরশু (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিশু-কিশোরদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা
আগামী এক মাস সব সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো যাবে।
বুধবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিশেষ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিতে হবে। জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে-
তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া, শরীরে র্যাশ ওঠা, শরীরে লালচে দানা, পাতলা পায়খানা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খাবারের বিষয়ে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু জ্বর হলে বেশি বেশি তরল খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের রস, স্যুপ খেতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে বলা হয়েছে-
o ঘর, অফিস বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে।
o মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে পারে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে।
o দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
o পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
o পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সবাইকে সরাসরি যুক্ত করতে চেষ্টা করতে হবে।
মশার প্রজনন রোধে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে-
o ঘরে ও আশপাশের যে কোনো পাত্র, মাঠ অথবা রাস্তায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
o ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে তা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
o ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল, ফ্রিজে জমে থাকা পানি তিন দিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে।
o ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
ডেঙ্গু বিষয়ক এ বিশেষ বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে যেন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই এ জ্বর সেরে যায়। তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিকনির্দেশনা
দেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২৪৬
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
সারাদেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি সহায়তায় বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মুহাম্মদ কাদের।
এছাড়া যারা ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বলেন, শনিবার (৮ জুলাই) একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮২০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
সংখ্যার বিচারে এটাই এ বছরের সর্বোচ্চ।
সরকারি তথ্যে দেখা গেছে যে ৮ জুলাই থেকে ডেঙ্গুতে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, মানুষ মনে করে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ১ হাজার ৭৭৩ জনসহ ২ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ১১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত করেছে এবং সুস্থ হয়েছে ৯ হজার ৫৪৯ জন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
ভাই এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর দলের চেয়ারম্যান হওয়া কাদের আরও বলেন, ২০১৯ সালে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল। ওই বছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল। কিন্তু এ বছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সরকারি জরিপে দেখা গেছে। এটি আসলে ডেঙ্গুর ভয়াবহ অবস্থার প্রমাণ দেয়।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
এছাড়া ডেঙ্গু নির্মূলে যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তার কার্যকারিতা নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ এমনিতেই চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তাই বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। পরীক্ষামূলক চলাচলের তিনটি ধাপের মধ্যে এটি প্রথম।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের মেগা প্রকল্পের আরেকটি মাইলস্টোন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল চলাচল পরীক্ষণের শুভ উদ্বোধন।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
১৫ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষামূলক চলাচল সম্পন্ন হওয়ার পর যাত্রী নিয়ে চলাচলের দিন-তারিখ ঠিক করা হবে। উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় পাওয়া সাপেক্ষে।
ডিএমটিসিএল জানায়, পরীক্ষামূলক চলাচলের প্রথম ধাপ পারদর্শিতা পরীক্ষা বা পারফরম্যান্স টেস্ট। এর পরের ধাপে হবে ‘সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট’। চূড়ান্ত পর্যায়ে হবে ‘ট্রায়াল রান’ বা পরীক্ষামূলক চলাচল।
এ তিন ধরনের চলাচলকেই পরীক্ষামূলক চলাচল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরীক্ষামূলক চলাচল শুরুর আগে মেট্রোরেলের পথ যাচাই (ভেরিফিকেশন) করতে হয়।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের পথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এ পথে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও।
এসব স্টেশন থেকে এখন যাত্রীরা মেট্রোরেলে চড়তে পারছেন।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশন রয়েছে সাতটি- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল। আজ এ পথে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে ১২ ঘণ্টা চলবে মেট্রোরেল
৩১ মে থেকে সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে ঢাকা মেট্রোরেল
আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে না হলেও সিলেবাস পুনর্বিন্যাস করে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আগামী বছরের পরীক্ষার্থীরা এ বছর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে ক্লাস পাচ্ছে না। তাই যারা পুরোপুরি ক্লাস পাচ্ছে না তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ না হলেও কিছুটা সংক্ষিপ্তভাবে সিলেবাস পুনর্বিন্যাস করে পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান, পৌর প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিাছ, ১৩ নং ওয়ারডের কাউন্সিলর মো. আলমগীর গাজী, যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা রুমা পাটোয়ারি প্রমুখ।
পরে তিনি যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর গাজীর মায়ের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
হাঁটুপানিতে বসেই চলছে পরীক্ষা!
পানিতে ভাসছে টেবিল, বেঞ্চ ও জুতা। পরনের জামাকাপড় ভিজছে। হাঁটুপানিতে বসে আছেন পরীক্ষার্থীরা। এই পানিতে হেঁটেই শিক্ষকরা এনে দিলেন পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র।
শিক্ষার্থীদের হাতে চলতে শুরু করে কলম। এটি কোনও নদী বা সাগর পাড়ের রোমান্টিক পরীক্ষা আয়োজনের চিত্র নয়। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার দৃশ্য ছিল এমনই!
শিক্ষার্থী, কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় টইটম্বুর কুমিল্লা নগরী। পুরো শহরেই জলাবদ্ধতায় হাঁটু পানি জমে যায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার আহ্বান
তবে নগরীর মনোহরপুর এলাকার সরকারি মহিলা কলেজের পরিস্থিতি পুরোপুরি বেহাল। তুলনামূলক নিচু এলাকা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় মহিলা কলেজ। রবিবার দুপুরের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় কলেজ ক্যাম্পাস।
এসময় পরীক্ষা চলছিল স্নাতক চতুর্থ বর্ষের।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল আমাদের চতুর্থ বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা ছিল। ১টা ৩০-এ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। বাসা থেকে বের হয়ে হলে যেতে যেতে ভিজে গেছি।
পরীক্ষা শুরুর আগের সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস পানিতে ভরে যায়।
আমরা হাঁটুপানির মধ্যেই পরীক্ষা দিই। আমার সামনের বন্ধুর প্রবেশপত্র পানিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে। সবাই ভিজে গেছে। হাঁটু সমান পানিতে শিক্ষকদের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়।
অনেক শিক্ষার্থীর কাগজপত্র ভিজে গেছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কলেজের নিচতলা পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে।
এর মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো হলে চার্জার লাইট ও মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়। যে কারণে অনেকে পরীক্ষা শেষ না করেই বেরিয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পানি প্রবেশের ফলে কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে পোকামাকড়, সাপ ও ময়লা। যা অনেক শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসনাত আনোয়ার উদ্দীন আহমেদ বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে পুরো কুমিল্লাই ডুবে যায়। মহিলা কলেজ তো একটি অংশ মাত্র।
তিনি বলেন, কলেজটি বেশ পুরনো। ভবনগুলোও পুরনো। শহরের সমতলভূমি থেকে কালক্রমে কলেজ ক্যাম্পাস নিচু হয়ে পড়েছে। তাই পানি বেশি প্রবেশ করে আমাদের ক্যাম্পাসের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
এই সমস্যার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, টমছম ব্রিজ থেকে যে খালটি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের দিকে গেছে সেটি ভরাট করে রাস্তা করা হয়েছে। তাই এখন খালটি ড্রেনের মতো। পানি যেতে পারে না। সেই পানি আমাদের ক্যাম্পাসের দিকে চাপ দেয়। যার ফলে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে ভিজে ভিজেই শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেন।
যদি নতুন ভবন করা হয় তবেই উঁচু করে তৈরি সম্ভব। আমরা প্রস্তাবনা রাখছি, যেন আমাদের নতুন ভবন করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সিটি কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী
জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় পরদিন অনুষ্ঠিতব্য ‘বি’ ইউনিটের উত্তরপত্র (ওএমআর) পেয়েছেন ভর্তিচ্ছু ছয়জন শিক্ষার্থী।
রবিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রস্তুত করতে গেলে বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্টদের।
ওইদিন ‘সি’ ইউনিটভুক্ত কলা ও মানবিক অনুষদ; বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ শিফটের ‘সি’ ইউনিটের পরিবর্তে ‘বি’ ইউনিটের ৬টি ওএমআর সরবরাহ করা হয়। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারি ১৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জাবির ফার্মেসি বিভাগে দীর্ঘ সেশন জট, দায় নিতে রাজি নয় কেউ
এ বিষয়ে জার্নালিজম ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘সি’ ইউনিটের ওএমআরগুলো স্ক্যান করার সময় ‘বি’ ইউনিটের ৬টি ওএমআর পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষে ওই কক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো বাড়তি প্রশ্নপত্র এবং ওএমআরগুলোর মধ্যে ‘বি’ ইউনিটের আরও ৪৫টি ওএমআর খুঁজে পেয়েছি।
এছাড়াও সেখানে আরও বাতিল করা ৩টি ওএমআর পেয়েছি যেগুলো ‘বি’ ইউনিটের হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে এবং এর পরিবর্তে ‘সি’ ইউনিটের ওএমআর দেওয়া হয়েছে।
এতে বুঝা যায় ওই রুমে দায়িত্বরত শিক্ষক ও ওই কয়েকজন শিক্ষার্থী সেটা শনাক্ত করতে পেরেছেন কিন্তু এ বিষয়টি অনুষদের ডিন স্যারকে বলা হয়নি।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে কল কেটে দেন।
সি’ ইউনিট সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এটা কীভাবে ঘটলো সেটি জানি না। তবে ডিন অফিস থেকে তো ‘সি’ ইউনিট ছাড়া অন্য কোনো ওএমআর সরবরাহ করা হয়নি।
তাই বিষয়টি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। রাত পৌনে ৩টায় এ বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত করে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এদিকে ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর হওয়ার পরও কর্তব্যরত শিক্ষকরা বিষয়টি না দেখেই সেখানে সই করায় পরীক্ষার কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
আরও পড়ুন: জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী
সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের